পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

విశి প্রবাসী-বৈশাখ, లిలిచి [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড । যেন ভাবিয়া লইয়া সে বলিল, “আমার ভাই বিয়ে করেছিল ঢাকায় । তারা বেষ্মজ্ঞানী নয়, কিন্তু এমুনিধারাই লেখা পড়া করে । সে মেয়ে বেশ ভাগর হয়েছিল, পাশের পড়া পড়ছিল ইস্কুলে। আমার ভাইয়ের ভারি পছন্দ হয়েছিল মেয়েকে ; তাই তা’র বাপ-মা আর পড়ালে ন, ইস্কুল ছাড়িয়ে বিয়ে দিয়ে দিলে , নইলে আপনার মতো অনেক পাশ দিতে পাবৃত।” অনসূয়া উৎসাহিত হইয়া বলিল, “তা আপনার ভাই বোঁকে আরো লেখাপড়া শেখালেই পারতেন ! কত মেয়ে ত বিয়ের পর লেখাপড়া শিখে তিনটে-চারটে পাশ করছে। আমাদের সঙ্গে একটি মেয়ে পড়ত, সে বিয়ের আগে কথায়াল পর্যাঙ্ক...” বাধা দিয়া সঙ্গিনী বলিল, “পড়াবে কি ভাই ? সে বে কি আমাদের কপালে টিকৃল ? সে আজ এক বছর হ’ল মারা পড়েছে । আর বরের যখন মনে ধরেছে তখন আর পড়বারই বা কি দরকার ? খাবার পরুবার ত আর ভাবনা নেই।” যখনই অনসূয়া উৎসাহের আবেগে অনেক কথা বলিতে যায়, তখনই মৃত্যুর উল্লেখে তাহার কথার স্বত্র ছিড়িয়া যাইতে দেখিয়া সে দমিয়া গেল। অথচ দেখিল মৃত্যু-ব্যথা ইহাকে কিছুমাত্র কাতর করে না। সে শুধু বলিল, “আপনার ভাইও দেখছি আপনারই মতো হুঃখে পড়েছেন। কি আর করবেন বলুন, মরণকে ত ঠেকানো যায় না।” তাহার সঙ্গিনী বলিল, “হ্যা তা দুঃখু বই কি ! আমন বউ নিয়ে দুদিন সাধ-আহলাদ করতে পেলে না। তবে ওরা ব্যাটা ছেলে ওদের কথা আলাদা। একটা যায় আর-একটা আসে। তেমনটি হোক আর না হোক, বউ একটা জুটেই যায় বে'র যুগ্যি ছেলে কি আর পড়ে থাকে । বাবা ত গেল অঘ ঘানে জামার ভায়ের বিয়ে দিয়েছেন। সে প্রথমে করতে চায়নি, বাবা কিছুতেই ছাড় লেন না ; বাপের কথা ত ফেলতে পারে না ; বিয়ে করতে হ’ল। এবউ, আর সেই সে-বউ । আকাশ আর পাতাল । ভাইয়ের আমার একে মোটেই মনে ধরেনি ধরবে কেন ? একি তার যুগ্যি। পাড়াগায়ের মেয়ে ! আমার ভাই বলে—না জানে ছটা কথা বলতে না জানে ভালে করে একখানা কাপড় পরতে না জানে খট্‌তে চলতে, না জানে কিছুর এ মেয়ে নিয়ে আমি কি কয়ূৰ । বাবা বলেছিলেন বিয়ে করতে, করলাম। ব্যস্, আর আমার কোনো দায় নেই। আমি ও জড়পুটুলি ঘাড়ে ক’রে বেড়াতে পারব না। সে তোমরা জেনে রাখে, এ আমার পরিষ্কার কথা ।—ভাইয়ের আমার বেম্মসমাজের মতো ধরণ কিনা, সবই তা’র ওই-রকম অভ্যেস হ’য়ে গেছে। বাবার যেমন জেদ ! তা’কে কিনা একটা অজ পাড়াগায়ে মুখ খু মেয়ে জুটিয়ে দিলেন। সে নেবেই না ত ঘরে। দেখতে গিয়েই অপছন্দ করেছিল । ও বলে, এইবার আমি নিঞ্জে দেখেশুনে পছন্দ ক’রে ঠিক মনের মতো একটি বিয়ে করব । ওর বেস্মসমাজের উপরই বেশিক আছে । অমনিটি ৪ 5ांग्न ।” অনস্বয়ার মনে নারীসমস্যার ও সমাজ সংস্কারের নানা তর্ক জাগিয়া উঠিল। প্রতিদ্বন্দী মনের মতো না হইলেও চুপ করিয়া থাকা তাহার পক্ষে শক্ত হইতেছিল। অনস্বয়া বলিল, “নিজে দেখে-শুনে বিয়ে করাই ত ভালো। এই কথাটা আপনার ভাইএর আগেই ভেবে দেখা উচিত ছিল। যাকে পছন্দই হ’ল না, তাকে বাবার কথায় বিয়ে করে এখন অন্ত মেয়ে খুজি তে গেলে তা’র দশা কি হবে সেটাও ত ভাব তে হবে ।” বিধবা কথাটা ঠিক বুঝিল কি না সন্দেহ । সে বলিল, “তা’র জন্তে ভাবনা কি ! সে মেয়েকে ত আমার ভাই নেবেই না বলেছে, নূতন বেীকে সতীনের জালা পোয়াতে হৰে না; সেদিকে আমার ভাই ঠিক আছে। সে তোমাদের সমাজে যেত কিনা! ও সব বোঝেসোঝে * অনসূয়া হাসিয়া বলিল, “তা নয় হ’ল ; কিন্তু পুরানো বে বেচারা যাবে কোথায়? আমি তার কথাই বলছিলাম।” বিধবা আবার বলিল,"তা’র জন্তে আত ভয় কিসের ? সে তা’র রাপ ভেয়ের কাছে থাকৃবে, এত জানা কথা । তাদের মেয়ে তারা রাখবে কি না রাখবে, তার ভাবনাও কি আমরা ভাবতে যাবো ? মেয়ে পছন্ম হয়নি, নিইনি ; এখন তা’র সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক