পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য; } মনে রাখিতে হইবে। - "দীনের সম্পদে’র আলোচনায় আমরা বিশেষভাবে জাহার কথা বলিয়াছি । স্থিতি নাট্য crêraftwo offs-arúja(Static Drama)":f3কল্পনার কথা একটু বিস্তার করিয়া বলিয়া রাখা আবগুক । মেটারলিঙ্ক গ্রীক নাটকের মধ্যেই তাহার এই আদশটিকে কাৰ্য্যে পরিণত দেখিয়াছেন। গ্রীক নাটকের মধ্যে বাহিরের ঘটনা যেমন একেবারেই নাই, তেমনি অন্তরের মাঝেও ঘটনাবাহুল্য নাই। এই স্থিতিনাট্যের লক্ষ্য জীবনের একটা গতি বা পরিণতি দেখানে নহে,সেইজন্যই ইহার মধ্যে চরিত্রবিকাশ বস্তুটা নাই। গ্রীক নাট্যের লক্ষা ছিল জীবনের মাঝখানে অলঙ্ঘ্য নিয়তিকে উদঘাটিত করিয়া দেখানে । গ্রীক নাটকের মধ্যে জীবনপ্রবাহ দেখি ন, সেখানে নিয়তির সম্মুখে স্তন্ধ জীবনের একখানি মর্শ্বর মূৰ্ত্তিমাত্র দেখি । এই স্থিতি নাট্যই মেটারলিঙ্কের নবনাট্য ঃ গ্ৰীকনাট্য চাইতে ইহার পার্থক্য শুধু উদ্বেপ্তের মাঝে । গ্ৰীকনাটক দেখাইয়াছে জীবনের উপর নিয়তির অলঙ্খনীয় প্রভাবটিকে, কিন্তু মেটাখুলিঙ্কের মতে নখনাটকের উদ্ধেশ্ব হইবে জীবনের পশ্চাতে যে অদৃষ্টরহস্ত রহিমছে তাহাকেই মূৰ্ত্ত করিয়া দেখানো। এইজষ্ঠ এই নাটক গ্রীক নাটকের মতনই জীবনকে ভাঙ্গার গতিময় fবচিত্র বিকাশের মধ্যে দেখিার চেষ্টা না করিয়া একটিমাত্র স্বরকে, একটিমাত্র মনোভাবকে (mood) মূৰ্ত্ত করিয়া জীবনকে নিশ্চল করিয়া দেখাইবার চেষ্টা করিতে থাকে। ধে অজ্ঞেয় এবং অপরিসীম অদৃষ্ট রহস্ত মানবজীবনকে অঙ্গরাল ইষ্টতে নিত্যকাল চালনা করিয়ু আসিতেছে, মেটারলিঙ্কীয় স্থিতিনাট্য তাহাকেই একটা রূপ দিবার দুঃসাধ্য চেষ্টা করিয়াছে । রহস্য ও নব নাটক মানবজীবন-ঘেরা এই অজ্ঞাত বিপুল রহস্যই নবনাটকের বিবয়বস্তু হওয়ার ফলে নাট্যপদ্ধত্তির মধ্যেও পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী হুইয়া উঠিয়াছে রম্বস্ত বস্তুটা ইষ্টভেঙ্গে অন্ধকারের, তাছাকে কখনও আলোকে আনিয়া দেখানে যাইতে পারে না । কিন্তু ব্যক্তিচরিত্র বস্তুটা এই রহস্য-বিরোধী, কারণ ব্যক্তি হইতেছে তাহাই যাহ। মেটারলিঙ্কীয় নাটকের ভাববস্তু 8ፃው ব্যক্ত হইয়াছে, স্বম্পষ্ট হইয়াছে ; দিবালোকের মধ্যে, জ্ঞানের মধ্যে তাহার সীমারেখাগুলি স্পষ্ট ইয়া উঠিয়াছে বলিয়াই সে ব্যক্তি । এইজগুই রহস্যকে একটা ব্যক্তির রূপ দিয়া ফুটাষ্টয়া তুলিবার চেষ্টা এই নব নাটক করিতে পারে নাই ; তাহাকে বাধ্য হইয়া একটা আবহাওয়ার করিতে হইয়াছে । কারণ জীবনের বিপুল রহস্য-বস্তুটি মানবাত্মার নিকট একটা ব্যক্তি হইয়। ধরা দিতে পারে মা ; একটা আবহাওয়ার মতন আকাশ বাতাস ব্যাপ্ত একটা অব্যক্ত,আসন্ন ভাবের মতন তাহাকে অনুভব করা যায়ু মাত্র । রহস্যের এই আবহাওয়া প্রকাশ করিতে গিয়া মেটারলিঙ্ক তাই নববাৰ্ত্তালাপ-ভঙ্গীর প্রয়োজন স্বীকার করিয়াছেন । এই বাৰ্ত্তালাপ-রীতির কথা বারাস্তরে আলোচনা করিবার ইচ্ছা রহিল। এখানে শুধু মেটারলিঙ্ক তাহার “দীনের সম্পদে’ নাটক-সম্বন্ধে যে মতামত প্রকাশ করিয়াছেন, তাঙ্কাই বলিয়া ক্ষাঙ্ক হইলাম । ( থ ) “গোপন-মনিরে” “দীনের সম্পদে” প্রচারিত এই মতবাদ অচিরেই পরিবর্তিত হইয়া যায়। ‘গোপন-মন্দিরে’ ( ১৯৭২ ) ‘রঙ্গস্য বিবৰ্ত্তন’ প্রবন্ধে রহস্যালোচনা-প্রসঙ্গে তিনি নাটকের উদ্ধেশু-সম্বন্ধে খানিকটা মত প্রকাশ করেন । ইঙ্গার মধ্যে তিনি মানব-জীবনকেই নাটকের বিষয়বস্তু বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন । নীতি-রহস্ত-সম্বন্ধে আলোচনা করিয়া মেটাপ্ললিস্ক এই সিদ্ধান্ত করেন যে, মানবজীবনের যাহা-কিছু সংগ্রাম তাহা হইতেছে নৈতিক এবং এই নৈতিক জগৎ বাহিরের কোনো শাঙ্কির দ্বারা নিয়ন্ত্রিও মঙ্গে । মানবের অঞ্চরাত্মাঙ্গ এই নীতিবোধের প্রতিষ্ঠভূমি । মোট কথা অদৃশুশক্তির স্বতন্ত্র অস্তিত্ব মেটারলিস্ক- এখানে স্বীকার করিতে চাঙ্গেম নাই । তাই ভিfন বর্তমান যুগের নাটককে মনস্তত্ববিশ্লেষণমূলক হুইবে বলিয়া স্বীকার করিয়াছেন। কারণ এই নাটককে বৰ্ত্তমান জীবন দেপাইতে গুইবে এবং বৰ্ত্তমান জীবনে একদিক্ দিয়া সফোরীয় নাটকের নিয়তির নিষ্ঠুর বিধান যেমন স্বীকাৰ্য্য নয়, তেমূমি বহির্জগতে কোনো নৈতিক শক্তির অস্তিত্বও স্বীকার্য্য (dramatic atmosphere) of を零びエ