পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

grow প্রবাসী-শ্রাবণ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড। eAMJJJMMMMMMJJJMMJS ব্যক্তি হয় না। পাবনা জিলাবোর্ড সম্বন্ধে পাবনার “স্বরাজ” এইরূপ সংবাদ জ্ঞাপন করিয়া বলিতেছে झांनाएकत्र निष्ठlड इजष्ठे, १ड{{षप्ले १३ झणकठे निषाद्र"ब अत्र বোর্ডের ছাতে যে পরিমাণে অর্থ গচ্ছিত রাখিয়াছিলেন, বোর্ড তাহীও বায়ক্ষরিতে পারেন নাই। সমগ্র জেলার মধ্যে একটিমাত্রও জলাশয়, BBBD tt tBGGD DDDB BBB BBB BBS DDB BBDD বলিদাছি জেলবেড়ি যেরূপভাবে গঠিত তাহতে আমরা বৰ্ত্তমানে ইহার অতিরিক্ত আশা করিতে পারি না। - - লজ্জার কথা সন্দেহ নাই। পাবনাজিলার এই কলঙ্ক যাহাতে স্থালিত হয় তজ্জন্য পাবনাবাসীসকলের সচেষ্ট হওয়া একান্তু কৰ্ত্তব্য। সমাজকর্তৃক নিপীড়িত জাতিসমূহ যে নিজেদের উন্নতির জন্য স্বচেষ্ট হইয়াছেন তাহার পরিচয় নিয়তই পাওয়া ৰাইতেছে। রামপুরহাটের "বীরভূমবাসী" এইরূপ একটি চেষ্টার সংবাদ বহন করিয়া জানিয়াছেন। “বীরভূমবাসী” বলেন= রামপুরহাট হাইস্কুল হইতে মান আশুতোষ বীরবংশ নামক একটি ডোমছাত্র এবাৰ মাটি কিউলেশন পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ DDDDS DDDS gggg D DB BBBBS BBB BB B èफ्रभद्रौकांश्वणि७ ** कनिष्ठ १lनिtन । श्रशून ठ ८४ीव्र गाशमी করিতে স্থার ইচ্ছকস্তােহাৱা কি এই গীৰ ছাত্রের বিদ্যাশিক্ষার কোনও উপায় করিয়ী দিতে পারবেন না? আমরা অনুন্নত শ্রেণীর উন্নতিবিধায়িনী সভার দৃষ্টি এইদিকে অাকর্ষণ করিতেছি।-ছাত্রটির উচ্চশিক্ষার স্ববন্দোবস্ত হতে হয় দেশহিতৈষীবর্গের সকলেরই সে চেষ্টা করা উচিত। দেশের যে কয়েকটি সদনুষ্ঠান দেশবাণীর গৌরব রক্ষা করিতেছে বরিশাল মূকবধির বিদ্যালয় তাহাদিগের অন্যতম। "বরিশাল তৈষী" ইহার কার্যবিবরণী প্রকাশ কালে বলিতেছেন বিদ্যালয়ের কার্য বেশ চলিতেছে। কয়েকট ছাত্র নিম্নপ্রাইমেরী ও উচ্চপ্রাইমের পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়াছে। আমরা শুনিয়া সুখী হইলাম এই বিদ্যালয়ের ছাত্রগণ বিদ্যালয়ে বসিয়া হাতের স্টাতে উংকৃষ্ট মশারির S tttS ttttS BBB BBB BBB BBBBS DDD D DDD DS বৎসর বয়স্ক কয়েকটি মুক বধির বালককে ফ্রি বোর্ডিং দেওয়া হইবে। এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবর্গ দেশবাসীর কৃতজ্ঞতার শ্ৰীপ্রভাতচন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায়। সেখ আন্দু ( > ) - সন্ধ্যার পর আলোকোজ্জল কক্ষে বসিয়া জ্যোংক্স। সরলীকে তাহার পাঠ্য পড়াইতেছিল। ওদিকের নির্জন । ঘরে লতিকা বিকাল হইতে মাথা ধরিয়াছে বলিয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া নিদ্র। যাইতেছে-সময়টি অবশ্ব নিদ্রার পক্ষে প্রশস্ত নহে, তবে অস্বথের পক্ষে সবই সম্ভব। কদিন হইতে জরের