পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ব্যবসা বাণিজ্য করা দুঃসাধ্য বা অসম্ভব করিয়া তোল৷ इद्देहरु । ইহা যে কিরূপ অন্তায় ও নিষ্ঠুর ব্যবস্থার তাহা ঝিতে হইলে মনে রাখিতে হইবে, ત્ય দক্ষিণ আফ্রিকাবাসী ভারতীয়দের প্রায় কাহারও ভারতবর্ষে ঘরবাড়ী নাই ; তাহাজের অনেকেরই নিজের এবং বিস্তর লোকের বাপপিতামহের পর্য্যস্ত জন্ম হইয়াছে দক্ষিণ আফ্রিকায় ; তাহাদের বিস্তর লোক ভারতবর্ষের কোন ভাষায় কথা বলিতে পারে না ; তাহীদের পরিশ্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা ধনশালী হইয়াছে ; এবং তাহারা ভারতবর্ষে ফিরিয়া আসিলে এক ছটাক জমীও কোথাও পৈত্রিক ভিটা বলিয়া দাবী করিতে পরিবে না, এবং কোথাও জীবিকানিৰ্ব্বাহ করা তাঙ্গদের পক্ষে দুঃসাধ্য হইবে । - আফ্রিকা কৃষ্ণবর্ণ নিগ্রোদের দেশ। মূলতঃ শ্বেতকায়েরাও তথায় পরদেশী । কিন্তু পাশ্চাত্য রাজনীতির স্বায়বিচার এমনি, যে, একজন শ্বেতকায় যদি সত্তর বৎসর বয়সে আফ্রিকার কোথাও গিয়া আড ডা গাড়ে, তাহা হইলে সে পরদেশী বিবেচিত হইবে না, কিন্তু একজন ভারতীয়ের বাপ-পিতামহ পৰ্য্যস্ত ধর্দি আফ্রিকাজাত হয়, তাছা হইলেও সে তথায় পরদেশী বিবেচিত হইবে। ইহাও কম করিয়া বলা হইল। কয়েক শতাব্দী পূৰ্ব্বে, যখন ইংরেজ ভারতে আসে নাই, তখন হইতে অনেক ভারতীয় পূৰ্ব্ব আফ্রিকায় বসবাস ও ব্যবসাবাণিজ্য করিতেছে ; তাহাদেরই প্রমে পূৰ্ব্ব আফ্রিকা সভ্য মানুষের বাসযোগ্য হইয়াছে। কিন্তু পূৰ্ব্ব আফ্রিকাতেও ভারতীয়েরা পরদেশী এবং সেদিনকার আগন্তুক ইংরেজরা “স্বদেশী" ; সেখান হইতেও ভারতীয়দিগকে তাড়াইবার চেষ্টা হইতেছে। শ্ৰীমতী সরোজিনী নাইডু ১১ই অক্টোবর ভারতবর্ষের সৰ্ব্বত্র ডাক্তার ম্যালানের বিলের প্রতিবাদ করিতে ও দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতীয়দিগের দুঃখমোচনার্থ ভগবানের নিকট প্রার্থনা করিতে অনুরোধ জানাইয়াছেন। (৬(!۹t هد. هد বিবিধ প্রসঙ্গ—বোম্বাই মিলসকলে:ধৰ্ম্মঘট ১২৩ বোম্বাই মিলসকলে ধৰ্ম্মঘট বোম্বাই প্রদেশের কাপড়ের মিলে যত কাপড় উৎপন্ন হয়, তাহার কাটুতি কম হওয়ায় মিলওয়ালার শ্রমিকদের বেতন কমাইয়া দেয়। তাহাতে একটি একটি করিয়া সমুদয় মিলের শ্রমিকরা ধৰ্ম্মঘট করিয়া কাজ ছাড়িয়া দিয়াছে । বোম্বাইয়ের মিলসকলের কাপড়ের কাটুতি কমিবার কারণ অনেক । জাপানের প্রক্তিযোগিতা তাহার মধ্যে একটি । উৎপাদনের ও বিক্রয়ের ব্যবস্থাতেও দোষ আছে । মিলওয়ালারা কিন্তু বলিতেছে, যে, তাহাদের উৎপন্ন পণ্যের উপর যে-শুষ্ক আছে, তাহা উঠাইয়া দিলে তাহারদর কমাইতে ও কাটতি বাড়াইতে পরিবে । এই শুল্কের ইতিহাস সুবিদিত। বিলাতী কাপড় ও স্বভার উপর যখন শুস্ক বসে, তখন বিলাতী মিলওয়ালাং দাবী করে, যে, শুষ্ক ভারতের মিলজাত কাপড় ও স্বভার উপরও বক্ষক । দেশী পণ্যশিল্প রক্ষার জন্য বিদেশী মালের উপর, শুস্ক বসান প্রচলিত রীতি ; কিন্তু যে-দেশে কাপড় প্রস্তুত হয়, সেই দেশেই তাহার উপর ট্যাক্স বসান অসঙ্গত ব্যবস্থা। কিন্তু ভাত-প্ৰভু ইংরেজদের স্বার্থরক্ষার জন্য অণহাদের জেদে এই অসঙ্গত ব্যবস্থা করিতে হইয়াছিল। এই শুষ্কর বিরুদ্ধে আন্দোলন বহবৎসরব্যাপী ; ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় ইহা উঠাইয়। দিবার জন্ত প্রস্তাবও ধার্ঘ্য হইয়া আছে, যদিও গবষ্মেন্ট তাহা কার্য্যে পরিণত করেন নাই। স্বজ্ঞরাং বৰ্ত্তমান ধৰ্ম্মঘট না ঘটিলেও ঐ শুষ্ক উঠিয়া যাওয়া উঠিত ছিল। মিলওয়ালদের বিরুদ্ধে প্রধানতঃ ইহা বলা আবশ্বক যে, তাহারা বয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে র্তাহাদের মূলধনের উপর শতকরা একশত, দুইশত, তিনশত, চারিশত টাকা পৰ্য্যত্ত লাভ করিয়াছিলেন ; কিন্তু তখন শ্রমিকদিগকে সেই অসাধারণ লাভের হারাহারি অংশ দেন নাই। সৌভাগ্যের সময় প্রমিকদিগকে মুখের ভাগ না দিয়া, এখন কাটতি হ্রাসের সময় তাহার শ্রমিকদিগের মজুরী কমাইতেছেন। এই স্থায়বিরুদ্ধ ও নিৰ্ম্মম আচরণের জন্য র্তাহারা সৰ্ব্বসাধারণের সহানুভূতি পাইবার অধিকারী নহেন। মোটামুটি দেড় লক্ষ শ্রমিকের বেকার অবস্থা ঘটিয়াছে,