পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ΦΦυ.

  • مہم^*مہممبرابر s

ন হইলেও, আজ তাহাই কেবল মনে পড়তেছে। কার্ধ্যে একাগ্রতা, তাহ স্বসম্পন্ন করিবার ঐকান্তিক চেষ্টা, শৃঙ্খলা, কৰ্ত্তব্যসম্পাদনে প্রাণপণ চেষ্টা, তাহাতে-অতুল আনন্দ অনুভব, অবস্থা বুঝিয়া ব্যবস্থা; তাহার মধুর স্বভাব, মিষ্টভাষণ, গুণের সমাদর, অন্যায্যের অনাদর প্রভৃতি তাহার প্রতি কার্য্যে প্রতিভাত । আপ্যায়ন সমাদরে, আত্মীয়তা করিতে তিনি খাটি বাঙ্গালী ছিলেন ; সময়ের সদ্ব্যবহারে, যথাসময়ে ঘড়ির কাটার ন্যায় কাৰ্য্যসম্পাদনে, রাজকীয় কাৰ্য্যকলাপে, আহারে নিয়মে, তিনি ছিলেন ইংরেজের মত। প্রতিদিন শষ্যাত্যাগ করিতেন অতি প্রত্যুযে, ঠিক মিনিট ধরিয়া একই সময়ে ; প্রাতঃকৃত্যেও সেই নিয়ম, ভগবানের আরাধনাতেও তাই। প্রার্থনাতেও। তংপর লিখতেন চিঠিপত্র, নিজের ও অৰ্দ্ধসরকারী। বাহিরে আসিতেন ঠিক সাতটায় ; অৰ্দ্ধঘণ্ট। সমাগত ভদ্রমণ্ডলীর সহিত আলাপ, আপ্যায়ন, এবং ব্যক্তিগত কায্যের কথা হইত। ৭ টায় সদর বৈঠকখানায় সমাগতজনের প্রত্যেকের অভাব অভিযোগ শুনিয় মিষ্ট কথায় সকলকে তুষ্ট করতেন ; উপস্থিত ভিক্ষার্থীদিগকে কিছু কিছু দান করিয়া ভ্রমণে বাহির হইতেন। প্রার্থীর অভাব মোচন করিতে সৰ্ব্বদা তিনি সচেষ্ট থাকিলেও, সকল সময় সকলের স্বর্থ রক্ষা করিতে পারিতেন না, বলাবাহুল্য ; কিন্তু নিরাশ ব্যক্তিকেও বলিতে শুনিয়াছি, “লোকটার মুখ কি মিষ্ট, কথা শুনলে আর কোন ক্ষোভ থাকে না।" কাহার কোথায় অস্থখ, কোন পান্থশালা, ঠাকুরবাড়ী, অনাথ আশ্রম কেমন চলিতেছে, সহরের কোন স্থানে কি হইলে সুবিধা হয়, ইত্যাদি তথ্য ভ্রমণকালে স্বয়ং স্থানে স্থানে উপ স্থিত হইয়। সংগ্ৰহ করিতেন। বাসায় ফিরিতেন ঠিক সময় । স্বান করিতেন প্রতিদিন সমতাপবিশিষ্ট জলে, আহার রোজ সমওজনের তণ্ডুলের অন্ন, নিয়মিতসংখ্যক ব্যঞ্জন সহকারে। বিশ্রামের পর আদালতে যাইতেন ঘড়ির কাটার মত, ফিরিতেনও প্রায় এক সময়ে। বিশ্রাম, মুক্ত বায়ুসেবন, সন্ধ্যাবন্দনা, সকল কাৰ্য্যেই তাহার বাধাবাধি नियम ६ मिहेि गभग्न झिल-दि८णग ८कान कार्या दाउँौज्र তাহার অন্যথা কখনও হয় নাই। কৰ্ম্মবীর মহা শোকের কালেও কৰ্ত্তব্যকাৰ্য্য নিয়মিত সম্পাদন করিয়াছেন,— প্রবাসী-ভান্দ্র, ১৩২১ - SAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAASSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS SS MSMSMSMMS কার্য্যে তিনি সংসারের সকল চিস্ত