পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] বলিলেন, যে, বাংল। দেশ ট্যাক্স কম দেয়, রাজস্ব আদায়ই এখানে কম হয়, এইজন্ত বাংলা সরকারের আয় কম । বাস্তবিক কিন্তু সেটা কারণ নয় । বাংলা দেশ হইতে ট্যাক্স, আদায় হয় খুব বেশী, কিন্তু ভারত গবষ্মেন্ট খুব বেশী টকা বাংলা দেশ গুইতে শোষণ করিয় লন বলিয়া -বাংলা সরকারের টাকা কম । ধেরূপ বন্দোবস্তের ফলে বাংলা সরকারের তায় কম, তাহার কৰ্ত্ত লর্ড মেষ্টন । এবার ধাংলার বজেট আলোচনার সময় স্তার আবদুর রঙ্গিম পর্যস্ত এই মেষ্টনী বন্দোবস্তেব নিন্দ করিয়াছেন । সরকার পক্ষ হইতে আশা পাওয়া গিয়াছে, uয, ইঙ্গর পুনর্বিবেচনা হইবে । কিন্তু পুনর্বিবেচনার ফল বাংলার পক্ষে ভাল হক্টৰে কি না, বলা যায় না । রাজবন্দীদের অনশনত্রত সম্পাদকদিগকে নানা বিসধে কলম চালাক্টতে ছয় । অথচ খুব বিদ্বান সম্পাদকদিগেরও সব বিষয়ের জ্ঞান থাকিবার সম্ভাবনা নাই । এই কারণে র্তাহাদিগকে সবজাস্তা বলিয়া বিন্দ্রপ করা হইয়া থাকে । এই বিদ্রুপ সহ করা কঠিন নহে । কিন্তু সম্পাদকদিগকে অল্প কোন-কোন বিষয়েও মন্তব্য প্রকাশ করিতে হয়, যাহাতে তাঙ্গাদের অধিকতর সঙ্কোচ বোধ করা স্বাভাবিক। যাহার স্বদেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করিয়াছেন এবং দেশহিত সাধন করিতে গিয়া লাঞ্ছিত ৪ উৎপীড়িত হইতেছেন, তাহাঁদের কোন কাছের সমালোচনা করিলে লোকের পক্ষে ইহা মনে করাই স্বাভাবিক, সে, এরূপ সমালোচনা সম্পাদকদের অনধিকারচর্চা ও পুষ্টত মাত্র ; কারণ, তাহারা ত দেশের জন্য আত্মোৎসর্গ করেন নাই এবং তাহাদের গায়ে আঁচড়টি পর্ধান্ত লাগে নাই ; আরামে সম্পাদকীয় কক্ষে বসিয়া অন্যের ছিদ্রান্বেষণ করা উtহাদের পক্ষে সঙ্গজ । তথাপি,যে-সব ঘটনায় সৰ্ব্বসাধারণের চিত্ত আন্দোলিত হয়, তাহার সম্বন্ধে কিছু না বলিলেও নয় বলিয়া, ব্ৰহ্মদেশে বাঙালী রাজবন্দ্বীদের অনশনত্রত সম্বন্ধে কিছু লিখিতে হইতেছে । খুব গুরুতর কারণেও মানুষের অনশন দ্বারা আত্মহত্য করা উচিত কি না, সে-বিষয়ে সকল মনীষী একমত নহেন। আয়ার্ল্যাণ্ডের স্বদেশপ্রেমিক ম্যাকৃম্বষ্টনী ষে স্বদেশের স্বাধীনতার জন্য সত্তর দিনেরও অধিক উপবাস করিয়া প্রাণত্যাগ করিয়াছিলেন, তাহাতে তাহার উদ্দেশ্যের প্রশংসা সকলেই করিয়াছেন, কিন্তু স্বদেশকে স্বাধীন ჯ ჯ ჯ--ya) বিবিধ প্রসঙ্গ—রাজবন্দীদের অনশনত্রত - سمسمسم = = = =ص করিবার জন্য ভিনি যে-উপায় অবলম্বন ফরিয়াছিলেন, র্তাহার স্বধৰ্ম্মী রোমান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের অনেক চিত্তাশীল