পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* ミ. পদ্ধতিতে জীবন কাটিয়ে তবে ফাসিষ্টের তকৃমা ও রাইফেল পায়। এই থেকে কতকটা আন্দাজ পাওয়া যাবে ফাসিষ্টর কি ধাতুতে তৈরি। বর্তমানে দেশের অধিকাংশই ফাসিষ্ট। ফাসিষ্ট শ্রমিকদের অবসর-বিনোদনের ব্যবস্থার জন্য পৃথক প্রতিষ্ঠান আছে । এই প্রতিষ্ঠান ১৯২৫ সালে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়। শ্রমিকদের নৈতিক ও দৈহিক উন্নতিই এই প্রতিষ্ঠানের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই প্রতিষ্ঠান নানা রকমের খেলাধুলো, ভ্রমণ, কলাশিল্পের চর্চ, বেড়ান ( excursion ) প্রভৃতির ব্যবস্থা করে এবং যার কোন বিশেষ জিনিষ শিপতে ইচ্ছুক তাদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করে । এই প্রতিষ্ঠানটির ১৬,১৯২টি শাখা আছে ও সভ্যসংখ্যা ১,৭৭৭,০৩৫ জন শ্রমিকের চিত্তবিনোদনের জন্য বহু চলন্ত qafast 8 gajną eNICĘ I Carro di Tespi zitza এমনি একটি রঙ্গালয় ৬৬টি বিভিন্ন শহরে মোট ৬০০,০০০ জন w-co no a ssazi. «Frool (lyrical performance) প্রবাসী SN98R এবং ৪৮১টি বিভিন্ন শহরে ১,৬৫০,০০০ জন দর্শকের সামনে ৮৭৭ বার নাট্যাভিনয় করে । শ্রমিকরা যাতে অল্পব্যয়ে দেশ ভ্রমণ করতে পারে বা স্বাস্থ্যান্বেষণে অন্যত্র যেতে পারে এজন্য ট্রেনের বিশেষ ব্যবস্থা আছে। মাত্র চার মাসে ১৮৯৬টি ট্রেনে ৮৩৩,৯৪৩ জন যাত্রী এই ব্যবস্থায় দেশ ভ্রমণ করেছে। মুসোলিনীর আমলে সিনেমার প্রচলনও ইতালীতে যথেষ্ট হয়েছে। সরকারী তত্ত্বাবধানে জনশিক্ষার জন্য ১৯২৬ সাল থেকে ১৯৩২ সালের সেপ্টেম্বর পর্য্যস্ত ১১৫২টি মূক ও সবাক চিত্র এবং ১১৮০টি সাপ্তাহিক সংবাদ চিত্র নিৰ্ম্মিত হয়েছে। খেলাধুলোর জন্যে ইতালীর সর্বত্র ফোরাম ষ্টডিয়াম প্রভৃতি ক্রীড়াক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সমগ্র ইতালীর ক্রীড়া ও ব্যায়াম পদ্ধতি নিয়ন্ত্রিত করবার জন্য ন্যাশন্যাল । ইতালীয়ান অলিম্পিক কমিটি আছে। এর সঙ্গে ২১টি ফেডারেশন যুক্ত, সভ্য-সংখ্যা ১,০৫২,৩৫৩ জন । মতিলাল ঐতারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 'চোত-পরব' অর্থাৎ গাজনের সংবাহির হইয়াছিল। ঢাক ঢোল বাজাইয়া শোভাযাত্রার মধ্যে বাবা বুড়া শিবের দোলা চলিয়৷ গেল—তাহার পিছনে পিছনে সঙের দল চলিতেছিল। এক জন বাজীকর সাজিয়াছে, সঙ্গে একটা প্রকাও বড় ভালুক— একটা হনুমান, বাজীকরের বগলে একটা সাপের ঝাপি । এই বাজীকরের পিছনেই যত ছেলের ভিড়। কৌতুকেরও সীমা নাই, অথচ ভয়ও আছে, একটু দূরে দূরে কোলাহল করিতে করিতে তাহারা চলিয়াছে। ভালুকটা প্রকাও বড়—বোধ হয় বুড়া—গায়ের রোয়াগুলা অনেক স্থলে উঠিয়া গিয়াছে, ছেলের পাল সেটাকে লক্ষ্য করিয়াই বাজীকরের অলক্ষ্যে ক্রমাগত ঢ়িল ছুড়িতেছিল। বুড়া ভালুকট কয়েক বার এমনিভাবে আঘাত পাইয়া ফিরিয়া দাড়াইয়া গো-গে করিয়া উঠিল। সভয়-কৌতুকে ছেলের দল এদিকে-ওদিকে ছুটিয়া পলাইয়া গেল। ভালুকটা খিল-খিল করিয়া হাসিয়া আবার বাজীকরের সঙ্গে চলিতে লাগিল । ছেলেদের দলের অগ্রগামী পাৰ্ব্বতী তাহার পাশ্বচর মদনকে বলিল—মানুষ রে মানুষ ; হাসছে। সেজেছে । মদন বলিল—ধেং ! নারাণবাবুদের কাছারীতে জরে কঁপিছিল দেথিস নি! ভালুক না হ’লে জর আসে-কাপে ! গাঁজা খেলে— ! চোটা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট খামগোপাল বাবুর বৈঠকখানাটা সম্মুখেই—সেখানে তখন খামগোপাল বাৰু ইউনিয়ন বোর্ডের খাতাপত্র দেখিতেছিলেন । বাজীকরের হনুমানটা উপ শব্দে - লাফ দিয়া দাওয়ার উপর উঠিয়া বসিল, ভালুকটাও একটা প্রণাম করিয়া ধপ, করিয়া সেইখানে পড়িয়া জরে র্কাপিতে আরম্ভ করিল। হনুমানটা প্রেসিডেণ্ট