পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

! ১ম সংখ্যা ] জমালগটীর গান্ধার ভাস্কৰ্য্য సె> ASAAAAS AAAAA AAASA SAASAASSAAAAAASAAAA নাই। তাহার ঔপনিবেশিকভাবেও বাস করিয়া छिब्रां८क्लन । গ্রীকৃদিগের শিলা শিল্প ভারতীয় অনেকস্থানের শিল-শিল্প হইতে বিশেষরূপ পৃথকৃ। গ্রীসীয়গণ, প্রথমে গৌণভাবে পারস্তদেশীয় চিত্র-শিল্পের সাহায্যে ও পরে ংrারও ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শদ্বারা, ভারতীয় ভাস্কর্য্যের উন্নতিসাধনে fাশেষভাবে সাহায্য করেন। যদিও ভারতীয় শিল্পীগণ গ্রীসদেশের নিকট র্তাহাদের ঋণ বিস্কৃত হইয়াছেন, তথাপি উ র ভারতের গান্ধার ভাস্কৰ্য্যশিল্পের সহিত খাটি গ্রীকশি প্লর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত-প্রদেশে গ্রীকৃ বিং রে ও উপনিবেশ-স্থাপনের কথা প্রমাণ করাইয়া দেয় | গ্ৰীকৃগণ ভারতবর্ষে বিজেতারূপে আগমন কবেন ও এ-দেশে যথাসম্ভব গ্রীস্দেশীয় আচার-ব্যবঙ্গর পালন করিয়৷ চলিতে চেষ্টা করেন। সেলুকাস নিকেটরের প্রাচ্য সাম্রাজ্যর পতনের পর ও স্বাধীন পারস্তের অভু্যখানের দরুন ব্যাকৃঢ়িয়ার গ্রীকৃগণ তাহাজের ইউফ্রেটিস উপত্যকা ও এশিয়া মাইনরের স্বজাতীয়গণের ও প্রতিবেশীদিগের সহিত বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়েন । ইহার ফলে প্রাচ্য ভূখণ্ডের অধিবাসী গ্রীকৃগণ পরবর্তী গ্ৰীসদেশীয় ও রোমকদেশীয় ইতিহাসে ভারতীয় বলিয়া পরিগণিত হইলেন । ধীরে-ধীরে তাহারা ভারতীয় আচার-ব্যবহার মানিয়া চলিতে লাগিলেন এবং ক্রমে র্তাহারা ভারতীয় ধৰ্ম্ম৪ গ্রহণ করিয়া এ-দেশের স্থায়ী বাসিন্দী হইয়া পড়িলেন। অবশেষে অস্তুৰ্ব্বিবাহ দ্বারা "ঠাই র ক্রমে এদেশের অধিবাসীদের সহিত মিশিয়া (গনে। বর্তমানে ভারতবর্ষের কোটি-কোটি অধিবাসীর fভৎ র, এই প্রবাসী গ্রীকৃদের কোনো চিহ্নই দেখিতে পNয়া যায় না। ব্যাকূটিয়ার ও আফগানিস্থানের গ্রীকৃগণ এক নূতন-ধরণের ভারতীয় সভ্যতার অগ্রদূত ও প্রবর্তকগণ্য হইতে পারেন । এই সভ্যতার চিহ্ন চীনদেশের ও পারস্তদেশের সীমান্ত-প্রদেশে দেখিতে পাওয়া যায় । গ্ৰীকৃগণ প্রথমে বৌদ্ধ অথবা হিন্দুধৰ্ম্ম গ্রহণ করেন। প.rাবের গ্রীকৃ নৃপতি আটি জালুকিডাস মধ্যপ্রদেশের মাধব রাজের নিকট ষোক্তপাঠান,তিনি ভিলসা বা বিদি -- --- _ _ শার নিকটস্থ বেশনগর নামক স্থানে একটি গরুড়স্তম্ভ নিৰ্মাণ করান। এই স্থানটি এখন সিন্ধিয়ার রাজ্যের অন্তভূক্ত । গ্রীক-রাজদূতটি হেলিওডোরাস নামে পরিচিত ছিলেন এবং তাহার পিতার নাম ছিল ডিম্বন । তিনি বৈষ্ণব ধৰ্ম্মবলম্বী ছিলেন । থিওডোরাস-নামক অপর একজন গ্ৰীকৃ একটি নাগ-দেবতার মন্দির নিৰ্ম্মাণ করান। তাহাদের মধ্যে অনেকেই বৌদ্ধধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া বৌদ্ধ-মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করাইয়াছিলেন । ভারতীয় বৌদ্ধগণ এইসব মন্দিরদিকে বিহার বা স্তপ আখ্যা দিয়াছেন। গ্রীকবৌদ্ধগণ উপাসনায় মূর্তিপূজার প্রথা স্থায়ীভাবে প্রবর্জিত করেন। খৃষ্টপূৰ্ব্ব ২য় শতাব্দী পৰ্য্যন্ত ভারতীয় বৌদ্ধগণের ভিতর মূৰ্ত্তিপূজার প্রচলন ছিল না। সেই কারণে বরহুত এবং সাচির পাথরে খোদা চিত্রসমূহে, স্কদেবের প্রতিমূৰ্ত্তির কোনোই চিহ্ন নাই। সেগুলিতে প্রভুর পদচিহ্ন দ্বারাই তাহার উপস্থিতি দেখানে ইয়াছে। গ্ৰীকৃগণ অতি প্রাচীনকাল হইতে মূৰ্ত্তি পূজা করিয়া আসিয়াছে। ভারতীয় গ্রীকৃগণ বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বী হুইki প্রভূর মূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণ করেন। বুদ্ধদেবের বৌদ্ধত্ব প্রাপ্তির পর এবং বোধিসত্ত্ব হইয়া থাকিবার সময়--এই উভয় অবস্থারই মূৰ্ত্তি দৃষ্টিগোচর হয়। ভারতীয় গ্রীকৃগণ আফগানিস্থানে ও পশ্চিম-পাঞ্জাবে মন্দির নির্মাণ করাইয়া গ্রীস্দেশীয় মোটিফ (চিত্রিকা) দ্বারা সজ্জিত করেন। সমগ্র আফগানিস্থানে,ব্যাকৃটিয়ার অনেক অগম্যস্থানে ও পশ্চিম-পাঞ্জাবে বহু গ্রীকৃ মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায়। এইসব অঞ্চলে প্রাপ্ত খাটি গ্রীসীয়-ধরণের বা ইণ্ডে গ্রীকৃ-ধরণের অনেক ভালো-ভালো খোদিত মূৰ্ত্তি ইয়োরোপের সর্বত্র চালান হুইয়া গিয়াছে । কিছুদিন পূৰ্ব্ব-পর্যন্ত পাঞ্জাবী বেনেরা এইধরণের শিলামূৰ্ত্তিসমূহ ইউরোপে পাঠাইয়া বেশ লাভ করিয়াছে। সম্প্রতি আইন দ্বারা এই ব্যবসায় বদ্ধ করা হইয়াছে। পেশওয়ার, তক্ষশিলা, লাহোর, কলিকাতা ও ভারতের জন্তান্ত জাদুঘরে খাটি গ্রীক-ধরণের ওইণ্ডো-গ্রীক-ধরণের অনেকশ্বন্দরস্বন্দর ভাস্কৰ্য্য-শিল্পের সংগ্ৰহ আছে। এক্ষণে ইউরোপের অনেক জাদুঘরে ও ব্যক্তিবিশেষের গৃহে গান্ধার-ভাস্কর্ঘ্যের অনেক নমুনা দেখিতে পাওয়া যায়।