পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

موج مسط۶) যে উনিশ জনের কথা বহিটিতে লিখিত হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে এক জনেরও সমান যোগ্য বা দেশসেবানিরত ব্যক্তি বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেন নাই, পুস্তকটির প্রকাশক ও লেখকেরা এরূপ মনে করেন কিনা, জানি না । ধোগ্যতা ও দেশসেবার উল্লেখ এই কারণে করিতেছি, ষে, বহিখানির একটি হিনী বিজ্ঞাপনে লিখিত আছে, “সব নামগুলি এইরূপ ব্যক্তিদের র্যাহার। আপনাদের যোগ্যতা, দেশসেবা প্রভৃতি দ্বারা আপনাদের দেশবাসীদিগের হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত হইয়াছেন।” বাঙালীদের বিশেষ কোন দোষ বা দোষাবলীর জন্তই তাহাঁদের কেহই যদি তাহীদের হিন্দী-ভাষী দেশবাসীদিগের হৃদয়ে স্থান না পাইয়া থাকেন, তাহ হইলে বাঙালীদিগকে তাহা সংশোধন করিতে হুইবে । “চণ্ডীদাস-চরিত” বাকুড়া জেলায় “চণ্ডীদাস-চরিত” নামক একখানি পুরাতন পুথির অনেকগুলি পাতা আবিষ্কৃত হওয়ায় তৎসম্বন্ধে অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয় আষাঢ়ের প্রবাসীতে একটি প্রবন্ধ লিথিয়াছেন । বাংলা সাহিত্যে চণ্ডীদাসের যেরূপ স্থান, ঐরূপস্থানীয় অন্ত কোন দেশের কোন কবির সম্বন্ধে "চণ্ডীদাস-চরিতের" মত নুতন কোন পুস্তক বা তথ্য আবিষ্কৃত হইলে সেই দেশে তাহার যতটা আলোচনা হইত, বঙ্গে "চণ্ডীদাস-চরিত” সম্বন্ধে বা তদ্বিষয়ক প্রধগ্ধ সম্বন্ধে তত আলোচনার আfশা করা যায় না | কেন করা যায় না, তাহীর আলোচনা করিব না । সুখের বিষয় এই যে, রবীন্দ্রনাথ ইহা পড়িয়া আনন্দিত হইয়াছেন । অধ্যাপক যোগেশচন্দ্র রায় আমাদিগকে লিথিয়াছেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রশংসা ও অভিমত দ্বারা ‘চণ্ডীদাসচরিত’ ধন্ত হইল। যাহারা পড়িয়াছেন, তাহারাই বিস্মিত হইয়াছেন । কৃষ্ণ সেন রাজা রামমোহন রায়ের সময়ে ছিলেন। কোথায় দূর ছাতনায় বসিয়া নব্য ভাব পাইলেন, এটা অারও আশ্চর্য্যের কথা । এক ঐতিহাসিক আমাকে লিখিয়াছেন পুথীখানা ২৫/৩০ বৎসরের মধ্যে লেখা। কারণ, ‘অন্তরতম কথা রবীন্দ্রনাথের পূৰ্ব্বে ছিল না।” পুথিখানি আমরা স্বয়ং দেখিয়াছি। ঐতিহাসিক ও প্রবাসী ১৩৪২ তদ্বিধ অন্ত বিশেষজ্ঞের যে-সব আভ্যন্তরীণ প্রমাণের উপর নির্ভর করিয়া পুস্তকের কাল নির্ণর করেন, তা ছাড়া অমুদ্রিত পুথির জরাজীর্ণতা প্রভৃতিও বিবেচনা করেন । আমরা এই পুথিটির চেহারা যেরূপ দেখিয়াছি, তাহাতে তাহ ২৫/৩০ বৎসর পূৰ্ব্বে লেখা মনে হয় নাই । তার চেয়ে পুরাতন মনে হইয়াছে । যোগেশ বাবুর চিঠিতে যে ঐতিহাসিকের উল্লেখ আছে, র্তাহার মতে পুথিটি ২৫/৩০ বৎসরের মধ্যে লেখা এই কারণে, যে, উহাতে "অন্তরতম কথাটির প্রয়োগ আছে, এবং তাহার মতে রবীন্দ্রনাথের পূৰ্ব্বে তাহার অস্তিত্ব ছিল না । মুদ্রিত সব বাংলা বহি এবং আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত সব অমুদ্রিত বাংলা বহি আমরা পড়ি নাই ; মৃতরাং "অন্তরতম কথাটির প্রয়োগ রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য-আকাশে উদয়ের পূৰ্ব্বে বাংলা বহির কোন লেখক করিয়াছিলেন কি না বলিতে পারি না । কিন্তু রবীন্দ্রনাথের অন্ততম অগ্রজ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি গানে আছে, “অন্তরতর অস্তরতম তিনি বে, ভুল’ না রে তায় ; থাকিলে তাহার সঙ্গে পাপ তাপ দূরে যায়। হৃদয়ের প্রিয়ধন তার সমান কে ?” জ্যোতিরিন্দ্রনাথ কনিষ্ঠের নিকট হইতে এই কথাটি ধার করিয়াছিলেন কিনা বলা কঠিন ! কিন্তু প্রাচীন সংস্কৃত লেখকেরাও ইহা রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে ঋণ করিয়াছিলেন, এরূপ অনুমান করিতে অনৈতিহাসিক আমরা অসমর্থ । ‘অন্তর’ ‘অস্তুরতর’ ও ‘অন্তরতম’ শব্দগুলির প্রয়োগ প্রাচীন সংস্কৃত পাওয়া যায় ( আপ্টের সংস্কৃত-ইংরেজী অভিধান দেখুন )। এই সংস্কৃত কথাগুলি ব্যবহার করিবার অধিকার আধুনিক কোন বাঙালী লেখকের যেমন আছে, অপ্রসিদ্ধ কৃষ্ণ সেনেরও সেইরূপ ছিল । ‘নব্য ভাব কৃষ্ণ সেনের পুথিটিতে কিছু আছে বটে ; কিন্তু পণ্ডিত ক্ষিতিমোহন সেন তাহার নানা ব্যাখ্যান ও প্রবন্ধে মধ্যযুগের সাধকদের বাণীসমূহের মধ্যে নব্য ভাবের अरिडद्ध cमथांश्लेब्रॉcछ्न । डांशॉब्र वॉब्रां «थमां* श्द्र नां, cरु, এই সাধকের কালে আধুনিক । বস্ততঃ আমরা যাহ-কিছু আধুনিক মনে করি, তাঁহাই আধুনিক নহে। নূতন বৈজ্ঞানিকআবিষ্কারমূলক নবরচিত পারিভাষিক