পাতা:প্রবাসী (পঞ্চদশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই প্রশ্বে সকলেই বিরক্ত হইয় বলিলেন, "এ কি উদ্ভট 〉Sや SMMSMSMS مهمی عمومی، ممام কখনও আমায় প্রশ্ন করেন নাই, আমার ইচ্ছা আপনার প্রশ্নের উত্তর দিই।" বঙ্কিমচন্দ্র হাসিয়া বলিলেন, "আচ্ছ।" অল্পক্ষ৭ পরেই একটি প্রশ্ন করিলেন— "গগনেতে ডাকে শিবা ছয় ছয় করে।” প্রশ্ন ? যাহ। কখনও পৃথিবীতে ঘটে নাই, তাহার কবিতা কিরূপে হইবে আকাশে কখনও কি শেয়াল উঠিয়াছে যে গগনেতে হুয়া হয়। করিয়া ডাকিবে ?” এইরূপে সকলে পরস্পরে বলাবলি করিতেছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র এই ভৎসনাতে মৃদু মৃদু হাসিতেছিলেন, কবিবর মস্তক নত করিয় ভাবিতে ছিলেন। কিছুক্ষণ পরে তিনি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি চাহিয়া একটি কবিতা শুনাইতে লাগিলে ঐ কবিতা প্রথম দুই চারি পত্তি শুনিৰামাত্র চন্দ্র চমকিয় উঠয় বলিলেন, "ঘাট হইয়াছে, আপনি অপরাজেয়।" বিবর সমুদয় কবিতাটি শুনাইলেন। উহার মৰ্ম্ম এই, লগণ ক্তিশেলে আহত হইলে ধন্বন্তরিপুত্র স্বর্ষেণের ব্যবস্থানুসারে হনুমান - - - কাহাকেও সবপোষ্ট-মাষ্টার, যে যাহার যোগ্য তাহাকে তাহাই দিতেন। সেজন্য উমেদারগণের মধ্যে তিনি প্রাতঃস্মরণীয় ছিলেন। - - - - - - ཀྱཱཧཱ། ཤཱ་ཐུར་য় একজন ব্রাহ্মণ উপস্থিত হইয়া বলিলেন, আমার এক প্রধান্ত আছে।" দীনবন্ধু তখন খেলিতে বসিয়াছিলেন - o -- মাদন পৰ্ব্বতে বিশল্যকরণীর পাতা আনিতে গিয়৷ উই খুজিয়ান ইয়া গন্ধমাদন পৰ্ব্বত উপাড়িয়া লইয়। মাথায় করিয়া আসিতেছিলেন । tাহাড়ের শিবাগণ ভোরের সময় তাহদের সংস্কারসিদ্ধ হয়। ছয় ডাক উঠিল; দারুণ গ্রীষ্মমন্ত্রণায় এক দম্পতি গৃহছাদে শয়ন করিয়৷ আকাশে ঐ ছয় হয় ডাক শুনিয়া স্বামীর নিদ্রাভঙ্গ করিয়া স্ত্রী o "কভু শুনি নাই নাথ, ভুবন-মাঝারে - গগনেতে ডাকে শিব হুয়া হয় করে ।” দীনবন্ধু কলিকাতায় সদর আফিসে আসিলে পোষ্টাল ডিপার্টমেন্টে $াহার একাধিপত্য জন্মিল। কত দরিদ্র-সন্তানকে তিনি চাকুরী দিয়৷ অন্নদান করিয়াছেন তাহার গণনা হয় না। কাহাকেও কেরাণীগিরি, আমাদের বাটাতে "গোলামচোর" খেলা হইতেছিল, এমন "দীনবন্ধু বাৰুর নিকট বললেন "একটু বহন পরে গুনিব।” আমাদের গ্রামস্থ ৭৮ জন ভদ্রলোক উপস্থিত ছিলেন । দীনবন্ধু, সঞ্জীবচন্দ্র ও আরও কয়েকজন লোক খেলা আরম্ভ করিয়াছিলেন, তন্মধ্যে পূৰ্ব্বোক্ত বন্দোপাধ্যায়ও (যাহাকে দীনবন্ধু ভাইকেট দিয়ছিলেন) খেলিতে বসিয়াছিলেন। দীনবন্ধু ও সঞ্জীবচন্দ্রের উদেখ ছিল যে এই বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর করিয়া সাজা দেন, কারণ ইনি সকলকেই গালি দিতেন। দীনবন্ধু, সঞ্জীবচন্দ্র