পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Q 88 কবীরের এই উচ্চ হাস্য সেই হিন্দুগায়কের ধৰ্ম্মনিষ্ঠায় এতটুকুও আঘাত করে নাই। বরং কবীরের সঙ্গে তিনি একাত্ম ; কারণ, তত্ত্বজ্ঞান যে তাহার মনকে মুক্তি দিয়াছে এবং তিনি বুঝিয়াছেন তীর্থ হিসাবে মথুরা বা কাশীর প্রতীকগত তাৎপর্ঘ্য থাকিলেও চিরন্তন সত্য হিসাবে তাহাজের স্থান নাই। স্বতরাং উক্ত স্থানদ্বয়ে তীর্থযাত্রা করিতে উন্মুখ হইলেও তিনি নিঃসংশয়ে জানেন যে ব্রহ্মের সৰ্ব্বব্যাপিত্ব সাক্ষাৎভাবে উপলব্ধি করিবার শক্তি যদি র্তাহার থাকিত তাহা হইলে কোনবিশেষ স্থানে ধাইয়া ধৰ্ম্মবোধ জাগাইবার কোন প্রয়োজনই হইত না। তবে যে সমস্ত ধৰ্ম্মমন্দিরে কত যুগ ধরিয়া কত সাধকের ভজন পুজন কেন্দ্রীভূত হইয়াছে, তাহার উদ্বোধিনী শক্তিটি তাহার মত সাধকের তেমনই প্রয়োজন বলিয়া তিনি স্বীকার করেন যেমন প্রয়োজন আমাদের আবহমানকাল প্রচলিত মন্ত্রের, যে মন্ত্র বহুযুগের ভক্তসাধকের কণ্ঠস্বরে প্রাণবান হইয়া আমাদের প্রাণকে সহজে উদ্বোধিত করিতে পারে । পূৰ্ব্ববঙ্গের একটি গ্রাম কবির গানে দর্শনের একটি বড় তত্ত্ব পাই—সেটি এই যে, ব্যক্তিস্বরূপের সহিত সম্বন্ধ সূত্রেই বিশ্ব সভ্য। তিনি গাহিলেন ;

  • মম আঁখি হইতে পয়দা আসমান জমীন ; শরীরে করিল পয়দা শক্ত আর নরম ; আর পয়দা করিয়াছে ঠাণ্ড আর গরম। নাকে পয়দা করিয়াছে খুষবয় বদবয় ।” এই সাধক কবি দেখিতেছেন যে, শাশ্বত পুরুব তাহারই ভিতর হইতে বাহির হইয়া তাহার নয়নপথে আধিভূত হইলেন। বৈদিক ঋষিও এমনই ভাবে বলিয়া८छ्न cश्, cश्-क्षूक्ष उँfश्iं भ८५J ङिनिशॆ वाङिJभ७८ण অধিষ্ঠিত।

“রূপ দেখিলাম রে নয়নে, আপনার রূপ দেখিলাম রে । আমার মান্মত বাড়ির হইয় দেখা দিল আমারে ॥* এই সব তত্ত্ব-সঙ্গীতের বিশেষত্ব এই যে, ইহা গ্রাম্য সাধারণের ভাষায় লিখিত এবং নিতান্ত অমার্জিত বলিয়া উচ্চ সাহিত্য কত্ত্বক অবজ্ঞাত। এইসব গ্রাম্য গায়কের তত্ত্ববিদ্যার কোন ধার ধারেন না, সেটা তাহার বেশ একটু জোরের সঙ্গেই বলিয়া থাকেন। এমনি একটি কবির প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩২ [ २५° छांग, २ग्न थ७ সম্বন্ধুে কিম্বদন্তী আছে যে, বৈষ্ণব রসতত্ত্বের ব্যাখান শুনিয়াতিনি এই গানটি রচনা করেন 2– “ফুলের বনে কে ঢুকেছেরে সোণার জহরি নিকষে ঘসয়ে কমল আ মরি মরি।” বাউল সম্প্রদায় আমাদের বাঙলার সেই শ্রেণীর হইতে আসিয়াছে যাহারা প্রচলিত অর্থে শিক্ষিত নয় । আমি তাহাদের গান কতকগুলি জামায় লিখিয়া দিতে অনুরোধ করায় দেখি তাহার বেশ একটু বিব্রত হইয়াছিল ; শেষে যখন ভরসা করিয়া লিখিল, আমি তাহার পাঠোদ্ধার করিতে যাইয়া হতাশ হইলাম, তাছাদের বানান ও অক্ষরবিন্যাস এমনই অপ্রত্যাশিত রকম অসনাতনী । কিন্তু এই সব কবি-বাউলদের সাধন পদ্ধতি মানবদেহুতত্ত্বের ষে অতীন্দ্রিয় অনুভূতির উপর প্রতিষ্ঠিত, তাহা জটিল ও দুরবগাহ। ইহার পথে বিপথে তাহাদের গান গাহিয়া ফেরে ; আমার পথের ধারের জানালা হইতে একটি গান বহুকাল পূৰ্ব্বে শুনি, কিন্তু এখনও মনের মধ্যে গাথা হইয়া च्योप्छु । “খাচার মধ্যে অচিন পার্থী কম্নে আসে যায়, ধরতে পারলে মনোবেড়ি দিত্তেম তাপ্পি পায়।” এই গ্রাম্য কবি দেখি উপনিবদের ঋবিদের সঙ্গে একমত ; আমাদের বাক্য ও মন ভূমাকে ধরিতে যাইয়া প্রতিনিবৃত্ত হয়, তবু সেই প্রাচীন ঋষিগণের মত এই গ্রাম্য কবি অসীমের অভিসার হইতে নিরস্ত নন; বরং এই দুঃসাহসিক ব্ৰতে সার্থক হইবার একটা পন্থা আছে তাহার ইঙ্গিত করিতেছেন। ইহা শেলীর সেই কবিতাটির কথা স্মরণ করায় যাহাতে তিনি সুন্দরের অতীন্দ্ৰিয় আবেশের বন্দন গাহিয়াছেন । সেই অজানা দুরধিগম্য হুইলেও যেসকল সত্যের मून गडा, डांश ७ई विशांड इंश्tब्रछ कवि भव१ «हे অজ্ঞাতনামা বাঙালী বাউল উভয়েই বুঝিয়াছেন। সেইজন্ত তাহার গ্রাম্য সঙ্গীত সেই অজানা পার্থীর ডানার ছন্দ্রে মুখরিত। শুধু এই প্রভেদ যে শেলীর ভাষা জনকয়েক শিক্ষিত লোকের জন্ত-আর এই বাউল গান গ্রামের চাষী ও সৰ্ব্বসাধারণের, যাহার এই গানের আধ্যাত্মিক অতিबांख्वाउांश्च चटिछे छ्हेम्न ऐं★* ना ।