পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిలిషి u gu ভাং হইতে বঙ্কিত করিবার পরামর্শ প্রদান যুক্তিসঙ্গত নহে। পল্লীর কম্বাজালোচনা করিতে গেলেও প্রায় গোড় বড়ি খাড়া খাড় বড়ি গোড় হইয়া দাড়ায়। প্রত্যেক গ্রামের ম্যালেরিয়, স্বাস্থা, পানীয় জলের অভাব লিত "লিখিলে দেশের মধ্যে আপনাকে প্রস্তুত শক্তিশালী করিয়” তুলিব কাহীর নিকট? দেশের লোক সপ্তাহের পর সপ্তাহ এই সংবাদ পাঠ করিয়াই কি কুন্থ, লক্ষ্মীমন্ত হইয় উঠবে ? সরকারী কার্যাকার্যের সম্বন্ধে যোগ্যতাপুর্ণ সমালোচনা করিতে পারিলে সরকারী কৰ্ম্মচারীবর্গ সেই কাগজের সন্মান করেন। অঙ্গ স্বধু আমাদের জাতীয় জীবনের অচ্ছেদ্য বন্ধু দারিদ্র ম্যালেরিয়া, জলাভাবের সংবাদে হার কমই দৃষ্ট দেন। দুঃখের বিষয় আমাদের সহযোগীগণ রাজনীতি সম্বন্ধেও উপযুক্ত রূপ আলোচন করেন না। করিলে মফঃস্বলের অবস্থা এমন হীন থাক্ষিত না। কথাগুলি অযৌক্তিক নহে। জগতের যেকোন বিষয়ে ক্ষেকোন কাগজের মন্তব্য প্রকাশ করিবার অধিকার আছে এবং আলোচনা করিবার মত বিষয়ও পৃথিবীতে অগণ্য আছে। কিন্তু এই কথাটি মনে রাখিতে হইবে যে, কোন কাগজে কি বিষয়ের আলোচনা কি পরিমাণে হইবে, তাহ উহার কার্য্যক্ষেত্র ও মুখ্য উদ্দেশ্বের উপর নির্ভর করে। “প্রবাসী” প্রধানতঃ বাঙ্গালীদের জন্য প্রকাশিত হয়। এই জন্য, যদিও ইহাতে পৃথিবীর কোন দেশের এবং ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের কথা লিখিতে বাধ নাই, তথাপি আমরা প্রধানতঃ এরূপ বিষয়ের আলোচনা করিতে চেষ্টা করি, যাহা বঙ্গদেশবাসী ও প্রবাসী বাদাজদিগকে আনন্দ দিতে পারে ও তাহদের কাজে লাগিতে পারে। আমাদের "মডার্ণ রিভিউ” নামক ইংরেজী মাসিক পত্রের কার্য্যক্ষেত্র বিস্তৃততর। উহা ভারতবর্ষের সব প্রদেশের লোকে পড়ে, এবং ভারতবর্ষের বাহিরে নান দেশে ইংরেজী-জান কতকগুলি লোকেও পড়ে। সুতরাং উহ! এই সমুদয় শ্রেণীর উপযোগী করিয়া সম্পাদন করিতে চেষ্টা করা হয়। এই দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝা যাইতেছে যে, একই মানুষের দ্বার সম্পাদিত দুখানা কাগজ কাৰ্য্যক্ষেত্রের পার্থক্য বশত: কতকটা পৃথক ভাবে সম্পাদিত হয়। তেমনি যদিও মফঃস্বলের কোন কাগজেই কোন বিষয়ের আলোচনা করিতে বাধা নাই, তথাপি যেটি যে জেল বা সবডিবিজনে প্রকাশিত, তাহার সেবা করাই উহার মুখ্য উদেশ্ব। এই মুখ্য উদেশ্ব স্মরণ রাখিয়া কাজ করিলেই সব দিক রক্ষ হইতে পারে। একটু পরিশ্রম করিয়ানান দেশের তথ্য সংগ্ৰহ করিলে -o প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩২২ SMMMMSJMJJAJS [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড --০৮:১৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৮:১৭, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)~~*へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 গ্রাম্য বিষয়ের আলোচনাতেও বৈচিত্র্য সম্পাদন করিতে পারা যায়। বৃটিশ-শাসিত ভারতবর্ষেরই ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে জেলার নানা বিভাগের কাজ কতকটা ভিন্ন ভিন্নরূপে নিৰ্ব্ব । হিত