পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

३१३ ছিল । প্রথমতঃ, স্বজ্ঞে পণ্ডহিংসা । দ্বিতীয়তঃ, ব্রাহ্মণগণ নিজের উদর পূরণের নিমিত্ত যজমানকে নানারূপ স্ত্রব্যের জায়োজন করিতে বলিতেন ও নানারূপ মিথ্যা অনুষ্ঠান করিতেন । তৃতীয়তঃ, কৰ্ম্মকাণ্ডে বহু দেবদেবী বিশ্বাস করিতে হইত। এই তিনটি আবর্জনা থাকায় কৰ্ম্মকাণ্ডের উপর ঋষিদিগের শ্রদ্ধা একেবারে চলিয়া গেল ও সমাজ ক্ৰমে-ক্রমে জ্ঞানকাণ্ডের পক্ষপাতী হইয়া উঠিল। এট সময় ভারতে উপনিষদের ধৰ্ম্ম প্রচারিত হয়। এই স্তরে ধৰ্ম্মবিশ্বাস স্বেরূপ উচ্চ হইল স্বর্গ বা ঈশ্বরের ধারণাও সেইরূপ উচ্চ হুইল। ব্যাসদেব শুকদেবকে কহিতেছেন, “কাল সকল ভূতকেই বিনষ্ট করিতেছে, কিন্তু বাহার প্রভাবে সেই কাল বিনষ্ট হইয়া থাকে, তাহাকে কেহই পরিজ্ঞাত হইতে পারে ন; । সেই পরম স্বরূপ পঞ্চমাত্মা উৰ্দ্ধ, অধঃ, মধ্য বা তির্ব্যকৃ স্থানে অবলোকিত হয়েন না, এই সমুদয় লোকই তাহার অন্তরস্থ ; তাহার বহির্ভাগে কিছুই নাই ।” ( শাস্তি ২৩৯ ) সেই দেবদেবী, গন্ধৰ্ব্ব, অঙ্গরা, সিদ্ধপুরুষ, আত্মীয়-নৃত্যগীত, পানভোজন, হাত-কৌতুকাদি-সমন্বিত নানাবিধ ঐশ্বৰ্য্যপূর্ণ স্বর্গের কল্পনা এখানে কিরূপ চরম দার্শনিক তত্বে পৰ্য্যবসিত হইয়াছে । ব্যাসদেব পুনরায় কহিতেছেন "জীব কৰ্ম্ম-প্রভাবে স্বজন, পুনৰ্ব্বার জন্ম গ্রহণ করিয়া থাকে। কিন্তু জ্ঞানপ্রভাবে তাহার নিত্য অমৃতত্ব লাভ হয়।” (শান্তি ২৪১ ) সমাজ এখন নিত্য অমৃতের সদ্ধানে ছুটিয়াছে । স্বর্গের স্থখ-ঐশ্বধ্য এখন অত্যন্ত তুচ্ছ ও বেদকে এখন ক্ষুত্র বলিয়া বোধ হইতেছে। বেদব্যাস কহিতেছেন, “ বেঙ্গ অপেক্ষা সত্য, সত্য चक्षेचितः। ऎटिवक्ष-निशंश्, ङेटिवङ्ग-निश्चश् च८१च ििन, नि অপেক্ষ তপস্তা, তপস্তা অপেক্ষা বৈরাগ্য, বৈরাগ্য অপেক্ষা জাজ্বজ্ঞান, আত্মজ্ঞান অপেক্ষা সমাধি, সমাধি অপেক্ষা ব্ৰহ্মভাগপ্রাপ্তি উৎকৃষ্ট।” (শান্তি ২৪১ ) বেদ এযুগে সৰ্ব্বাপেক্ষ নিম্ন স্তরে পড়িয়া গিয়াছে। বিক্ষেস্থরাজ ধৰ্ম্মধ্বজ স্বলভাকে বলিতেছেন, “কেল্লাহ-কেহু সমধিক জ্ঞানযুক্ত কৰ্ম্মকে, কেহ কেহ সমধিক কৰ্ম্মযুক্ত জ্ঞানকে