পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯২ SAMAASSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS - গ্রাম্য ছেলে একদিন কথাপ্রসঙ্গে খুব সম্মানের সহিত বাবুটির উল্লেখ না করায়, বালিকা বলিল, “জনিস মেসোমশায় এম এ পাশ, কলেজে প্রিন্সিপ্যালের কাজ করেন? তাকে এমন বল চি " তাহাতে বালকটি বলিল, “আমি মনে করে’লাম ইন্টিন্সে ( Entrance ) পাস।"- বালিকা বলিল, “তুই কেন ইন্টিন্সে পাস মনে কলি।" তখন ছেলেটি বলিল, “কই বুড়ো বাবু যে এম এ পাশ, ত একটাও যে ইংরিজী কয় না।" আমাদের দেশে বোধ হয় এই ছেলেটির মত সরল অনেক প্রাপ্তবয়স্ক লোক আছেন। ইংরেজীর খুব বুক্‌নি না দিলে তাদের কাছে লেখকদের "ইণ্টিন্সে পাস বলিয়া অধ্যাতি হইতে পারে। কিন্তু সেরূপ অখ্যাতির ভয় থাকিলেও বাংলা রচনা বাংলা অক্ষরে বাংলা শব্দের সাহায্যে লেখাই বাঞ্ছনীয়। অবশু, ইংরেজী বা সংস্কৃত কোন গ্ৰন্থ বা গ্রন্থকার, কিম্বা ইংরেজী বা সংস্কৃতে লিখিত কোন জিনিষ যদি প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় হয়, তাহ হইলে ইংরেজী বা সংস্কৃত বাক্য কিছু উদ্ধত করা আবখ্যক হইতে পারে। কিন্তু পাণ্ডিত্য প্রকাশের জন্য কতকগুলা ইংরেজী বা সংস্কৃত বচন উদ্ধার বাঞ্ছনীয় নয়। হান্ধ, গম্ভীর, সোজ, কঠিন, নামারকমের ইংরেজী সাময়িক পত্র শিক্ষিত বাঙ্গালীর চোখে পড়ে। তাহাতে প্রবন্ধসকলে লাটিন, গ্রীক, হীক্ৰর ছড়াছড়ি থাকে কি ? নিজের কিছু বলিবার থাকিলে তাহ মাতৃভাষাতেই বলা খুব কঠিন নয়। নারী-শিল্পশিক্ষালয় । বঙ্গদেশে অনেক ভদ্রপরিবারে অত্যন্ত আর্থিক কষ্ট উপস্থিত হইয়াছে। মধ্যবিত্ত গৃহস্থদিগের অনেকে কঠিন পরিশ্রম করিয়াও গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ করিতে পারেন ন, মৃত্যুকালে পত্নী ও সস্তানদিগকে অকুলে ভাসাইয়া চলিয়৷ যান। এই সঙ্কট কালে নারীদিগকে অর্থকরী বিদ্যা শিক্ষা দিবার ব্যবস্থা করিতে না পারিলে গৃহস্থের জীবন আরও শোচনীয় হইবে । নারীগণ যাহাতে স্বোপার্জিত অর্থে স্বামীর ক্লেশভার লঘু করিতে পারেন এবং স্বামীর দেহান্তে পরের গলগ্রহ না হইয়। সসন্মানে জীবনযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে পারেন, তাহার উপায় করিবার জন্য কলিকাতা নগরীতে নারী-শিল্প শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। বঙ্গদেশের অনেক ভদ্রসস্তান,জাপান,জাৰ্ম্মেনী ও আমেরিকা হইতে নানাপ্রকার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্রব্য নিৰ্ম্মাণের প্রণালী শিক্ষা করিয়৷ স্বদেশে প্রত্যাগমন করিয়াছেন। তাহারা আমাদের দেশের অসহায়া