পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—কংগ্রেসের বারটি কর্তব্য Q \ost করা দরকার । সেইজন্ত পল্লীকাদিগকে ভরণ-পোষণের জন্ত গ্রামবাসীদের উপর নির্ভর না করাইয়। আধুনিক কালের উপযোগী অন্য কোন উপায় অবলম্বিত হইলে ভাল হয় । ঘনবসতি সহরে কলকারখানার শ্রমিকদের কল্যাণসাধনের প্রতি কংগ্রেসের দৃষ্টি আকৃষ্ট করা হইয়াছে। অতিরিক্ত পরিশ্রম, অধথেষ্ট মজুরী, অস্বাস্থ্যকর সংকীর্ণগৃহে বাস, জন্মগ্রামের ও সমাজের প্রভাব হইতে দূরে জীবনযাপন, পানদোষ ও অন্যান্ত পাপাচার, প্রভৃতি নানা चनिटेकब्र चबझ! झहेरउ थभिकमित्रtक ब्रक e ठेकांब्र করা আবশ্বক। বঙ্গে এই সমস্যা আরও গুরুতর এই কারণে হইয়াছে, যে, কলকারখানার অধিকাংশ প্রমিক বাঙালী নহে বলিয়া বঙ্গীয়সমাজের প্রভাব তাহাজের উপর সহজে বর্তে ন!—তাহারা উহা অনুভব করে না বলিলেও চলে। অধিকন্তু, তাহাদের অস্বাভাবিক জীবনের কুফল বঙ্গীয় সমাজকে দুবিত কবিতেছে। কিন্তু তাহার জন্ত সমাজসেবক সমাজহিতসাধক বাঙালীদের নিশ্চিন্ত থাকিলে চলিবে না। ধাহাদের ভাষা জাতি, ধৰ্ম্ম, সামাজিক রীতিনীতি প্রভৃতি ভিন্ন, এরূপ বিদেশী অনেক লোক যখন ভারতবর্ষের দুঃখী নানা শ্রেণীর লোকের কল্যাশসাধনে দিনপাত করেন, তখন ভারতীয় আমরা ভিন্নপ্রাদেশিক অন্ত ভারতীয়দিগের কল্যাণসাধন কেন করিতে পারিব না ? তৃতীয় সমস্ত ভারতীয় শিক্ষা বিষয়ক । শ্ৰীমতী সরোজিনী চান প্রাচ্য কাল চারের সহিত পাশ্চাত্য শিল্প কলা বিজ্ঞান দর্শন ও পৌর শৃঙ্খলাদির সমঞ্জসীভূত মিলন। এই আদর্শ উৎকৃষ্ট । কিন্তু তিনি নিম্নোদ্ধত দুইটি বাক্যে পাশ্চাত্য শিক্ষার কিছু অতিরিক্ত নিম্বা করিয়াছেন। “The surpassing cvil of foreign domination has been to enslave our imagination and intellect and alienate us from the glorious tradition of our national learning. Wo are today no more than the futile puppets of an artificial and imitative system of education, which, entirely unsuited to the Special trend of our racial genius, has rollbed us of our proper mental values and perspectives, and deprived us of all true initiative and originality in seeking authentic modes of self-expression.” কাহারও উপর অস্তের প্রভূত্ব অনিষ্টকর ; এরূপ প্রভুত্ব বিদেশীর হইলে জারও অনিষ্টকর। ইহা কেহ অস্বীকার করে না। কিন্তু পাশ্চাত্য শিক্ষা আমাদের কল্পনা ও বুদ্ধিকে দাসত্বশৃঙ্খলে বদ্ধ করিয়াছে, আমাদের উদ্ভাবনী শক্তি নষ্ট করিয়াছে, আত্মপ্রকাশের স্বতঃস্ফূৰ্ত্তি বিনাশ করিয়াছে, ইত্যাদি কথা বলিলে সভোর আংশিক প্রকাশ মাত্র হয়। কারণ, আমরা দেখিতেছি, যে, ভারতীয়দের মধ্যে র্যাহারা আধুনিক যুগে সাহিত্যে, ইতিহাসে, বিজ্ঞানে, ললিতকলায়, দর্শনে, প্রতিভার পরিচয় দিয়াছেন, তাহীদের মধ্যে প্রধান প্রধান লোকের কেহুই পাশ্চাত্যজ্ঞানবর্জিত কিংবা পাশ্চাত্য শিক্ষার সংস্রবশুন্ত নহেন। বৈদেশিক কোন কিছুরই প্রভুত্ব বা একান্ত প্রভাব আমরা একটুও বাঞ্ছনীয় মনে করি না। কিন্তু ভিন্ন ভিন্ন রকমের সভ্যতা, সামাজিক ব্যবস্থা, চিন্তাস্রোত, মনোভাব, প্রভৃতির সংস্পর্শ ও ংঘর্ষ প্রয়োজনীয় মনে করি। কারণ, তাহা ব্যতীত মানুষের মন জাগে না, এবং সংকীর্ণত হইতে মুক্তি পাইয়া উদারতার প্রশস্ত ক্ষেত্রে উপনীত হয় না । চতুর্থ সমস্য, সামরিক শিক্ষা। আত্মরক্ষার জন্তও হিংসা কোন জাতির পক্ষে বৈধ কি না, তাহার আলোচনা এখানে করা যাইতে পারে না । তাঁহা বৈধ ধরিয়া লইলেও, ভারতের বর্তমান অবস্থায় গবন্মেণ্ট আমাদিগকে যতটুকু সামরিক শিক্ষা দিতে চাহিবেন, তাহ অপেক্ষা বেশী আমাদের পাইবার উপায় নাই । গবষ্মেন্ট যাহা দিতে চাহিবেন, তাহ পাওয়া কতটা বাঞ্ছনীয় তাহা বিবেচ্য। বৰ্ত্তমান সময়ে সামান্ত কয়েকজন নিম্নপদস্থ রাজকীয় কমিশনধারী ভারতীয় অফিসার ছাড়া, অন্য সব রাজকীয় কমিশনধারী অফিসার ইংরেজ ; নেতৃত্ব তাহারাই করে। অধিকাংশ ভারতীয় যোদ্ধা সিপাহীশ্রেণীভূক্ত। তাহারা ইংরেজের হুকুম মানিতে বাধ্য। জালিয়ানওয়ালাবাগে যে-সব সৈনিক ভারতীয়দিগের উপর গুলি চালাইয়াছিল, তাহারা গোরা নহে, গুর্থ সিপাহী। গুর্থারাও ভারতীয়। অশিক্ষিত সিপাহীর ইংরেজের হাতের অস্ত্রম্বরূপ হইয়াছে। শিক্ষিত ভারতীয় যুবকদিগকেও ইংরেজের হাতের অন্ত্র বানান দেশের পক্ষে কতটা বাঞ্ছনীয় ও কতটা অবাঞ্ছনীয়, ভাবিয়া দেখা দরকার। এক দিকে