পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अङश्घ्छ्। ঐ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের কী পরিচয় ? বাইরের নানা বিক্ষেপে তা डून ধাই । এই জন্তে, আমরা কোন ব্রতের ব্ৰতী সেট। বৎসরে ৰং সরে উৎসবের মঙ্গাদিনে অন্তরের ভিতরে প্রবেশ ক’রে জিজ্ঞস করতে হয়। আমাদের সাধনার উপর যে ধুলিস্তর পড়ে সেটাকে মার্জন ক'রে তবে জানি কোন লক্ষ্যের দ্বারা আপন স্বধৰ্ম্মকে আমরা চিনতে পাবি ! এই স্বধর্শের পরিচয় গ্রহণ করাকেই বলে দীক্ষা। এই দক্ষ কেবল একবারের নয়, বারে বারে এর পুনরাবৃত্তি । -সই পুনরাবৃত্তিরক্ট দ্বারা বারে বারে এর নবীনতার প্রমাণ। প্রভাতের আলোতে প্রতিদিনষ্ট পুথিবীর নবজীবনের দীক্ষা, প্রতিদিনই তা'র নব জাগরণ । যে সত্যকে স্বীকার করেছি অথচ সার্থক করতে পারিনি, পুনঃপুনঃ তাকে নুতন ক’রে স্বীকার করতে হবে। নইলে সে ক্রমেষ্ট মান হ’য়ে ধায় । সাম্বৎসরিকে আমাদের সেই স্বীকৃতির পুনরাবৰ্ত্তন ! আমরা যারা বিষয়ী, যারা বিজ্ঞ, তা'বা কী করি ? না, যেটা আছে সেইটেকেই মেনে নিই। “সংসারে সাধারণত এইরকমই ঘটে থাকে,” এই উক্তিই আমাদের কাছে বাস্তব সত্যের প্রবলতম বাক্য । অধিকাংশের পক্ষে প্রতিদিনের যেটা চলতি পদার্থ সেইটেকেই আমরা ই ! ব'লে গণ্য করি—মনে করি, সেইটেকে অঁাকড়ে থাকলেই আমরা ঠকব না। স্বার্থের দিকে অহঙ্কারের দিকে সাধারণ সংসারের যে-গতি আমাদের লক্ষ্য যদি তা’র উন্টে দিকে হয় তা হ’লে জীবনে বিড়ম্বিত হবে, এটা বিষয়বুদ্ধির কথা । যার উপস্থিতকেই বিশ্বাস করে, যার বাস্তববাদী, তারাই চিরনাল এমন মানুষকে বিদ্ধপ করেছে পীড়া দিয়েছে ষে-মহিষ সচরাচরের প্রচলিত সীমানার বাইরে সত্যকে দেখেছে ও মেনেছে, যে-মানুষ সাধারণ লোকের প্রত্যাশা ও বিশ্বাসের অভিমুখত অনুসরণ করে আপন ԵՊ տա Ֆ8 ক্ষীণ সাইসের সাধনাকে প্রচলিত লোকমতের আঙিনা পার হ’তে দেয় না । পায়ে পায়ে চিহ্নিত হ’য়ে যে সরু পথ হাটমাঠের ভিতর দিয়ে একে বেঁকে গেছে সে ত পণ্যভার-পীড়িত প্রতিদিনের পথ ; ঝড় এসে তা’কে লুপ্ত করে, বন্ত এসে তাকে মুছে দেয় ; মহা ভবিষ্যতের অভ্যর্থনার জন্ত শ্রদ্ধাসবল শক্তি ধে-পথ কাটে সেই ভ সত্যকার পথ । আমরা সেই পথের অনুসরণ করব, আমরা সেই দীক্ষা নেবে যেট। অসাধ্য-সাধনের দীক্ষণ । ন্ত্যি যুগে যুগে এই কপাই ব'লে এসেছে যে, সে তা’র সহজ প্রবৃত্তিকে চরম ব’লে স্বীকার করে না । যদি কবুত, তাঙ্গ’লে সে পশু হ’য়েই থাকৃত । উপস্থিত কালে ও উপস্থিত অবস্থায় একমাত্র যেটা সম্ভবপর ব'লে বোধ হয়েছে মানুষ তা’কে উপেক্ষকবৃত্তে সাহস করেছে, প্রচলিত প্রমাণ-অনুসারে যেটা একমাত্র সম্ভবপর ব’গে প্রতিভাও, মানুষ তা’কে অতিক্রম করার দুঃসাধ্য চেষ্টায় আনন্দ পেয়েছে ব’লেই বাপ্তিরের উপরে এ নিজের উপরে তা’র অধিকার কেবলি বেড়ে চলেছে । আমাদের শাস্ত্রে আছে, যিনি প্রজাপতি তিনি সমস্ত প্রজার মধ্যে আপনাকে প্রকাশ করবেন। অর্থাৎ মাহঘের মধ্যে অনন্ত পুরুষের বিকাশ নিত্য সচেষ্ট। সুদূর কাল থেকে এই অন্তঃীনের পরিচয় ক্রমশ স্ফ টতর হয়ে উঠছে। যা হয়েছে সে ত অনেক, তা’র চেয়েও আরো অনেক হবে না, এমন ছোটো কথা বলবে কে ? অথচ প্রতিদিনের চলিত কথা, ৰিষরী বিজ্ঞানের সন্দিগ্ধ আলোচনায়, মামুষের এই সবচেয়ে বড়ো সত্যটিই প্রচ্ছন্ন হ’য়ে উপহসিত হ’য়ে থাকে ষে-সভাটি একদিন আমাদের ঋষিবাক্যে উচ্চারিত হয়েছিল, "ভূমৈব স্বখং নাল্পে স্থখমস্তি ।” আমাদের সেই সত্যের দীক্ষা । হৃদয়কে বিশ্বায়তন বলে ধান করবার দীক্ষা, চিত্তকে নিখিল প্রজার প্রজাপতির আসন বলে উপলব্ধি করবার দীক্ষা। মানুষের মধ্যে অনন্তস্বরূপের যে-অভিব্যক্তি