এবং এমন কি বঙ্কিম চন্দ্রও অনেক কৌশল করিতে লাগিলেন যাহাতে বন্দ্যোপাধ্যায় চোর হন । কিন্তু দীনবন্ধু সঞ্জীবচন্দ্রের মধ্যেই একজন চোর হইলেন। তখন বলোপাধ্যায় মহাননে যুগ্ম রজোড়াটি পায়ে দিয় রূপচাদ পঞ্জীর একটি গীত ধরিয়া উহাদের সম্মুখে নাটিতে আরম্ভ করিলেন। নৃত্যগীত শেষ হইলে, দীনবন্ধু তখন পূৰ্ব্বোক্ত উমেদার ব্রাহ্মণকে নিকটে বসাইয়। তাহার কথা শুনিতে লাগিলেন। দীনবন্ধু ব্রাহ্মণটিকে পুত্রের সহিত প্তাহার অফিসে যাইতে বলিলেন । কিছুদিন পরে শুনিলাম ব্রাহ্মণপুত্রের পোষ্টঅফিসে চাকুরীর জন্ত নাম রেজিষ্টার হইয়াছে, খালি হইলেই পাইবে। ইতিমধ্যে হুগলীর একটি ডেপুটি বঙ্কিমচন্দ্রের সহিত দেখা করিতে আসিলেন, তাহার অধীনে রোডশেশ ডিপার্টমেন্টে একটি চাকুরী খালি ছিল, ব্রাহ্মণ পুত্রকে বঙ্কিমচন্দ্র ঐ চাকুরী দেওয়াইলেন। আবার মাস দুই বাদে দীনবন্ধু তাহাকে সাবপোষ্টমাষ্টারের পদে বাহাল - প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩২২ ১৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড S MMSMMSMSMS


করিয়া পরওয়ান পাঠাইলেন । অনেকেই করিয়া থাকেন, কিন্তু এই ব্রাহ্মণের দারিদ্র্যের পরিচয় শুনি । o দীনবন্ধু ও বঙ্কিমচন্দ্র তাহার কষ্ট সত্বর বিমোচন করিতে কিরূপ বাস্তু হইয়াছিলেন তাহার পরিচয়ঙ্কপ ইং এ স্থলে উল্লেখ করিলাম। । পরোপকার দীনবন্ধুর জীবনের ত্রত ছিল, তাহার প্রথম পরিচয় - এ ত গেল একটা গুরুতর উদাহরণ। - নীলদর্পণ প্রচারে পাওয়া যায়। কিন্তু অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঘটনাতে সৰ্ব্ব উহার পরিচয় পাওয় যাইত। যে | ঘটনা অন্তের পক্ষে রন্থগুজনক, দীনবন্ধুর নিকট উহ কষ্টকর বোধ হইত। একজন মাতাল টলিয়৷ টলিয়া খানায় পড়িতেছে, লোকে দাড়াই৷ তামাস দেখিতেছে, হাসিতেছে, কিন্তু দীনবন্ধু তৎক্ষণাং দৌড়াইয়া গিয় তাহার সাহায্য করিতেন । এই গুণটি বঙ্কিমচন্দ্রেরও ছিল । বহুকাল হইল সপ্তম কি অষ্টমী পূজার রাত্রিতে, দীনবন্ধু, কাৰ্ত্তিকেয় চন্দ্র রায় ( দ্বিজেন্দ্রলালের পিতা) ও আমি নৈহাটী ষ্টেশন হইতে প্রশস্ত বারাক - বিশ পথ অন্তরে রাস্তার পশ্চিমদিকের ড়েনে একটি ধবল পদাণ দেখি । লাম। মেটে মেটে জোংগ্ল, ভাল বুঝিতে পারিলাম না, এই ধবল। - পদার্থটি কি ? উহ। মাঝে মাঝে নড়ায়, প্রথমে বোধ হইল একটা গল্প | ড়েনে পড়িয় উঠতে পারিতেছে না। কিন্তু নিকটস্থ হইয় দেখিলাম উন্থ গরু নয় একটা বাৰু মাতাল ড়েনে পড়িয়া রহিয়াছে। আমরা তিন • জনে তাহাকে ধরিয়া তুলিয়া দেখিলাম, একটি নবীন যুব, পরিপাট ীি বেশবিদ্যাস, কি থানায় পণ্ডিয়া উহ। বিশৃঙ্খল হইয়া পড়িয়ছে, তিনি - আমাদের তিনজনেরই অপরিচিত । দীনবন্ধুর