মোক্ষের সাধন বলিয়া নিরূপণ করেন, কিন্তু মহাত্মা প্রবাসী-জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩২ [ ২৫শ ভাগ, ১ম খণ্ড পঞ্চশিখ ঐ উভয় মত পরিত্যাগপূর্বক কেবল বিশুদ্ধ জ্ঞানকেই মুক্তি-লাভের কারণ বলিয়া নির্দেশ করিয়াছেন।” ( শাস্তি ৩২১ ) m কোনো গুরু তাহার শিষ্যকে উপদেশ দিতেছেন, “জ্ঞানই পরম ব্ৰহ্ম এবং সমস্যাই উংকৃষ্ট তপস্তা, যে-ব্যক্তি निश्रूक्लडाट्व छांनउर चदशङ इइंटङ गयर्थ इछ, उांशद्र সমুদয় কামনা পরিপূর্ণ হইয়া থাকে । ( আশ্বমেধিক ৩৫ ) ব্ৰহ্মা দেবগণকে বলিতেছেন, “তত্ত্বদশা বৃদ্ধগণ জ্ঞানকে মোক্ষসাধক বলিয়া কীৰ্ত্তন করেন । এই নিমিত্ত বিশুদ্ধ জ্ঞানলাভ হইলেই মনুষ্য সমুদয় পাপ হইতে বিমুক্ত হয়।” (অশ্বমেধিক ৫e ) যুধিষ্ঠির কোনো স্থলে কহিতেছেন, “তপস্যা অপেক্ষা ত্যাগ ও ত্যাগ অপেক্ষ ব্ৰহ্মজ্ঞান লাভ উৎক্লষ্ট ।” ( শাস্তি ১৯ ) একবার যখন নানারূপ বাধাবিঘ্ন অতিক্রম করিয়া নিৰ্ম্মল জ্ঞানের স্রোত সমাজে প্রবাহিত হইতে লাগিল তখন সে চতুৰ্দ্ধিকে সত্যের অমুসন্ধানে ছুটিল। তাহারই ফলে এই যুগে ভারতের অতীত গৌরবের সাক্ষীস্বরূপ অনেকগুলি উচ্চ অঙ্গের দর্শন রচিত হয় । "ঈশ্বর এক,” ইহা উপনিষৎ ঠিক করিয়া দিল । কিন্তু তাহ পাওয়া যায় কিরূপে ? যোগশাস্ত্র বলিলেন, “আমি কতকগুলি প্রক্রিয়া বলিয়া দিতেছি সেই-সকল অঙ্গুষ্ঠান করিলে চিত্ত সংযত ও একাগ্র হয়। তখন পরমেশ্বরের ধ্যান করিলে তাহার জ্যোতি দর্শন করা যায়। এই যোগশাস্ত্র পরবর্তীকালে কতকগুলি নীরস অনুষ্ঠানে পরিণত হয়। আৰ্য্য-সভ্যতার অন্ততম স্তম্ভ, সাংখ্যশাস্ত্র এই সময়ে थठाब्रिड श्छ । थार्वजडिब्र. खान कडयूब फेरक উঠিয়াছিল তাহা এই শাস্ত্র পাঠে অবগত হওয়া যায়। ८करण दिसक बूद्धि झाफ़ देश८ङ चाब्र किङ्कहे नाहे । ব্রাহ্মণের শ্রেষ্ঠত্ব যুক্তিতে পাওয়া যায় না, সেজন্ত সাংখ্য ইহা অস্বীকার করেন। ঈশ্বরের অস্তিত্বও যুক্তিবলে প্রমাণিত হয় না ; সেজন্ত.সাংখ্য-মতাবলম্বীগণ ঈশ্বরও মানেন না । সমুদয় বিশ্বব্রহ্মাও বিশ্লেষণ করিয়া ইহার চতুৰ্ব্বিংশতি পদার্থ পাইলেন। তখন তাহারা কহিলেন, এই চতুৰ্ব্বিংশতি