পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৩২ - SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS ( ; , ) পরিমলকে লইয়। অাড় হইতে অন্দুি সকাল সকাল প্রবাসী-শ্রাবণ ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড সুশ্রাব্য ভাবে লিথিত । আন্দুকে মামুষের মত মানুষ দেখিয়া লেখিক তাহাকে বিবাহ করিতে চায়। কিন্তু চিঠি ফিরিয়া আসিয়া নিজের ঘরে গেল। বৈকালের শেষে পড়িয়া আন্দুর মন সমস্ত ব্রহ্মাও ধিক্কারে পূর্ণ করিয়৷ ধন্থকধারী আসিয়া সংবাদ দিয়া গেল, লছমীভকত তুলিল। মাতুলালয়ে চলিয়া গিয়াছে। আন্দু খুশী হইল। ধন্থকধারীকে আন্দু বাতি কমাইয় দিয়া, মাথায় হাত দিয়া ভাবিতে বসিল । বিদায় দিয়া, সে আলে জালিয়া জামাগুলি সেলাই করিতে বসিল। গোট দুই জাম৷ সেলাই করিয়া একবার বহিরে ঘুরিয়া আসিতে গেল, দেখিল রহিম মশলা পিসিতে বসিয়াছে, রন্ধনের উদ্যোগ সবই প্রস্বত। আন্দু রহিমকে উঠাইয় নিজেই মশল পিশিয়৷ রন্ধনে লাগিল। রহিম, শেষকালে তাহাকে ঠেলিয়া উঠাইয়া দিল । আন্দু কাজ আর বেশী নাই দেখিয়ু জাম দুটি শেলাই করিবার জন্য গৃহাভিমুখে চলিল। মৃদু মৃদু গান গাহিতে গাহিতে বারান্দায় উঠিয়াই মনে হইল কে যেন ত্বরিতপদে তাহার ঘরের দিক হইতে অন্দরের দিকে চলিয়া গেল ; স্বল্পান্ধকারে আন্দুর অনুমান হইল স্ত্রীলোক ; গান বন্ধ করিয়া আন্দু দ্রুতপদে ঘরে আসিয়া ঢুকিল সত্যই কে আসিয়াছিল বটে, তাড়াতাড়িতে ঘরে শিকল দিতে তুলিয়া, নিজের গুপ্ত আগমনের প্রমাণ রাখিয়া গিয়াছে। গুপ্ত আগন্তুকের বুদ্ধি-ভ্রংশতায় আন্দুর ঠোটের কোণে একটু হাসি ফুটিয়৷ পত্র । BBBB BB BBBB BBBS BB BBB BBBB BBB BBBB BBBB BBBBB BBB BB উদ্বেলিত করিয়া তুলিল। আন্দু ঘরে ঢুকিয়৷ এদিক-ওদিক মুক্তিলাভ করিলে বন্দীর যেমন আনন্দ হয়, তেমনি মধুত্ব BBBS BBB BB BBBB BB BBBS BBBBS tttD DDDBBB BBB BB BBB DDS BBDD BBD DDBS BBB DD DB BBBB BBBB DD DDDD DD tttBB BBBDDB BBB BBBB DD DDDS সরাইয়া আবার সেলাই করিতে বসিল । - পূর্ণ আশ্বাসে, অন্তরস্থ বিচারকের চরণে মাথা নত করিয়া, কলটি টানিয়া সরাইতেই নীচে একথান। পুরু সাদা আলু মনে মনে বলিল, তোমার হস্ত হইতে মাহ আসিয়াছে থামে তাহারই শিরোনাম-লেখা পত্র পাওয়া গেল। তাছাই আমার শিরোধাৰ্য্য, তোমার প্রশ্নের উত্তর তোমার আদুর চক্ষের সমক্ষে জগতের মূৰ্ত্তি ঝাপসা হইয়া গেল । এ যে মেয়েলি হাতের অক্ষর। শঙ্কিত হস্তে থাম ছিড়িয় কর । পত্র উন্টাইয়া স্বাক্ষর দেখিল—স্বধু একটি অক্ষর শাস্ত হইয়া বাতি