হয়। বিচার, শাসন, শিক্ষ, জেল, মিউনিসিপালিটী ডিট্রিক্টবোর্ড, স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রভৃতি নানা বিভাগে কোথা কোন উৎকৃষ্ট প্রণালী প্রচলিত আছে, তাহা বাংলা দেশের জেলা-সকলে চালাইবার জন্য লেখা যাইতে পারে। ভারত, বর্ষের কোন কোন দেশীয় রাজ্য কোন কোন বিষয়ে ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষ অপেক্ষ অগ্রসর। এইসকল বিষয় বাঙ্গালীদের গোচর করা উচিত। তাহার পর ভারতবর্ষের বাহিরে গিয়া বিদেশের এই সকল তথ্য সংগ্রহ করা যাইতে পারে। গ্রামের সাধারণ কাজ নানা দেশে নানা উপায়ে নির্বাহিত হয়। আমাদের ভারতবর্ষেই মহীশূন্ধ প্রদেশে গ্রামগুলির উন্নতির জন্য গ্রামবাসীদিগকে সচেষ্ট্র ও আত্মনির্ভরশীল করিবার নিমিত্ত মহীশূর-গবর্ণমেন্ট উৎকৃষ্ট ব্যবস্থা করিয়াছেন । এইরূপ ব্যবস্থা আর কোথায় কিরূপ আছে, তাহার বৃত্তান্ত প্রকাশ করিলে লোকের জ্ঞানবৃদ্ধির সহিত ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে ভিন্ন ভিন্ন নূতন হিতকর কার্য্য, প্রণালী অবলম্বিত হইতে পারে। o থালিয়রে বন-বিভাগ। " - দেশে অরণ্যের অস্তিত্ব ও বিস্তৃতির সহিত উহার ঐশ্বৰ্য্য ও স্বাস্থ্যের অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ আছে। _সংকীর্ণতর ভাবে দেখিলেও বুঝা যায় যে অরণ্য হইতে নানা প্রকারে লোকের অর্থাগমের উপায় হইতেছে। কিন্তু আরও অধিক তর প্রকারে অর্থাগম হইতে পারে। তজ্জন্য চেষ্টা হওয়া চাই। খালিয়র দেশীয় রাজ্য হইতে জয়জীপ্ৰতাপ নামে একথানি সাপ্তাহিক কাগজ বাহির হয়। উহার অল্প অংশ ইংরেজীতে লেখা, বাকী হিন্দী। সংপ্রতি ইহার একটি সংখ্যাতে থালিয়র রাজ্যে বনবিভাগ হইতে কি কি প্রকারে অর্থাগম হইতে পারে এবং তজ্জন্য রাজসরকার হইতে কিঙ্কণ চেষ্ট হইতেছে, তাহার বৃত্তান্ত প্রকাশিত হইয়াছে। সৰ্ব্বসাধারণকে অরণ্যের উপকারিতা সম্বন্ধে শিক্ষা দিবার আবশুকতা, অরণ্য-নীতির ক্রমবিকাশ, অরণ্যের স্বব্যৱস্থা সম্বন্ধীয় উপদেশবচন, অরণ্যবিভাগে চাকরীর জাদর্শ T | ৩য় সংখ্য। ] ১৯১৩-১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে (১৯৭০ সম্বতে) থালিয়র অরণ্যবিভাগের রিপোর্ট, ইংরেজীতে এই পাঁচটি প্রবন্ধ আছে। হিন্দীতে ১১টি প্রবন্ধ আছে। তাহার নাম—১ । আমাদের নম্র নিবেদন ; ২। জঙ্গল কি, এবং সরকার কেন উহার বন্দোবস্ত করেন ; ৩। খালিয়র রাজ্যে জঙ্গল সম্বন্ধে সৰ্ব্ববিধ তথ্য, (ক) সাধারণ বৃত্তান্ত, (১) জঙ্গলের বিস্তৃতি, (২) ভাল ও অন্যান্য জঙ্গলী জাতি, (৩) তাহদের শিক্ষা, (৪) জঙ্গলে শিকারের জন্য রক্ষিত স্থান এবং শিকারের পশুপক্ষী, (৫) বন-বিভাগের কর্মচারীদের সংখ্য, (৬) বন-বিদ্য। শিখাইবার বন্দোবস্ত, (৭) জঙ্গলের জলবায়ু এবং তথায় বৃক্ষ উৎপাদন ; (খ) জঙ্গলে উৎপন্ন অর্থকর দ্রব্য ; ৪ জঙ্গলগুলির ঐতিহাসিক বিবরণ ও বর্তমান অবস্থা যে যে প্রাকৃতিক কারণে জঙ্গলের উৎপত্তি, স্থিতি ও বৃদ্ধি হয় ; ৬। খালিয়রের মরণ্যের প্রধান প্রধান বৃক্ষ ও বনস্পতি ; ৭। শ্বালিয়র অরণ্যবিভাগের ইতিহাস , ৮ । সরকারের নূতন আরণ্য বন্দোবস্তে রাইতেদিগকে কি সুবিধা দেওয়া হইয়াছে। ৯। জঙ্গল, ও গৃহপালিত