পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२३8 AASAASAASAASAAAS A SAS SSAS SSAS ভাঙ্কিয়া বাড়ীর অঙ্ক মেয়েদের সহিত সমান আদে তাহাকে সঙ্গীত শিক্ষা দিতে লাগিলেন । র্তাহার মতন উদার-প্রকৃতির লোক অতি স্কুলভ। র্তাহার রাচি-প্রবাসকালে লাট-সাহেব দু’একবার তাহার মন্দির-প্রসাদ দেখিতে যান। নূতনদাদা তাহাৰে যেরূপ অfদর-অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন, কোনো দীন দুঃখী তাহার মন্দির দেখিতে গেলেও তাহাকে সেইরূপ আদর-অভ্যর্থনা করিয়া লইতেন । যিনি তাহার সংস্পর্শে আসিয়াছেন, তিনিই তাহার স্বভাব-মাহায্যের পরিচয় পাইয়াছেন। পারিবারিক স্নেহ-প্রীতিও তাহাতে কম ছিল না। আমাদের বাল্যকালে যখন প্রথম বঙ্কিমচন্দ্রের ‘দুর্গেশনন্দিনী’ বাহির হয়, তখন তিনি সেখানি হাতে করিয়া ভিতরে যাইয়া স্ত্রীলোকদিগকে পড়িয়া শোনাইতে লাগিলেন। ইংরেজী পুস্তকেরও তর্জমা করিয়া তিনি অবসরকালে আমাদের শোনাইতেন। পরে যখন তিনি নিজে রচনা করিতে আরম্ভ করেন, তখন এক-একখানি বই শেষ হইলেই আমাদিগকে লইয়াবেশ-একটা মজুলিশ জমাইয়া বসিতেন। আমরা মুগ্ধভাবে তাহার পাঠ শুনিতে-শুনিতে যে-সকল টীকা-টিল্পনী করিতাম, তাহা তিনি বেশ খুলী হইয়াই শুনিতেন ; এবং তদনুসারে স্থল-বিশেষে তাহার লেখার भरथा किडू-किहू बाफ़ॉ३ष्ठ-कभाहेrउe कूठेिउ श्tउन না। এইরূপে তিনি আমাদের অন্তঃপুরেও সাহিত্যের আবহাওয়ার স্বষ্টি করেন। আমি যখন লিখিতে আরম্ভ করি, তিনি তখন আমাকে যথেষ্ট উৎসাহ দান করিয়াছিলেন । আমার লেখা ‘দীপ-নিৰ্ব্বাণ' পড়িয়া তাহার এতদূর ভালো লাগিল যে, তাহার পরম বন্ধু সাহিত্য-বিশারদ ও কবি vঅক্ষয় চৌধুরীকে ইহা না পড়াইয়া সম্বই থাকিতে পারিলেন না। অন্ত ঘরে আমার স্বামী ও তিনি এই লেখা পড়িয়া ইহার গুণাগুণ আলোচনা করিতেন। আমি ও নূতন প্রবাসী –জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড ASAAAS AAAAA AAAAS AAAAAMAAA AAAA AAAA AAAATAMAAMAM MATTT AAAAS AAAAASAMAMS MA MCAS AMMAAAS AAAAAS দাদার স্ত্রী, আমার প্রিয়সখী বৌ-ঠাকুরাণী পাশের ঘরে থাকিয়া অন্তরাল হইতে শুনিতাম। কিছুদিন পরে চৌধুরী মহাশয়ের স্ত্রী যখন স্বদুর পিত্ৰালয় হইতে কলিকাতায় আসিলেন, তখন এই স্বত্র অবলম্বনেই আমাদের মধ্যে একটি ঘনিষ্ঠ উপাদেয় আত্মীয়তা-সম্পর্ক স্বস্ট হয় ; এবং আমাদের পর্দা-প্রথা উঠিয়া যায় । র্তাহার কিরূপ অপরিসীম দেশ প্রীতি ছিল, তাহারও পরিচয় তিনি নানা কাজে দেখাষ্ট্ৰয়া গিয়াছিলেন। এক সময়ে তাহার মনে হইয়াছিল ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ন৷ হইলে দেশের প্রকৃত মঙ্গল সাধন হুইবে না, তাই তিনি প্রথম নীলের চাষ আরম্ভ করেন। পরে, এই চাষে র্তাহার যাহা কিছু লাভ হইয়াছিল সমস্ত খরচ করিয়া তদানীন্তন প্রধান ইংরেজ কোম্পানীর প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া বরিশালে ফেরি ষ্টিমার খুলিলেন । কিন্তু দেশের লোকের সাহায্যসহানুভূতি-সত্বেও এই ব্যবসা অধিক কাল স্থায়ী রাখিতে পারেন নাই। প্রভূত ক্ষতিস্বীকার করিয়৷ পরে সেই টিমার ইংরেজ কোম্পানীকে বিক্রয় করিয়া ফেলিতে বাধ্য হন । এই ঘটনায় তাহার দেশ-প্রীতি ও সংসাহসের চূড়ান্ত পরিচয় পাওয়া যায় । র্তাহার জীবনের অনেক কথাই বসন্ত-বাবুর প্রণীত র্তাহার “জীবনস্মৃতি”তে গাথা রহিয়াছে। আপনারা এখন সেইসকল স্থতির আলোচনা করিয়া তাহার গুণ-গৌরব রক্ষা করুন, ইহাই প্রার্থনীয়। এরূপ প্রতিভাশালী ব্যক্তির যেরূপ অভ্যর্থনা পাওয়া উচিত ছিল, তাহা তিনি পান নাই। ইহাতে আমাদেরই জাতীয় দৈন্ত প্রকাশ পাইতেছে। আশা করি সাহিত্য-সমাজ এইবার উাহাকে যথাপ্রাপ্য গৌরবাসন প্রদান করিয়া তাহার স্থতিরক্ষার ব্যবস্থা করিবেন। 劇 معمجمیع ন জীবতোৰ-কলেজের বাংলা-সাহিত্য-সম্মেলনী উদ্যোগে ভবানীপুর স্বাক্ষসমাজে v জ্যোতিরিক্সনাথের ভি-সভায় পঠিত ।