পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

০৭:৫৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)০৭:৫৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)SumitaBot (আলাপ) পাওয়ার অাশা অতিক্রম করি নাই। পাওয়ার কথা এখন ভুলিতে হইবে দেওয়া পাওয়ার রাজ্য অতিক্রম করিয়, এখন পাওয়ার কৰ্ম্ম ত্যাগ করিয়, শুধু দেওয়ার কৰ্ম্ম করিতে হইবে। তবেই তৃপ্তি, তবেই জ্ঞান আসিবে। বিশ্বের দানযজ্ঞে প্রথম দান হষ্ট। নিজে যাহা নিজের অংশে স্বষ্টি করি নাই তাহাকে দান করিবার অধিকারও আমার নাই। তাই দানকর্থের আরম্ভ, হুষ্টি করা। স্বষ্টি । দানে তুমি আদ্য-প্রকৃতির ধান করিবে। ঈশার মাত মরিয়ম ব জননী দেবকীর সৃষ্টি প্রাকৃত शहे नcश्, *द्रकीग्न रहे,-झाप्नब्र नशएग्र झूश् छनश् उ१गठौ थि१भाङ्क। হইতে পারিয়াছিলেন। তুমিও বাংসল্যরসে স্বকীয় ভাব ত্যাগ কর, পরকীয় ভাব অবলম্বন কর। তবেই তুমি বিশ্বমাতৃকার মাতৃত্বের ভিতর দিয়া আদ্য-প্রকৃতির সন্ধান পাইবে। জ্ঞানের সঞ্চায়ে স্বই ত করিলাম। এবার আত্মশ্বষ্টিকে পালন o করিতে হইবে। পালনধৰ্ম্মে জগদ্ধাত্রীর ধ্যান কর । জগদ্ধাত্রী শক্তিময়ী, ইচ্ছাময়ী , কিন্তু তিনি আপনার শক্তি ধারণ করিয়াছেন, সন্তানদের ইচ্ছাশক্তির নিকট নিজ ইচ্ছাকে সংবরণ করিয়াছেন। তৃত্বে সন্ন্যাস। ইহা না থাকিলে জীব লীলা করিতে পাইত ও পাকিত ন, পালনও থাকিত না । দান,-সংহার দান। ইহাই শ্রেষ্ঠ দান। যে দানের বলে সন্তান বিশ্বমাতৃকার ক্রেড়ে ফিরিতে পারে, ইং সেই দান। সৃষ্টিতে পালনে যেমন এক পক্ষের দান, অপর পক্ষের আদান, এখানে উভয় পক্ষেরই দান। জীব সজ্ঞানে ভগবানের নিকট আপনার সংহার চায়,— কি চরম সাল নহে-আবার ভগবান জীবের নিকট আপনাকে छिप्न थाञ्चन সংহারধৰ্ম্মে সেই প্রলয়কত্রী সংহারিণীর -*** আনন্দময়ী, তাহার নিকট স্বেচ্ছায় যাও, পতঙ্গবৃত্তিতে যাইও না, বিরাগে নহে অরাগে যাও, তিনি বরাভয় দিবার জন্য বসিয়া আছেন। "আমি" ত দান করিলাম। কিন্তু "লীলার সহচরকে কিছু জিজ্ঞাসা করি নাই। “মন”কেও কিছু জিজ্ঞাসা করি নাই। "আমি", —একবারে নিৰ্ব্বিকার। কিন্তু লীলার সহচর, সে যে वि 5ांश्, লীলা চাহে। আত্মা সৰ্ব্বসাক্ষী ও সৰ্ব্বকাম। লীলাতে আত্মার সাধ নাই, তাহার তৃপ্তিবোধ নাই, অবসাদ নাই। তবুও আত্মাকে লীল করিতে হয়। ইহা অহেতুকী লীলা। ইহাতে লীলার সহচরের তৃপ্তি, সে তৃপ্তি আমার "আমি-আনন্দের” বহিরংশ, ভিতরের নয়। মন আস্থার ভিতরই লীলার সহচরকে খুজিয়াছিল,-লীলার সহচরকে - আস্থার সমান মনে করিয়াছিল। তাহ হইল না। মন নিঃশ্ব ও নিরাবর ন হইলে লীলার সহচর সমগ্র হইয়৷ আত্মার সমান হইলে না। মনোময় কোব মধুময় ন হইলে