পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হইলে তাহ ছাড়া আরো « ጓbr «-- সহজভাবে আপন আপন কাজ করিয়া যাইতে পারে বলিয়৷ আমার বিশ্বাস । পুরুষেরা যে যুদ্ধকার্য্যে বেশী দক্ষ ও স্ত্রীলোকেরা যে সেবা ও শুশ্ৰুধার কার্য্যেই বেশী পটু তাহাতে সন্দেহ নাই। । - - মিস উইনফ্রেড এমিরি—আত্মরক্ষার জন্য স্ত্রীলোকদের বায়াম, বন্দুকছোড়া অভ্যাস করা দরকার বটে। তবে দেশ রক্ষার জন্য তাহার যুদ্ধ করিতে যাইবে ইহ। আমি কোনে মতেই বাঞ্ছনীয় মনে করি না। সৈন্যসংখ্য পুষ্ট করিবার জন্য এক পুরুষজাতিই যথেষ্ট । রাইফেল চালানোয় ওস্তাদ মিস এগনিস হাৰ্ব্বার্ট লিথিয়াছেন—ন, স্ত্রীলোক যে কখনো সৈনিক হইতে পারে এ আমি একেবারেই সম্ভব মনে করি ন এবং সৈনিক হইবার জন্য নারীর যে নি:সঙ্গ জীবন যাপন করাটা এত প্রয়োজন কেন তাহাও বুঝি না। সাধারণত: অবিবাহিতা ও বিধবাদের চেয়ে বিবাহিত বুদ্ধাদেরও বেশী সাহস দেখিতে পাওয়া যায় এবং বাস্তবিক তাহারাই বেশী যুদ্ধপটু যেহেতু সংসারের সহিত তাহারা নিত্যই যুদ্ধ করিতেছে। আপনার যে কৌমার্যোর কথা বলিয়াছেন, কৰ্ম্মঠ স্বাস্থ্যসম্পন্ন ও স্থিরচিত্ত হইতে কিছুর প্রয়োজন আছে। পাচশত স্ত্রীলোকের ভিতর একজন কুমারী বাছিয়া লইলে হয় তো আপনারা যে আদর্শ চাহিতেছেন তাহার অন্তত কাছাকাছিও হইতে পারে, কিন্তু যদি আপনার এহেন কুমারীর দল কলের বলে হাজার হাজার তৈরি করিতে চান তাহা হইলে তাহার মূল ও কাৰ্য্যকারিত। রহিল কোথায়? যুদ্ধে পুরুষসৈন্য নারীসৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযান করিবে এরূপ কথনোই হইতে পারে না। কারণ সেটা প্রাকৃতিক নিয়মের একান্ত বিদ্রোহিত ছাড়া আর কিছুই নয়। স্ত্রী-পুরুষের জাতিগত যুদ্ধ একটা ঘোর প্রাকৃতিক বিপ্লব ছাড়া আর কি ? কাজে কাজেই প্রমীলাদলকে প্রমীলার দলের বিরুদ্ধেই দাড় করাইতে হইবে। তারপর দেখিবেন, দুইদল মুখোমুখি করিয়া দাড়করাইয় প্রস্তুত হইতে হইতে কাৰ্য্য আরম্ভ করিবার আগেই বিবাদের কারণটা যে কি তাহার আর কোনো পাত্তাই পাওয়া যাইবে না—পরস্পরের প্রতি জিঘাংসাও কোথায় প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩২২ [ » (to ভাগ, ১ম খণ্ড


ー・ヘヘヘヘヘヘヘー・ヘヘヘヘヘ*~

