পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২১২ TA MAAA AAAA AAAA AAAASASASS تمام متهماسبه می রাজকুমার বাবু বললেন—এ ত অতি উত্তম সঙ্কল্প ! কত করে দিতে হবে, হুকুম করে দাও, আমি দিয়ে দিচ্ছি । ধনিষ্ঠ আবার লাল হয়ে ऊँ? ल, चादाब्र भूङ्कर्स-काल ইতস্তত করে সে অতি মৃদুস্বরে বললে—আমি নিজে হাতে করে দিতে চাই । রাজকুমার-বাবু বললেন-বেশ । আমি সবাইকে উপরের দালানে ডেকে আন্‌ছি, তুমি নিজে হাতে করে। সকলকে দক্ষিণ দেবে এস । ধনিষ্ঠার মুখের উপর দিয়ে লালের ছোপ আর-একবার বুলিয়ে গেল । ধনিষ্ঠার মুখে বারুম্বার বর্ণবিপৰ্য্যয় লক্ষ্য করে’ রাজকুমার-বাবু বললেন—ত। এতে আর লজ্জা কি মা, এরা সবাই তোমার চাকর, তোমার সন্তানতুল্য... . ধনিষ্ঠার মুখ এবার এমন বেশী লাল হ’য়ে উঠল যে, রাজকুমার-বাৰু যে-কথা বলতে আরম্ভ করেছিলেন সেকথা সমাপ্ত না করে’ই চলে যেতে-যেতে বললেন— ব্রাহ্মণদের অঁাচানো এতক্ষণ হ'য়ে গেছে, আমি তাদের ডেকে আনি গিয়ে...••• রাজকুমার-বাবু কিছু-দূর অগ্রসর হয়ে গেলে ধনিষ্ঠা ক্ষীণকণ্ঠে জিজ্ঞাসা করলে—সবমুদ্ধ কতজন ব্রাহ্মণ হবেন ? মাধী আপনার সঙ্গে যাচ্ছে আমাকে আগেই একটু বলে’ পাঠাবেন•••••• & রাজকুমার-বাবু যেতে-যেতে ফিরে’ দাড়িয়ে বলে’ গেলেন—আমার গোণা আছে, ব্রাহ্মণ বাইপ জন । রাজকুমার-বাৰু ব্রাহ্মণদের ডেকে আনতে গেলেন । ধনিষ্ঠা দক্ষিণার আয়োজন করতে মালখানা-ঘরে গিয়ে ঢুকূল । উপরের দালানে ব্রাহ্মণের এসে সমবেত হয়েছে । ধনিষ্ঠা একখানি উজ্জল গরদের থান-কাপড় পরে’ মাথায় ঈষৎ অবগুণ্ঠন টেনে আঁচলটি গলার পিছনে দিয়ে সামূনের দিকে ফিরিয়ে এনে গললগ্নীকৃতবাসে ব্রাহ্মণদের সম্মুখে মন্থর-গমনে এসে উপস্থিত হ’ল; তার পিছনে-পিছনে দাসী মাধবী একখানি বড় রূপার থালার উপর বাইশ ভাগে সাজানো একটি করে" টাকা, পৈতা ও সুপারি বহন করে’ প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ নিয়ে এল - ধনিষ্ঠ এসেই গলায়-ঘেরা আঁচলটিকে দুশিক ২৫শ ভাগ, ১ম ৰs থেকে দুহাতে ধরে বুকের সামনে হাত জোড় করে’ মাটিছে হাটু গেড়ে বসে মাটিতে কপাল ঠেকিয়ে সকলকে প্রণাম কবুলে। উঠে দাড়িয়ে তার পর মাধবীর হাতের থালা থেকে টাকা পৈতা ও স্বপারি এক-এক ভাগ তুলে দুহাতের অঞ্জলিতে নিতে লাগল এবং একএক জন ব্রাহ্মণ অগ্রসর হয়ে এসে তার সামনে অঞ্জলি পাত লে সেই অঞ্জলিতে দক্ষিণ দিয়ে দিতে লাগল এবং দক্ষিণা দেওয়ার পর আধার করজোড় করে তার উপর নত মাথ। ঠেকিয়ে প্রণাম করতে লাগল। পাচসাত জনের পরেই সেই প্রদীপ্ত-পাবকতুল্য লোকটি অগ্রসর হয়ে এসে তার সামনে হাত পাত লে। চকিতদৃষ্টিতে একবার তাকে দেখে নিয়ে থালা থেকে দক্ষিণ তুলে’ তার হাতে দিতে গিয়েই ধনিষ্ঠার মনে হ’ল ভিখারী শিবকে অন্নপূর্ণার ভিক্ষ দেওয়ার কথা ; অম্মি তার হাত এমন কেঁপে উঠল যে দক্ষিণার টাকাটি ব্রাহ্মণের অঞ্জলির খোলের মধ্যে না পড়ে’ এক পাশে পড়ল এবং সেখান থেকে ছিটুকে মাটিতে পড়ে সশন্ধে মাৰ্ব্বেল পাথরের মেঝের উপর দিয়ে গড়িয়ে অনেক দূরে চলে’ গেল। ধনিষ্ঠা লজ্জায় একেবারে লাল হ'য়ে উঠল । একজন ব্রাহ্মণ তাড়াতাড়ি সেই টাকাটি কুড়িয়ে রাজকুমারবাবুর হাতে দিলে এবং রাজকুমার-বাবু ধনিষ্ঠাকে এনে দিলেন ; ধনিষ্ঠ। সেই টাকাটি আবার ব্রাহ্মণের অঞ্জলিতে সন্তপণে অর্পণ করলে। সকলকে দক্ষিণা দেওয়া হ'য়ে গেল । সকলে চলে’ গেল। তখন . রাজকুমার-বাৰু জিজ্ঞাসা করলেন— কালকে যে ব্রাহ্মণ-ভোজন হবে, তাদেরও কি দক্ষিণ দেওয়া হবে ? তাদেরও কি তুমি নিজে হাতে করে’ দক্ষিণ দেবে ? ধনিষ্ঠ মুখ নত করে মৃদুস্বরে বললে—ন, তাদেরকে আপনিই দেবেন। এরা সব আমার কৰ্ম্মচারী, এদের অনেকের সামনেই আমার এখন বেরুতে হবে, সকলকে অল্পে-আল্পে চিনে’ রাখাও আমার দরকার...... রাজকুমার-বাবু বললেন—এ অতি ঠিক কথা বলেছ মা । আগে যদি মনে করে” দিতে তা হ’লে প্রত্যেকের