পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

w) o o ফুলের জোগানদার । হইবে, সেই ভাবপ্রকাশের পথও তদনুযায়ী প্রশাস্ত ও মনোরম হওয়া চাই। চিত্রের আসল ভিত্তি রেখাঙ্কন। রেখাঙ্গনে যে ভাব ও সৌন্দর্ঘ্যের আভাস থাকে চিত্রেও সেই ভাব ও সৌন্দৰ্য্য আপনি ফুটিয় উঠে। রেখাঙ্কনে ভাব ও সৌন্দৰ্য্য প্রবেশ করাইবার একমাত্র উপায় গঠনসৌষ্ঠবের অবতারণ। শরীরাবয়বের গঠন আমাদের নিকট পরিচিত হইলে ও চিত্র-পরিকল্পনায় তাহতেই অশেষ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩২২ SMSMSMSMS SMSMSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSSS ---------------------- [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS गौथौन न॥५॥ নূতনত্বের বিকাশ থাকিতে পারে। আকৃতি দুই প্রকার হইতে পারে । স্বাভাবিক অর্থাৎ প্রাকৃতিক ভাবমূলক ও অস্বাভাবিক অর্থাং কাল্পনিক স্বাভাবিকট আমাদের নিকট বড় পরিচিত ; কাল্পনিকট প্রায় অপরিচিত । ২য় সংখ্যা ] --- -- পরিচিতের সহিত পরিচয় করাইয় দেওয়া অপেক্ষ অপরি চিতের সহিত আমাদের সম্বন্ধ নিকট করিতে পারিলে শিল্পের প্রধান উদ্দেশ্য সাধন করা হয় । প্রকৃতিতে আমরা স্বাহ কিছু দেখিতে পাই তাহাদিগকেই অবলম্বন করিয়া আমরা অনেক ভাব অনুভব করি । অস্তদৃষ্টিতে আমরা সেই ভাবের রূপ দেখিতে পাই। সেই অদৃশ্বভাব-বয়িক স্কুপের বিকাশ চিত্রশিল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য। যে শিল্পে তাহার প্রকাশ সে শিল্প পূর্ণসাফল্যের মুকুটে অভিষিক্ত। অজস্তার অসংখ্য চিত্রাবলী এই মুকুটে শোভিত ছিল কি ন। তাহ৷ এই প্রবন্ধের সহিত মুদ্রিত কয়েকটি মাত্র প্রতিলিপি দেখিয়া বিচার করা যাইতে পারে। এখন এ চিত্রাবলী বিকৃত, কঙ্কালসার , পূৰ্ব্বের লাবণ্য ও সৌন্দৰ্য্য সব লোপ পাইয়াছে। কিন্তু তবুও এই নষ্ট-রূপ চিত্রাবলীর ধ্বংসাবশেষ দেখিলে এখনও বেশ স্পষ্ট বোঝা যায় এককালে এগুলি কি বিচিত্র শ্ৰীসম্পন্ন ছিল। মানবের শরীরাবয়বের গঠনে যে এত বৈচিত্রা থাকিতে পারে তাহ এইসকল চিত্রে অঙ্কিত দেখিয়া বিস্মিত হইতে হয়। প্রত্যেক মূৰ্ত্তির পরিকল্পনায় যেন ভিন্ন ভিন্ন রচনা-মাধুৰ্য্য ও অপরূপ ভঙ্গিমাবৈচিত্র্য ফুটিয়া উঠিতেছে। ভাষায় ইহার বর্ণনা হয় না। প্রকৃত কবির রস গ্রাহী হৃদয়ই কেবল এই সৌন্দর্য্য-সম্পদের আস্বাদন পাইতে পারে। মুখবন্ধ-স্বরূপ অজস্ত। চিত্রাবলীর বিষয়ে দুই-একটি কথা বলা প্রয়োজন। চিত্রগুলি দেখিলে সাধারণত: অনেকেরই মনোনীত হইবে না। এ-সকল চিত্রের সহিত আমাদের অনেকেরই পরিচয় নাই । অপরিচিত বলিয়৷ ইহাদের ভাব ও সৌন্দর্য্যের বিশেষত্ব কি তাহাও আমরা জানি না । ইয়োরপীয় চিত্র-শিল্প ইহা অপেক্ষ আমাদের নিকট অধিক পরিচিত। পাশ্চাত্য শিল্পের নিদিষ্ট নিয়ম ও আদশ সম্মুখে রাখিয়৷ অজন্তার চিত্রশিল্পের সমালোচনা করিলে ইং কতকটা অস্বাভাবিক বলিয়। অনাদৃত হইতে পারে। কিন্তু পরিপ্রেক্ষিক, অস্থি-সংস্থান ও আলো ও ছায়। ইত্যাদি গণ্ডীর বাহিরে আসিয়া যদি অজস্থার চিত্রাবলী ঝিতে চেষ্টা করা যায় তাহা হইলে আমরা অতি সহজেই বুঝিতে পারিব যে যে-ভাব শিল্পের প্রাণস্বরূপ এ চিত্রগুলি সেই ভাবসৌন্দর্য্যে অনুপ্রাণিত । অজন্ত৷ গুহার চিত্রাবলী


○o> / 。ヘヘヘー・ベー・ヘヘー^ヘ রাজকুমার সিদ্ধার্থ। প্রথম চিত্রে একটি তম্বঙ্গী রমণী দাড়াইয়া হাতের সাজি উল্টাইয় ফুল ফেলিয়া দিতেছে। চিত্রের বিষয়ে কোন গভীর ভাবের সংযোগ নাই, কিন্তু চিত্রকরের