অকিঞ্চন-আনন্দ আসিবে না। „Lu. আনন্দের প্রকারভেদ। ক্ষুদ্রতারক ক্ষীণ আলোকে শূন্য অজেয় আকাশকে রহস্যময় করিয়া তুলিতেছে। ইহা রহস্তান। শূন্যের বায়ু মহাবৰ্ত্তে ঘুরিতে ঘুরিতে ক্ষুদ্রকে বিরাম দিতেছে। ইহা বিরাম. আনন্দ । বাগানে তরুলতাটি পুষ্পিত হইতেছে। ইহা শোভানন্দ । মাতৃক্রোড়ে শিশু সংসারে প্রেম ও করুণা আনিল। ইহা প্রাণানন্দ । তরঙ্গ অগাধ সমুদ্রবৃক্ষে নূতনত্বের স্বষ্টি করিল, নুতন আনলের আধান করিল। ইহা লীলানন্দ । ধরণীগর্ভে আগ্নেয়গিরির বীজ আকস্মিক ধ্বংস * আনিয়া দিল। ইহা রুদ্রানন্দ। প্রকৃতি নীরবে ও অকাতরে অফুরন্ত আনন্দ দিতেছে। আমরা ভাবি প্রকৃতি অজ্ঞান তাই সে সকলের কর্ণদাস হইয়াছে। আমাদের “আমি জ্ঞানের জন্য প্রকৃতির এই অজ্ঞানের - মহিমা বুঝিতে পারি না। আমি প্রকৃতিকে অজ্ঞানেই পাইতে চাই। জ্ঞানের রাজ্যে কেবলই নুতন পুরাতন, হ্রাস বৃদ্ধি, কেবলই o - পুভি - - প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ SSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSAMSAMAAAA - - - -- - o [ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড : ১ম সংখ্যা ] - হিন্দুর নব্য দর্শনবাদ so - SJSJSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSSMSSS へ - ০৭:৫৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি) ---ー/\-ヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ ഹ DD DD S BB BBBB BB BBBBS BBB BBB BB BBBS BBB DD DD D BBB BB BBBB BBBS BBBB BBBB BBBS BB BS BBBB BBBS BBB BB BBS निवह DDDD DDS DDD DDS DD DB BBBB BBB BBBS SS SBBBB BBB BBB BBB DD S BBBBB BBB BB BB BBB BBBBBB BBBB BB BBB BBS BB BBBBB BBB BBB S হইতে চাই। প্রকৃতির ধৃতি ক্ষান্তি ও বিস্মৃতি আমার চাই। জ্ঞানের চারিদিক হইতে জীবনীশক্তি সংগ্ৰহ করিয়া গাছকে উঠতে হইয়াছে। কেবল নিৰ্ব্বিকার হয়ে কাজ কর। কারে স্বখদুঃখের কথা ভেবে নুতন পুরাতন, জন্ম মৃত্যু, রূপ ও কর্থের ঘোরে আর ঘুরিতে চাই না। , - এবং ফুলেই ঐ গাছের জীবনের পরিণতি। এই নূতন দর্শনবাদ তাহার স্বতন্ত্রতার জন্য যে শুধু স্বন্দর তাহ নহে। বিশ্বের সহিত দম্বন্ধের সত্যামুভূতি জীবনে এ ক্ষেত্রে পুষ্পিত ও ফলিত হইয়াছে এবং জীবনই এই দর্শনবাদকে সত্য পুর্ণ ও প্রাণময় করিয়া দিয়াছে। তাই ইহা পাঠ করিয়া যে আনন্দ হয় তাহা একটা শুধু স্বতন্ত্রতার আনন্দ নহে, একট। প্রাণময় সত্তার সহিত পরিচয়ের আনন্দ, তাহ প্রাণানল। - জৈব শক্তিকে যেমন সমগ্রের ভিতর পাওয়া যায়, আবার BBB BB BB B BBBBB BBB BBB BB BBS BB S BBB BBBB BBB DDS BBBB BBBB BBB BBB BBB আমার