পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| 88 প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ いヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘッ。ッい* パッ ・ ・ ・ SMSMS SMSMSMSM SMS SJSMSMS শ্রীবৃন্দাবনে যে সোনার তালগাছের কথা শুনা যায়, উহা অনুমানিক প্রায় ৪০ হাত উচ্চ সুবর্ণমণ্ডিত এক গড় রপ্তম্ভ, উহ। এই মন্দিরপ্রাঙ্গণেই অবস্থিত আছে। এই দেবালয়ের ভিতর একটি চতুর্দিক বাধান সরোবর আছে। ইহা খুব বৃহং ন হইলেও এত বড় সরোবর তথায় অতি অল্পই আছে । এই মন্দির নিৰ্ম্মাণের ব্যয় সম্বন্ধে একজন গ্ৰন্থকার লিখিয়াছেন ৪৫ লক্ষ টাকা, অন্য লেখক লিপিয়াছেন ৩ কোটী টাকা । আমাদের কল্পনা সহাজির মন্দিরের বারান্দায় পাকান শ্বেত পাথরের থাম। এইরূপ শুনিতে পাওয়া যায়। তন্মধ্যে শ্ৰীগোবিন্দ, শ্ৰীমদনমোহন, শ্ৰীগোপীনাথ, শ্রীরাধারমণ, শ্ৰীগোকুলনন্দ, শ্রীরাধাদামোদর, ও শ্রীশ্যামসুন্দরের কয়টি মন্দিরই সাত দেবালয় বলিয়া পরিগণিত হইয়৷ থাকে এবং এইগুলিই প্রধান । - উক্ত সকল দেবালয় ভিন্ন অপেক্ষাকৃত আধুনিক অনেক বৃহৎ ও সুন্দর সুন্দর দেবালয় আছে, তাহার মধ্যে শেঠেদের ঠাকুরবাটী, সা-জীর মন্দির ও লালাবাবুর মন্দির বিশেষ উল্লেখযোগ্য। শেঠেদের কীৰ্বিসকল না দেখিলে উহাদের অতুল অর্থব্যয়ের কল্পনা করা যায় না। উহাদের দেবালয় ও তন্মধ্যস্থিত স্বর্ণ-রৌপ্য-রাশি, উদ্যান প্রভৃতি সকলই এক অসাধারণ ব্যাপার, না দেখিলে তাহার ধারণা করা অসম্ভব । সমগ্র মন্দির বা দেবালয়টি এত বৃহৎ, উচ্চ ও এরূপ-আকারবিশিষ্ট যে উহ একটি স্বরক্ষিত লোহিত প্রস্তর-নিৰ্ম্মিত কেল্লার ন্যায় মনে হয়। দুই দিকের দুইটি দ্বিতীয় প্রবেশদ্বারের উপর অতি উচ্চ চূড়া আছে, তাহাতে বহু দেবদেবীর ও অন্যান্য মূৰ্ত্তি আছে। তদ্ভিন্ন আরও কয়েকটি উচ্চ চুড়া আছে। অভ্যন্তরে শ্রীরঙ্গজীর মূৰ্বি বিরাজিত। করিবারও ক্ষমতা নাই যে এই মন্দির নিৰ্ম্মাণের ও সমস্ত আসবাবপত্রের ব্যয় কত । সহাজির মন্দিরমধ্যস্থ বাসষ্ঠী গৃহের কিয়দংশ। এই মন্দিরের অতি নিকটেই একটি সুন্দর - [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড , ১ম সংখ্যা ] সুবৃহৎ বাট ও তৎসংলগ্ন বৃহৎ বাগান আছে ; উহা সান্ধ্য ভ্রমণের পক্ষে একটি রমণীয় স্থান। যমুনাতীরে "যমুনাবাগ” নামে মথুরায় উইদের আর-একটি উদ্যান আছে, তাহ। ইহা । অপেক্ষ বহু গুণে শ্রেষ্ঠ । এইসকলের উপস্থিত মালিক কলিকাতার সুপ্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী শ্রযুক্ত লছমি চাদ রাধাকিশন। আধুনিক মন্দিরগুলির মধ্যে ইহার পরই সা-জীর মন্দির। ইহার আকার ও আনুসঙ্গিক সকলই শেঠেদের মন্দিরের তুলনায় অনেক হীন হইলেও 8&

  • ヘーベーヘーヘヘヘヘヘヘ

৮ সৌদর্ঘ্যে ইহাকেই লোকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া থাকেন। বাস্তবিকই ভিতর ও ঐরাধাকুণ্ডের অপর পার্থ; বাহির সমস্ত কারুকার্য্যময় শ্বেতমশ্মরে মণ্ডিত, বরাদায় শ্বেত পাথরের পাকান খামগুলি দেখিয়া, আর সেই ঝুলনের সময় সহস্ৰ আলোক ও বহু ফোয়ারায় পূর্ণ,শ্বেতপুপমালো শোভিত সৌগন্ধে আমোদিত “বাসন্তীগৃহ” ও তন্মধ্যে শ্রীরাধাকৃষ্ণের মূৰ্ত্তি বিরাজিত ও অন্যান্য সুসজ্জিত গৃহগুলির স্বৰ্গীয় প্রখ্যামকুণ্ড । শোভা দেখিয়া কে-না মোহিত হইবেন ? মনে হয় ইহা বুঝি কোন স্বপ্নরাজ্য । এই মন্দির লক্ষেীনিবাসী শাহ বিহারীলাল *3 তৎপুত্র কুন্দনলাল । প্রস্তুত করাইয়া শ্রীরাধারমণ নামক বিগ্রহ স্থাপন করেন। মন্দিরের প্রথম সোপানশ্রেণী অতিক্রম করিয়া দ্বিতীয় সোপানের ঠিক উপরে মৰ্ম্মরমণ্ডিত মেঝের উপরে বিভিন্ন বর্ণের প্রস্তর সংযোগে মন্দিরের অধিকারী পৌভ্রাদি লইয়া বসিয়া রহিয়াছেন তাহার চিত্র আছে। উহা ঠিক পথের উপর থাকায় লক্ষ লক্ষ লোক দেখিয়া ব। ন-দেপিয়া পদদলিত করিয়া যাইতেছে। এই চিত্রে অঙ্কিত মহাত্মাদের নিরভিমান দৈন্যভাব দেখিয়া মনে হইল । ইহারাই প্রকৃত বৈষ্ণব । এই চিত্রের কিছুদূরে বিহারীলালের কামদারের ( প্রধান কৰ্ম্মচারী ) একটি চক্ষুহীন ছবি আছে। কথিত