পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভারতগবন্মেণ্টের ব্যবস্থাসচিবের পদ বাংলাদেশের য়্যাড ভোকেটু-জেনার্যাল যুক্ত সভাপ রঞ্জন দাশ ভারতগবন্মেন্টের ব্যবস্থাসচিব নিযুক্ত হইয়াছেন । এই নিয়োগে বাংলা দেশের বাহিরের অনেক খবরের কাগজ সন্ধ হন নাই ; -- সম্ভবতঃ বঙ্গের অনেকেও খুর্দী গুন নাই । * দাশ মঙ্গাশয় আইন ভাল জানেন না, একথা কে০ বলিতেছেন না। এমন কাহারও নামঃ কেন্ঠ করিতেছেন না, যাহার নিয়োগ অধিকতর সন্তোষকর হইত এবং নিনি তাহা অপেক্ষা বেশী আইনজ্ঞ । তাছার নিয়োগে অসস্তোষের কারণ প্রধানতঃ দুটি । অনেকে বলিতেছেন, যে, বোম্বাই হইতে কোন আইনজ্ঞ ব্যক্তিকে এবার ব্যবস্থসচিব নিযুক্ত করা উচিত ছিল। বোম্বাইয়ের কোন আইনজ্ঞ ব্যক্তি নিযুক্ত হুইলে আমরা তাহাতে কোন অসন্তোষ প্রকাশ করিতাম না, কিন্তু পৰ্য্যায়ক্রমে প্রত্যেক প্রদেশ হইতেই এক-একজন লোককে নিযুক্ত করিতে হুইবে, এরূপ কোন নিয়ম বা রীতির পক্ষপাতী আমরা নহি । যোগ্যতম ব্যক্তি যে-প্রদেশেরই লোক হউন, তাহাকে নিযুক্ত করাই ভাল। যাহা ইষ্টক, বোম্বাইয়ের যোগ্য কোন লোক নিযুক্ত ইষ্টলে ভালই হইত ; কারণ, চাকরীর জন্ত বা অন্ত কোন কারণে প্রদেশে প্রদেশে ঈর্ষ্যার সঞ্চার হওয়া ভাল নয়। দাশ-মহাশয়ের নিয়োগে অসন্তোষের আর-একটা কারণ এই বলা হইয়াছে, যে, তিনি খুব “অগ্রসর"-রকমের মডারেটু নহেন এবং ভারতগভৰ্ম্মেন্টের শাসননীতির উপর তিনি কোন প্রভাব বিস্তাৱ করিতে পারিবেন না। র্তাহার রাজনৈতিক মতের সহিত আমাদের মতের মিল নাই। র্তাহার পক্ষ সমর্থন করিবার কোন ইচ্ছাণ্ড আমাদের নাই। কিন্তু তাহার নিয়োগে অসন্তোষের এই যে কারণ উল্লিখিত হইয়াছে, তাই আমাদের বিবেচনায়ু অমূলক । “অগ্রসর” বা “৭শ্চাৎপদ” যে কোনরকমের ধে-কয়জন ভারতীয় এ র্য্যন্ত ভারতগবন্মেন্টের শাসন-পরিবদের সভা নিযুক্ত হইয়াছেন, তাহদের মধ্যে কেহ কি ভারত শাসন নীত্তির কোন পরিবর্তন করিতে পারিস্থাছেন ? ভারতীয় সভা দূরে থাক, লর্ড বিপনের মত ভারতহিতৈষী বড়লাট কোন পরিবর্তণ করিতে পারিয়াছিলেন কি ? স্বতরাং যদি দাশ-মহাশয়ের প্রভাবে ভারতশাসন-নীতির কোন পরিবর্তন না হয়, তাহা হইলে তাঙ্গ র্তাহার অযোগ্য স্থার পরিচায়ক হইবে না । বস্তুতঃ অগ্রসর বা অনগ্রসর যে-কোন ভারতীয় ব্যক্তি ভারতগবন্মেন্টের সভ্য হইবেন, তাহাকেই মোটের উপর শাসন কাঁধ্যে অধিকাংশ সভোর মতে সায় দিতে হইবে ; না দিলে তঁiহার স্বতন্ত্র মতের জয়যুক্ত হুইবার যে কোন সম্ভাবনা ঘটিবে, তাহাও নয়। বস্থত; লড়, সিংহ হইতে আরম্ভ করিয়া এপর্য্যস্ত যে-কয়জন ভারতীয় ব্যক্তি ভারতগবন্মেন্টের শাসন-পরিষদের সভ্য হুইয়াছেন, তাহার। কেইই সামরিক আইন প্রয়োগ, বিনাবিচারে কারারোধ, জনতার উপর অনাবশ্যক গুলিবর্ষণ দ্বারা নরহত্য, প্রভৃতি জুলুম নিবায়ণ করিতে পারেন নাই । এইরূপ নানা কারণে “অগ্রসর” ভারতীয় রাজনীতিবিদুদিগের রাজকাৰ্য্য গ্রহণ না-করাই মডারেট সংবাদপত্রগুলির অনুমোদনীয় হওয়া উচিত। কারণ “অগ্রসর” ব্যক্তিরা বেসরকারী অবস্থায় বরং দেশের কিছু কাজে লাগিতে পারেন, সরকারী কৰ্ম্মচারী হইয় গেলে তাঁহাদের দ্বারা ততটা কাজ হুইবার সম্ভাবনা নাই । সাবেক কংগ্রেসের আমলে অনেক কংগ্রেস-নে গ হাইকোর্টের জজ বা অন্ত বড় চাকর্যে হইয়া যাইতেন । তাহীতে তাঁহাদের কাহারও কাহারও ব্যক্তিগত স্থবিধা হইয়া থাকিবে, এবং বিচারাসন বা অন্ত