ছুতায় লতিকা নিজের আহার নিদ্র ভ্রমণ ইত্যাদি সম্বন্ধে এমনি আশ্চৰ্য্য নিয়ম পরিবর্তন করিয়৷ ফেলিয়াছিল, যে, বাড়ীর কেহই তাহার নাগাল ধরিত্রে পাইতেছে না,—সে সম্পূর্ণ নিঃসঙ্গ ভাবে স্বতন্ত্র ব্যবস্থায় দিন কাটাইতেছে । বাড়ীর লোকদের প্রতি তাহার ব্যবহারেরও কিঞ্চিং পরিবর্তন হইয়াছে। কিন্তু সে চিরদিনই কক্ষ-প্রকৃতির একগুঁয়ে মানুষ, কেহই বড় একটা তাহার বাড়াবাড়ি আচরণগুল গণনীয় বলিয়া ধরিতেছেন না। তা ছাড়া লতিকার বৈপরীত্য জ্যোৎস্নার পক্ষে বেশী ক্লেশকর হইতেছে বুঝিয়, স্নেহময়ী শান্তস্বভাবা জননী কন্যার ব্যবহারগুলার উচ্ছম্বলতা যথাসাধ্য কাটিয়া ছাটিয়া স্বাভাবিক সহজ বলিয়া প্রতিপন্ন করিবার জন্য সম্রস্ত হইয়া উঠিয়াছেন। এবং আহত ক্ষুব্ধ জ্যোংস্কা বিষম বিব্রত। श्य *टे नूशिग्राcछ्, ७५ खननैौद्र खे९*ौफ़्नद्र बछड़े লতিকা এমন ঘোরতর রূপে অবাধ্যতা আরম্ভ করিয়াছে। তাহার অসন্তোষের স্বত্র যে কোথায়, তাহা কিন্তু কেহই অহুভব করিতে সমর্থ নহে, বাস্তবিক তাহা অনুভব করাও অসম্ভব । - বারান্দায় যথেষ্ট আলোক থাকা সত্বেও সিড়ির দ্বারে উঠিয়া চৌকাঠে ছাঁচট খাইয় অত্যন্ত ব্যস্তভাবে একজন। কক্ষে ঢুকিল! জ্যোৎস্ব সবিস্ময়ে দেখিল ব্যগ্র ব্যাকুল । মুখে লতিকা! ভীতি-উত্তেজনায় তাহার মুখ চোখ এমনি অস্বাভাবিক ভাব ধারণ করিয়াছে, যেন সে এখনি কাহাৰে । খুন করিয়া আসিল। লতিকার অবস্থা দেখিয়া জ্যোৎস্না উদ্বিগ্ন হইয়া বলিল, “তুমি নীচে ছিলে নাকি ?” লতিকাও কঙ্গে ঢুকিয় অকস্মাং দুইজনকে সেখানে বসিয়া থাকিতে দেখিয়া যেন হতভম্ব হইয়া গেল। তাহার ৪র্থ সংখ্য। ] বোধ হয় এ কক্ষে আসার অভিপ্রায় ছিল না, হঠাৎ তাড়াতাড়িতে ঢুকিয়া পড়িয়াছে। জ্যোংস্কার প্রশ্নের উত্তরে প্রবল মাত্রায় চমকিয় বিবর্ণ মুখে বলিল, “ই-না, আমি এই নীচে গেছ লুম।" সহসা দিদিকে আসিতে দেখিয়া সরসীর গলার স্বর অনেকট। নামিয়া গেল। সে বইয়ের উপর যথাসাধ্য ফুকিয় জড়াইয়। জড়াইয়। ইংরেজীপড় উচ্চারণ করিতে লাগিল। জ্যোংস্কা বলিল “তোমার কি অসুখ কচ্ছে ?" লতিকা বিমূঢ়ার মত হঠাৎ বলিয়া ফেলিল “না।"-- তারপর আত্মসম্বরণ করিয়া ত্রস্ত স্বরে বলিল "ই। শরীরটে বড় খারাপ হয়েছে —” সে আলোর দিকে পিছন করিয়া জ্যাকেটের হুকু খুলিতে লাগিল। লতিকার মনে হইতেছিল, সে এখান হইতে ছটিয়া চলিয়া যায়, কিন্তু ইহাদের চোথের অন্তরালে যাইবার চেষ্টা করিলে, নিজেকে ইহাদের চোথে যে আরো বেশী করিয়া ধরাইঃ দেওয়া হইবে, সে সম্বন্ধেও তাহার লেশমাত্র সংশয় ছিল না ; তাই নিজের অতর্কিত-এস্ত আগমনট কাজের অছিলায় ঢাকিবার জন্য তাড়াতাড়ি জামাটা খুলিয়া থামক আনলায় রাখিল। একটা শাল টানিয়া আপদমস্তক ঢাকা দিয়া কোঁচে অর্ধশায়িতভাবে শয়ন করিল। সরসীর পাঠের অবকাশ হইতে তাহার দ্রুত উত্তেজিত নিশ্বাসের পরিষ্কার শব্দ শুনা যাইতে