পশু , ১০ । জঙ্গলের অর্থাগমের উপযোগিত—লাক্ষা, গদ, চামড়ার কস, থয়ের, রোজা ঘাস ( ইহা হইতে সুগন্ধি তেল চোয়ান হয় ), ঔষধার্থ ব্যবহৃত উদ্ভিদ, লাক্ষ-লেপন কায্যের উপযোগী উদ্ভিদ, বিড়ী, কাগজ প্রস্তুত করিরার মণ্ডের উপযোগী কাঠ, দিয়াশলাইয়ের উপযোগী কাঠ, তৈল বাহিব করিবার উপযোগী বীজ , ১১। জঙ্গলের নানাবিধ কাঠ কি কি কাজে লাগে, অ ! চাষের কাজের যোগ্য, ( ২ ) শিল্পে ও নানাবিধ কারিগরীর কাজের যোগ্য, (৩) ঘরবাড়ী ও ৪ আসবাব নিৰ্ম্মাণের যোগ্য । “জয়াজী-প্রতাপে”র এই সংখ্যাটিতে ৫২ পৃষ্ঠা লেখা আছে। মৃতরাং এখানে সমূদয় কাগজখানির সার সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া অসম্ভব। কেবল ২।১টি বিষয়ের উল্লেখ করিতেছি । চামড়। কস করিবার জিনিস যে যে গাছের ছাল, শিকড়, কাঠ, পাতা, ফল ও ফুল হইতে পাওয়া যাইতে পারে, এইরূপ ৪৫টি গাছের হিন্দুস্থানী নাম ও ইংরেজী উদ্ভিদবিদ্যায় প্রচলিত নাম দেওয়া হইয়াছে, এবং গাছের কোন অংশ হইতে কস পাওয়া যায়, তাহাও লিখিত হইয়াছে। খয়ের কোন কোন গাছ হইতে কি উপায়ে R বিবিধ প্রসঙ্গ—কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ·LIV প্রস্তুত হয়, লেখা হইয়াছে। কাঠকে মণ্ডে পরিণত করিয়া তাহা হইতে সস্ত কাগজ প্রস্তুত হয়। কোন কোন কাঠ ও তৃণ তইতে থালিয়রে কাঠমণ্ড প্রস্তুত হইতে পারে, তাহ লিপিত হইয়াছে। এইরূপ দিয়াশলাইয়ের উপযোগী কাঠের তালিকা আছে। লাঙ্গল, বখর (harrow), চাউল প্রস্তুত করিবার উদুখল মুঘল, কোলুর ঘানি, গাড়ীর ভিন্ন ভিন্ন অংশ, কূপের জল তুলিবার যন্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন অংশ, ছড়ী, ছাতা, পেন্সিল, প্যাকিং বাক্স, বাদ্যযন্ত্র, খেলনা, কুঠার আদির বাট, পান্ধি চতুৰ্দ্দল আদি, তাত, চরখা, চিরুনী, চামচ, আবথোরী, প্লেট, কড়ি বর্গ, দরজা কপাট, চেয়ার টেবিল, প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণের উপযুক্ত নানাবিধ গাছের তালিকা আছে । বাংলা বিহার ছোটনাগপুর ও উড়িষ্যার জঙ্গলের এইরূপ নানাবিধ কাজের উপযোগী গাছ সম্বন্ধে যদি এক পানি বাংলা বহি গবর্ণমেণ্ট বাহির করেন, তাহা হইলে ব্যবসায়ী লোকদের উপকার হইতে পারে। যাহারা “জয়াজী-প্রতাপে”র এই সংখ্যাটি দেখিতে চান, তাহার #stäätzos To the Pratap, Gwalior, o fossatà oiosaiqifax Gwalior Forest Number চাহিবেন । মূল্য লেখা নাই; স্বতরাং ভিঃ পি: ডাকে কত খরচ পড়িবে বলিতে পারিলাম না। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। গত মাসে কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের তৈলচিত্ৰ ৰঙ্গীয়সাহিত্যপরিষদ-মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ইনি সম্ভাবশতক-প্রণেতা বলিয়। পরিচিত। আমরা বাল্যকালে বিদ্যালয়ে সম্ভাবশতক পড়িয়ছিলাম। আমাদের আগে ও পরেও অনেকে পড়িয়াছেন। ইহার অনেক কবিতা প্রবাদবচনের মত প্রচলিত ; অনেকে জানেন না যে সেগুলি তাহার রচিত। যথা— "যে জন দিবসে, মনের হরযে - হালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে না। আর নিশিতে প্রদীপভাতি - - Manager, Jayaji