পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্য। ] নষ্টচন্দ্র @>ፃ কৃতজ্ঞতা ! ধনিষ্ঠ যে গোটা গোট স্বন্দর অক্ষরে হুকুম লিখেছেন “চুটি মঞ্জুর”—এই লেখা লিখতে তো তিনি শিখেছেন অনলেরই কাছে । তার লেথার ছাদও ধে অনলের লেখারই অম্বুদ্ধপ ! অনল কি নিজের হাতে নিজের মৃত্যুবাণ শাণিত করে ধনিষ্ঠার হাতে তুলে দিয়েছিল ? “ছুটি মঞ্জুর !" এই আদেশের অর্থ কি ? চিরবিদায় মঞ্জুর, না অনির্দিষ্ট কালের জন্ত বিশ্রাম মধুর ? এই হুকুমের মধ্যে নিশ্চয় দুই অর্থই জড়াঙ্গড়ি হয়ে গোপন হয়ে আছে। অনল যদি কিছুদিন পরে আবার ফিরে আসতে চায়, তা হলে তার পথ ধনিষ্ঠার এই চাতুরীভর হুকুম খুলে রেখে দিলে। এই সম্ভবপর অর্থ মনে করে’ নিয়ে অনলের ক্ষুন্ন আহত মন আমার কথঞ্চিং প্রসন্ন হয়ে সত্বনা লাভ করলে। কিন্তু গৌরী ? গৌরীকে চাইবামাত্র পাওয়া, এও ত্তে৷ এক অচিন্ত্য দুৰ্ব্বোধ্য ব্যাপার । যে গৌরীকে এখানেই অমলের বাসায় পাঠিয়ে দিতে ধনিষ্ঠার আপত্তি হতো, সেই গৌরীকে একেবারে দূর করে দিতে সম্মত হওয়ার অর্থ অমল কিছুতেই হৃদয়ঙ্গম করতে পারলে না। সে মনে করেছিল তার বিদায় প্রার্থনা অনেক বল-কওয়ার পর মধুর হলেও হতে পারে, কিন্তু গৌরীকে কাছছাড়া করতে ধনিষ্ঠ। কিছুতেই সন্মত হবে না ; কিন্তু এ যে একেবারে অভাবনীয় কাও ! তিনি অনলের উপর ক্রুদ্ধ হয়েষ্ট বোধ হয় এই অবিশ্বাস্ত অসম্ভব হুকুম লিখে ফেলছেন। এখনই হয়তো তার মনস্তাপ হবে এবং এই হুকুম প্রত্যাহারের পত্র আসবে। অনল নিজের দরখাস্ত হাতে করে গভীর চিন্তায় নিমগ্ন ইয়ে গিয়েছিল ; হরকাঙ্ক বেচারাধে স্কুল দেহ নিয়ে দাড়িয়ে আছে সেদিকে তার লক্ষ্যই ছিল না। তরকাঙ্ক অনলের মনোযোগ নিজের দুর্দশার প্রতি আকর্ষণ করবার জন্তে চেষ্টা করে একটু কাশ লে। সেই কাশির শব্দে চম্কে উঠে অনল গুরকান্তর দিকে তাঙ্কালে এবং সচেতন হয়ে ভাড়াতাড়ি বললে—আপনি १iन। चभूनि मग्ना क्tब्र'• ठेवकू%-पांतू८+ ७९; ५lटिप्प्र দেবেন ৷ ইরকাস্ত চলে* গেল । সঙ্গে-সঙ্গেই বৈকুণ্ঠ এসে ঘরে ঢুকে অনলকে নমস্কার কবুলে। অনল প্রতিনমস্কার করে বললে—বম্বন। বৈকুণ্ঠ বসূল । অনল বৈকুণ্ঠর হাতে নিজের দরখাস্তথানা দিলে। দরখাস্ত ও হুকুম পড়ে বৈকুণ্ঠ অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে গেল ; কিন্তু সেই এবার প্রধান ম্যানেজার হবে, কীঠাকুবাণীর এই হুকুম দেখে তার যে বিপুল আনন্দ হয়েছে তাতে তার বিস্ময় চাপা পড়ে গেল । তার একবার মনে হলো, মৌখিক ভদ্রত করে কিছু বলা উচিত। কিন্তু কি বলবে ? কেন তিনি চাকুরী ছেড়ে দিচ্ছেন জিজ্ঞাসা করা অমর্থক, কারণ করার কাছেই যখন কারণ অব্যক্ত থেকে গেছে তখন তার কাছে সেটা প্রকাগু হবার কথা নয়। তিনি চাকুরী ছেড়ে ধাচ্ছেন, এর জন্য দুঃখ প্রকাশ তো করা যেতে পাৰে ? এই কথা মনে হতেই ধৈকুণ্ঠ বললে-আপনি হঠাৎ আমাদের ত্যাগ করে . অনল বৈকুণ্ঠকে কথা সমাপ্ত কবৃত্তে না দিয়ে গম্ভীরভাবে বললে—আপনি রাণীর হুকুম দেখলেন তো। আমার চার্জ বুঝে মিল । বৈকুণ্ঠ ভটস্থ হয়ে বললে—যে আঞ্চে । অনল বললে-আমি বাল্পদিয়া ছেড়ে চলে না যাওয়া পর্যন্থ আমার কৰ্ম্মত্যাগের সংবাদ আপনি গোপন রাখবেন ! বৈকুণ্ঠ বললে—যে আজ্ঞা । ( আগামী মাসে সমাপ্য :