উবিয়া যাইবে । কোথায় তখন যুদ্ধ আর কোথায় কি। বিশ্বের সর্বত্রই স্ত্রীলোকের ঠিক এই এক ছাচেই তৈরি। তবে বিবাহের বাজারের সমস্যাট সমাধান করিবার পক্ষে এ ব্যবস্থাটা মন্দ নয়। মেয়েদের যুদ্ধে পাঠাইলে আমাদের বর্তমানের পুরুষ-পিছু-সাতটি-স্ত্রী-অবস্থাট। অনেক পরিমাণে সরল হইয়া যায়। আর একটা জিনিস– স্ত্রীলোকের মোটেই দলবদ্ধ জীব নয় অথচ জগতের একমাত্র মাংসাশী দলবদ্ধ জীব হইতেছে সৈনিকগণ । যাহা হোক ছেলেদের মত মেয়েদেরও শারীরিক শক্তির অনুশীলনের পরামর্শটা মন্দ নয়, ইহার দ্বারা তাহদের মান সিক উন্নতিও হইতে পারে। ইংলণ্ডে নিম্নশ্রেণীর স্ত্রীলোকর। ভয়ঙ্কর মৃঢ় ও অশিক্ষিত এবং মানসিক অবস্থায় তাহার একই স্তরের পুরুষদের চাইতেও ঢের নীচে । এবং ইহাদের পুত্রসন্তানরা অতি অল্প সময়ের মধ্যেই কন্যা-সন্তানদের চাইতে ঢের বেশী মানসিক উৎকৰ্ষ লাভ করে। স্ত্রীলোকদের যুদ্ধ করিতে হইলে সব সৈন্যই কিছু বড়-ঘর হইতে লওয়া চলিবে না—ডাকপিয়নের দিদি, কনেষ্টবলের পিসি, টমি এটকিনের বোন এই-সব অশিক্ষিত মোটামুদ্ধি নিয়শ্রেণী হইতে অধিকাংশ সৈন্য সংগ্ৰহ করিতে হইবে—ইহা অস্বীকার করিলে চলিবে না। এইসব নিম্নশ্রেণীর স্ত্রীলোকগুলাকে যুদ্ধশিক্ষা দিয়া তাহদের যদি ওয়েলিংটনের মত করিয়া তোলা যায় তথাপি ইহাদের উপর নির্ভর করা ভয়ানক বিপজ্জন জ্জনক। কারণ এক মুহূর্বের বিপত্তিতে কত বছরের শিক্ষাসাধন চকিতে কোথায় ভাসিয়া যাইতে পারে তাহার ঠিক ঠিকানা নাই। বন্দুকছোড়া আমি লজ্জার কথা তো মনেই করি না বরং দরকারী মনে করি । কি-জনির কথা বলা যায় না—উহারই উপর তো একদিন পেটের ভাত নির্ভর করিতে পারে। ভয় দেখাইয়া দুষ্ট লোকরা যে ইংলণ্ড-আক্রমণের কথ। রটাইতেছে, বাস্তবিকই যদি তাহাই ঘটে তবে সেরকম বিপদকালে আমি অবশুই কামানের পিছনে পুরুষসৈন্য তার পিছনে যে নারী সৈন্য তার পিছনে থাকিয়৷ ইংরেজ নারীর গৃহরক্ষার জন্য প্রাণপণে সাহায্য করিতে রাজী আছি। আবার বলি, সৈনিক হইয়। দেশের জন্য লড়িতে আমি রাজী নই। তবে যুদ্ধের সময় আমি হয় | ৫ম সংখ্যা ] ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ・マー・ヘイ***** প্রমীল সৈন্যদলের সহিত যত্রতত্র গিয়া যুদ্ধের সংবাদদাতার কাজ করিতে পারি। আমার বিশ্বাস সে লেখাগুলি সংগ্ৰহ করিয়া রাখিবার মত হইবে । ডরিলেন থিয়েটারের বিখ্যাত মিস মারী জর্জ লিখিয়াছেন—বিপদে পড়িলে স্ত্রীলোকর পুরুষের মত দেশের জন্য