পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ২১৮ দেখিয়াছি এবং তাহারই উল্লেখ করিব। উড় পী হইতে গোধানে কয়েকমাইল পথ যাইয়। রাজপথ ত্যাগ করিয়া - পদব্রজে প্রায় ৪ মাইল পথের জঙ্গল উত্তীণ হইয়। চারি দিকের পর্বতমালার মধ্যস্থ উপত্যকায় আশ্রম-বাটিকায় যাইতে হয়। পথে কদাচিং মানব-সমাগম দেখা যায় ; বিজন প্রান্তর পর্বত-চু্যত ক্ষুদ্র বৃহৎ শিলাখণ্ডে পূর্ণ। চারিদিকে নিরিড় অরণ্যানী নির্জনতাকে অধিকতর গম্ভীর করিয়া দিতেছে। পৰ্ব্বতের উপর উঠিয়া নামিয় জাকিয়া বাকিয়া উপরের নীলিমার শোভা দেখিতে প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ MJSJJJMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSJM M MJ SSS JSSS SSS S S S S S S S Sヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ/、 [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড উপর প্রক্ষ টত পদ্ম, কুমুদ ও কহলার ধীর সমীরে ক্রীড়া করিতেছে। আশ্রমের দ্বার প্রান্তে হস্তিশালা ; এই সকল অতিকায় পশু স্বামীজি ও অতুচরবগকে মঠ হইতে উড় পাতে বহন করি লইয়া যায়। আহমবাটী সুন্দর সুচিকুণ ও মন্থণ শ্বেত ও কৃষ্ণ মৰ্ম্মর প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত স্বামীজি চেয়ারে বসিয়া আমার সহিত বহুক্ষণ বহুবিষয়ে আলাপ করিলেন । স্বামীজি সুন্দর-ওশোভন-বেশী, অমায়িক, উদার প্রকৃতির লোক এবং শুনিলাম বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান এবং যুগোপযোগী সমাজ ত্রিবাঙ্কুরের একটি খাল একটি স্বভূঙ্গের ভিতর দিয়া কাটিয়া লইয় যাওয়া হইয়াছে। দেখিতে এবং চতুদিকের বৃক্ষরাজির পত্র-পল্লবকম্পনের মর্শরোচ্ছ,সি শ্রবণ করিতে করিতে ৪৫ মাইল পথ অতিক্রম করিয়া আশ্রমস্বারে উপনীত হইলাম। সেই বটবিটপীছায়া-শীতল, পত্র-পল্লব-বেষ্টন-সুন্দর আশ্রমের কথা কি তার বর্ণনা করিব। সে যেন অনাহত বাণীর দেশ, শব্দ লজ্জায় ম্ৰিয়মাণ হইয়া যেন আশ্রম ত্যাগ করিয়া দূরে সুদূরে পলায়ন করিয়াছে। নানাবিধ -রসাল ফলের ভরে নত, সুরম্য বৃক্ষাবলী আশ্রমের বেষ্টনীরূপে তাহার শোভ বৰ্দ্ধন করিতেছে। বেষ্টনীর মধ্যে পুপ ও ফলের উদ্যান এবং মেখলা-সদৃশ স্ববৃহং পুষ্করিণী, তাহার স্বচ্ছ-শীতল জলের সংস্কারে প্রয়াসী। এই মঠের নাম আদিমার মঠ,স্বামীর নাম আদিমার স্বামী । ইনি স্বামী গণের মধ্যে সম্পদ ঐশ্বৰ্য্য ও পদগৌরবে 4 - è | উড় পী যাইবার একটিমাত্র পথ । মাঙ্গালোর হইতে "ট্রানসিট ক্যারেজ বা ডাকের ঘোড়ার গাড়ীতে প্রায় আট ঘণ্টায় যাওয়া যায়। এইসকল শকটের অশ্বগণ এক অদ্ভুত জীব। তাহারা জলচর, কদমচর বালুকাচর এবং পৰ্ব্বতচর, একাধারে সকলই । ইহার একই প্রকার বেগে ৫।