উজ্জল করিল, চিমনি খুলিয়া চিঠি রহিয়াছে। মুহমান আন্দু দেখিল পত্রের প্রতি অক্ষরে থানি ছিড়িয়া পুড়াইয়া ফেলিয়া দিল। তাহার মনের মধ্যে লেখিকার আদ্যোপাস্ত পুরা চেহারাটি স্পষ্ট দেদীপ্যমান! একটা উচ্ছল-আনন্দ-সঙ্গীতের স্রোত উল্লাসে অধীর হই। অষ্টপৃষ্ঠা-ব্যাপী স্বদীর্ঘ পত্র। আন্দু ঘৃণার ধাক্কায় আতঙ্ক উঠিল। সে নিশ্চিন্তু হইয়া হাতের কাজটুকু সারিতে বসিল, সরাইয়া ধৈর্য্য ধরিয়া পত্ৰখানা পড়িতে লাগিল। চিঠিপানি জগতের কোথাও কোন মুরে যেন এতটুকু ব্যতিক্রম নিজের প্রতি লক্ষ্য একটা ঘৃণার তরঙ্গ উদ্বেলিত হইয়| উঠিল । ছিঃ ছিঃ, এমনি অসতর্ক কুণ্ঠাহীন স্বভাব লইয়। সে রমণী-সমাজের সংস্রবে বাস করিতেছে ! নিজের অজ্ঞাতে এতদূর অসংযতভাবে অপরের চিস্তার বিষয় হইয়। পড়িয়াছে ? কি দুৰ্দৈব ! আন্দুর মনে পড়িল সে আজই প্রাতঃকালে লছমীভকতকে কত সঞ্চুপদেশ দিয়াছে,-আজই সে পথের ধুলায় প্রাণের আনন্দ ছড়াইয়ু আনন্দের তাবেগে পূর্ণ হৃদয়ে ঞ্জোর গলায় গাহিয়াছে,— "তোমার নয়নে নয়ন রাখি চলিব তোমার পথে !" আন্দু চমকিয়৷ উঠিল, একটা শুভ্র দাস্তুনার আলোকে যথেষ্ট স্বরুচিপূর্ণ ভাষায় যথাবিহিত ঔপন্যাসিক বিধানে ঘটে নাই! - গাছ ছিল। মালীর কাছ হইতে উঠিয়া আসিয়া সেই রহিম ক্ষুণ্ণ হইয়া বলিল—“কেন, থাবে না কেন ?" - - __ to . অস্তরের সমস্ত অন্ধকার কাটিয়া গেল,-ঠিক ঠিক, এনে I বিধাতার হস্ত হইতে আসিতেছে—জীবনপরীক্ষার প্রশ্ন চরণের উদেশে উৎসর্গ করিব —আমার অভিমান ক্ষম | 8र्थ ग९५] ] দুটি স্বন্ধে অকস্মাং অপরিচিত কোমল হস্তের স্পৰ্শলাভে আন্দু চমকিয় লাফাইয়া উঠিল । আন্দু কক্ষ ছাড়িয়া উদ্ধশ্বাসে বারান্দ পার হইয়া, গেটের বাহিরে খোলা ময়দানে আসিয়া সটান নিজীবভাবে শুইয়া পড়িল। চন্দ্রালোকের দিকে চাহিয়৷ আন্দুর বড় দুঃখ হইল, আহ, এমন স্বন্দর পৃথিবীর মাঝে, মানুষগুলোর প্রাণ এত কুৎসিত কেন ? দোহাই পরমেশ্বর ! মানুষকে মামুষের গৌরব ভূলিতে দিও না ! অবিলম্বে মালী অসিয়া পাশে ঘাসের উপর বসিল । আন্দু উঠি বসিল। মালী বিদ্রুপের হাসিতে চোখ মুখ খুরাইয়। বলিল “কি ভাই, ভূত দেখেছ নাকি, লাফিয়ে ঘর থেকে চলে এলে ?” আন্দু উদ্বিগ্ন হইয়া বলিল “তুমি কোথা ছিলে মালী ?" রঙ্গরসিক মালী হাসিয়া হাসিয়া বলিল—“আমি যেখানেই থাকি না, তুমি কোথায় ছিলে ?” ' রুদ্ধ কণ্ঠে আন্দু বলিল “কোথা ছিলে ঠিক বল,"—সে মালীর মণিবন্ধ দৃঢ় মুষ্টিতে চাপিয়া ধরিল। মালী ব্যস্ত হইয়া বলিল, “আঃ ছাড়, লাগে। আমি তোমার কাছেই যাচ্ছিলুম, হঠাৎ তুমি ছিটুকে বেরিয়ে আসছ দেখে, থমকে আকবরের ঘরের দোর-গোড়ায় দাড়িয়েছিলুম,—” আন্দু উৎকণ্ঠিত ভাবে বলিল “তারপর? আমার ঘরে গিছলে ?” মালী রঙ্গ করিয়া বলিল “তুমি বেরিয়ে এলে তো আর কার কাছে—" আন্দু রুষ্ট হইয়া কহিল "বস্তু চুপ।"