জিজ্ঞাসায় মাতাল বাৰু বলিলেন, তিনি কলিকাতা হইতে শ্বশুরবাড়ী আসিতেছিলেন। ষ্টেশনের । বাবুদের সহিত শুড়ির দোকানে মদ খাইয়৷ শ্বশুরবাট যাইতে যাইতে | থানায় পড়িয়। গিয়াছেন। শ্বশুরের নামধামেরও পরিচয় দিলেন। তাহার শ্বশুর সেখানকার একজন সন্ত্রান্ত লোক, আমরা সকলেই তাহাকে । জানিতাম। দীনবন্ধু শ্বশুরের নাম শুনিয়া বলিলেন "আপনি অমুকের জানাই!” এই কথাতে মাতালবাৰু বলিলেন—“You know my father-in-law sir, then you are my father-in-law, sir, yes sir son-in-law sir, I sir son-in-law sil"—"TE" আমাদের সঙ্গে ছিলেন কেবল তাহার মুখে ঐ বুলি। দীনবন্ধু কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিলে ভাঙ্গ ভঙ্গ। ইংরেজিতে তাহার উত্তর দিতে "feia, fos cofo for "Yes sir son-in-law sir.” এই पूं । বরাবরই ছিল। পৃথিবীর উপরিস্থ পদার্থের প্রতি মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যেমন । স্তার আইজাক নিউটন আবিষ্কার করিয়াছিলেন, ঐদিন আমরা মাত, ১ম সংখ্য। ] , দেশে বি o -


-------------

エヘヘヘヘヘヘヘーペー - - - - - - ঘটনাটি অতি সামান্ত, এইরূপ উপকার | law sir, yes or son in-law sir বলিয়। তাহদের দিকে ধাবমান ইষ্টব্যর চেষ্টা করিলেন, কিন্তু দীনবন্ধু তাহার গত ছাড়িলেন না। সহগ এইরূপ সম্বোধনে বৈদিক-ঠাকুরদ্বয় নিঃশব্দে টিকি উড়াইয়া দৌড়িতে লাগিলেন, তাহদের চটজুতার ফটফট শপ অনেকক্ষণ ধরিয়া শুনিতে লাগিলাম—বৈদিক ঠাকুরের পাতাল মাতালকে বড় ভয় করিতেন । এইরূপে প্রায় ১.১৭ মিনিটে আমরা বাট পৌছিলাম, পরে অনেকক্ষণ রিয়া দীনবন্ধুকে বাতাস দিতে হইল। যতক্ষণ রাস্তায় মাতালকে রিয়া ছিলেন ততক্ষণ তিনি গষ্ঠীর ভাবে ছিলেন । এহ্মণে বঙ্কিমচন্দ্র ও উহার ভ্রাতাদিগকে দেখিয়া নিজমূৰ্ত্তি ধরিলেন । ঘামিতেছেন, স্থাপাইতেছেন, আবার হাসাইতেছেন, ও হাসিতেছেন। এখানে বলা বাম্বল মাতালবাবুকে পাওয়াইয় পান্ধি করিয় শ্বশুরবাটা পাঠান হইল, স্বশুরবাদী গ্রামান্তরে । অজ্ঞান অপরিচিত ব্যক্তি, যাহার পেশ মাতাল হইয়া থানায় পড়, পুর ফীড়ার ¢ग्नां७ দিয়া বাটী আসিতেছিলাম ষ্টেশন श्ल প্রায় এক, তাহাকে কে এরূপ যত্ব করিয়৷ बt ={ग्न দিয় পাকে ? যে দেয় সে দীনবন্ধু | দীনবন্ধু বিপদগ্ৰস্ত লোককে প্রাণপণে সাহায্য করিতেন। করিতেন টে, কিন্তু হার একটি বিশেষ রোগ ছিল, বিপদ হইতে উদ্ধার করিয়া যদি উহাকে নাটকোপযোগী মনে করিতেন, তাহ হইলে কোন নাটকে সে চরিত্রটি অঙ্কিত করিতেন। এই মাতাল বাণুই "সধবার একাদশীর" "ভোল" মাতাল । বঙ্কিমচন্দ্রের অনেক বন্ধু ছিল, দীনবন্ধুর অসংখ্য বন্ধু ছিল, কিন্তু ইহার দুইজনে পরস্পরের প্রাণভূল্য বন্ধু ছিলেন। যখন বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হয় তখন বঙ্কিমচন্দ্র স্তাহার “সাহিত্যের সহায়" দীনবন্ধুর নিকট বিশেষ সাহায্য পাইবেন এমন ভরসা করিয়াছিলেন । কিন্তু বঙ্গদর্শন প্রকাশের অল্পকাল মধ্যেই তাহার মৃত্যু হইল। এই সময়ে ঠাখার জন্ম বঙ্গসমাজের চারিদিক হইতে ক্ৰন্দনরোল উঠিল, কেহ বা সংবাদপত্রে, কেহ বা মাসিক পত্রিকাতে, কেহ বা কথিতাতে কাদিতে লাগিলেন । কিন্তু বঙ্গদর্শন মৌনাবলম্বন করিয়া রহিল। ইহা অনেকে লক্ষা করিয়া অনেক কথা বলিয়াছিলেন, কিন্তু দীনবন্ধুর শোকে বঙ্গদর্শনের যে কণ্ঠরোধ হইয়াছিল তাহ কেহ বুঝিতে পারেন নাই। প্রায় তিন বৎসর পরে যখন বঙ্গদর্শন বিদায়গ্রহণ করিল তপন বঙ্কিমচন্দ্র ঐ বিদায়-প্রবন্ধে বঙ্গদর্শন-লেখকগণের নিকট কৃতজ্ঞতাস্বীকার করিতে গিয় দীনবন্ধুর কপা উত্থাপন করেন। কিন্তু কিরূপ কাতরতার সহিত উথাপন করিয়াছিলেন তাং নিয়ের কয়েকছত্রে প্রকাশ পাইবে – "আর একজন আমার সহায় ছিলেন—সাহিতো আমার সহায়, সংসারে আমার মুখদু:খের ভাগী—তাহার নাম উল্লেগ করিতে পারিতেছি না। এই বঙ্গদর্শনের বয়ঃক্রম অধিক হইতে ন হইতেই औनदकू यामादक বাৰু, যেদিকে খান কেবল সেইদিকেই টলিয়া টলিয়া আসিতেছেন, পূৰ্ব্ব । রিত্যাগ করিয়া গিয়াছিলেন। হার জন্ত তপন বঙ্গসমাজ রোদন লের প্রতি থানাডোবার আকর্ষণশক্তি আবিস্কার করিলাম । কেননা মাতাল দিকে সমতল ভূমি, সেদিকে কোনমতে টলিবেন ন; ইহা দেখিয়৷ ဒွိႏို কোমরে চাদর জড়াইয়৷ ষ্টাহার বাম হাতখানি ধরিলেন । আমি দক্ষিণ | | দিকে অর্থাং ড়েনের দিকে দাড়াইলাম ও তাছাকে ঠেলিয়া রাধিতে লাগিলাম। এই প্রকারে কিছুদূর যাইয়৷ দীনবন্ধুর কণ্ঠ দেখিয়৷ আমি বলিলাম, “আপনি ছাড়িয় দিন, আমি ড়েনের দিকে আছি, কোনমতে কহিতেছিল, কিন্তু এই বঙ্গদর্শনে তাহার নামোল্লেখও করি নাই। কেন, তা কেহ বুঝে না। আমার যে দুঃখ, কে তাহার ভাগী হইবে ? কাহার কাছে দীনবন্ধুর জন্তু কাদিলে প্রাণ জুড়াইবে? অন্তের কাছে দীনবন্ধু স্থলেখক, আমার কাছে প্রাণভুল বন্ধু—আমার সঙ্গী। সে শোকে | পাঠকের সমৃদয়ত হইতে পারে না বলিয়, তখনও কিছু বলি নাই, বাবুকে থানায় পড়িতে দিব না।" তিনি বলিলেন, “ন হে ন"। তিনি - এখনও আর কিছু বলিলাম না।" আমাকে বিশ্বাস করিলেন না। আমার তখন ২২২৩ বৎসর বয়স। - বস্তুত আমরা সকলেই লক্ষ করিতাম দীনবন্ধুর মৃত্যুর পর হইতে পশ্চিমদিকে বৈদিকপাড়ার একটি গলি হইতে দুইটি বৈদিক शङ्ख ! মিচন্দ্র স্তাহার কপ উথাপন করিতেন না। যদি কেই দীনবন্ধুর কথ বড় বাস্তায় আসিয় পড়িলেন। দীনবন্ধুকে স্টাছার চিনিতেন, আনন্দ সহকারে স্তাহার সহিত কথা কহিতে অগ্রসর হইলেন, কিন্তু দীনবন্ধু একজনের হাত ধরিয়া টানাটানি করিতেছেন দেখিয়া