৬ মাইল পথ অবাধে দৌড়াইতে সক্ষম । যাতায়াতের সময় শকটসকল যে কিপ্রকার মোহন দৃশ্বের মধ্য দিয়া গতায়াত করে তাহ বর্ণনার অতীত। উঠিয়া নামিয়া, অ কিয়া বাকিয়া, পৰ্ব্বতের শৃঙ্গসকল বেষ্টন করিয়া শ্যামল অরণ্যানী শোভা ভেদ করিয়া এক পাশ্বে উত্তঙ্গ পৰ্ব্বতশৃঙ্গ এবং অপর পাশ্বে জঙ্গলাকীর্ণ গভীর খাত রাখিয়া, কথন বা নদীর উপর দিয়া তরণীযোগে যাত্ৰীসমেত আপনাকে উত্থিত করিয়া, আবার ਾਂ | 、 へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘー ২য় সংখ্য। ] মালবারের ধীবরের তীরে বিধিয়। মাছ ধরিতেছে। কথন বা উচ্চচূড় পৰ্ব্বতশৃঙ্গে পথের ধূলি-সমুদ্র মন্থন করিয়া অতিদ্রুত দৌড়াইয়া যায়। এইভাবে ক্রমাগত ৫০/৬০ মাইল পথ অতিক্রম করিলে শরীর ও মনের যে অবস্থা হয়: তাহা ভূক্তভোগী ভিন্ন কেহ অনুভব করিতে সক্ষম হইবেন না। কিন্তু এই পথের প্রাকৃতিক শোভা দৰ্শন করিবার জন্য শতবার এই পথ দিয়া গতায়াত করিতে ইচ্ছা করে। নদী পৰ্ব্বত ও সমুদ্রের সহিত এই ভূখণ্ড যেন আনন্দ-লীলা করিতেছে। এই লীলা দেখিলে সত্যই রাধাকৃষ্ণের বন-বিহার-লীলার কথা স্মরণ হয় । ইহার দর্শনে প্রাণ মন পুলকিত হয়, জীবন কৃতাৰ্থ হয়, জন্ম সার্থক হয় । ত্রিভেণ্ডম সহর ত্রিবার রাজ্যের রাজধানী। মাদুর হইতে কুইলোন পৰ্য্যন্ত রেলে যাইয়া তথা হইতে মোটর গাড়ী, মোটর বোট, কিম্ব আমাদের দেশের শালতি নৌকার মত "ক্যানে বোটে" রাজধানী যাওয়া যায়। মোটর গাড়ীতে ৪৷৫ ঘণ্টার মধ্যে যাওয়া যায়। মোটর পরশুরাম-ক্ষেত্র বোটে প্রায় আঠার ঘণ্ট। লাগে এবং “ক্যানো বোটে" প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা লাগে । সময় অধিক লাগিলেও এই সঙ্কীর্ণ খালপথ দিয়া যাইতে যাইতে লতা-পল্লব-ছায়া-সমাকীর্ণ তটভূমির পাশ্বে সমূত্রের ভীম-গর্জন, মধ্যে মধ্যে মালাবারের আনন্দময় পল্লীদৃশ্ব, জনগণের উচ্ছসিত সঙ্গীতের মধুর তরঙ্গ-কম্পন, পর্য্যটকের প্রাণে যে পুলকের সঞ্চার করে তাহা সকল সময় সহজে মিলে না। এই পুলকের অনুভূতির জন্য শত সুবিধা ত্যাগ করিয়াও এই নৌকাপথে গতায়াত করাই সৰ্ব্বতোভাবে শ্রেয়। নৌকাপথে যাওয়ায় দেশের এবং দেশবাসীর প্রকৃতির যে ঘনিষ্ঠ পরিচয় পাওয়া যায় তাহা পৰ্য্যটকের নিকট অমূল্য । দেশীয় রাজ্যের রাজধানী বলিলে আমাদের মনে স্বভাবতই জয়পুর, বরোদ, মহীশূর প্রভৃতি স্থানের কথা উদয় হয়। কিন্তু পূৰ্ব্বোক্ত স্থানসমূহ দৰ্শনান্তে এই তিরুবন্দন পুরমে আগমন করিলে পৰ্য্যটক নিশ্চয়ই নিরাশ হইবেন, তাহার আশার অনুরূপ কিছুই এইস্থানে দেখিবেন না। ঐ o