নারীদের অবস্থা দর্শনে সস্তপ্ত হইয় তাহদিগকে বিবিধ দ্রব্য প্রস্তুতের প্রণালী শিক্ষণ দিতে আরম্ভ করিয়াছেন। জাপান-প্রত্যাগত শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্রনাথ মজুমদার ও তাহার কৰ্ম্মোংসাহিনী সহধৰ্ম্মিণী শ্ৰীমতী মনোরম মজুমদার এই শিক্ষালয়ে অবস্থিতি করিয়া বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে আপনাদের শক্তি সামর্থ নিয়োগ করিতেছেন। - শিল্প-শিক্ষালয়ে নিম্নলিখিত বিষয়সকল শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা হইবে :– মাটির পুতুল ও ফল নিৰ্ম্মাণ, দজির কাজ, চিরুণী ও বোতাম নিৰ্ম্মাণ, থাম ও কাগজের বাক্স নিৰ্ম্মাণ, টাইপরাইটিং, কৃত্রিম ফুল, মোজা, মোমবাতি, ধোবার সাৰান ও সুগন্ধি দ্রব্য প্রস্তুত করণ, ফল সংরক্ষণ, চাটনী ও জেলি, এবং নিব, ও চুলের কাটা প্রস্তুত করণ, কলে কাপড় ধোন্ত করা, কাপড় রং করা, আলোয়ান হইতে শাল প্রস্তুত কর। জরীর কাজ, চিকনের কাজ, ঘড়ী মেরামত শিক্ষা, সাইনবোর্ড লেখা, পুস্তক বাধাই, জমাট দুগ্ধ প্রস্তুত করা, ক্ষমাল, ও তোয়ালে বুনা, ফোটোগ্রাফী। আপাতত: পরিচ্ছদ প্রস্তুত করা, মাটির ফল ও পুতুল এবং কৃত্রিম ফুল নিৰ্ম্মাণ শিক্ষা দেওয়া হইতেছে। এই বিদ্যালয়ের কার্য্য সুচারুরূপে নিৰ্ব্বাহ করিতে হইলে যাহারা বাট হইতে শিক্ষালয়ে আসিবেন, তাহদের জন্য গাড়ীর ব্যবস্থা, এবং যাহারা বিদেশ হইতে আসিবেন, শিক্ষালয়ে তাহীদের বাসের ব্যবস্থা করিতে হইবে । শিক্ষ+ লয়ের ভাড়ার জন্য মাসিক ১৫০ টাকা, ৩০টি স্ত্রীলোককে বাট হইতে আনিতে ২ পানি গাড়ীর ভাড়া মাসিক ১৬• টাকা এবং ২০ জন মফঃস্বলের স্ত্রীলোকের ভরণ পোষণের জন্য মাসিক ৩০০ টাকা ব্যয় হইবে। কয়েকজন বিদেশাগত শিক্ষক বিনাবেতনে শিক্ষাদান করিবেন, কিন্তু কয়েকজন বেতনভোগী শিক্ষক নিযুক্ত করাও আবখ্যক হইবে ; তজ্জন্য মাসিক ১৫০, এবং দ্বারবান ও চাপরাশির জন্য মাসিক ২০টাকা ব্যয় হইবে । শিল্প দ্রব্য নিৰ্ম্মাণের উপকরণ ক্রয় করিতেও প্রতি মাসে অনুন । টাকা আবখ্যক । এতদ্ব্যতীত যন্ত্রাদি ক্রয়ের জন্য ১• • •, ও বাসন, শয্যাদ্রব্য ও স্কুলের আসবাবের জন্য ১ • • • টাকা, মোট ২ • • • টাকা একদা সংগ্রহ করা আবশ্যক। নারী-শিল্প-শিক্ষালয়ের কৰ্ম্মপরিচালনের জন্য সভাপতি শ্ৰীযুক্ত স্বরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, সহকারী সভাপতি ঐযুক্ত ভূপেন্দ্রনাথ বস্থ, সম্পাদক শ্ৰীযুক্ত কৃষ্ণকুমার মিত্র, প্রভৃতিকে লইয়া কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহক সভা গঠিত হইয়াছে। সৰ্ব্বপ্রকারের সাহায্য সম্পাদক