পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q98. ...... جی.sمبہم ہمہ*****بیحہ নানা বিভাগের লোকের নিকটে একটু অধিক সন্মান পাইতে পারে। তাহা হইতে বঞ্চিত করিবার পরামর্শ প্রদান যুক্তিসঙ্গত নহে। পল্লীর কথা আলোচনা করিতে গেলেও প্রায় থোড় বড়ি খাড়া খাড় বড়ি থোড় হইয় দাড়ায়। প্রত্যেক গ্রামের ম্যালেরিয়, স্বাস্থ, পানীয় জলের অভাব নিত্য “লিখিলে দেশের মধ্যে আপনাকে প্রভূত শক্তিশালী করিয়" তুলিব কাহার নিকট? দেশের লোক সপ্তাহের পর সপ্তাহ এই সংবাদ পাঠ করিয়াই কি সুস্থ, লক্ষীমন্ত হইয়া উঠিবে ? সরকারী কার্য্যাকার্যোর সম্বন্ধে যোগ্যতাপূর্ণ সমালোচনা করিতে পরিলে সরকারী কৰ্ম্মচারীবর্গ সেই কাগজের সন্মান করেন। অন্তথা স্বধ আমাদের জাতীয় জীবনের অচ্ছেদ বন্ধু দারিদ্র ম্যালেরিয়া, জলাভাবের সংবাদে গহার কমই দৃষ্ট দেন। দুঃখের বিষয় আমাদের সহযোগীগণ রাজনীতি সম্বন্ধেও উপযুক্ত রূপ আলোচনা করেন না করিলে মফঃস্বলের অলঙ্ক। এমন হীন থাঙ্কিত না। কথাগুলি অযৌক্তিক নহে। জগতের যেকোন বিষয়ে যে-কোন কাগজের মন্তব্য প্রকাশ করিবার অধিকার আছে এবং আলোচনা করিবার মত বিষয়ও পৃথিবীতে অগণ্য আছে। কিন্তু এই কথাটি মনে রাথিতে হইবে যে, কোন কাগজে কি বিষয়ের আলোচনা কি পরিমাণে হইবে, তাহা উহার কার্যাক্ষেত্র ও মূখ্য উদ্দেশ্বের উপর নির্ভর করে। “প্রবাসী" প্রধানতঃ বাঙ্গালীদের জন্য প্রকাশিত হয়। এই জন্য, যদিও ইহাতে পৃথিবীর কোন দেশের এবং ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের কথা লিখিতে বাধ নাই, তথাপি আমরা প্রধানতঃ এরূপ বিষয়ের আলোচন করিতে চেষ্টা করি, যাহা বঙ্গদেশবাসী ও প্রবাসী বাদাগদিগকে আনন্দ দিতে পারে ও র্তাহাদের কাজে লাগতে পারে। আমাদের "মডার্ণ রিভিউ” নামক ইংরেজী মাসিক -পত্রের কার্য্যক্ষেত্র বিস্তৃততর। উহা ভারতবর্ষের সব প্রদেশের লোকে পড়ে, এবং ভারতবর্ষের বাহিরে নান দেশে ইংরেজী-জানা কতকগুলি লোকেও পড়ে। সুতরাং উহ! এই সমুদয় শ্রেণীর উপযোগী করিয়া-সম্পাদন করিতে চেষ্টা করা হয়। এই দৃষ্টান্ত দ্বারা বুঝা যাইতেছে যে, একই মানুষের দ্বারা সম্পাদিত দুখান৷ কাগজ কাৰ্য্যক্ষেত্রের পার্থক্য বশতঃ কতকটা পৃথক ভাবে সম্পাদিত হয়। তেমনি যদিও মফঃস্বলের কোন কাগজেই কোন বিষয়ের আলোচনা করিতে বাধা নাই, তথাপি যেটি যে জেল বা সবডিবিজনে প্রকাশিত, তাহার সেবা করাই উহার মুখ্য উদেশ্ব। এই মুখ্য উদ্দেশ্য স্মরণ রাথিয় কাজ করিলেই সব কি রক্ষা হইতে পারে। -- একটু পরিশ্রম করিয়ানান দেশের তথ্য সংগ্ৰহ করিলে প্রবাসী-জ্বাষাঢ়, ১৩২২ SMMMJSJSMMMMS MMMMJMMMMMSJJSJMMMJJJJJJJJS গ্রাম্য বিষয়ের আলোচনাতেও বৈচিত্র্য সম্পাদন করিতে পারা যায়। বৃটিশ-শাসিত ভারতবর্যেরই ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে জেলার নানা বিভাগের কাজ কতকটা ভিন্ন-ভিন্নরূপে নিৰ্ব্ব৷ হিত হয়। বিচার, শাসন, শিক্ষ, জেল, মিউনিসিপালিট, ডিট্রিক্টবোর্ড, স্বাস্থ্যরক্ষা, প্রভৃতি নানা বিভাগে কোথায় কোন উৎকৃষ্ট প্রণালী প্রচলিত