পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯০ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড SMSMSMSMSMMMMMSMMSMMSMMSMSMSMSJJJS SMSMS SMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSAS SSASAS SS আছেন, যাহাদিগকে তাহাদের কাজ সম্বন্ধে চিঠি লিথিয়া সমালোচকদিগের কাব্যসমালোচনা অধ্যয়ন করিয়া কাব্য | প্রয়োজনীয় সংবাদ ও অন্যবিধ উপকরণ পাওয়া যায় না, • বা যাহারা যথাসময়ে বার্ষিক রিপোট ছাপেন না বা র্যাহারা ছাপিয়াও সম্পাদকদিগকে প্রেরণ করেন না, কিংবা যাহারা চাদ দিতে অভ্যস্ত ও ইচ্ছুক এরূপ লোকদের নিকট হইতেও নিয়মিতরূপে চাদ আদায় করেন না। অার একরকমের লোক আছেন যাহার কেবল ২৪ জন ধনী লোকের অনুগ্রহলব্ধ ১০২০ হাজার বা ২১ লাখ টাকার প্রত্যাশায় থাকেন, সৰ্ব্বসাধারণের নিকট হইতে অল্প অল্প সাহায্য পাইবার বন্দোবস্ত করেন না। সংকাজটিকে লোকের কাছে উপস্থিত করিবার লোক থাকিলে এবং কাজটি ভাল করিয়া করিবার লোক থাকিলে আমাদের দেশেও, আপাততঃ যাহা দুঃসাধ্য মনে হয়, তাহা স্বসাধ্য হইতে পারে। সমালোচনা । সমালোচকের যে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা দরকার, এটা বলিলে অনেকেই স্বতঃসিদ্ধ বলিয়৷ স্বীকার করিবেন। সমালোচনার সময় কিন্তু আমরা অনেকে এরূপ স্ববুদ্ধির পরিচয় দি না । যে বহি বা প্রবন্ধের সমালোচনা হইতেছে, তাহার সমালোচক যদি লেখক অপেক্ষা বেশী বিদ্বান ও যোগ্য লোক হন, তাহা হইলে ত সমালোচনা বেশ ভালই হইতে পারে। কিন্তু সমালোচ্য বিষয়ের যথেষ্ট জ্ঞান যদি সমালোচকের থাকে, তাহা হইলেও কাজ চলিতে পারে। আরও কোন কোন স্থলে সমালোচনা মন্দ হয় না। মনে করুন একজন লেখক স্পেনদেশের একখানি ইতিহাস লিথিয়াছেন। সমালোচক স্পেনের ইতিহাস লেখেন নাই, কিন্তু তিনি অন্যের লেখা স্পেনের ইতিহাস পড়িয়াছেন এবং অন্য একদেশের ভাল ইতিহাস লিথিয়াছেন ; এক্ষেত্রে তাহার সমালোচক হইবার যোগ্যতা আছে বলিতে হইবে। কিম্ব যদি তিনি নিজে কোন ইতিহাস না লিথিয় থাকেন, কিন্তু তিনি যদি উংকৃষ্ট ইতিহাস পড়িয়া থাকেন, এবং ইতিহাস রচনার প্রণালী অবগত থাকেন, তাহা হইলেও তাহার দ্বারা সমালোচনা হইতে পারে। যিনি নিজে কবি নহেন, তিনি নানা কাব্যের রস আস্বাদন করিয়া এবং শ্রেষ্ঠ সমালোচনার যোগ্যতা লাভ করিতে পারেন। -- এক রকমের সমালোচনা আছে, তাহার নাম মুরুব্বি- - য়ানা। সমালোচক গ্রন্থকারের পিট চাপড়াইয়া বলিলেন বেশ লিখেছ হে, বেশ লিখেছ। ইগতে বিজ্ঞাপন দিবার সুবিধা হইতে পারে। কিন্তু ইহাকে সমালোচনা বলা চলে না। আর এক রকমের সমালোচনা আছে, যাহাকে পশুিতি বলা চলে। এইরূপ সমালোচনায় সমালোচক গ্রন্থকারের বানান, ব্যাকরণ, ছন্দ, অলঙ্কার, প্রচলিত । পুস্তকলিখিত নিয়ম অনুযায়ী কিনা, প্রধানত: তাহাই - ! দেখেন, এবং উহার সঙ্গে মিল না থাকিলে গ্রন্থকাৰে । 蠶 o 3ཐོ་ পাস না করিয়া ফেল করেন। বানান-স্কুল, ব্যাকরণের - ৰূপ উচ্চ যে তিনি মহাশয় ও অনেক গ্রন্থকার তাহার নিয়মভঙ্গ, ছন্দ ও অলঙ্কার শাস্ত্রের নিয়মভঙ্গ, এইগুলি ৷ র পোড়ো, এবং তিনি পোড়োদের পিঠে বেত থাকিলেই কোন গ্রন্থ শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হয়, এমন কথা ইয়া দিতেছেন, এরূপ কল্পনা করা যাইতে পারে। কিন্তু কে বলিবে ? কিন্তু অন্যদিকে বিবেচনা করিবার R - মুৱা আৰু ৰুই বঙ্কিম নই। স্বতরাং আমরা কলম ধরিলে লোকে হঠাৎ ভাবিতে পারে যে কিছু আছে। বিদেশের দৃষ্টান্ত লইলে ধীরভাবে