পাতা:প্রবাসী (পঞ্চত্রিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳoՆ প্রবাসী SNes'R পাতিষ্টাস ( উড এনগ্রেভিং ) প্রারমেন্দ্রনাথ চক্ৰবৰ্ত্তী কুঙ্কটিক রচনা করিয়া নিজের অজ্ঞতাকে ঢাকিয়া রাখার চেষ্টা করেন । চিত্র-সমালোচনা চিত্রের বাজারে মুল্য আছে। ছবি আঁকা হইলে তাহাকে বাজারে চালাইতে হয়, সেজন্য চিত্র-সমালোচকের সাহায্য লওয় হয়। সৌন্দৰ্য্যনীতির সম্যক্ পরিচয় তাহাতে পাওয়া যায় না। আধুনিক শিল্পের তুলনামূলক সমালোচনা বিশদভাবে হইয়াছে বলিয়া মনে হয় না। আধুনিক শিল্পীদের সম্বন্ধে যাহা আলোচনা হইয়া থাকে, তাহা মনে হয় পৃষ্ঠপোষকতামাত্র । বিভিন্ন শিল্পীর দোষগুণ বিচার করিয়া কোনো সমালোচক দেখান নাই । এরূপ সমালোচনায় আঘাত আছে, কারণ মিথ্য জিনিষ ধরা পড়িবে। শিল্পীদের এরূপ আঘাত সহ করিবার শক্তি থাকা দরকার। আধুনিক বাংলা-সাহিত্যের সমালোচনা আছে । প্রাচীন ভারতীয় শিল্পের সমালোচনা পাইতে পারি ; কিন্তু আধুনিক চিত্রের তুলনামূলক পক্ষপাতহীন সমালোচনা হয় নাই বলিলেই হয়; যাহা হইয়াছে, তাহাকে খুব উচ্চ স্থান দেওয়া যায় না। ’ - রোজার ফ্রাই বা ক্লাইভ বেলের যে চিত্র-সমালোচনা পড়িয়াছি, তাহা মনে হয় সাহিত্যের দিক হইতেও উপভোগ্য বস্তু। রোজার ফ্রাই ব্রিটিশ চিত্রশিল্পীদের সম্বন্ধে সম্প্রতি যে নূতন বই লিখিয়াছেন, তাহাতে ইংলণ্ডের চিত্রকলার সম্যক পরিচয় পাওয়া যায়। সৌন্দৰ্যনীতি বিশ্লেষণ করিয়া ইলেণ্ডের চিত্রকলা ইউরোপের চিত্রকলার সঙ্গে তুলনা করিয়া বুঝাইয় দিয়াছেন। তিনি ইংরেজ হইলেও স্বদেশের চিত্রকলার মিথ্য স্তুতি করেন নাই।

  • Fafāt Goto of oz. History of Art bif ভলুমে সমাপ্ত করিয়াছেন। পড়িতে পড়িতে মুগ্ধ হইতে হয়, তাহার লেখার পদ্ধতির জন্য-বইয়ে এত সাহিত্য-রস রহিয়াছে। লেখক প্রাগৈতিকহাসিক যুগের গুহাবাসীদের চিত্র হইতে আরম্ভ করিয়৷ সমগ্র পৃথিবীর চিত্র, ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্যের আলোচনা করিয়াছেন । ইহাতে জীবিত শিল্পীদের আলোচনাও স্থান পাইয়াছে । এখানে বলা বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক হইবে না, যে, এই পুস্তকে বাংলার নয়। পদ্ধতির কথা এবং আধুনিক শিল্পীদের মধ্যে কেবল অবনীন্দ্রনাথ ও নন্দলালের নাম উল্লিখিত হইয়াছে ।

ইউরোপের আধুনিক চিত্রকলা পৃথিবীর কোনো দেশের শিল্পী আধুনিক কালে নিজের ঘরে দরজা বন্ধ করিয়া থাকিতে পারে না । চলা-ফেরার সুবিধা এবং ছাপাখানার দৌলতে এক দেশের চিন্তাধারা ও কৰ্ম্মপ্রণালী অন্য দেশে আর অজ্ঞাত থাকিতেছে না। প্রাচ্য দেশের শিল্প একদিন পাশ্চাত্যে অজ্ঞাত ও অবজ্ঞাত ছিল । কেবল কয়েক জন মুষ্টিমেয় ওরিয়েন্টালিষ্ট পণ্ডিত অন্তকম্পাভরে এশিয়ার শিল্পের আলোচনা করিতেন। আজকাল অনেক স্থানে এশিয়ার শিল্প ইউরোপে স্থান পাইয়াছে এবং ইউরোপের শিল্পীরা এশিয়ার শিল্পদ্বার অনুপ্রাণিত হইয়াছে। চীনজাপানের চিত্রকলা, ভারতের চিত্রকলা, ভাস্কৰ্য্য ও স্থাপত্য এখন ইউরোপে অবজ্ঞাত নয়। গত শতাব্দীর শেষার্বে ইউরোপের চিত্রজগতে যে বিদ্রোহ হয় তাহার স্বত্রপাত হয় ফ্রান্সে। এই নূতন শিল্পীদের বলা হয় ইম্প্রেসনিষ্ট, ইহার পর পর আসিল পোষ্ট-ইম্প্রেসনিষ্ট, কিউবিষ্ট, এক্সপ্লেসনিষ্ট, ফিউচারিষ্ট ইত্যাদি। র্তাহারা যে সকলেই শিল্পজগতে কিছু দান করিতে সমর্থ হইয়াছেন, তাহা নহে—তাহাদের অনেকেরই ছিল ভাঙনের নেশা ; কিন্তু এই ভাঙনের ভিতরেই শিল্পে এক নূতন দৃষ্টি খুলিয়াছে। রিনেসাসের পর হইতে ইউরোপ চলিয়াছিল রিয়্যালিজম বা বস্তুতান্ত্রিকতার দিকে—উনবিংশ শতাব্দীতে ক্যামের আবিষ্কৃত হইলে তাহারা দেখিল- প্রকৃতিকে নকল করার চেষ্টা তাহদের ব্যর্থ। ক্যামের অতি সহজেই সে কাজ