পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অষ্টা শ্ৰী অচিন্ত্যকুমার সেন গুপ্ত আমিও তোমার মতো স্বজিয়াছি একখানি অপূৰ্ব্ব ভুবন, সেথা ক্ষত্রি নেমে আসে বক্ষে ল’য়ে বিরহের ব্যথা-গুঞ্জরণ রিক্তা নিরাভরণার মতো অঙ্গে ধরি’ ব্যর্থতার ব্ৰত। প্রেমের পাচুর্ঘ্য দিয়া রচিয়াছি আকাশের মঙ্গল মহিমা, ব্যথার লাবণ্য দিয়া আঁকিয়াছি শরতের প্রশান্ত নীলিমা ; রামধন্থ আঁকিম্বাছি অফুট চুম্বনে, গগন-কম্পন-ব্যথা মুখ-আলিঙ্গনে ! অসংখ্য আশার ভাতি জালায়েছি নয়নে তারার, অশ্রু দিয়াগড়িয়াছি নবঘন পুঞ্জিত আষাঢ়। ীেবনের ইচ্ছাখানি ছঙ্গি তুলি জলদের কম্পন-আনন্ধে, মনের নিকুঞ্জতল পুঞ্জ-পুঞ্জ বেদনার কেতকী-সুগন্ধে sts আন্দোলিয়া উঠিছে উত্তলি', चाकाङकांब्र विझ्क्र-कांकलौ ! যেমন তুমি হে কবি, রচিয়াছ এ স্বন্দর স্বষ্টির কবিতা, আপন আনন্দ-ছদে মেলিয়াছ নব-নব বর্ণ-বিলাসিত, তেমুনি আমিও কবি ; আমার কল্পনা । অাকে নিত্য আনন্দের শুভ্ৰ আলিম্পনা ! নিত্য মায়া-মহোৎসব আমার সে মৰ্ম্মরিত মর্শের জগতে, প্রিয় সেথা চিরস্থাত্রী পল্লব-হিল্লোল-ফুল্ল ফাত্তনের রথে ; প্রাণের কুকুম দিয়া লেখা নিত্য মাল্য-বিরচন, ব্যথিত বুকের গৃহে সেখা মোর বাসক-শয়ন, সেথা নিত্য আশা যায় বুনি’ 酸 আকাশের ফুলের ফান্ধনী! আমিও তোমার মতো,হুেমায়াৰী শিল্পকার,হে ক্ষ্যাপাখেয়ালী, বৈদনার রসায়নেরচিনিত্যবসি-ব’সি আনন্সেয়দীপের দেয়ালি चखङ्ग-दाबना निम्न शबूण रूटब्रश् िcयांब्र भएनब्र शबूब, সেথা রাত্রি-অৰলানেদেখাদের তন্তুগান্ধী জ্যোতির্গী উষা ; সেথা স্বৰ্য্য-সন্তানের নব-নব জন্মের উৎসব, আলোকের স্তোত্ৰে-স্তোত্রে আনন্দের মন্ত্র-কলরব, সেথা ফোটে প্রেমের মালতী, তাই সেথা অরুণ-আরতি ! যেমন তুমি গো তার পর, ভেঙে ফেলো স্বপ্ন-খেলা-ঘর, ধূলির সঞ্চয় কাড়ি নিঃসম্বল করে ধরণীরে, স্বষ্টির কবিতাখানি অবছেলে ফেলে দাও ছিড়ে— তেমনি আমিও একদিন অশান্ত বিরক্ত তৃপ্তিহীন দারুণ হেলার ভরে চূর্ণ করি আনন্দ-লেখনী, দীর্ঘশ্বাসে ভস্ম ক’রে দিয়ে যাই স্বপ্নের বিপণী, দুইজনে ভয়ঙ্কর বীভৎস নিষ্ঠুর, শুধু ছবি আঁকি বসে জীবন-মৃত্যুর ! আমার ভুবনে আমি তোমা-মতো খুলী-ক্ষ্যাপা স্ৰষ্ট,ভগবান— কাহারে বঞ্চিত করি, বক্ষ ভরি’ কাহারে সর্বস্ব করি দান ; মিলন-চুম্বন কারে, কাহারে বা আতপ্ত বিরহ, কারে দগ্ধ মরুভূমি, কারে বর্ষা-অশ্র-অনুগ্রহ ; আমার খেয়াল-মতো গান গাহি ভৈরবী-বিভাসে, ধগু করি কারে প্রেমে ; খিয় করি কারে দীর্ঘশ্বাসে ; কারে কন্টকের মালা, কারে বা মাধবী, যাহা খুশী দান করি তোম-সম, কবি ! আমিও তোমারি মতো পাইয়াছি অমূল্য সে স্বৰ্গ-সিংহাসন, রাত্রিদিন সেথা বসি মূল্যহীন রাজত্বের করি আয়োজন ; আকারণে ব’গে-ব’সে ক্ষণিকের ক্ষণপ্রভ হানি’, তোমারি মতন শেষে মৃত্যুর গুণ্ঠন দিই টানি ; মিশে যায় একে-একে মূল্যহীন স্বপ্নের বুদ্বুদ, আতঙ্কে নিবিয়া যায় সে-রহস্তলীলার বিছাৎ, পড়ে থাকে বিদীর্ণ বঁাশরী, ভগ্ন যত ভাবের গাগরী !