পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88३ কৰ্ত্তন দ্বারা হইবে না। সমগ্র দেশের জন্য একটি স্বচিন্তিত বিজ্ঞানসম্মত কাৰ্য্যপ্রণালী স্থির করিয়া তাহার জন্য যত কোটি টাকার প্রয়োজন, গবর্ণমেণ্ট ব্যয় করুন। রেল বিস্তারের প্রয়োজন আছে, কিন্তু তার চেয়ে হাজার গুণ আবশ্বক একটা দেশের লোকের প্রাণ বাচান ও শক্তিবৃদ্ধি করা। রেল বিস্তারের জন্য যখন প্রতিবৎসর কোটি কোটি টাকা পাওয়া যায়, তখন আমাদের প্রাণ বাচাইবার জন্যও পাওয়া উচিত। এ বিষয়ে গবর্ণমেণ্ট শীঘ্র সম্যকরূপে মন না দিলে গুরুতর কৰ্ত্তব্যের ক্রটি হুইবে । o মধুসূদনের স্মৃতিসভা। যে খৃষ্টিয়ান সমাধিক্ষেত্রে মাইকেল মধুসূদন দত্তের দেহ সমাধিস্থ আছে, তথায় অন্যান্য বংসরের ন্যায় এ বৎসরও র্তাহার-মৃত্যুদিনে সভা ও বক্তৃতাদি হইয়াছিল। স্থান সমাধিক্ষেত্র। সময় মৃত্যুদিনের সাম্বংসরিক। অতএব এ উপলক্ষে যাহা কিছু বলা করা হয়, তাহাতে গাম্ভীৰ্য রক্ষিত হইবে, আশা করা স্বাভাবিক। কিন্তু শুনিলাম এবংসর যাত্রার দলের সংএর ভাড়ামির মত কিছু হইয়াছিল। ভবিষ্যভে এরূপ না হওয়া বাঞ্ছনীয়। শুনিতেছি এইরূপ প্রস্তাব হইয়াছে যে মধুসূদনের সমাধির উপর একটি বাদেবী-মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত হইবে এবং তজ্জন্য অর্থ সংগৃহীত হইবে। খৃষ্টিয়ান সমাধিক্ষেত্রে হিন্দুর বীণাপাণি-মূৰ্ত্তি স্থাপিত হইতে পরিবে কি না, জানি না। ইহ৷ খৃষ্টান, হিন্দু, উভয় ধর্মেরই বিরোধী। গ্ৰীক মিউজের মূৰ্ত্তিও হইতে পারে কি না, বিবেচ্য। কিন্তু বাঙ্গালী কবির সমাধির উপর গ্ৰীক দেবতার মূৰ্ত্তিও স্বসঙ্গত হইবে না। সাম্বৎসরিক সভা প্রভৃতির ব্যয়নিৰ্বাহাৰ্থ টাকা তুলিয়া একটি স্থায়ী, ফও স্থাপনের চেষ্ট হইতেছে শুনিতেছি। একজন ভদ্রলোক ৫- ২টি টাকা দিবেন বলিয়৷ এবারকার সভাস্থলে লইয়া গিয়াছিলেন। কিন্তু কোন কারণে তিনি छेश न निग्न किद्राशेंग्र श्रानिग्रांtछ्न। প্রত্যেক সাহিত্যিকের স্মৃতিসভা করিবার জন্য পৃথক পৃথক কমিটি না করিয়া এরূপ কাজের ভার সাহিত্যপরিষদের উপর দেওয়াই ভাল। পরিষদের সম্পাদক রায় যতীন্দ্রনাথ চৌধুরীও এইরূপ মত ব্যক্ত করিয়াছেন। প্রবালী-শ্রাবণ, ১৩২২ MMMMAMMMMAMJMAJAMMMMMMMMMMMS [ ১৫শ ভাগ ১ম খণ্ড প্রবাসী বাঙ্গালীর শিক্ষানুরাগ। বেহার হেরাল্ড বলেন যে এবার রেহার ও উড়িষ্যার কলেজগুলি হইতে মোট ৩০৫ জন ছাত্র আইএ পরীক্ষায় পাস হইয়াছে। তাহার মধ্যে ১৬৭ জন বেহারী হিন্দু, ৪৮ জন বাঙ্গালী, ৪৫ জন মুসলমান ৪২ জন ওড়িয়া এবং ২ জন খৃষ্টয়ান। আই-এস্ সী পরীক্ষা উত্তীর্ণ ৬১ জনের মধ্যে ২৭ জন বাঙ্গালী, ১৫ জন বেহারী হিন্দু, ১২ জন ওড়িয়া । এবং ৭ জন মুসলমান। বেহার ও উড়িষ্যা প্রদেশের অন্যান্য শ্রেণীর অধিবাসীদের তুলনায় বেহার-ও উড়িষ্যাপ্রবাসী বাঙ্গালীদের সংখ্যা খুব কম। তাহদের শিক্ষায় - কংগ্রেসের সভাপতিত্ব। কংগ্রেসের সভাপতি