পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ তিন মাসও হয় নাই, গাঙ্গুলী তৃতীয় পক্ষের স্ত্রীকে ঘরে अॉनिब्रां८छ्न । হরনাথ উঠিয়া গেল । তাহার পর বৎসর বিভূতির বিবাহ দিয়া হরনাথ বউ ‘ঘরে অনিল । বউ বিন্দুমতীর চেহারা চলনসই হইলেও রং ষে ফরসা নয় একথা গাম্বুদ্ধ লোক একবাক্যে সকলেই স্বীকার করিল। বাকী ছিলেন নিশি গাঙ্গুলী । তিনিও সেদিন বউ (দখিতে আসিয়া হরনাথের বাড়ি জলযোগ সারিয়া ঘাইবার সময় বলিয়া গেলেন, "একটু দেখে-শুনে আনলেই ভাল হ’ত হরনাথ, আজকালকার ছেলে—যাক যা ক’রে ফেলেছ তার ত আর চারা নেই—’ হরনাথ মুছ হাসিয়া বলিল, ‘রং কালে হোক ক্ষতি নেই, মন কালো না হয়ত বাচি ।” গাঙ্গুলী ছাড়িলেন না, বলিলেন, ‘তা বুঝতেও ঘষামাজা লাগে ভাই।’ বিভূতি তখন পুনরায় প্রবেশিকা পরীক্ষা দিবার জন্ত তৈয়ারী হইতেছে । বউ পছন্দ করিবার সময় হইয়া উঠে নাই । রং কালো তাহা নজরে পড়িয়াছে বটে, কিন্তু ঐ পর্য্যস্তই । ছোট বন্দু তাহার সামূনে ঘোমটা দিয়া ঘুরিয়া বেড়ায়, কখনও বা চোখে চোখে পড়ায় সলজ্জ হাসি হাসিয়া দৌড় দেয়, ইহাই তাহার ভাল লাগে। এই পৃথিবীতে ভাল-লাগার সীমা শুধু বর্ণ ও রূপের মধ্যেই সীমায়িত নহে। বিন্দুর জীবনযাত্রার যে ছন্দ, তাহাই বিভূতির চোখে অপূৰ্ব্ব । তাহার চলিবার ভজিটুকু, ঈষৎ ঘাড় বাকাইয় দাড়ানো, সবই বিভূতির ভাল লাগে । মোট কথা, ঐ বারে বছরের প্তামাঙ্গী মেয়েটি যেন তাহার জীবনে ভাল লাগার বান ডাকিয়া আনিয়া দু-কুল ভাসাইরা দিল । কিন্তু আরও যাহা ঘটিতেছিল তাঁহাই বলি। হরনাথ এতদিন প্রৌঢ়ত্বের কোঠ ছাড়াইয়া বাৰ্দ্ধক্যে যেন কিছুতেই পা দিতেছিল না, এইবার সত্যই বুড়া হইতে চলিল। নিশি ويحصcجة " সক্স্যাসযোগ )ఫిలి গাজুলীর চোখেই ব্যাপারটা সৰ্ব্বাগ্রে ধরা পড়িল। সেদিন হাটের পথে পাইয়া বলিলেন, ‘বয়সটা ষে শেষে দৌড়তে সুরু করল ভায়া 1’ হরনাথ উত্তর দিল, “বয়সের আর দোষ কি দাদা, এত দিন ধমূকে-খামুকে চেপে রেখেছি বইত নয় ? গাজুলী দ্বাতে হাসি চাপিয়া চলিয়া গেলেন। cगनिन बांय्ब श्वनाथ बांय्कब डिडबू रहेड निप्लब কীটদষ্ট কোষ্ঠীখানা ৰাহির করিয়া খুলিয়া দেখিতে বসিল । জীবনে এই তাহার নজর পড়িল, বয়স সত্যই কম হয় নাই । পঞ্চান্ন ছাড়াইয়া ছাপ্পান্ন চলিতেছে, চুলে পাক ধরিয়াছে, গায়ের চামড়া চিলা হইতে স্বর করিয়াছে। সেদিন রাত্রি যখন গভীর হক্টর আসিল হরনাথ কোষ্ঠীখানা তুলিয়া রাখিল বটে, কিন্তু মনে ঘে-দাগ ধরিয়া গেল তাহা আর কিছুতেই তুলিয়া ফেলিতে পারিল না । পরদিন সকালবেল বিভূতিকে জিজ্ঞাসা করিল, “পড়ছিস ভাল ক’রে ? ? বিভূতি অবত যথাশক্তি ভাল করিয়াই পড়িতেছিল, কাজেই 'ইণ' বলিয়া মিথ্যা কথা বলিল না । হরনাথ বলিল, “যদি পাস করতে পারিস ত পড়, নইলে যা আছে বুঝে-গুনে এইবেলা কাজকৰ্ম্ম দেখে নে । মিছামিছি সময় নষ্ট ন ক’রে ষা হয় হিসেৰ ক'রে কর । আমার আর ক-দিন, বয়স ত আর কম হ’ল না x হরনাথের বয়সের সঠিক খবর বিভূতি রাখিত না, কিন্তু বুড়া হইতেছিল তাহ তাহার লক্ষ্য এড়ায় নাই । বাপের কথার উত্তরে কিছুই বলিল না, শুধু মাখা নাড়িয়া চলিয়া গেল । বলা বাহুল্য, বিভূতি সে বছরও ফেল করিল। যেদিন খবর বাহির হইল, সেদিন রাত্রে বিন্দুমতী বিছানায় গুইয়া গুধাইয়াছিল, “ফেল করলে কেন ?? বিভূতি উত্তর দিয়াছিল, “পাস করতে পারলুম না ব'লে।’ ইহার পর বিন্দু জিজ্ঞাসা করিবার আর কিছুই খুজিয়৷ পাইল না । ডাকিয়া হরনাথ হরনাথ বলিল, “ফেল করলি ত? বিভূতি নীরব।