বিশ্বত হইতেন, কৰ্ম্মই ছিল তাহার স্বথ, শাস্তি। রাত্রিতে রাজকাৰ্য্য অতি অল্পই হইত। সেসময় বন্ধুবান্ধব, প্রধান প্রধান কৰ্ম্মচারী লইয়৷ নানাবিষয়ের আলোচনায়, সাময়িক পত্র, ইংরাজি বাঙ্গালা মাসিক, নবপ্রকাশিত পুস্তকাদি পাঠে অতিবাহিত করিতেন। নিজে পড়িতেন । ছেলের পড়িয়া শুনাইত ; এজন্য একজন কৰ্ম্মচারী ছিলেন, তিনি বিবিধ তথ্যের সার সঙ্কলন করিয়া সেই আসরে পাঠ করিতেন। ফলে, সভ্য জগতের জ্ঞাতব্য ঘটনা, মতবাদ, সাহিত্য প্রতৃতির নিত্য stsi it:ta (up-to-date information) itute fsfa অদ্বিতীয় ছিলেন। কোন বিষয়ে পশ্চাতে পড়িয়া থাকাকে তিনি অতি লজ্জার বিষয় মনে করিতেন। র্তাহার জীবনের মূলমন্ত্র ছিল—‘অগ্রসর হও ; নিজকে সম্পূর্ণতা দান কর, আরদ্ধকাৰ্য্যকে প্রাণপণ করিয়া ও সম্পূর্ণতা দিয়া অতুল আনন্দের অধিকারী হও।' এই মন্ত্রের বলেই, তিনি জীবনে জয়ী , বালো "বল্লার' পাঠশালায়, কৃষ্ণনগরের কলিজিয়েট স্কুলে, কলিকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে মেধাবী ছাত্র বলিয়া পরিচিত হইয়াছিলেন, বি, এ, পরীক্ষায় সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিতে পারিয়াছিলেন । কি আইন পরীক্ষায় কি মুনসেফিতে, ডেপুট গিরীতে, কুচবিহারের দেওয়ানরূপে, এই নীতিতেই তিনি সকল কাজে সম্পূর্ণ সাফল্য ও স্বখ্যাতি অর্জনে সমর্থ হইয়াছিলেন। ১৮৬৯ খৃঃ যখন তিনি কুচবিহারের দেওয়ান পদে অধিষ্ঠিত হন, তখন উক্ত রাজ্যের অবস্থাই বা কি ছিল, আর যখন ১৯১১ সনে ৪২ বৎসরের উপর দেওয়ানী করিয়া কৰ্ম্ম হইতে অবসর গ্রহণ করেন, তখনই ব। কুচবিহারের কি উন্নত অবস্থা, তাহা পৰ্য্যালোচনা করিলেই এই মনস্বীর কৃতিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। রাজ্যের আয় তাহার কালে ১৪ লক্ষের উপর বৃদ্ধি পাইয়াছে ও পূৰ্ব্বে যেস্থান ব্যাঘ্রভম্বুকের আবাসভূমি ছিল, এখন সৌন্দর্ঘ্যে, স্বাস্থ্যে ও নান। সুবিধার জন্য তাহা উত্তর বঙ্গের শীর্ষস্থানীয়। দেওয়ান বাহাদুর নিজে খুটিয়া খুটিয়া যে স্থানে যেটি হইলে নগর হুসজ্জিত, স্বরম, ও সম্পূর্ণ হয়, সেপানে সেইটির ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। কলেজ, বোডিং, অনাথ-আশ্রম, অতিথিশালা, পান্থশালা, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । ৫ম সংখ্যা ] ইত্যাদি স্তহারই চেষ্টার ফল,-তাহারই মন্ত্রিত্বের কীৰ্ত্তি । কোথাও ষ্টেটের সাহায্যে, কোথাও বা ধনীকে উৎসাহিত করিয়া, অন্যত্র