আগামী ডিসেম্বর মাসে কাহাকে করা হইবে, তাহা লইয়া কাগজে আলোচনা চলিতেছে। ভিন্ন ভিন্ন প্রাদেশিক কংগ্রেস কমিটি হইতে অনেক ব্যক্তির নাম করা হইয়াছে। - ব্যক্তিবিশেষের নিন্দ করা আমরা প্রতিকর মনে করি না। একান্ত আবখ্যক না হইলে কাহারও প্রতিকূল সমালোচনা আমরা করিতে চাহি না। ংগ্রেসের সভাপতির নানা রকমের যোগ্যতা থাকা চাই। প্রথমতঃ, তাহার চরিত্রবান হওয়া দরকার। দুঃখের বিষয়, পূৰ্ব্বে কোন কোন ব্যক্তিকে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করিবার সময় এদিকে দৃষ্টি দেওয়া হয় নাই। যাহন্তে দুশ্চরিত্রত সুবিদিত, এরূপ কোন কোন লোককে ইতিপূৰ্ব্বে কংগ্রেসের সভাপতি করা হইয়াছে। রাষ্ট্রীয় কার্ঘ্যে সচ্চরিত্রতার প্রয়োজন যাহারা স্বীকার করেন । তাহাদের সঙ্গে সাধারণ ভাবে তর্ক এখানে করা সম্পূর্ণ প্রাসঙ্গিক হইবে না। আমরা কেবল তাহাদিগকে পানেল ও ডিস্কের শক্তি ও অকৃতকাৰ্য্যতার কথা স্মরণ করাইয়া দিতে ইচ্ছা করি। রাষ্ট্ৰীয় বিষয়ে দেশকে কেমন করিয়া সচেতন করা যায়, কেমন করিয়া রাষ্ট্রীয় শক্তি লাভ করা যায়, কেমন করিয়া বুঝিবার মত বুদ্ধি বিদ্যা অধ্যয়ন কংগ্রেসের সভাপতির t থাকা চাই। তিনি দেশের লোককেও এসকল বিষয়ে উদ্বুদ্ধ | } পৌর, জানপদ ও রাষ্ট্রীয় কৰ্ত্তব্য পালন করা যায়, এ-সব বিষয়-- ৪র্থ সংখ্যা ] ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘーヘヘヘヘヘヘ করি। তৎসমুদয় শিক্ষা দিবার নিমিত্ত কি চেষ্টা করিয়াছেন, তাহা বিবেচনা করা সভাপতি-নির্বাচকদিগের কৰ্ত্তব্য । ভারতবর্ষকে স্বায়ত্তশাসনে সমর্থ ও অধিকারী করা এবং ভারতবাসীদিগকে রাষ্ট্রীয়-শক্তিশালী করা কংগ্রেসের উদ্দেশ্য। যাহাক সভাপতি করিতে যাইতেছি, তিনি এই উদ্দেশ্য সাধনের জন্য নিজের কতট। সময় ও শক্তি নিয়োগ করিয়াছেন, কত অর্থ ব্যয় করিয়াছেন, কত অর্থ উপার্জনের সুযোগ ত্যাগ করিয়াছেন, তাহা দেখিতে হইবে। দেশে রাষ্ট্ৰীয় শক্তিলাভের আকাঙ্ক্ষ জাগাইবার চেষ্টা করিলে, দেশের লোকদের লুপ্ত অধিকার উদ্ধারের চেষ্টা করিলে, বর্তমান অধিকার বিস্তৃততর করিতে গেলে, তাহাদের মানবীয় সমস্ত অধিকার সোজা হইয়৷ দাড়াইয়া নিৰ্ভয়ে দাবী করিলে, তাহাদের প্রতি কখন কথন যে অবিচার উৎপীড়ন হয় তাহার প্রতিকারের চেষ্টা করিলে, বহুসংখ্যক রাজকৰ্ম্মচারীর বিরাগভাজন হইতে হয়। এইরূপে অপ্রিয় হইবার সম্ভাবনা সত্বেও, কিম্বা এইরূপ অপ্রিয় হইয়াও, যিনি দেশের প্রতি নিজের কৰ্ত্তবা-পালনে অবহেলা করেন না, তিনিই সভাপতি হইবার যোগ্য। বৰ্ত্তমান বংসরে যাহাদের নাম করা হইয়াছে, তাহাদের মধ্যে কয়েক জন যোগ্য লোক আছেন । কিন্তু পঞ্জাবের লাল লাজপৎ রায় অপেক্ষা যোগ্য কেহই নহেন। আমরা যত প্রকারের যোগ্যতার কথা বলিয়াছি, সমস্তই তাহার আছে। র্তাহার >মুন্নিতি কশ্মিষ্ঠত লোকহিতৈষণা শিক্ষিত লোকদের নিকট সুপরিজ্ঞাত। তাহার সময় শক্তি অর্থ তিনি দেশের