সমান হইয়। এস, আমার বৈকুণ্ঠের সিংহাসনের দক্ষিণ যে খালি - সমান ভাবেই রহিয়াছে। যেকোন অংশ পাঠ করি একটা নুতন প্রাণ রহিয়াছে। আসিয়া যেন আমাদিগকে পরিপূর্ণরূপে সচেতন করিয়া দেয়, আমাদের আজ ভগবানের সহিত জীবের মিলন। কি মধুর মৃত্যু ! কি ! মোহ দূর করে। BB BBBS BB BB B BBB BBS SBBB BBBS BB BB S BBB BBB BB BBB BB BBBBBB BB BB S BB BBB BBB BB BBS B BBBB BBBS BB SBBS BB S BB BBBB BB BBB BBBBBBS BBB BBBBB BBB অস্তগত হইবে। এমন “আমি” আর হইবে না। - আত্মচৈতন্যকে পুচিয়াছিলাম। যে আমার বিশেষ প্রেম, সেই আমার মার কোলে শিশু স্তন্য পান করিতেছে। শিশুর অধর নড়ে না, । বিশ্বপ্রেম। সে যে কেবল প্রেম। তবে আর হারাইবে কেমন করিয়া। মায়ের স্তন প্রস্ত হইয় পড়ে। ভগবান ও জীবের মিলন এইরূপ । বিচ্ছেদে সে ত আরও নিকটে আসিবে। প্রেমের মৰ্ম্ম বুঝা যায় বিচ্ছেদে। BBB BBB B BBBB BBB Bk BB BB BB BBBB BBSS S BB BBB BBB BB BBBB BBB BBBB BBBB BBBS বিগ্রহ চলিয়া গিয় যে নুতন সমগ্র আসিল তাহাতে জ্ঞানের রস বিশ্লেষণ ছিলাম। প্রত্যেক সৃষ্ট জীবের অন্তরে ভগবানের বিচ্ছেদ-বেদন নাই। ইহা কৈবল্য রস, জ্ঞানাজ্ঞানের অতীত। অনুভব করিয়া ভগবৎপ্রেমে বিভোর হইয়াছিলাম। প্রকৃতির নিকট আমি সব পাইলাম। অসীমকে পাইলাম। এখন শূন্যতায় অভাব বোধ হয় না। - আর চাই না। সময় এখন আমার নিকট সীমাবদ্ধ। তামি একরাট। ৷ তবুও আমি ভিখারী । জীবের নিকট ভগবান ভিখারী। জীব ।

  • ». * * ভগবান প্রেমময় তাই তিনি দুঃখময়। তিনি জীবের সহিত প্রেমের

BBBD D DDBS BB BBBB BBS BBBB BBS BBB BBB BBBB BB BBB BBB BBB BBB BBBBBS শূন্যও নাই । ভগবান ও জীবের স্বষ্টি এককালীন, কিন্তু ভগবান প্রেমে জীবকে আবার কিসের কম্পন উঠতেছে। একটা ক্ৰন্দনধ্বনি এই স্তব্ধতার : পাইবার জন্য বিরং ঘটাইলেন। - -- - - মধ্যে শুন যাইতেছে। - মিলনের আনন্দ বিনষ্ট হইল। আবার দুঃখ জাগিয়া উঠিল। বাসন৷ জন্মিল, বাসনা কৰ্ম্ম হইয়। জাগিয়া উঠিল। আবার দুজনের স্বষ্টি হইল। তুমি ও তোমার বধু। অসংখ্য তুমি, অসংখ্য তোমার तैयू। - জীব বলিতেছে, হে প্ৰভু, তোমারি ক্রোড়ে চিরনিদ্রার আশ্রয় লইবার আগে তোমাকে একবার অংশে অংশে, প্রত্যেক জীবে, প্রত্যেক রূপে দেখিয়া লই । হে প্রেমময়, জীবে জীবে তোমার দুঃখ, বিচ্ছেদে বেদন অনুভব করি। বিচ্ছেদ বেদন অনুভব না করিয়া তোমার প্রেমের ভিতর দিয়া পাইব কি করিয়া? জীব ও ভগবানে দুঃখ বেদনায় প্রেমের মিলন হইতেছে। তথন ইহাই বিশ্বের রাসমঞ্চ, জীবের লীলাক্ষেত্র। বৈষ্ণবের রাধাকৃষ্ণলীল ও শাক্তের স্বষ্টিস্থিতিসংহার-তত্ত্ব, উপ- - DDDD BBB BBBB B BBBB BBBBBS BBBB BBBB B S