পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Woe 8 ভিখারীর ছবি স্ট্রাকৃতে আমি রাজি নই। তোমরা যাকে ছেড়া বলছ, দরিদ্রতা বল্‌ছ, ঐখানেই তো কবিত্ব— ঐখানেই যে সত্যিকার আর্ট, যা হোক, তোমার কথা আমার মনে রইল, তা’কে জানাবো। হুগী গম্ভীর হইয়া গেল। বিরক্তির স্বরে কহিল, তোমরা এই চিত্রকরের দলটাই তবে হৃদয়হীনের দল। ট্রেভর হাসিতে-হাদিতে জবাব দিল,—দেখ,আর্টিস্টুদের হৃদয় ব’লে মাথা থেকে ভিন্ন একটা কিছু নেই, বিশেষভঃ একটুও না বদলে জগৎটা যেমূমি আছে ঠিক তেমনি উপলব্ধি করাই যখন আমাদের ধৰ্ম্ম। যাক, কাজের কথা বলে, লরা কেমন আছে ? বুড়ো বেচারী তা’র কথা শুনে ভারি অস্থির হয়ে পড়েছে কিন্তু ! —তুমি নিশ্চয়ই তা’র সম্বন্ধে বুড়োর সঙ্গে আলাপ করো নি । —করেছি বই কি !—সে কর্ণেল, লরী-এমনকি দশ হাজার পাউণ্ডের কথাও জানে । ৰূগী রাগে লাল হইয়া উঠিল, কহিল—তুমি ঐ বুড়ে ভিখারীটাকে আমার গোপনীয় কথাও সব বলেছ! ছি ছি ছি – ট্রেভর হাসিতে লাগিল, কহিল—ওগো, তুমি যাকে বার-বার ভিখারী বলছ, তিনি লণ্ডনের সব চেয়ে বড় , তা জানো ? ইচ্ছে করলে তিনি কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে এই সারা সহরটা কিনে ফেলতে পারেন— রুশিয়াকে যুদ্ধ থেকে— হুগী চীৎকার করিয়া উঠিল,কহিল—কি সব পাগলামি করছ ? - —পাগলামি আমি করছি ! তবে শোনো, তুমি আজ ধাকে আমার স্টুডিওতে দেখেছ, তিনি আর কেউ নন— ব্যারন হস্বের্গ। তিনি আমার মন্তবড় বন্ধু ; আমার প্রায় ছবিই তিমি কিনে থাকেন। মাসখানেক আগে র্তাকে ভিখারীর বেশে অঁাকৃবার জন্তে তিনি আমাকে কিছু টাকা দেন। সত্যি কথা বলতে কি, ঐ ছেড়া জামা জুতো পরে তাকে ভারি স্বম্বর দেখাচ্ছিল ; আর ঐগুলো ষে আমার স্পন থেকে জান, সেও ত তুমি জান। दिइत्य चच्फूिउ झ्हेब्र अफ्रिण–चक्रुषत्द्र প্রবাসী—ফাঙ্কন, ১৩e২ [ ২৫শ ভাগ, ২য় থও কহিল—ব্যারন হস্বের্গ। ছি ছি ছি—আমি কিনা তাকে একটা হাফক্রাউন ভিক্ষা দিতে গেলাম, বলিয়াই সে ভয়ে বিবর্ণ হইয়া একটা চেয়ারের উপর বলিয়া পড়িল । —হাফক্রাউন দিয়েছিলে ? বলিয়াই ব্যাপারটা একনিমেষে আন্দাজ করিয়া লইয়া ট্রেভর উচ্চৈঃস্বরে হাসিতে লাগিল । হুগী অভিমানের স্বরে কঠিল, আমাকে এ-কথা তোমার আগে জানানো উচিত ছিল এলান—ত হ’লে হয়ত আমাকে এমন বোকা বনতে হ’ত না। —কিন্তু তুমি যে আমার এখানে এসে পাগলের মতো ভিক্ষে দিতে আরম্ভ করবে, সে-কথা ত আমি কখনো ভাবিনি, হুগী। তুমি একটি স্বন্দর মডেলকে চুমে খেতে পারে, বিশ্বাস করি কিন্তু একটি বিভূতকিমাকার জীবকে বখশিস্দিতে যাবে,সে আমি কি ক’রে ভাব ব বলো! তা ছাড়া, আমি আজ সারাদিন কারে সাথে ভালে ক’রে মেলামেশা করিনি, তা’র পর তুমি যখন এলে, তার পরিচয় দেওয়াটা অশোভনীয় হবে ভেবে চুপ ক’রে গেলাম। তুমি ত জানোই তার ভালো জামা-জুতো পরা ছিল না। হগী অনেকক্ষণ চুপ করিয়া মাটির দিকে চাহিয়া রহিল, পরে একটা নিশ্বাস ফেলিয়া কহিল—ছি ছি ছি, তিনি না জানি আমাকে কি বোকাই ঠাওরেছেন ! —না, ন, মোটেই নয়। তোমার চ'লে আসার পরই তিনি হঠাৎ ভারি খুলী হ’য়ে উঠেছিলেন–মাঝে-মাঝে আপন মনে হাস্ছিলেন। তখন আমি তা’র কারণ বুঝতে পারিনি, কিন্তু এখন সব বুঝতে পারছি। তুমি অনৰ্থক কিছু ভেবো নHতিনি হয়ত তোমার হাফক্রাউনটা স্বদে খাটাতেও পারেন—আর বিশেব কি খাওয়া দাওয়ার পর আসর জমাবার মতো একটা মজাদার গল্পও পাওয়া গেল ! হগী আপন মনে বলিয়া উঠিল, ছিছি! আমি একটা অপদার্থ। পালানো ছাড়া এখন আমার আর উপায় নেই! যাক্ তুমি ভাই দয়া ক'রে কাউকে কিছু বোলো না; এখন যে রাস্তায় কি ক’রে মুখ দেখাবো তাই ভাবছি। —দূর বোকা। এ যে তোমার একটা পরোপকারের চিহ্ন রইল। দোহাই তোমার, পালিও না, আর-একট। সিগারেট ধরাও—ততক্ষণ লরা-সম্বন্ধে বরঞ্চ কিছু গল্প করে।