নিজ অর্থ সাহায্যে তিনি নানা সংকার্যের অম্বষ্ঠান করিয়াছেন। তাহার প্রতিকাৰ্য্যই স্থায়ী ভাবে সম্পাদন করিবার চেষ্টা ছিল। ইহার ফলে কুচবিহাররাজ্য রাস্তাঘাটে, অট্রলিক ইমারত প্রভৃতিতে এরূপ উন্নত। সাধারণ হিতকর কাধ্যে অধিবাসীগণ অপেক্ষ তাহার উৎসাহই বেণী ছিল, ধৰ্ম্মমন্দিরগুলির প্রতিষ্ঠাকল্পে সেই সেই ধৰ্ম্মাবলম্বী তাদৃশ তৎপরতা প্রদর্শনে বিমুখ হইলে তিনি প্তাহাদিগকে আহ্বান করিয়৷ বলিয়াছিলেন “সে কি হয় ? আপনাদের একট। সাধারণ উপাসনার স্থান থাকিবে না। লাগিয়া পড়ন, পশ্চাতে আমিই আছি।" সকল কার্যোই ছিল তাহার এইরূপ উৎসাহ-উক্তি । কৰ্ম্মীপুরুষ কৰ্ম্মে স্বাক্সহার হইতেন। তাহার মধ্যে কবিত্বেরও অভাব ছিল না, আশ্রমাদির অবস্থান ও ব্যবস্থা দেখিলেই তাহা স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। র্তাগর জ্যেষ্ঠ পুত্র যখন সিভিলিয়ান হষ্টয়া স্বদেশে ফিরিবেন, তখন দেওয়ান পুরকে লিথিয়ছিলেন, বিলাতের চিহ্ন আমার জন্য কি আনিবে ? আনিও সেই পবিত্র রেণু—মহাকবি সেক্সপিয়র যেস্থানে ভূমিষ্ট হইয়াছিলেন—তাহার তুলনা আছে কি ?” তাহার জন্মভূমি ষ্ঠাহীর চক্ষে স্বৰ্গ ছিল, দেশের নিজ ক্ষেত্রের ধান্য তিনি ব্যবহার করিতেন, বলিতেন, "মেড়ালের তৃণগাছটিও আমার পক্ষে পবিত্র সংসারের সর্বাপেক্ষ স্বন্দর বস্থ ।" মেড়ালে, তাছার স্ত্রীর স্মৃতি-মন্দির বিদ্যালয় ইত্যাদি প্রেম ও পূণ্যের নিদর্শন। কালিকাদাসের হৃদয় ছিল, ক্ষমতা ছিল। সৰ্ব্বাপেক্ষ সৌভাগ্য তাহার তিনি বিস্তৃত কৰ্ম্মক্ষেত্র প্রাপ্ত হইয়াছিলেন ; প্রভুরূপে র্যাঙ্গকে প্রাপ্ত হইয়াছিলেন, তিনিও ছিলেন মহাপ্রাণ, নানাগুণে ভূষিত মহারাজ নৃপেন্দ্রনারায়ণ ভূপ বাহাদুর। এহেন মুক্তহস্ত কৰ্ম্মবীরের সহায়তায় কালিকাদাস এরূপভাবে সাফল্য লাভে সমর্থ হইয়াছিলেন। প্রভূর প্রশংসা সহাহভূতির সহিত গভর্ণমেন্টের প্রশংসা ও সি, श्रांडे हे উপাধিতে ভূষিত হইয়াছিলেন। মহারাজা দেওয়ানকে বিশেষ সম্মানের চক্ষে দেপিতেন, কালিকাদাসও প্রভুর জন্য প্রাণ দিতে প্রস্তুত ছিলেন । প্রভু পরলোকে, প্ৰভু ভক্ত অমাতাও উহার সহিত চির সুখময় রাজ্যে মিলিত হইলেন। ভগবান ঠাহীদের আত্মার কল্যাণ করুণ । "দেওয়ান বাহাদুরের দুইটি কৃতী পুত্র ও তিনটি কন্যা এক্ষণে বর্তমান। তাহীদের কৰ্ম্মবীর পিত। স্বকাৰ্য্য স্বসম্পন্ন করিয়া মহাযুখে স্বৰ্গরাজ্যে অবস্থিত,—ইহাই তাহাজের শান্তি ।" মন্দির, হিন্দুর ধৰ্ম্মশালা, জেল, মন্দির, মহম্মদীয় মসজিদ | - বিবিধ প্রসঙ্গ-ভারতন্ত্রীমহামণ্ডল ഹാൺ o ভারতস্ত্রীমহামণ্ডল । ভারতীমহামগুলের কলিকাতা শাখার সম্পাদিক প্রযুক্ত কৃষ্ণাভাবিন দাস মহাশয় লিথিয়াছেন – "মঙ্গলময় বিধাতার আশীৰ্ব্বাদে ভারতীমহামণ্ডল চারি বংসর পূর্ণ করিয়া পঞ্চম বংগরে পদার্পণ করিয়াছে । এখনও অতি সন্তৰ্পণে অতিক্ষত্ত্বে ইহাকে পালন করিতে হইবে । অধ্যবসায় ও উৎসাহের বারিসেচনে ইহাকে পুষ্ট ও সতেজ রাখিতে হইবে। গত তিন বৎসরের বার্ষিক বিবরণীতে প্রবাসীর পাঠকপাঠিকারা জানিয়াছেন যে এই সমিতি ক্রমশঃ কাৰ্য্য বিস্তার করিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছিল। বৰ্ত্তমান বংসরের প্রথমেই ব্যয়ের অপেক্ষ। আয় এত বেশী হইয়াছিল যে সমিতি এপ্রেল মাসে ১৯১৩ সালের ১৩.২ টাক। ঋণের মধ্যে ৮-১২ টাকা পরিশোধ করিতে সক্ষম হইয়াছিল। "হঠাং আগষ্ট মাসে ইউরোপে মহাসমর আরম্ভ হওয়ার দেশের সর্বত্র ভয়ানক হুলস্থুল পড়িয়া গেল। অন্তান্ত । অনেক দাতব্য কাজের ন্যায় ভারতন্ত্রীমহামণ্ডলেরও কিছু ক্ষতি হইতে লাগিল। উৎসাহদাতাগণ কেহ বা চাদ বদ্ধ করিলেন, কেহ বা কমাইয়া দিলেন। আমরা কিং পরিমাণে নিরাশ হইয় পড়িলাম। কিন্তু ভগবানের উপর নির্ভর করিয়া আমরা এই অন্ত:পুরস্ত্রীশক্ষাকার্য্যে অগ্রসর হইয়াছিলাম, বিপদের সময়ও তার দয়া ও ইচ্ছার উপর নির্ভর করিয়া চলিতে লাগিলাম। নানারূপে-বাম্বের লাঘব করিয়া, গাড়ী কমাইয়া দিয়া, কোনরূপে আয়ব্যয়ের সামঞ্জস্য রক্ষা করিয়া চালাইতে লাগিলাম। এখানে ইহাও উল্লেখ করা উচিত যে ভারতন্ত্ৰীমহামণ্ডল একটি কো-অপারেটিভ ইনষ্টিটিউশন—অর্থাং সমবায়-সমিতির ন্যায়। ইহার প্রতি মেম্বর, প্রতি ছাত্রী, প্রতি শিক্ষয়িত্রী ইহার স্থায়িত্ব ও উন্নতির জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করেন। এই দুঃসময়ে ছাত্রীদের অভিভাবকগণ কেহ বা গাড়ী দিম, কেহ বা ২১ টাকা বেশী বেতন দিয়া সমিতির সাহায্যকরিতে লাগিলেন। শিক্ষয়িত্রীগণ ছুটির মাসে অৰ্দ্ধবেতনে এবং কয়েক মাস অল্প পারিশ্রমিক লইয়া কাজ করিয়াছেন। এ নিমিত্ত মহামণ্ডল শিক্ষয়িত্রী ও ছাত্রীদের অভিভাবকগণের নিকট কৃতজ্ঞ । “এইরূপে চারিদিকের সাহায্য পাইয়া, সমিতি যুদ্ধারণ্ডে ধে ধাৰু। পাইয়াছিল, বংসরের শেষে তাহ সামলাইয়া লইল । সমস্ত বৎসরের আহ্বান্ধ মিলাইয়া দেখা ৰাইতেছে, যে গত বৎসর যুদ্ধের হাঙ্গাম সত্ত্বেও সমিতির আর্থিক অবস্থা অনেক ভাল ছিল। ঋণ পরিশোধ না করিলে প্রায় ১৩.২ টাকা উদ্বৃত্ত থাকিত ।