পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o - ግ8 -സ---- নিৰ্ম্মল বলিল—“আমি সতাই আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে এসেছি ; আপনি সম্প্রদান করবেন চলুন।" “আমার ত বাবা বাড়ীতে আজ এক পয়সার সংস্থান cनझे ।” রহমান বলিল—“কিছু ভাবতে হবে না কাক, অামি দীয় মল্লিককে দিয়ে সব-বাজার করিয়ে এনেছি।” অনুকূল তথাপি বিমূঢ়ের মত বলিল—“কিন্তু দত্তমশায় কৈ ?” নিৰ্ম্মল হাসিয়া বলিল—“বাবা এই এলেন বলে। কিন্তু লগ্ন বয়ে যায়, আপনি চলুন " ( t ) পুরোহিত অনুকূলচন্দ্রকে বলাইতেছিলেন—“সালঙ্কারাং এনাং কন্যাং তুভ্যমহং সম্প্রদদে।" নিৰ্ম্মল বলিল—“প্রতিগুহামি।" এমন সময় স্বরূপদত্ত পাগলের মত ঘরের মধ্যে আসিয়া বসিয়া পড়িয়া বলিয়া উঠিল—“ওৱে নিৰ্ম্মল, এ তুই কি সৰ্ব্বনাশ করলি !" নিৰ্ম্মল বলিল—“ভটচাযিা মশায়, মন্ত্র পড়ান।” স্বরূপদত্ত বলিলেন—“মল্লিক মশায়, নিৰ্ম্মলকে ছেলেমানুষ পেয়ে এমন করে ঠকানোটা আপনার কি উচিত হল? যা হোক শুভকার্য্যে আমি বিঘ্ন করব না। আপনি কিন্তু আপনার মেয়ে জামাইকে একেবারে বঞ্চিত কর বেন না।” । “আমার আর অসাধ কি দত্ত মশায় ? তবে আপনি ত জানেন আমার অবস্থা। আমি আপনার ঋণ এখনো শোধ করতে পারিনি। অধিক পরিচয়ের আবশ্বক কি ?" "শোধ করতে পারেননি কি মশায়! আমি কি জানিনে আপনি খুব হিসাবী লোক। এই ত হালখাতায় আমার পাওনা ১• • টাকা দিয়ে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে এসেছেন।” "কই ? আমি ত দশটাকা মাত্র জমা দিয়েছি।” "সে কি ! আপনার নামে ১০০ টাকা জমা আমি বেশ করে দেখেছি।"” “আমি দশটাকা দিয়ে এসেছি । . কোথায় পাব ?” “দেখুন মশায়রা, মল্লিকমশায় কত চাপা লোক ।


-

অত টকা আমি - প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড - ・・・・・・ヘッいヘッ・パーヘッいヘヘヘヘッいヘヘヘヘヘヘ。 আচ্ছা, সে আপনি বিবেচনা করবেন, আপনারাই ত মেয়ে জামাই, আমার কি বলুন না ? বাবা বিশ্বনাথ, পার কর " ( & ) মহৎ উদ্দেশ্বের অন্তরালে ইষ্টদেবতার আশীৰ্ব্বাদ লুকায়িত থাকে বলিয়া মাহুষ অনেক সময় জটিল হইতে জটিলতর সমস্যার মীমাংস অনায়াসে সাধিত করিয়া লয়। জ্যৈষ্ঠের নীরব মধ্যাহ্নে নিৰ্ম্মলচন্দ্র মনোরমার পাশ্বে বসিয়া অতীত জীবনকাহিনীর যে অংশ আর-কাহারও নিকট বিবৃত করিয়৷ আত্মপ্রসাদ লাভ করা যায় না সেই নিভৃত প্রদেশের নিগৃঢ়তম আত্মকথার অবতারণা করিয়া স্নিগ্ধ আনন্দ উপভোগ করিতেছিলেন । "এই নোটখানার পিঠে তোমার নাম দেখে বুঝলাম । অপরিচিত । তোমার বাব। আমার বাবার হালখাতায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করবার জন্যে আর কোথাও কিছু ন পেয়ে তোমার এই সযত্নে সঞ্চিত নোটখানিও জলাঞ্জলি দিতে বাধা হয়েছেন। আমি এই নোটখানি নিয়ে বুকের মধ্যে লুকিয়ে রাখলাম, , আর পাতায় তোমার বাবার নামে ১• • টাকা জমা করলাম। আর ওদিকে রহমানকে দিয়ে খবর পাঠিয়ে । দিলাম যে তোমার বর আসছে।” মনোরমা গৰ্ব্বসুখে হাসিয়া বলিল—“এই নোটখানি বকুল ঠাকুরঝি আমাকে দিয়েছিল। ছোটবেলায় দুজনে একসঙ্গে