— মালী বলিল—“কে এসেছিল মিঞা ? ওপারের দুয়োর খুলে অন্দরের দিকে চলে গেল ! অন্দর থেকে কেউ এসেছিল নাকি ?” তর্জনীতে টানিয়া কপালের ঘাম ঝাড়িয়া ফেলিয়া আন্দু আশ্বস্ত হইয়া উঠিয় দাড়াইল, স্মিত মুখে বলিল, “ঠ। তিনি । प्रशांद्र भ| !” আন্দু চলিয়া গেল, মালী ফ্যাল ফ্যাল করিয়া চাহিয়৷ ब्लष्ट्रित्न । - - ( SS ) গেটের বাম পাশে একটা শাখা-প্রশাখা-বহুল শিশু সেথ আন্দু を&○ গাছের তলায় দুই হাতের মধ্যে মাথা রাখিয়া আঙ্গু গভীর চিস্তায় মগ্ন হইল। ফুটফুটে জ্যোংস্কার আলো মাটির বুকে লুটাইয় পড়িয়া নীরবে হাসিতেছিল। সারাদিনের গ্রীষ্ম গুমটের পর এতক্ষণে হাল্কা বাতাস ঝিবুঝির করিয়া বহিতেছে । চিস্তার উত্তেজনার আধিক্যে বসিয়া থাকা আব্দুর পক্ষে অসম্ভব হইল। উঠি বাড়ীর চারিপাশে ঘুরিতে ঘুরিতে ক্রমশঃ তাহার চরণের গতি অতিরিক্ত প্রথর হইয়া উঠিল । নিজের অবস্থা নিজের অনুভব করিবার শক্তি যদি তাহার থাকিত, তাহ হইলে এরূপ আকারণ ব্যস্ত ভাবে আপনাকে ঘুরিতে দেখিলে, সে নিজেই হাসিয়া অস্থির হইত। ইতিমধ্যে রাত্রি কয়টা বাজিল, ও সেই প্রকাও বাড়ীখান আলু কয়বার প্রদক্ষিণ করিল, তাহার হিসাব কেহই জম-খরচের খাতায় টুকিল না। গাঢ় ভাবনায় ক্ৰকুটবন্ধ ললাটে,নিপলক দৃষ্টিতে, গ্রীব। উচাইয়া ঝোকের ভরে চঞ্চল চরণে সে অবিশ্রাম ঘুরিতেছিল। আন্দু মনে মনে হিসাব খতাইয়া দেখিতেছিল, যে, ঘটনাস্রোতের বিরুদ্ধে সে কি করিয়া মাথাটা সোজা করিয়া রাখিবে ! সাতার কাটিতে অনেকে জানে, কিন্তু মাঝ দরিয়ায় পাছে হাতপাগুল অবাধ্য অসাড় হইয়া পড়ে, সাতার কাটিবার আগে নিজের শক্তি থতাইয়। ঐটুকু বিবেচনা করা দরকার। উচ্চ কণ্ঠের ডাকাডাকি শুনিয়া আন্দুর চমক ভাঙ্গিল। চলিতে চলিতে থমকিয়া দাড়াইয়া দেখিল—রহিমা গেটের কাছ হইতে তাহাকে ডাকিতেছে। আন্দু গেটের নিকটে আসিতে রহিম বলিল—“রাত যে বারোটা বাজতে চল্প, থাবে কখন ?” কথাটা কানে গেল বটে, কিন্তু মুহমান আন্দু তাহার মানে কিছুই বুঝিল না, চিন্তাকুল মুখে দুই হাতে সজোরে মাথার চুলগুলো ধরিয়া টানিতে লাগিল। রহিম বিস্থিত হইয়া বলিল—“কি, রকম কি ? নেশা টেশা কিছু করেছ নাকি ? ও আলু, খাবে কথন ?" - সবেগে মাথাটা ঝাড় দিয়া আন্দু বলিল “খাওয়া ? ও! না চাচা, আমার আজ থিদে নেই। তুমি খেয়েছ ত? আচ্ছা শোও গে যাও, আমি থাবনা ।”