লাগিল। লতিকার মনে হইল তাহার সন্তপণে ত্যক্ত নিশ্বাস লইয়া শূন্যে অশরীরীগণ তীব্র বিদ্রুপে বিশ্বময় অট্টহাস্য ছড়াইয় বেড়াইতেছে। সে আপনার দৃপ্ত অধীরতার সহিত যুঝিতে যুঝিতে হাফাই উঠিল। দিদির নিস্তব্ধত সরণীর কাছে মহাবিভীষিকার মত লাগিল, তাহার পড়া কেবলই মুখে আটকাইতে লাগিল। অতি কষ্টে খানিকট সময় অতিক্রান্ত করিয়া, সে পড়৷ বন্ধ করিল। আস্তে আস্তে ছড়ান বইগুলি গুছাইতে গুছাইতে অত্যন্ত লঘুম্বরে জ্যোংস্কাকে বলিল “আজ থাক জ্যোংক্ষা-দি, গ্রামারের পড়াট কাল ছোড় দাকে দেখিয়ে নেব।” সরসী সরিয়া পড়িলে জ্যোংস্কাকে নিতান্তই এক থাকিতে হয়, ঘরে মানুষ আছে অথচ কথা নাই, সে অবস্থা বড় সঙ্কটময় ; জ্যোংস্কা সরসীকে পড়িবার জন্য একটু ס\ צ সেখ আন্দু QW)》 পীড়াপীড়ি করিল। কিন্তু সরসী আপাদমস্তক-আবৃত৷ দিদির দিকে গোপনে ইঙ্গিত করিয়া অসম্মত হইল। বাস্তবিক দিদিকে সে মারাত্মক রকম ভয় করিত। সরসী উঠিয়া যাইবার উপক্রম করিতেই জ্যোংশ্ন তাহার হাত চাপিয়া ধরিয়া বসিতে ইঙ্গিত করিল। কিন্তু আর তাহাদের কাহারও মুখে কথা ফুটিল না। খানিকট ইতস্তত: করিয়া সরসীর সঙ্গে সঙ্গে জ্যোংস্কাও ধীরে ধীরে উঠিয়া চলিয়া গেল । গ্রীষ্ম-রজনীর জ্যোংস্কার রজতধারায় চারিদিক শুভ্ৰস্নাত ; ঘরের আলোকের উষ্ণত হইতে বাহিরে আসিয়া জ্যোংস্ন। বড় স্নিগ্ধতা অনুভব করিল ; দ্বিতলের বারান্দায় রেলিংয়ের উপর ভর দিয়া নীচে চাহিয়া দেখিল, নীচে লোকজনের ব্যস্ত কোলাহল খুব বেগে চলিতেছে। সে সরিয়া আসিয়া ছাদের দুয়ার খুলিয়া জ্যোংস্কা-পুলকিত নিস্তব্ধ ছাদে মুগ্ধ হৃদয়ে পদ-চালনা করিতে লাগিল । কাল দাদাবাবু' আসিবেন, কালই বেলা তিনটার গাড়ীতে সে কলিকাতা যাইবে । জ্যোংস্না ভাবিতেছিল, আর কখনো ভাগলপুর আসা ঘটিবে কি না কে জানে, কিন্তু লতিকার অভাবনীয় আচরণগুলি তাহার চিরদিন মনে থাকিবে, কি দুর্জয় কঠোর প্রকৃতি । ভাবিতে ভাবিতে ছাদের শেষপ্রাস্তে আসিয়া পৌছিল। সেগান হইতে চাকরদের টানা গৃহশ্রেণী দেখা যাইতেছিল। সৰ্ব্বপ্রান্তস্থ নিকটবৰ্ত্তী গৃহখানার উন্মুক্ত গবাক্ষপথ দিয়া আলোকময় গৃহের ভিতরকার কিয়দংশ দেখা যাইতেছিল ; জ্যোংস্ন দেখিল প্রশস্ত বাতায়নপথে চিমনি রাশিয়া, সেলাইয়ের কলের সামনে মাথায় হাত দিয়া এক গৌরহুন্দর যুবামূৰ্ত্তি নতশিরে বসিয়া আছে ; আলোক মৃদু মুছ বিকীর্ণ হইতেছে, তথাপি জ্যোংস্কার চিনিতে বিলম্ব হইল না, এই যুবাই মোটর-চালক। জ্যোৎস্না সেখান হইতে চলিয়া আসিবার উপক্রম করিতেছে, এমন সময় দেখিল যুব আলোটি উজ্জল করিয়া চিমনি খুলিয়া অনাবৃত অগ্নিতে কতকগুলি কাগজ ছিড়িয়া পুড়াইয়া বাহিরে ফেলিয়া দিল, চিমনি আবার পরাইয়া দিতেই উজ্জলালোকে উপবিষ্ট যুবার পশ্চাতে দণ্ডায়মান আর-এক মূৰ্ত্তি দেখিয়। জ্যোৎস্না বিস্ময়ে স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইল, একি !