পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭২ “কেন ?” “তোমার ঐ মেয়েটির কথা ভেবে । কি আদরই দিয়েছ ওকে, আর কেমন ক’রে মানুষ করলে। আমি শুধু ভাবি মাঝে মাঝে তোমার ঐ নাকতোলা মেয়ের বিয়ে হ’লে কেমন করেই বা সে সুখী হবে, আর কেমন করেই বা পাঁচ জনকে সুখী করবে।” “তোমার এ-ভাবনা মিছে । বুড়ির মনটি আসলে খুব কোমল আর স্নেহশীল। আর দেখ আমার মনে চিরকালের একটা ক্ষোভ রয়েছে, বুড়ির বিষয়ে আমি আর কারও কথা শুনব না । ওকে আমার মনের মত ক’রে মানুষ করব। বিয়ের কথা পরে ভাবলেও চলবে ।” স্বামীর এ-কথায় গৃহিণীর একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস পড়িল । অনেক কথা মনে পড়িয়া গেল, স্বামী প্রথমে ওকালতি পাস করিয়া কলিকাতার হাইকোটে কিছুদিন ওকালতি করেন। আইন পাস করিবার চার-পাঁচ বছর আগেই র্তাহীদের প্রথমা কন্ত কমলার জন্ম হয় । কয়েক বছর আদি’লতে বাহির হইয়া কিছুই যখন সুবিধা হইল না তখন জ্যোতিষচন্দ্র সঙ্কল্প করিলেন বিলাতে গিয়া ব্যারিষ্টারী পাস করিয়া আসিবেন । স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে অনেক পরামর্শ অনেক কথা হইতে লাগিল কিন্তু আসলে তখনও তাহার বাবা জীবিত, তাহীর মত কোনমতেই পাওয়া গেল না । তিনি আচারনিষ্ঠ সেকেলে ভাবাপন্ন ছিলেন । অত্যস্ত কড়া, রাশভারি লোক । কিন্তু জ্যোতিষ বাবার কাছে উৎসাহ ন পাইয়া স্ত্রীর অলঙ্কার কিছু কিছু বিক্রয় করিয়া কয়েক জন অস্তুরঙ্গ বন্ধুর সাহায্যে এক রকম জোর করিয়াই ব্যারিষ্ট রী পড়িতে গেলেন। সেই হইতে পিতাপুত্রে ছাড়াছাড়ি । জ্যোতিষ ফিরিয়া আসিবার আগেই র্তাহার বাবা মারা গিয়াছিলেন । কিন্তু মারা যাইবার আগে তিনি জ্যোতিষের বড়মেয়ে কমলার অত্যন্ত অল্পবয়সে খুব কুলীনের ঘরে বিবাহ দিয়া দিলেন । প্রবাসী জ্যোতিষকে এ-সম্বন্ধে কোন কথা জানাইলেন না । তাছার মতামত নিলেন না। হয়ত এ তার পুত্রের উপর এক প্রকার প্রতিশোধ লইবার প্রবৃত্তিসঞ্জাত কাজই হইয়াছিল। অবশু নাৎনীর বিবাহে তিনি ধুমধাম খরচপত্র করিয়াছিলেন যথেষ্ট । কুলীন এবং সম্পন্ন বনিয়াদি বংশের ঘরে তাহাকে দিয়া { হীৰামনা ;) N9BR ছিলেন । কিন্তু যাহ। আশা করিয়াছিলেন তাঁহা হইল না । ক্রমশঃ দেখা গেল সে-পরিবারে বহিরের ঠাট-ঠমকের চেয়ে ঋণের বোঝা বেশী । যে ছেলেটির সহিত কমলার বিবাহ হয়, সে বিয়ের সময় আই-এ পড়িতেছিল, কিন্তু কিছুতেই পাস করিয়া উঠিতে পারিল না । কয়েক বীর ফেল করিয়া বাড়িতে আসিয়া বসিল । জ্যোতিষ ফিরিয়া আসিয়া সমস্ত শুনিলেন এবং রক্তবর্ণ মুখে দৃঢ়বদ্ধ ওষ্ঠীধরে কহিলেন, “এত সামান্ত কারণে যে বাবা আমার উপর এমন ক’রে প্রতিশোধ নেবেন, তা আমি স্বপ্নেও জানভূম না । যদি জানকুম, তাহ’লে কথন খেতাম না ।” সেই হইতে কমলার জীবন আর কমলার অদৃষ্ট পিতামাতার মনের উপর ভারের মত চাপিয়া রহিয়াছে । প্রতিকারহীন বেদনায় তাহীদের দিন রাত্রি নিঃশব্দে বিবর্ণ হইয়া উঠিতেছে। প্রতিকার করিবার তেমন কিছু ছিল না । কমলার শ্বশুর বিলাত-ফেরৎ বৈবাহিকের বাড়িতে বধুমাতাকে কখনও পাঠাইতেন না। ম্যালেরিয়ার সময়টাও নয়। ম্যালেরিয়ার সময়ে তাহার এক পাল ছোট ছোট ছেলেমেয়ে লইয়া কমলা জরে জরে কঙ্কালসার হইয়া উঠিত, এমনি করিয়া ভুগিতে ভুগিতে তাহার দুই-তিনটি ছোট ছেলেমেয়ে অত্যন্ত অকালে সংসার ত্যাগ করিয়াছে, কিন্তু তথাপি সে একটি দিনের জন্তও পিতামাতার সমেং আকুল আহবানে বীপের বাড়ি যাইতে বা চিকিৎসার ব্যবস্থা করিতে পায় নাই । বছর দুই হইল তাহার শ্বগুর মারা গিয়াছেন । অতটা কড়াকড়ি শাসন আর নাই । বড় মেয়ে অমন করিয়া দূরে চলিয়া গেল, চিরজীবনের জন্ত অশেষ দুঃখ-গ্লুর্ভাগ্যের মাঝে নিমজ্জিত হইয়া রহিল, এই কথা যত মনে পড়িয়া যায়, ছোট মেয়েটিকে তাহার বাষ তত্তই আকুল আগ্রহে বুকের মাঝে টানিয়া নেন । মালতীর তাই বাবার কাছে আদরের সীমা নাই ৷ মাও আদর করেন। কিন্তু তাহার মনের মাঝে ভবিষ্যৎদশী भकांकूण मांछ्शनम्न श्रां८झ ! डिनि मtन खांप्नन, भा बांयांद्र কাছে বাপের বাড়িতে যতই আদর-যত্ন হোক, মেয়েমানুষের ভাগ্যবিধাতা তাহার ভাগ্যে ঠিক কি যে লিখিয়াছেন তাহা কে বলিতে পারে । আর কমলার জন্ত তার মায়েরও