ভোরবেল শিবপুজোর ফুল তুলতে যেতাম। তার যখন ভাল বর হল, আর সেই বর যখন বিয়ের পরেই পরীক্ষায় জলপানি পেলে, তখন প্রথম মাসের খানি নোটই --- - -- . . আছে, আর একখানি এই–তারই হাতে আমার | নাম লেখা।” - “বাবার সঙ্গে আমিও নিমন্ত্রণ করতে এসেছিলাম, দেখেছিলে ?” "জিজ্ঞাসা করছ কেন ?" “নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলে ?” “জানিনে।” “অনেক দেরী করে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে এসেছ । আমি । নিমন্ত্রণ করে ফিরবার পর হতেই আসন পেতে রেখেছিলাম . কখন আমার লক্ষ্মী হৃদয়ের হালখাতায় এসে ধরা দেবে।" পথও কিছু দুৰ্গম কাজেই সকলের oo পক্ষে সেখানে যা ওয়া সম্ভব নয় । যে নিতান্ত অগম্য এমন নয়। সামান্য | বকুল উপহার পেয়েছিল। একখানি এখনও তার কাছে - - অজস্তা গুহার চিত্রাবলী १४ -- ********* ^ーヘヘヘヘヘヘイ・ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ。 -- ১ম সংখ্যা ] “বকুলের এই হাতের লেখা আমার প্রতিনিধি হয়ে । এসেছিল।” - “খুব জবরদস্ত প্রতিনিপিই বটে। এই প্রতিনিধিই আমাকে সেদিন একদণ্ডেই একেবারে বর সাজিয়ে তোমার কাছে টেনে এনেছিল। ওদিকে তোমার বকুল, আর এদিকে আমার রহমান । আর দুজনের ঘটকালিতে সহায় হয়েছিলেন ভগবান ।” মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লা । অজন্ত গুহার চিত্রাবলী আমাদের দেশের অনেক জিনিষই আমাদের কাছে অজস্ত। গিরিগুহাগুলি কোথায় ও সেখানে কি প্রকারের কত পুরাতন চিত্রের - ধ্বংসাবশেষ এখনও বর্তমান আছে - তাহা আমাদের অনেকেরই জান । নাই। একে ত গুহাগুলি দক্ষিণ হাঃ দ্রাবাদের এক কোণে অবস্থিত, তাহাতে আবার সেখানে যাইবার পথ কষ্ট স্বীকার করিলেই সেখানে যাওয়া वाय । अशरैः॥ ४ कहे मउई इद्धक না কেন গুহাগুলির অপূৰ্ব্ব শিল্পকলা দশন করিলে সকল কষ্টই সার্থক হয়। ভারতবর্ষীয় সকল শিল্পী ও শিল্পথিয় ব্যক্তিরই অজন্ত। যাওয়া উচিত। অজন্ত৷ ভারতচিত্রশিল্পের শ্রেষ্ঠ পীঠস্থান ; সে পুণ্যতীর্থে না যাইলে ভারতবাসী কোন শিল্পীরই সাধনা পূর্ণ হয় না। এককালে অজস্তার নাম ভারতবর্ষে এবং অন্যান্য দেশে ও প্রসিদ্ধ ছিল । * ও শিল্পের যুগল মিলন কেমন মনোৰম হয় তাহ দেখিতে এক কালে - কত সাধক, কত শিল্পী এই অজন্তার মঠে আসিয়াছে। এখন কিন্তু এই গিরি ও গুহাগুলি পরিত্যক্ত, অনাদরের মলিন ছায়ায় লুক্কারিত। আধুনিক মানচিত্রে অজস্তার নামের উল্লেখই নাই। সেখানকার যাত্রীদিগের মধ্যে এখন প্রধানত: বিদেশীয় ভ্রমণকারী। আর আমরা কয় জন এই গিরিগুহার অতুল শিল্পাগারের খোজ রাখি ? যে সংখ্যা আঙ্গুলে গণিয়া লওয়া যায় সে সংখ্যা নাইবা দিলাম! - জি, আই পি রেলওয়ে লাইনে বম্বে অঞ্চলে ভোসাওয়ল শনের পরবর্তী ষ্টেশন জলগাও হইতে প্রায় ৩ মাইল গরুর গাড়ী করিয়া অজস্তার গিরিগুহায় যাইতে হয়। টাঙ্গ৷ গাড়াও পাওয়া যায়, কিন্তু তাহার ভাড়া অত্যন্ত বেশী অথচ বিশেষ কোন সুবিধাও নাই। গরুর গাড়ী-আধুনিক সভা তার চক্ষে হেয় হইলেও খুব সস্তা। উহার গতি মস্থর এই যা --- --- --- অঙ্গস্ব গুহার চিত্র