পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—বৈ শাখ, ১৩২২ - ヘー、ヘ/ ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ এই অত্যুচ্চ বৃহদায়তন মন্দির নিম্মাণ -- নিধুবন । আছে ঐ কমিদার মন্দির নিৰ্ম্মাণের সময়ে বহুব্যয়ে মন্দিরের বাহিরের শ্বেত প্রস্তরের স্তম্ভ ও অন্যান্য কাজগুলির পরিবর্তে অন্য কোন অল্পমূল্যের প্রস্তর দিবার জন্য মালিককে পরামর্শ দিয়াছিলেন, এই কারণে মন্দির নিৰ্ম্মাণ হইলে কামদার তাহ দেখিতে পারিবেন না বলিয়া মালিক চিত্রে তাহার চক্ষু অন্ধ করিয়া দিয়াছেন। আকার ও সৌন্দর্যে এইসকল মন্দির শ্ৰেষ্ঠ হইলেও স্থাপত্যসৌন্দর্য্যে গোবিন্দজীর পুরাতন প্রস্তরনিৰ্ম্মিত হুবুহ২ মন্দিরটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য । অধুনা ইহার পূৰ্ব্বশী লোপ পাইলেও এখনও বুঝিতে পারা যায় ইহা একটি অলৌকিক কারুকার্য্যসম্পন্ন অতু্যচ্চ প্রাচীনকান্তি ও শিল্পের নিদর্শন • শুনিতে পাওয়া যায় এ ভাবের উত্তরভারতে আর নাই এবং ভারতবর্যের অন্যত্রও প্রায় ইহ পূৰ্ব্বে অতি উচ্চ ছিল। এইরূপ, প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূৰ্ব্বে মহাত্মা মানসিংহ দেখা যায়ু না | o করাইয় দেন। এই মন্দির-চুড়ার ' শীর্ষে তখন প্রতিদিন বৃহং প্রদীপ দেওয়া হইত। একদা দিল্লির প্রাসাদ হইতে বাদসাহ ঔরঙ্গজেব এই আলোক দর্শন করিয়। যখন ইহার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলেন যে এই আলোক বুন্দাবনে কোন হিন্দুমন্দিরে দেওয়া হয়, তখন হিন্দুর মন্দির বাদসার প্রাসাদ অপেক্ষ। উচ্চ, ইহা তাহার অসহ হওয়ায় তিনি অচিরে | উঠা ভাঙ্গাইয়া দিলেন। এবং ঐ 鬣 সঙ্গে শ্ৰীগোপীনাথ ও শ্রমদনমোহনের - মন্দির ও শম্রষ্ঠ করিয়া দেন। এক্ষণে যে যে মন্দিরে এই তিন বিগ্রহের শ্ৰীগোবৰ্দ্ধন । সেব হইতেছে উহা প্রায় একশত বৎসর পূৰ্ব্বে ২৪-পরগণানিবাসী স্বনামধন্য জমিদার নন্দলাল বসু মহাশয়ের দ্বারা নিৰ্ম্মিত হয় । ইহ। ভিন্ন নন্দ লালব। আর একটি মন্দির নিৰ্ম্মাণ করাহয় তাহাতে শরাপাগোবিন্দ নামে বি গ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত মন্দির "হাড়াবাড়া” নামে পরিচিত । [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড, ১ম সংখ্য। ]


--- -

এই মন্দিরত্রয় ভিন্ন বহু বাঙ্গালী ভক্তের প্রতিষ্ঠিত আরও অনেক মন্দির আছে, তন্মধ্যে পাইকপাড়ার স্ট্র প্রসিদ্ধ লালাবাবুর ( মহারাজ কুষ্ণচন্দ্র সিংহ । মন্দির বিশেষ উল্লেখযোগ্য । ইহার আকারও বৃহৎ এবং সুন্দর । শুনিতে পাওয়া যায় প্রায় ২৫ লক্ষ টাক। এই মন্দির নিৰ্ম্মাণে ব্যয় হইয়াছিল । ইহাই বাঙ্গালীর প্রতিষ্ঠিত প্রথম মন্দির । ইহাতে মহারাজ নিজনামে শ্ৰীকৃষ্ণচন্দ্র নামে বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন । প্রাচীন মন্দিরের মধ্যে মদনমোহন দেবের পুরাতন মন্দিরও অতি প্রসিদ্ধ । শ্রীরন্দাবন দশন o 8% ^/°へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ --SumitaBot (আলাপ) ০৭:৫২, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) - মানসী গঙ্গ । ইহার সৃষ্টিকৌশল ও সৌন্দর্য দেখিয়া ও আমাদের প্রাচীন প্রস্তরশিল্পের উন্নত অবস্থা কল্পনা করিতে পারা যায় । এই মন্দির ও গোবিন্দজীর পুরাতন মন্দির উভয়ই উচ্চ টলার উপর নিৰ্ম্মিত থাকায় বহুদূর হইতে দৃষ্টিগোচর হইয় থাকে। মুসলমান সম্রাট কত্ত্বক বিনষ্ট আর একটি প্রস্তরনিৰ্ম্মিত পুরাতন মন্দিরের ভগ্নাবশেষ আজিও ধরণী:পৃষ্ঠে দণ্ডায়মান —- বংশী বট । রন্থিয়াছে। তাহ উচ্চতায় ও আকারে খুব বৃহং ন হইলেও সৌন্দর্য্যে উল্লিপিত দুইটি অপেক্ষ কোন অংশে হীন নহে। ইহা শ্রীরাধাবল্লভজীর পুরাতন মন্দির। এই মন্দিরগাত্রে একখণ্ড কাষ্ঠে এই বিজ্ঞাপন লেখা আছে, “কেহ মন্দিরের কোন অনিষ্ট করিলে তিন মাস পর্য্যন্ত মেয়াদ হইতে পারিবে ।” এইসকল ভিন্ন আরও বহুসংখ্যক হং দেবালয় আছে। ঐসকলও প্রস্তরনিৰ্ম্মিত এবং বিবিধকারুকার্য্যসম্পন্ন, কিন্তু আকার প্রায় এদেশের দালান-সমেত ঠাকুরবাটীর ন্যায়, চূড়াবিশিষ্ট মন্দিরের মত নহে । এইগুলির মধ্যে রাধারমণ, শামসুন্দর, বন্ধুবিহারী, শাহজাহাপুরের মন্দির, রাধাবল্লভ, মদনমোহন ও গোবিন্দজীর নূতন মন্দির, ব্রহ্মচারীর মন্দির প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এতদ্ভিন্ন তথায় প্রায় সকল হিন্দুরাজার প্রতিষ্ঠিত মন্দির আছে, সকলের উল্লেখ বা বর্ণনা একপ্রকার অসম্ভব । বি গ্রহসকলের প্রকটকাল । স্বারা কি প্রকারে কোন সেবা প্রকট হয় তাহার সকল তথ্য . সংগ্রহ করা সুকঠিন । ঠিক কোন সময় কাহার সপ্তদেবালয়ের বি গ্ৰহগণের প্রথম