অতিশয় আশ্চর্যাম্বিত হইয়া বলিলেন, "একি, ইনি । কে " তপন মাতালরাজ দক্ষিণ হস্ত দ্বার বুক চাপড়াইয় "son-in न टैशिज রহস্ত-পটুতার কথা কহিত, তখনই বঙ্কিমচন্দ্রের একটা পৰিবৰ্ত্তন লক্ষিত হইত, তিনি মৌনাবলম্বন করিয়া থাকিতেন। ইহাতে স্বাক্ষর দিতাম যে তিনি দীনবন্ধুর শোক ভুলিতে পারেন নাই, দীনবন্ধুর স্মৃতি তাহার কষ্টকর হইয়াছিল। প্রায় ৮৯ বৎসর পরে "আনন্দমঠের" উৎসর্গপত্রে "কুমারসম্ভব হইতে একটি মোক উদ্ধত জ্ঞান-প্রতিষ্ঠা --- > २१


** ヘーベーへペー・ヘヘヘ、ヘ、ヘ・・ --SumitaBot (আলাপ)

করিয়া আক্ষেপ করিয়াছিলেন, "হে ক্ষভিন্ন সুহৃদ আমাকে ফেলিক্ষ্ম -- কোপায় গেলে " বনিমচন্দ্রের সদয় বড় স্নেহপ্রবণ ছিল। ( ভারতী, চৈত্র ) স্ত্রপূর্ণচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। - দেশে বিজ্ঞান-প্রতিষ্ঠা - বিজ্ঞান, কলা ও বার্তা । - বিজ্ঞান কি তাহা বুঝা যাউক । কেহ কেহ বলিয়াছেন, কোন বিষয়ের বিশেষ জ্ঞান বি-জ্ঞান, কিংবা যাবতীয় বিষয়ের বিশেষ জ্ঞান বিজ্ঞান। এই অর্থ অত্যন্ত ব্যাপক। একটু সঙ্কোচ করিয়া মোক্ষ-বিষয়ক জ্ঞান বিজ্ঞানের বহিভূত করা হইয়াছে। অমরকোষের মতে,-শিল্প ও শাস্ত্রের যে জ্ঞান, তাহা বিজ্ঞান। শিল্প চিত্রাদি, শাস্ত্র ব্যাকরণাদি। এই অর্থও বিস্তৃত হইল। আর একটু সঙ্কোচ করা যাউক । অমরকোষের টীকাকার রঘুনাথ বলেন, বিরূপং জ্ঞানং বিজ্ঞানং । বিভিন্ন রূপের যে জ্ঞান তাহা বিজ্ঞান। চিত্রশিল্পে বিভিন্ন মূৰ্ত্তি, ব্যাকরণ-শাস্তে। শব্দের নানা রূপ প্রদর্শিত হয়। এই কারণে শিল্প ও ব্যাকরণ বিজ্ঞান। কিন্তু এই অর্থ আমাদের আলোচ্য বিজ্ঞানের নহে। নানা রূপে প্রকৃতি কাৰ্য্য করিতেছেন , । প্রকৃতির এই যে অসংখ্য রূপ, রূপপরিবর্তন-প্রবৃত্তি তাহার জ্ঞানের নাম বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। তেজাদি পঞ্চভূত আমাদের পাচ জ্ঞানেন্ত্রিয়ের বিষয়। এই পাচভূতের জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভৌতিক বিজ্ঞান। প্রকৃতি । বহুভেদবিশিষ্ট বিচিত্র। ইহার উপাদান জড় কল্পিত হইয়াছে ; শক্তি জড়কে স্পদিত করিতেছে। এই জড়শক্তিময়ীর জ্ঞান বিজ্ঞান, জড়-বিজ্ঞান । আমরা যে-ভাবেই দেখি, সেই একেরই জ্ঞান ; এইহেতু বিজ্ঞান সংজ্ঞা প্রাকৃতিক, ভৌতিক বা জড়বিজ্ঞান বুঝি। - কখন কখন গ্রাম্যজন কলেজের বিজ্ঞানশালায় আসিয়া সজ্জা ও উপকরণাদি দেখিয়া জিজ্ঞাসা করে, এখানে আপনার কি করিতেছেন ? বলিতে হয় খেলা করিতেচি , পণ্ডিত দেখিলে বলিতে হয় প্রকৃতির সহিত খেল করিতেছি। এই উত্তরে পণ্ডিত দর্শক সন্তুষ্ট হন না। কিছু বুঝাইবারও উপায় নাই। পঠন, পাঠন, অধ্যাপন, ইমছ ত বিদ্যালয়ে হইয়া থাকে পঠন পাঠনাদি বিদ্যালয়ের - -