মহাশয়ের নামে ৬নং কলেজ স্কোয়ার, কলিকাতা, ঠিকানায় পাঠাইতে হইবে। বিহারী ও বিহারপ্রবাসী বাঙ্গালী । বিহারে কোন একটি সহরে প্রবাসী বাঙ্গালীদের নববর্ধসন্মিলন উপলক্ষে একটি কবিতা পঠিত হয়। প্রথম কলির শেষে লেখক বলিতেছেন :– [ ১৫শ ভাগ ১ম খণ্ড । ২য় সংখ্যা ] “স্বদেশে অপব পরবাসে তব রাখিতে উচ্চ শির, একত-বাধন, বঙ্গনিবার্সি! উপায় জানিও স্থির ।” ইহা অতি সত্য কথা। ইহার সঙ্গে সঙ্গে এ কথাও স্মরণ রাখিতে হইবে যে বাঙ্গালীদের মধ্যে যেমন একতার প্রয়োজন, তেমনি সমুদয় ভারতবাসীর মধ্যেও একতার প্রয়োজন। নতুবা বাঙ্গালীও শির উচ্চ রাখিতে পরিবে না, বিহারী, হিন্দুস্থানী, পঞ্জাবী, কেহই শির উচ্চ রাখিতে পারবে না ; এটা খুব একটা মামুলি, পুরাতন কথা ; কিন্তু মনে রাখিবার যোগ্য। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে চিন্তাশীল স্বদেশপ্রেমিক বিহার-প্রবাসী বাঙ্গালীরা ইহা জানেন এবং তাঁহাদের দৈনিক আচরণে ইহা বিশ্বত হন না। তাহা হইলেও, সম্ভবতঃ অনেকে এই কবিতাটির লেখকের নিম্নলিখিত কথাগুলিতে ব্যক্ত ভাব হৃদয়ে পোষণ করেন बलिग्न ८दां५ श्ध्न : বেণ হৃদয়ে গরল, মুখের মিলন, ८झन ८षाब्र। ठ५ यां ? যেথা হিংসা কেবল প্রেম প্রতিদান, নিজেরে করিতে শুধু অপমান, আপনার জনে ফেলি’ অবহেলে, সেথা কি মোদের ঠাই ? বিবিধ প্রসঙ্গ—বিহারী ও

  • - যারে করেছে মানুষ তোমার শিক্ষ,

আজ কিনা চাও করিতে ভিক্ষ, ছি ছি ভাই ! তার কৃপার বিন্দু তোমার সকল কাযে । বাঙ্গালীরা বাঙ্গলার বাহিরে যে যে প্রদেশে বসবাস করিয়াছেন, তথায় অল্পাধিক পরিমাণে তথাকার প্রাচীনতর অধিবাসীদের সঙ্গে তাহদের প্রতিযোগিতা আছে। তজ্জন্ত মনোমালিন্যও আছে। অসম্ভাবের জন্য কে কতটুকু দায়ী, তাহার বিচার করিয়া এই অসম্ভাব দূর করা যাইবে না। অপ্রেম দূর করিবার একমাত্র উপায় প্রেম। যদি প্রেমের প্রতিদানস্বরূপ কেহ বাস্তবিকই হিংসা করে, সে অবস্থা তেও প্রেমই একমাত্র অবলম্বনীয় উপায়। প্রেমিকের প্রেমের জয় হইবেই হইবে । প্রেমিক যিনি তিনি এরূপ অবস্থাতেও কখন অপমানিত বোধ করেন না। আর, এরূপ স্থলে, যিনি আপনাকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, তাহাকেই অগ্রসর ইয়া প্রথমে সগ্রেম ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার করিতে হইবে। বিহারী যদি আপনাকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, তিনি অগ্রসর ইয়া অকপটে বাঙ্গালীকে আলিঙ্গন করুন। বাঙ্গালী দি আপনাকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন, তিনি অগ্রসর হইয়া অকপটে । বিহারীকে আলিঙ্গন করুন। ইহাতে কাহারও