পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের প্রেসিডেন্সী কলেজ ঐ হরিশ্চন্দ্র কবিরত্ব ( २ ) আমি বরাবর টেক্সট, বুকের সমস্তটার উপর প্রশ্ন লিখিয়া দিতাম ; কোন শ্লোক বাদ দিতাম না— কোন শ্লোকটির সংস্কৃত টীকা লিখিতে দিতাম, কোনটির বা ইংরেজি অনুবাদ করিতে দিতাম। কোনটির বা বাচ্যপরিবর্তন করিতে দিতাম, কোনটির বা মৰ্ম্মার্থ লিখিতে দিতাম ; কোন শ্লোকের বা ক্রিটিক্যাল প্রশ্ন লিখিতে দিতাম। ফলতঃ আমার প্রশ্নগুলির মধ্য হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নগুলির অধিকাংশই প্রায়ই পড়িত। এজন্য খুব মনোযোগের সহিত ছাত্রেরা আমার প্রশ্নগুলি শুনিত ও লিখিয়া লইত । একদিন এমন সময় গ্রিফিথস সাহেব ও এসিস্টান্ট, সেক্রেটারী ব্রজ বাবু পশ্চাতে আসিয়া যে দাড়াইয়া আছেন, তাহা আমি জানিতে পারি নাই। ছেলেরাও সাহেবকে দেখিয়াও চঞ্চল হয় নাই ; নীরবর্তবে প্রশ্নগুলি লিখিয়া লইতেছিল। সাহেব অনেকক্ষণ দাড়াইয়৷ চলিয়া গিয়াছিলেন। পরে ব্ৰজবাবু আমাকে ভাকিয়া পাঠাইলেন, এবং বলিলেন—“হরিশ ! তুমি কি পড়াইতেছিলে ? সাহেব তোমার ক্লাস দেখিয়া বড় সত্তই হইয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, তিনি হুগলি কলেজে সংস্কৃত পড়াইবার সময় বড় গোল হয় তাহা দেখিয়াছেন ; কিন্তু এখানে আসিয়া সম্পূর্ণ বিপরীত দেখিলেন। যাহা হউক, সাহেব তোমাকে একবার দেখা করিতে বলিয়াছেন। তুমি গিয়া তার সঙ্গে দেখা কর।” আমি মনে মনে সভষ্ট হইয়া গ্রিফিথ স সাহেবের সঙ্গে দেখা করিলাম । তিনি আমাকে আদর করিয়া চেয়ারে বসিতে বলিলেন, এবং ক্লাসে আমার শান্তিরক্ষার খুব প্রশংসা করিলেন। আমি তাহাকে ধন্যবাদ দিয়া চলিয়া আসিলাম। নিয়ে একটি ঘটনা লিখিলাম। ইহা পাঠ कब्रिघ्रां *ाठेक दिकांब्र कब्रिब्रां बलि८बन-घाभि ८मांशैौ कि নির্দোষী। পূৰ্ব্বে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় কর্তৃক্ষ ংকলিত ঋজুপাঠ ৩য় ভাগ নামক পুস্তকখানি প্রায় ১৬ বৎসরের অধিককাল প্রবেশিক পরীক্ষার পাঠ্য হইয়া চলিয়া আসিতেছিল। ঐ সময় মৎসংকলিত সংস্কৃতপাঠ প্রথম ভাগ নামক পুস্তকখানি অনেক স্কুলের পাঠ্যরূপে নির্দিষ্ট হওয়ায় আমি উহার ২য় ভাগ সংকলিত করি । ঐ শেষোক্ত পুস্তকে পঞ্চতন্ত্র ও হিতোপদেশ হইতে গদ্য অংশ সংগৃহীত করিয়া এবং মহাভারত হইতে বক-রাক্ষস বধ ও মার্কণ্ডের পুরাণ হইতে হরিশ্চন্দ্রোপাখ্যান পদ্য-অংশ সংগ্ৰহ করিয়া দিয়াছিলাম। এবং মোহমুদগর, নীতি-নিচয় প্রভৃতি নাননীতিস্থচক শ্লোকও দিয়াছিলাম। আমার স্বৰ্গীয় পিতৃদেবের অনুমতি লইয়া আমি ঐ দ্বিতীয় ভাগ সংস্কৃতপাঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষার পাঠ্য হুইবার উদ্দেশে সিণ্ডিকেটে পেশ করিয়াছিলাম। বইখানির সঙ্গে কে এম্‌ ব্যানার্জি টনি সাহেব, গাফ সাহেব, হান্‌লি সাহেব, এই ৪ জনের অভিমতগুলিও পাঠাইয়াছিলাম। বলা বাহুল্য, তাহারা ঐ বইখানিতে খুব ভাল অভিমত দিয়াছিলেন। কিন্তু আমার দুর্ভাগ্যবশতঃ বোর্ড, অফ সান্‌সক্রিট স্টাডিস ঐ বইখানি পছন্দ করিলেন ন। তৎকালে ঐ বোর্ডে কে এম ব্যানার্জি মহাশয়, মহেশচন্দ্র স্বায়রত্ব মহাশর, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়, কৃষ্ণকমল ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয়, নীলমণি মুখে+ পাধ্যায় মহাশয় ইত্যাদি কয়েকজন সভ্য ছিলেন। প্রথমোক্ত ৪জন মেম্বার আমার পুস্তক মনোনীত করিলেন না। র্তাহারা সিণ্ডিকেটের উপর ভার দিলেন। তৎকালে সার এলফ্রেড ক্রফটু সাহেব বিশ্ববিদ্যালয়ের সিণ্ডিকেটের প্রধান মেম্বর ছিলেন টনি সাহেব রেজিসটার ছিলেন ; এবং ত্ৰৈলোক্য নাথ বন্দ্ব্যোপাধ্যায় এসিস্টান্ট রেজিস্টার ছিলেন sప్రిలో