সেবায় প্রভূত পরিমাণে নিয়োগ করিয়াছেন। তিনি স্বদেশে ও বিদেশে জাতীয় উন্নতির উপায়-সকল সম্বন্ধে জ্ঞানলাভ ও একাগ্র চিন্তা বহুকাল হইতে করিতেছেন। সভ্যতার পথে অগ্রসর কেমন করিয়া হওয়া যায়, রাষ্ট্রীয় অধিকার লাভ করিয়া রাষ্ট্রীয় কৰ্ত্তব্য কেমন করিয়া করিতে হয়, তৎসম্বন্ধে জ্ঞানলাভ ও তাহারই অনুশীলনের জন্য তিনি দীর্ঘকাল বিলাতে আমেরিকায় ও জাপানে যাপন করিতেছেন। দেশের কাজ করিতে গিয়া তিনি কোন কোন T রাজকৰ্ম্মচারীর বিরাগভাজন হন, এবং তাহারা তাহাকে মিথ্য সন্দেহ করেন। ফলে বিনাবিচারে তাহার নির্বাসন হয়। ভারতসচিব লর্ড মলী বা আর কেহ তাহার বিরুদ্ধে বিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেসের সভাপতিত্ব MMMMMMMM MMMMMMMJMMJM 88% কখন কোন প্রমাণ উপস্থিত করিতে পারেন নাই। স্বৰ্গীয় গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, লালা লাজপৎ রায় যে সম্পূর্ণ বিশ্বাসভাজন, নিজের এই ধারণা প্রকাশুভাবে ঘোষণা করিয়াছিলেন। সরকারী কোন কোন কৰ্ম্মচারীর কুপরামর্শে গবর্ণমেণ্ট তাহার প্রতি অবিচার করিয়াছিলেন বলিয়া এরূপ লোককে যদি আমরা সভাপতি নিৰ্ব্বাচন না করি, তাহা হইলে আমাদের নিজেদেরই অযোগ্যতা প্রমাণিত হইবে। পঞ্জাবের কোন লোক এপর্য্যন্ত সভাপতি নিৰ্ব্বাচিত হন নাই, অতএব একজন পাঞ্জাবী সভাপতি নিৰ্বাচিত হওয়া উচিত, এ যুক্তির ততটা জোর হইত না, যদি তথায় কোন যোগ্য লোক না থাকিত। কিন্তু লাজপৎ রায়ের মত যোগ্য লোকও যদি সভাপতি নিৰ্বাচিত না হন, তাহ হইলে পঞ্জাবীরা যে কিছু দিন হইতে কংগ্রেসে যোগ দিতেছেন না, কংগ্রেসের প্রতি র্ত্যহাদের এই বিমুখত যে অকারণ তাহ বলা সহজ হইবে না । কোন কোন কাগজে দেখিলাম, একটা কথা উঠিয়াছে, যে, গবর্ণমেণ্ট যাহার কথা শুনেন বা শুনিবেন, গবৰ্ণমেণ্টের বিশ্বাসভাজন এরূপ কোন লোককে সভাপতি করা উচিত। এ কথার অর্থ বুঝা কঠিন। দেশের রাষ্ট্ৰীয় উন্নতির জন্য সচেষ্ট ধীরবুদ্ধি লোকদের মধ্যে গোখলের মত দেশের জন্ত ত্যাগী কৰ্ম্মী ত অধুনা আর কেহ ছিলেন না। গবর্ণমেন্ট জাহাকে সী, আই, ঈ, উপাধি দিয়াছিলেন, এবং সার উপাধিও দিতে চাহিয়াছিলেন। রাজকৰ্ম্মচারীরা তাহার খুব খাতির করিতেন শুনা যায়। কিন্তু জাতীয় উন্নতির মুলীভূত সাৰ্ব্বজনীন শিক্ষার জন্য তিনি যে চেষ্টা করিয়াছিলেন, গবর্ণমেণ্ট বা গবর্ণমেণ্টের কয়জন কৰ্ম্মচারী তাহার সমর্থন করিয়াছিলেন? রাজ কৰ্ম্মচারীরা তাহার কথা অনুসারে দেশের লোককে কি উচ্চ অধিকার দিয়াছেন, জানি না। শুধু তাই নয়। গোখলের মত লোকের পিছনেও যে গোয়েন্দা টিকটিকি লাগিয়া ছিল, তাহা তিনি নিজে ব্যবস্থাপক সভায় বলিয়াছিলেন। স্বতরাং দেখা যাইতেছে যে গোখলে সরকারী লোকদের “বিশ্বাস-ভাজন ছিলেন না। অতএব রাজকৰ্ম্মচারীদের বিশ্বাসভাজন লোক খুজিতে গিয়া যদি গোখলের মত লোককেও বাদ शिंtउ श्ध्न, তাহা হইলে কংগ্রেস না করাই ভাল। "আমরা সশস্ত্র