অপমান I বিহারী মাত্রেরই "হৃদয়ে গরল মুখের মিলন” ইহা মনে *बिरग बफ़ cवभौ ठूल कद्रा श्झेद । विशत्रैौबीस नि বিহারপ্রবাসী বাঙ্গালী ঐরূপ ভাবেন যে বাঙ্গালীরা সকলেই কপটাচারী তাহা হইলে তাহারাও ভ্রান্ত । কেবল বাঙ্গালীই বাঙ্গালীর "আপনার জন” এবং বিহারীই বিহারীর “আপনার জন” • এরূপ মনে করা উচিত নয়, এবং ইহা সত্যও নয়। বাঙ্গালীও বাঙ্গালীর শক্ৰতা করে, বিহারীও বিহারীর শক্ৰতা করে। কিন্তু তা বলিয়া বাঙ্গালী মাত্রকেই বাঙ্গালী পর ভাবে না, বা বিহারী মাত্রকেই বিহারী পর ভাবে না। অতএব অনেকগুলি বিহারী ও বাঙ্গালীর মধ্যে অসদ্ভাব থাকিলেও সমৃদয় বাঙ্গালী ও বিহারী পরম্পরকে পর মনে করিবে কেন ? “যারে করেছে মানুষ তোমার শিক্ষা," ইত্যাদি কথাগুলিতে বড় বেশী অহঙ্কার এবং বিহারীদের প্রতি অবজ্ঞা প্রকাশ পাইতেছে। এরূপ অহঙ্কার ও অবজ্ঞা হৃদয়ে থাকা বড় দুলক্ষণ। এরূপ অহঙ্কারের কোন কারণ অাছে বলিয়াও মনে হয় না। আমরা বাঙ্গালীরা বিহারে ও অঙ্ক নানা প্রদেশে শিক্ষকতা করিয়া আসিতেছি, কিন্তু সৰ্ব্বত্রই আমরা বেতন পাইয়া আসিতেছি । বিহারে বাঙ্গালীর কোথাও কোথাও স্কুল স্থাপন করিয়াছেন । কিন্তু তাহাতে সাধারণতঃ আর্থিক লাভ হইয়াছে, অন্তত: লোক্সান হয় নাই। আর র্যাহারা লাভের জন্য বিদ্যালয় স্থাপন করেন না, লাভবান হন না, যাহার বেতন না লইয়া শিক্ষকতা করেন, তাহারা নিশ্চয়ই কাহাকেও শিক্ষা দিয়া মানুষ করিয়াছেন বলিয়া অহঙ্কার করেন না। যদি বিহারে এরূপ কেহ থাকেন, তিনি বিহারীদিগকে আত্মীয় ভাবিয়াই তাহাদের সেবা করিয়াছেন । কেহ আপনার কনিষ্ঠ ভ্রাতা বা অন্য আত্মীয়কে লেখাপড়া শিখাইয়া তাহার বড়াই করে না । ইংরেজেরা বহুবৎসর ধরিয়া আমাদের শিক্ষকতা করিয়া আসিতেছেন। কেহ কেহ সম্পূর্ণ নি:স্বার্থ ভাবেও শিক্ষা দিয়াছেন। কিন্তু তথাপি ইংরেজরা যদি আমাদিগকে অবজ্ঞা করেন, তাহা কি আমাদের ভাল লাগিবে ? বিহার নামটিতেই বিহার ও বিহারীদের গৌরব স্বচিত হইতেছে। বুদ্ধদেব ও অশোককে ভারতবাসী মাত্রেই আপনার জন বলিয়া গৌরব করেন। বিহারীদের এই গৌরবে যতটা দাবী আছে, অন্ত কোন প্রদেশের লোকদের ততটা নাই। মুসলমান রাজত্বকালে শের শাহের চেয়ে বীর ও রাজনীতিজ্ঞ কয়জন বাদশাহ জন্মিয়াছিলেন ? সেই শের শাহ বিহারী। বিহারেই তাহার সমাধিমন্দির রহিস্বাছে। আমরা অধুনা ইংরেজী লেখা পড়ায় একটু অগ্রসর হইয়াছি বটে। কিন্তু সুযোগ পাইলে বিহারীরাও অগ্রসর হইবে । আমি এলাহাবাদে বহু বংসর বিহারী, বাঙ্গালী, হিন্দুস্থানী, মরাঠা, প্রভৃতি,নানা-ভাষাভাষী ছাত্র পড়াইয়াছি। শারীরিক বা মানসিক শক্তিতে কোন প্রদেশের সমুদ্র YN