ব্যক্তি ও তাহার সমর্থন করেম নাই । কলিকাতার ক্যাথলিক হেরাল্ড অব ইণ্ডিয় তাহার কাধ্যের বৈধতা সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছিলেন । মান্দালয় ও ইন্‌সেইন জেলের রাজবন্দারা কি কি কারণে অনশন ব্রত গ্রহণ করিয়াছিলেন, ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এই বিষয়ের আলোচনার সময় তাহা সমস্ত জান; যায় নাই । কেবল এইটুকু জানা গিয়াছিল, শে, সরকার পৃক্ষ হইতে প্রথমতঃ বাঙালী রাজবন্দ্বৗদিগকে দুর্গাপূজা করিবার জন্য ৫০০ টাকা আগাম দেওয়া হয়, পরে তfহ! আবার তাহাদের সাধারণ মালি ক ভাত; ইন্তে কাটিয়া লইবার ব্যবস্থা কব। হয় , এবং সংস্বতী-পুঞ্জ। প্রভূতি করিবার জন্য র্তাহার টাকা চাহিলে তাঙ্গ দে ৪ai হয় নাই । ইহা ৪ খবরের কাগজে বাছি র হইয়াছে, সে, আলিপুর জেলে খুষ্টিয়ান কয়েদীদিগকে খৃষ্টমাস উৎসব করিবার জন্য ১২•• টাকা দেওয়া হইয়া থাকে। খৃষ্টিয়ান কয়েদীদিগকে তাহাদের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের জন্য যদি টাক। দেওয়া হয়, তাঙ্গ হইলে হিন্দু ও অন্যাপ্ত ধৰ্ম্মবলম্বী কয়েদীদিগকেও তাঁহাদের ধৰ্ম্মানুষ্ঠানের জন্য নিশ্চয়ই টাকা দেওয়া উচিত, ন-দেওয়া অন্যায়, তাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ নাই । বিবেচ্য কেবল ইহাই, যে, সরকার এইজন্য টাকা না দিলে বন্দীদের অনশন অবলম্বন দ্বারা প্রাণবিয়োগের সুস্তাবনা ঘটান উচিত ব। আবহাক কি না । আমরা পূৰ্ব্বেই বলিয়ছি, যে, খুব গুরুতর কারণেও অনশন দ্বারা প্রাণ-বিয়োগের সম্ভাবনা ঘটান উচিত কি না, সে-বিষয়ে মনীষীরা একমভ নছেন । কিন্তু ধরিয়া লওয়া ধাউক, ধে, গুরুতর কারণ থাকিলে অনশনে প্রাণত্যাগ বৈধ। তাহা হইলে এখন বিবেচ্য, দুর্গাপূজা করিতে সরকার টাকা ন দিলে হিন্দুর পক্ষে অনশন করা উচিত কি না । নামে মাত্র হিন্দু, নামে মাত্র বৌদ্ধ, নামে মাত্র জৈন, নামে মাত্র বৃষ্টিয়ান, নামে মাত্র ব্রাহ্ম, ইত্যাদি অনেকে আছেন । তাহার। কি ভাবেণ করেন, আমরা তাঙ্গা অবলম্বন করিয়া এই বিষয়টির বিচার করিব না। irহারা স্ব স্ব সমাজের প্রচলিত ধৰ্ম্মমন্ত মানেন, দেশাচার ও লোকাচার মানেন, এবং তদহুসরণে নিষ্ঠাবান, তাহাদের ব্যবহার দ্বারাষ্ট বিচার করিব । বাংলা দেশে নিষ্ঠাবান হিন্দু লক্ষ লক্ষ আছেন, শাক্ত হিন্দু বিস্তর আছেন, যাহাঙ্গের পরিবারে দুর্গাপূজা হয় না, হয় ত কথনও হয় নাই। উহাদের অনেকের দুর্গাপূজার সময় পুষ্পাঞ্জলি দিবীর মুযোগও হয় না। কিন্তু তাহাতে উাহাজের হিন্দু লোপ পায় না, ধর্শ্বনাশ হয় না। কেহ