বিচা । আমাদের রাখালী বা গাড়োয়ানী করাই পেশা, হঠাৎ রের সুবিধা হয়। ইংরেজের লেখা ইংরেজী ব্যাকরণে বসিয়াছি। - - আমরা অনেক দুষ্ট প্রয়োগ এবং অনেক ব্যাকরণের ভুলের । লোচনার সকলের চেয়ে সোজা পথ, বিজ্ঞভাবে দৃষ্টান্ত দেখিতে পাই। যে বাক্যগুলি দৃষ্টান্তস্বরূপ উদ্ধৃত । "লেখক কি যে লিথিয়াছেন, আমরা তাহা বুঝিতে হয়, তাহার মধ্যে অনেকগুলি প্রসিদ্ধ বড় বড় ইংরেজ গ্রন্থ - রিলাম না।" বুঝিতে না পারা দুই কারণে ঘটে। হয় কারের লেখা হইতে সংগৃহীত। কিন্তু ইংসেজ বৈয়াকরণের । লেখা অমুসারে হইবে। - কোন কোন সমালোচক কলম চালাইতে চালাইতে চাবুক চালাইবেন বলিয়া ভয় দেখান। শুনা যায়, বঙ্কিমবাৰু কখন কখন সমালোচনা করিতে গিয়া কোন কোন গ্রন্থকার o এইরূপ লিখিতেন যে তাহদের পৃষ্ঠদেশ স্তাহার ঘাতের উপযুক্ত নয়। কি অবস্থায় কিরূপ গ্রন্থ সম্বন্ধে তনি এরূপ লিপিয়াছেন, তাহার বিচার না করিয়া এরূপ অসম্বন্ধ, বা অর্থহীন, বা দুৰ্ব্বোধ্য, বা প্ৰলাপবং iয়াছেন, নয় সমালোচকের বুঝিবার শক্তি নাই। নিজের শক্তির অভাব কয়জন স্বীকার করে ? স্বতরাং যে লেখকের তাহাই স্বতঃসিদ্ধ বলিয়া সমালোচক লেখক বলিয়া পরিগণিত হইয়া আসিতেছেন ; এমন কি । - 枪 তাহাদের লিখন-প্রণালী অনুসারে ইংরেজী ব্যাকর রিয়া লন। গদ্য বা পদ্য যে রচনাটি বুঝিতে হইবে, বৰ্ত্তন ঘটিয়াছে। বাঙ্গল দেশেও শ্রেষ্ঠ লেখক জন্মিয়াছেন। . রণ আমাদের জানা থাকিতে পারে, অথচ তাহারা যদি বানান, ব্যাকরণ, ছন্দ, অলঙ্কার আদিতে প্রচ । দর হৃদয়ঙ্গম না হইতে পারে। বাংলা লেখলিত নিয়মের অনুসরণ না করেন, এমন কি যদি সত্য সত্যই ল ঝগড়া হইবে। ইংরেজীর কথাই বলি । ছু চারটা ভূলও করেন, তাহ হইলেও শিক্ষক মহাশয়ের . དྷི་སྭཱ་ཧཱ།:ཝཱ་༽: །:་lo, “ಿ ছাত্রদের রচনা যেমন করিয়া কাটেন, কোন সমালোচক রকেই বুঝাইয়া দিলে §§ ও রসাম্বাদন করিতে অবিবেচনার কাজ হয়, এবং অত্যন্ত অশোভন হয়। বাঙ্গল ভাষা ও সাহিত্যের গতি বিদ্যালয়পাঠ্য ব্যাকরণের লেখকদের দ্বারাও নিয়মিত হইবে না, এইসব সমালোচকদের - দ্বারাও নিয়মিত হইবে না ; নিয়মিত হইবে শ্রেষ্ঠ লেখকদের । সমালোচনা টীকা ভাষ্য পড়িয়া ভাল ভাল ইংরেজী বুঝিতে হয়। দার্শনিক ও কবি যে চিন্তার, রসের, বের আদর্শের কথা বলিতেছেন, আমাদের তাহা উপ আস্বাদন, অতুভব করিবার শক্তি থাকিলে তবে তাহাদেৱ - R কথা বুঝিতে পারি। যে ষে-স্তরের মানুষ এমন মনে করাও উচিত নয় । । কোন গ্রন্থে বা রচনায় কি বলা হইয়া করি বল। ইয়াছে তাছাই প্রধান্ত বিচাৰ্য। ও বাহিরের জগংটা পুরাতনও বটে, নৃতনও বটে। নূতন কিছু দেখিয়াছেন, শুনিয়াছেন, আহুভব করি কি না, অথবা পুরাতন যাহা তাহ স্বয়ং নূতন অনুভব করিয়া নিজস্ব নূতন প্রকারে ব্যক্ত করিয়াছেন কি না, তাহারই আলোচনা কর আগে দরকার। - “প্রবন্ধ-গৌরব” - - ল্যাগুরের "কাল্পনিক কথোপকথ Conversations) artifa gii: - কথোপকথনে ভাইয়োজনীসু প্লেটোকে বিন্দ্র ब्रिग्रा তেছেন, “ঘোলা জল অগভীর ও গভার স্বচ্ছ জল গভীর হইলেও অগভীর মনে হ বাগাড়ম্বর করিয়া লোকের এমন তাহারা ভাবে যেন र চিন্তা অতি গভীর। তোমার বক্তব্য বলিতে পার না কেন?” -- - প্লেটোর রচনা সম্বন্ধে এই বিদ্রুপ সমূ তাহার বিচার না করিয়া সাধারণ ভাবে পারে যে অনেক পাঠক ও সম৷ “পাণ্ডিত্যপূর্ণ বলেন, যাহাতে শন্ধ থাকে, বহু সংস্কৃত:বচন উদ্ধৃত থাকে, নানা দেশের পণ্ডিত ও লেখকদের নাম থাকে এবং ইংরেজী নাম শব্দ ও বাক্য ইংরেজী অক্ষরে লিখিত থাকে