BBB B BBBBS BBBBBS B BBBBDS BBB BBBBBBS BBBBBB BBBBBB BBBB BBBBS BBBD S BBBB BBBBBB BB BBBS BBB DDD DDBBB কিছু কিছু আমরা পুপলিথিত আলোচনায় পাইতে পারি। প্রথম আলোক আজ চিরদিনের তরে নিবে যাচ্ছে। আমার জগৎ ও জীবঅধ্যায় হইতে শেষ অধ্যায় পৰ্য্যস্ত পর পর অতিক্রম করিয়া আমি সমূহ, সেই রূপসমষ্ট, রঙ্গমঞ্চের দৃপ্ত, অ’ধারে স্বপনের ন্যায় ভেসে আত্ম-চিত্ত ও ভগবদুপলব্ধির ক্রম দেখাইতে চেষ্টা করিলাম তাহাতেই ! গেল। হে দুঃখময়, হথ যেমন তোম। হতে বিচ্ছিন্ন হলে, তোমার আশায় DttDDDDDtttt DDBB BBBBB BBBB BBB BBB SSSSSS BBB BBB BB BBB BB BBB BBB BBS B BDD জাগিয়া উঠিয়ছে, আপনাদের স্বাতন্ত্রো ও প্রাণময় সত্তায় জীবন্ত সত্যু জীবনমরণাতীত প্ৰভু! তুমিও তেমনি আমায় নিয়ে, নিজক্রোড়ে আশ্রিত BBB BBBS BBBBS BBB BBS BB B BBBB BB BB S BS BBBB BBBB BBBBBBB BBBB BBBB BBS থাকিলে, যে জ্ঞানের স্পষ্ট সুন্দর জ্যোতি আত্মার রহস্তলোককে একবারে আদি লীলার অবসান হইল। জীবে জীবে তোমার প্রকাশ বুঝিলাম। আলোকিত করিয়া তুলিয়াছে তাহার পরিবর্তে আমরা অমুম্বল অঙ্ক তুমি যে আসল প্রেমিক তাই তুমি বিচ্ছেদ চাও। বিচ্ছেদেই সৃষ্টি,— ভাবিক প্রদীপের আলোয় অন্ধকার পাইয়। রহস্যালোকে হাতড়াইতাম। জীবে তোমার প্রকাশ। তোমারই প্রেমে তুমি জীবে জীবন দিয়াছ তাহাকে মুৰ্ত্তি দিয়াছ। আমি জীবে জীবে তোমার প্রেম এবং বিরহ প্রকাশট একবারেই স্বাধীন বলিয়। এ ক্ষেত্রে হিন্দু ও পাশ্চাত্য দর্শ বেদন অনুভব করিলাম। আমি জীবের স্বথ দুঃখের কথা ভাবিয়া কৰ্ম্ম সহিত ইহার যেখানে সাম্য ও বৈষম্য আছে তাহ দেখাইবার জন্য ইহা - তত্ত্বগুলিকে পুঙ্খানুপুঙ্খরুপে বিশ্লেষণ করিলে ইহার অমর্যাদা হইবে। পাইয়াছিলাম। কৰ্ম্মপথে পদুঃখের বাসনাবহ্নি নিৰ্ব্বপিত করিলাম। আর আমার আশা নাই, অনুরাগ নাই, উৎসাহ নাই। আমার কৰ্ম্ম নাই। যে আপনার সত্তায় আপনার প্রাণে আপনার সত্যে একবারে পরিপূর্ণ - কৰ্ম্মপথে এতকাল দিয়াছি, আবার পাইয়াছিও। এখন শুধুই দিব। তাই আমি ইহাকে নব্য দর্শনবাদ বলিয়াছি। ইহা সম্পূর্ণ নূতন, তাই ! এই আত্মচিন্তা ও তত্ত্বদর্শনের দেশেও ইহা একটা সম্পূর্ণ নুতন স্বল্প। | একবারে "আমি"কেই দিব, আমাকে সংহার করিব। জীব বলিতেছে,— BBBBB BB BBB BBB BB BBBS BB BBBBB BB S B BBS B BBBBB BBS BBBB BB BBB BB BBB ন, তুমি কেবল নীরব হয়ে তোমার কাজ কর, তোমার কাজ শেষ করে । পূর্ণ জ্ঞানের অরূপে অকৰ্ম্মে বিহার কর " | - অস্ত্যলীল আরও করুণ, আরও মধুর। মৰ্ম্মের কথা এখানে আরও আশ্চৰ্য্য ও স্বাভাবিকভাবে প্রকাশিত । আমি পুর্ণ জ্ঞান ছিলাম। কিন্তু আমার এ “আমি জ্ঞান”ও আর ভাল । লাগে