আছে, তাহ বাংলাদেশের জেলা-সকলে চালাইবার জন্য লেখা যাইতে পারে। ভারতবর্ষের কোন কোন দেশীয় রাজ্য কোন কোন বিষয়ে ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষ অপেক্ষ অগ্রসর । এই সকল বিষয় বাঙ্গালীদের গোচর করা উচিত। তাহার পর ভারতবর্ষের বাহিরে গিয়া বিদেশের এই সকল তথ্য সংগ্রহ করা যাইতে পারে। গ্রামের সাধারণ কাজ নানা দেশে নান৷ উপায়ে নিৰ্বাহিত হয়। আমাদের ভারতবর্ষেই মহীশূর প্রদেশে গ্রামগুলির উন্নতির জন্য গ্রামবাসীদিগকে সচেষ্ট ও আত্মনির্ভরশীল করিবার নিমিত্ত মহীশূর গবর্ণমেণ্ট উৎকৃষ্ট ব্যবস্থা করিয়াছেন। এইরূপ ব্যবস্থা আর কোথায় কিরূপ আছে, তাহার বৃত্তান্ত প্রকাশ করিলে লোকের জ্ঞানবৃদ্ধির সহিত ভিন্ন ভিন্ন গ্রামে ভিন্ন ভিন্ন নূতন হিতকর কার্য প্রণালী অবলম্বিত হইতে পারে। - থালিয়রে বন-বিভাগ । দেশে অরণ্যের অস্তিত্ব ও বিস্তৃতির সহিত, উহার ঐশ্বৰ্য্য ও স্বাস্থ্যের অচ্ছেদ্য সম্বন্ধ আছে। _সংকীর্ণতর ভাবে দেখিলেও বুঝা যায় যে অরণ্য হইতে নানা প্রকারে লোকের অর্থাগমের উপায় হইতেছে। কিন্তু আরও অধিকতর প্রকারে অর্থাগম হইতে পারে। তজ্জন্য চেষ্টা হওয়া চাই। খালিয়র দেশীয় রাজ্য হইতে জয়জীপ্ৰতাপ নামে একখানি সাপ্তাহিক কাগজ বাহির হয়। - উহার অল্প অংশ ইংরেজীতে লেখা, বাকী হিন্দী। সংপ্ৰতি ইহার একটিসংখ্যাতে শ্বালিয়র রাজ্যে বনবিভাগ হইতে কি কি প্রকারে অর্থাগম হইতে পারে এবং তজ্জন্য রাজসরকার হইতে কিরূপ চেষ্টা হইতেছে, তাহার বৃত্তান্ত প্রকাশিত হইয়াছে। সৰ্ব্বসাধারণকে অরণ্যের উপকারিত সম্বন্ধে শিক্ষা দিবার আবশ্বকতা, অরণ্য-নীতির ক্রমবিকাশ, অরণ্যের স্বব্যৱস্থা সম্বন্ধীয় উপদেশবচন, অরণ্যবিভাগে চাকরীর আদর্শ, [ ১৫শ ভাগ ১ম ... " ৩য় সংখ্য। ] o ー、ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ* - ১৯১৩-১৪ খ্ৰীষ্টাব্দে (১৯৭০ সম্বতে) শ্বালিয়র অরণ্যবিভাগের রিপোর্ট, ইংরেজীতে এই পাঁচটি প্রবন্ধ আছে। হিন্দীতে ১১টি প্রবন্ধ আছে। তাহার নাম—১ । আমাদের নম্র নিবেদন ; ২। জঙ্গল কি, এবং সরকার কেন উহার বন্দোবস্ত করেন ; ৩। খালিয়র রাজ্যে জঙ্গল সম্বন্ধে সৰ্ব্ববিধ তথ্য, (ক) সাধারণ বৃত্তান্ত, (১) জঙ্গলের বিস্তৃতি, (২) डील ७ অন্যান্য জঙ্গলী জাতি, (৩) তাহাদের শিক্ষা, (৪) জঙ্গলে শিকারের জন্য রক্ষিত স্থান এবং শিকারের পশুপক্ষী, (৫) বনবিভাগের কৰ্ম্মচারীদের সংখ্য, (৬) বনবিদ্য। শিখাইবার বন্দোবস্ত, (৭) জঙ্গলের জলবায়ু এবং তথায় বৃক্ষ উৎপাদন ; (খ) জঙ্গলে উৎপন্ন অর্থকর দ্রব্য ; ৪ জঙ্গলগুলির ঐতিহাসিক বিবরণ ও বর্তমান অবস্থা যে ঘে প্রাকৃতিক কারণে জঙ্গলের উৎপত্তি, স্থিতি ও বৃদ্ধি হয় ; ৬। খালিয়রের মরণ্যের প্রধান প্রধান বৃক্ষ ও বনস্পতি ; ৭। শ্বালিয়র অরণ্যবিভাগের ইতিহাস , ৮। সরকারের নূতন আরণ্য বন্দোবস্তে রাইতেদিগকে কি সুবিধা দেওয়া হইয়াছে। ৯। জঙ্গল, ও গৃহপালিত পশু , ১০ । জঙ্গলের অর্থাগমের উপযোগিত—লাক্ষা, গদ, চামড়ার কস, থয়ের, রোজ ঘাস ( ইহা হইতে সুগন্ধি তেল চোয়ান হয় ), ঔষধার্থ ব্যবহৃত উদ্ভিদ, লাক্ষ-লেপন কায্যের উপযোগী উদ্ভিদ, বিড়ী, কাগজ প্রস্তুত করিরার মণ্ডের উপযোগী কাঠ, দিয়াশলাইয়ের উপযোগী কাঠ, তৈল বাহিব করিবার উপযোগী বীজ , ১১। জঙ্গলের নানাবিধ কাঠ কি কি কাজে লাগে, ( অ ! চাষের কাজের যোগ্য, ( ২ ) শিল্পে ও নানাবিধ কারিগরীর কাজের যোগ্য, (৩) ঘরবাড়ী ও ৪ আসবাব নিৰ্ম্মাণের যোগ্য। “জরাজী-প্রতাপে"র এই সংখ্যাটিতে ৫২ পৃষ্ঠা লেখা আছে। সুতরাং এখানে সমুদয় কাগজখানির সার সংগ্ৰহ করিয়া দেওয়া অসম্ভব। কেবল ২।১টি বিষয়ের উল্লেখ করিতেছি । চামড়া কস করিবার জিনিস যে যে গাছের ছাল, শিকড়, কাঠ, পাতা, ফল ও ফুল হইতে পাওয়া যাইতে পারে, এইরূপ ৪৫টি গাছের হিন্দুস্থানী নাম ও ইংরেজী উদ্ভিদবিদ্যায় প্রচলিত নাম দেওয়া হইয়াছে, এবং গাছের কো অংশ হইতে কস পাওয়া যায়, তাহাও লিখিত হইয়াছে। থয়ের কোন কোন গাছ হইতে কি উপায়ে २ বিবিধ প্রসঙ্গ—কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার HIV প্রস্বত হয় লেখা ইয়াছে। কাঠকে মণ্ডে পরিণত করিয়া তাহা হইতে সস্ত। কাগজ প্রস্থত হয়। কোন কোন কাঠ ও তৃণ তইতে থালিয়রে কাষ্ঠমণ্ড প্রস্তুত হইতে পারে, তাহা । লিপিত হইয়াছে। এইরূপ দিয়াশলাইয়ের উপযোগী কাঠের তালিকা আছে। লাঙ্গল, বথর (harrow), চাউল প্রস্তুত করিবার উদুখল মুঘল, কোলুর ঘানি, গাড়ীর ভিন্ন ভিন্ন অংশ, কুপের জল তুলিবার যন্ত্রের ভিন্ন ভিন্ন অংশ, ছড়ী, ছাতা, পেন্সিল, প্যাকিং বাক্স, বাদ্যযন্ত্র, খেলনা, কুঠার আদির বাট, পান্ধি চতুৰ্দ্দল আদি, তাত, চরখ, চিরুনী, চামচ, আবথোরা, প্লেট, কড়ি বর্গ, দরজা কপাট, চেয়ার টেবিল, প্রভৃতি নিৰ্ম্মাণের উপযুক্ত নানাবিধ গাছের তালিকা আছে । বাংলা বিহার ছোটনাগপুর ও উড়িষ্যার জঙ্গলের এইরূপ নানাবিধ কাজের উপযোগী গাছ সম্বন্ধে যদি এক খানি বাংলা বহি গবর্ণমেণ্ট বাহির করেন, তাহা হইলে ব্যবসায়ী লোকদের উপকার হইতে পারে। র্যাহারা "জাঙ্গ-প্রতাপের এই সংখ্যাটি দেখিতে চান, তাহার Estášić's To the Pratap, Gwalior, o fosato ot-sowifax Gwalior Forest Number 5fRC-R | RII c**i নাই ; স্বতরাং ভিঃ পি: ডাকে কত খরচ পড়িবে বলিতে পারিলাম না। কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। গত মাসে কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের তৈলচিত্র বৃঙ্গীয়সাহিত্যপরিষদ-মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। ইনি সম্ভাবশতক-প্রণেতা বলিয়া পরিচিত। আমরা বাল্যকালে বিদ্যালয়ে সম্ভাবশতক পড়িয়াছিলাম। আমাদের আগে ও পরেও অনেকে পড়িয়াছেন। ইহার অনেক কবিতা প্রবাদবচনের মত প্রচলিত ; অনেকে জানেন না যে সেগুলি তাহার রচিত। যথা— "যে জন দিবসে, মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি, আশু গৃহে তার দেখিবে ন৷ আর নিশিতে প্রদীপভাতি।” - Manager, Jayaji “চিরস্তুর্থী জন जरश्न कि कथन, ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে ? কি যাতন বিষে বুঝিবে সে কিসে কন্তু আশীবিষে দশেনি বারে ?”