পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Ե» প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩২ [२4* छां★, २ १e পাতি কেন ? ওসব ঝক্কি মাথায় নেওয়া ভারি দায়, নইলে আর কি ? ভগবান যদি দিতেন, তবে আমার ঘর আজ কি খালি হ’ত ? এ একটা পরীক্ষা—অর্থাৎ— সব দিয়ে কেড়ে নিয়ে আমায় বৈরাগী ক’রে রেখেও এই একটা ছেলে দিয়ে দেখছিলেন আমি আবার জড়িয়ে পড়ি কি না । আমি সে চালাকিটুকু যদি ধরতেই না পারব, তবে এতদিন ধ’রে র্তার সঙ্গে কারবারই বা করছি কেন? দেড় বছর রাখলুম অসহ, বোধ হ’ল—ফেলে দিয়ে এলুম। যাক, এবার নিশ্চিন্ত হয়েছি, আর কখনও কোনো জীবকে দয়া দেখাতে গিয়ে কুব না।” কৃষ্ণ কলুকেটা তাহার হাতে দিতে-দিতে বলিল, "ওইটুকুই বুঝে দাদা, ওই বুঝবার জ্ঞানটুকু থাকৃলে কখগুণুে তোমায় কষ্ট পেতে হবে না, ভগবান তোমার দিন একরকম করে চালিয়ে দেবেনই।" বতনদাস দম ভরিয়া তামাক টানিয়া কলকে কৃষ্ণের হাতে ফিরাইয়া দিল, অশুদিন সে সব তামাকটুকু নিঃশেষ नां रुब्रिड्रा कन्रक शक्लिउ न, क्रुि षांछ कि জানি কেম,—তামাকট। তাহার কাছে বড়ই বিশ্রী ঠেকিতেছিল। সে বলিল, যা বলেছ দাদা । ছোড়াটা আসার সময় বড় কাতে লাগ ল, আমার চাদরের এইখানাটা চেপে ধরেছিল— বলিতে-বলিতে চাদরের যে অংশটা নিমাই চাপয় ধরিয়াছিল সেই দিকৃট একবার দেখাইয়া বুকের মধ্যে চাপিয়া রাখিল ; আবার বলিল, “তা—আমি কি তাহাতে ভুলি ? একধমকে ডা’কে একেবারে চুপ করিয়ে দিলুম, ফ্যাল ফ্যাল ক'রে মুখের পানে চেয়ে রইল, তবু আর একটি কথা বলবার সাধ্যি রইল না!” কৃষ্ণ এ-বর্ণনাতে যথার্থই একটু ব্যথা পাইল, বলিল, অমন ক'রে তাড়া দিয়ে চ'লে আসাটা তোমার কিন্তু উচিত হয়নি, দাদা । ছেলেমান্থব, তোমাকেই চেনে-জানে, তা’কে—” ঠিক এই কথাটা রতলদাসের হৃদয়ের মধ্যে জার্তম্বরে চীৎকার করিতেছিল ; সে সেই কথা বাহিরেও শুনিল, चश्ब्रि श्ब्र दणिण, “७-ब्रकम न कदृष्ण cन थांकूठ কখনও সেখানে ? ঠিক আমার পিছনে-পিছনে, চ’লে জাস্ত। এই ঘরটাতে তা’র যে কি মধু মাখানে আছে তা জানিনে, এ ঘর ছেড়ে সে কোথাও যেতে চাইত না ।” ঘরের পানে তাকাইয়া বৃদ্ধ একটা স্থদীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলিল, কিন্তু সে সজোৱনিঃশ্বাসে হৃদয়ের ব্যথা কমিল না, আরও যেন জমাট বাধিয়া আসিল । দিনটা তৰু এখানে ওখানে সেখানে করিয়া কাটাইয়া আসিতে পারা যায়, স্থদীর্ঘ রাত কাটে কই ? বুড়া তামাক সাজিতে বসে, বার-বার তাহার দৃষ্টি পড়ে গিয়া সেইথানটিতে যেখানে সে শুইয়া থাকিত। হায় রে, কোথায় কার কাছে সে আজ শুইয়া পড়িয়া আছে। বড় অভিমানী যে সে, রাত্রে ভয় পাইয়া ঘুম ভাঙিয়া গেলে সে বিছানায় মুখখানা গুজিয়া দিয়া ফু পাইয়া-ফু পাইয়া কাদিযে, তবু কাহাকে৪ ডাকিবে না। রাধিতে বসিয়া মনটা এমন তিক্তবিরক্তিতে ভরিয়া উঠে যে, তাহার আর রাধিতে ইচ্ছা হয় না। তা’তে জাল হয়ত নিভিয়া গিয়াছে, উঠি-উঠি করিয়াও সে আর উঠিতে পারে না, কিন্তু উনানের পানে তাকাইয়া চুপ করিয়া বসিয়া থাকে। কোনো একখানা তরকারী রাধিতে গেলে মনে হয়, কে খাইবে । না, এমন করিয়াও দিন কাটানো যায় না। রতনদাস ভাবিয়াছিল, তাহাকে বিদায় করিতে পারিলেই সব ভাবনা চুকিয়া যাইবে, কিন্তু ভাবনা চুকিয় যাওয়া দূরে থাকৃ, এ-যেন বিশ্বের ভাবনা আসিয়া তাহার মাথায় চাপিয়া বসিয়াছে। বিরক্ত রতনদাস আবার দেশভ্রমণে বাহির হইবে, স্থির করিল। এই তাহার শেষ যাত্র, আর কিছুতেই সে এ-জীবনে দেশে ফিরিবে না। খড়ম-জোড়, আর খেলো হক, মালা, দ্বখানা মম্বলী v কাপড় সে তাঙ্গার ভিক্ষার ঝুলির মধ্যে একদিন ভরিয়া লইল । বিদেশ-যাত্রা করিতে হইতেছে, আর সে আসিবে না। জন্মের শোধ গ্রামটাকে একবার দৈখিয়া লইয়া সে शर्थन घरब्र किब्रिज, उर्थन ८षषिzड श्रादेन ७कfä अ६উলঙ্গ শিশু তাহার বারাওয়ে মাটিতে মুখখানা গুজিয়া উপুড় হইয়া পড়িয়া আছে। -