না। আমি এখন জ্ঞান হার হইতে চাই। আমি এখন অজ্ঞান | অসীম অরূপ অকৰ্ম্ম হইতে চাই। আমি অজ্ঞান অসীম হইলাম । প্রকৃতিকে সাপ করিয়া । o বিশ্ব-মহা-কাল-চত্রে এখন ঘুরিতেছি। আর কি চাই ? । ভগবানের কি চাই ? ভগবান জীবের নিকট ভিখারী। ভগবান জীবের সহিত মিলন চাহিতেছেন। জীবের নিকট জীবের প্রাণভিক্ষা চাহিতেছেন । o নিম্নলিখিত অংশের তুলন। সাহিত্যে পাওয়া কঠিন,- । "বধু, আজ আমি তোমার নিকট তোমার প্রাণ ভিক্ষা করছি। । আমারই প্রেমে তোমায় জীবন দিয়েছিলাম, তোমায় মূৰ্ত্তি দিয়েছিলাম। " সে মূৰ্ত্তি সবাই দেখেছিল। আজ তোমার মূৰ্বি আর কেহ দেখে না। । তবে এসো বঁধু, আজ আমার এই অন্তঃপুরে এই গুপ্ত আগারে তোমায় o সংহার করবার আগে আমি এক তোমায় প্রাণ ভরে দেখি। এসে বধু, o রহসি তোমার সেই রসপান করি, যাহা সৃষ্টির পূর্ব হইতে আমার জন্যই । চিরামৃতের ভাণ্ডারে সঞ্চিত হয়ে রয়েছে। • • • এস বধু শেষবার । এসে। কাছে, আরও কাছে আরো আরো কাছে। আমার আশ । যে মিটছেন । তুমি অস্তরে। তুমি যে এখনও দূরে। একি, --- কেমন করে পাব? তুমিই যে তোমার আন্তরায়। তোমাকে সংহার না করলে এ অনন্ত আকাঙ্কার তৃপ্তি কোথায় ? মিলন কোথায়? · "তুমি আসতে পারছ না ? কিছু চাও কি ? তোমার চাওয়া শেষ । হয় নাই বলে কি তুমি আসতে পারছ না ? হে তৃষ্ণাতুর, তোমায় চিরনিদ্রা দেবার আগে আমি তোমার সকল তৃষ্ণ মিটাৰ। কি চাও । বল। আমার ভাণ্ডারে সব আছে। * * তুমি আমার বঁধু, আমার প্রিয়তম, তোমাকে দেব না? আমার কাছে তোমার কি আদর ত৷ তুমি - - জান না। নিজের মূল্য জান না। তাই চুপ করে আছ, কিছু চাচ্ছ না। তুমি ন চাইলে যে আমি তোমাকে পাই না। * * আমি আমার বৈকুণ্ঠে প্রিয়তমের আশায় বসে আছি। হে অজ্ঞান, হে । পাষাণ, এমন করে কি অনন্তকাল তোমার জাগরণের প্রতীক্ষায় বসে থাকব ? "তবে এস বধু, এস, বৈকুণ্ঠে আমার দক্ষিণে তোমার সিংহাসন যে - শূন্য রয়েছে। এসে বধু, এসে, আমার সমান হয়ে এস, আমার মতন । হয়ে এস। তুমি ত পারবে না? অবং পারবে। তা যদি না হয় তবে ত - অনন্ত বিরহ, অনন্ত দুঃখ। তুমি যদি আমার সমান না হও, তা হলে ত - তুমি আমার বধু হয়ে থাকবে। তাত আমি চাই না। আমি ও আমার । বঁধু দুই হয়ে থাকব তাত আমি চাই না। আমি যে তোমার এই বাধা ভাঙ্গতে চাই।” উল্লিখিত অংশের সহিত আমাদের সাহিত্যে বা অন্য ফোন সাহিতে্যু তুলনা পাওয়া কঠিন। ভাবের বিকাশ হিসাবে, ও প্রকাশের প্রণালী - হিসাবে রচনাট বাস্তবিকই নুতন । রচনায় প্রকাশের প্রণালীর দুই একটি উদাহরণ দিলাম। এই-- বার ভাবের আরও দুই-একটি অপুৰ্ব্ব স্বাধীনতার উদাহরণ দিয়া শেষ । করিব। আদি লীলায় মধ্য লীলায় ও অস্থা লীলায়, তিন লীলাতেই । o - - -