লড়িলেও লড়িতে পারে এবং-আত্মরক্ষার জন্য বন্দুক চুড়িতে শেখার প্রয়োজনীয়তা আমি স্বীকার করি। কিন্তু তাহার যে সৈনিক হইবার উপযুক্ত, বা কখন তাহার উপযুক্ত হইবে, এরূপ বিশ্বাস আমার নাই। গৃহই স্ত্রীলোকের যোগ্য স্থান, যুদ্ধক্ষেত্র নয় । পুরুষ বেচারাদের জন্য কিছু বাজ রাখিতে হইবে বৈকি নহিলে তাহার। আর করিবে কি ? অবশেষে আমরা বিখ্যাত ফরাসী অভিনেত্রী সারা বার্ণহার্ডটের অভিমত তুলিয়া দিতেছি- আমার মনে পড়ে আমি যখনু প্রথম ডিউক রিকষ্ঠাডের ভূমিকা লইয়া রঙ্গমঞ্চে আসিয়া নামি তখন আমার মনে হইয়াছিল যে কোনো বড় কাজ করিতে গেলে আমরা স্ত্রীজাতি বলিয়৷ বিশেষ কিছুই আসিয়া যায় না। আমি শুধু রঙ্গমঞ্চে বড় লোক সাজি বার কথা বলিতেছি না, প্রকৃত জীবনের কথাই বলিতেছি । দুৰ্ব্বল চরিত্রের স্ত্রী লোকরাই অবল—সকলে নহে। বিপ্লবের সময় রণরঙ্গিণী নারীর দল ষোড়শ লুইকে যখন ভাসে ঈ হইতে টানি৷ আনিয়াছিল তখন ফরাসীরাজ নিশ্চয়ই নারীজাতিকে নিতান্ত অবল ঠাওরান নাই । দেখিয়া শুনিয়া যাহ। বুঝিয়াছি তাহাতে মনে হয় অন্য সকল দেশের স্ত্রীলোকের চেয়ে ফরাসী স্ত্রীলোকরাই দৃঢ়প্রতিঙ্গ সাহসী ও উপযুক্ত বেশী । বিপদে পড়িলে শত্রুর কাছে তাহার নারীত্বের দোহাই দিয়া প্ৰাণ বাচাইতে চাহে না । জাদার্ক যেমন একজন যুদ্ধনায়িক হইয়াই জন্মিয়াছিলেন—তেমনি পুরুষদের অবস্থা যদি স্বভাবতই শোচনীয় হইয়। দাড়ায় তাহ। হইলে আমন অনেক নারীযোদ্ধাই বাহির হইয়া লেডী মাকবেথের মত গর্জন করিয়া বলিতে পারে—"আমায় দাও ছোরাখানা, আমায় দাও ।" নানান মুনির নানান মত হইবেই। তবে বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা দেখিতে পাইতেছি যুরোপের যুদ্ধে স্ত্রীলোকরা যোগ দিয়াছেন। আয়ালাণ্ডের পুরুষের যুদ্ধে & রুশ-নারী সেনাধক্ষ । - - মাদাম কোকোভ২সেভা ৬নং উরাল বসাক রেজিমেন্টের কর্ণেল , - তিনি যুদ্ধে দুইবার আহত হইয়াছেন । বীরত্বের জন্ত সেন্ট জর্জের কুশ পুরষ্কার পাইয়া সম্মানিত হইয়াছেন। গিয়াছেন, গৃহরক্ষার জন্য স্ত্রীলোকেরা সৈন্যদল গঠন করিয়াছেন , বেলজিয়ম ও ফ্রান্সের অনেক নারী সৈন্যদলে ভৰ্ত্তি হইয়। বীরত্ব দেখাইয়া পুরস্কৃত ও উচ্চ সম্মান (Legion d'honneur) পাইয়াছেন ; সম্প্রতি রুশিয়ার সেনা-বিভাগে ৪০০ নারী ছদ্মবেশে ভৰ্ত্তি হইয়া যুদ্ধে গিয়া