পাতা:প্রবাসী (পঞ্চবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] ফলে অধিকাংশের মতে পঞ্জীব বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগ রক্ষা করাষ্ট স্থির হয়। এই তর্কবিতর্কের সময় আমরা দিল্লীতে ছিলাম এবং রুদ্র মহাশয়ের মুখে এইসব কথা শুনিয়াছিলাম। ৩৭ বৎসর কলেজের সেবা করিয়া তিনি ১৯২৩ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে অবসর গ্রহণ করেন। সে-সময় প্রাক্তন 'ছাত্র, অধ্যাপক, ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের লোক সকলে র্তাঙ্গর প্রতি গ্ৰীতি শ্রদ্ধা জানাইয় তাহার সংবৰ্দ্ধনা করিয়াছিলেন। তন্মধ্যে র্তাহার পুরাতন জাট ছাত্রের, বৰ্ত্তমানে পঞ্জাব গবর্ণমেণ্টের মন্ত্রী রায় সাহেব চৌধুরী ছোট রামের নেতৃত্বে, র্তাহার নিকট আসিয়া বলেন, যে, তাহার নামে তাহার একটি বুভি স্থাপনের জন্ত টাকা তুলিয়াছেন । o প্রিন্সিপ্যাল রুত্রের প্রভাবের প্রধান কারণ, যে, তিনি জ্ঞাতিধৰ্ম্ম নিবিশেষে সকলের সহিত সমান ব্যবহার করিতেন। 聪 ঐযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাহার বন্ধু ছিলেন। প্রিন্সিপ্যাল রুদ্র বহু বৎসর দিল্লীর সমাজ-সেবা সংঘের সভাপতি এবং ভারতীয় ছাত্রদের পরামর্শ-দাতা কমিটির সেক্রেটরী ছিলেন । লালা লাজপৎ রায় বলিয়াছেন, স্বশীলকুমার রুদ্র ভারতীয় জাতীয় জীবনে মহত্তম চরিত্রবান অন্ততম ব্যক্তি ছিলেন, এবং তাহার প্রকৃতিতে হিন্দুর শাস্ত স্বভাব, মাধুর্ঘ্য ও আতিথেয়তা সংরক্ষিত হইয়াছিল। খৃষ্টীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে তিনিই প্রথমে তাহার সম্প্রদায়ের জন্য কোন বিশেষ রাজামুগ্রহ বা ব্যবস্থাপক সভাদিতে নিদিষ্টসংখ্যক প্রতিনিধি চাহিবার বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। তিনি নিজের সমাজের জীবন সমগ্র জাতির ব্যাপকতর জীবনের সহিত মিশাইয়া ফেলিবার পক্ষপাতী ছিলেন। র্তাহার গৃহ সকল ধৰ্ম্মের ভারতীয়দের মিলন স্থান ছিল । দিল্লীতে তিনি নীরবে নিজ ভক্ত জীবন যাপন করিতেন, এবং সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্ভাববৰ্দ্ধন ও শাস্তিস্থাপনের চেষ্টা করিতেন । তিনি স্বাৰ্থত্যাগী সংষত মানুষ ছিলেন। প্রৌঢ়ত্বের পূৰ্ব্বেই তাছার পত্নী বিয়োগ হয়। তাহার পর তিনি আর विवांश् क८ब्रन नॉहे । বিবিধ প্রসঙ্গ-অধ্যাপক স্থলীলকুমার রুদ্র 6t:్స(t দিল্লীর সকল সম্প্রদায়ের লোক চাহিয়াছিলেন, যে . তাহার মৃত্যুর পর তাহার মৃতদেহ অস্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্ত - দিল্লীতে আনীত হউক এবং সমারোহের সহিত তথায় সমাধিস্থ হউক। কিন্তু তিনি নিরাড়ম্বর লোক ছিলেন ; এইজন্ত মৃত্যুর পূৰ্ব্বে বলিয়া গিয়াছিলেন, যে, সোলনেই যেন তাহার দেহ সমাধিস্থ হয়। কুড়ি বৎসর ধরিয়া তিনি পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সীত্তিকেটের সভ্য ছিলেন, এবং লাহোরবাসী इहेrन র্তাহাকে ভাইস-চ্যান্সেলারও করা হইত। তাছার স্ববিবেচনা ও নিরপেক্ষতায় সকলের এমন বিশ্বাস ছিল, . যে, তিনি প্রত্যেকবার নির্বাচনের সময় প্রধানতঃ হিন্দু ও মুসলমান সদস্তদের ভোটের জোরে নির্বাচিত হইতেন । অধ্যাপক রুদ্র গান্ধী-মহাশয়ের বন্ধু ছিলেন। গান্ধীমহাশয় দিল্লীতে অনেকবার তাহার গৃহে অতিথি-রূপে বাস করিয়াছেন। পূৰ্ব্বেষ্ট বলা হইয়াছে এণ্ডজ সাহেব সেন্ট স্টফেন্স কলেজে বহু বৎসর রুদ্রমহাশয়ের সহকর্মী ছিলেন । অধ্যাপক রুদ্র খৃষ্টীয় ধর্শ্বে প্রগাঢ় বিশ্বাসী ছিলেন । তাহার মৃত্যুর পূর্বের কয়েকদিন তিনি দুঃসহ রোগ-যন্ত্রণা ভোগ করিয়াছিলেন। ভগবস্তুক্তি র্তাহাকে এই যন্ত্রণ ধৈৰ্য্যের সহিত সহ্য করিতে সমর্থ করিয়াছিল । র্তাহার মৃত্যুর পর লাহোরে তাহার ভূতপূৰ্ব্ব ছাত্রেরা র্তাহার প্রতি শ্রদ্ধাপ্রদর্শনার্থ সভা করিয়াছিলেন । তিনি লর্ড হার্ডিঙ্গের সময়ে দিল্লীর বিপ্লবীদের কোনকোন গোপনীয় কথা শিক্ষকরূপে জানিতে পারিয়াছিলেন, এবং যুবকদিগকে বিপথ হইতে উদ্ধার করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, কিন্তু অঙ্কুরুন্ধ বা আদিষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যুবকদের বিশ্বাসভাজন শিক্ষকরূপে যাহা জানিবার সুযোগ পাইয়াছিলেন, তাহা কখনও প্রকাশ করেন নাই। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে যখন তিনি কিছুকাল শান্তিনিকেতনে বাস করিয়াছিলেন, তখন তাহার মুখে আমরা ইহা শুনিয়াছিলাম । র্তাহার প্রকৃতির কিঞ্চিৎ পরিচায়ক কয়েকটি সামান্ত কথা এখন মনে পড়িতেছে। কয়েক বৎসর পূৰ্ব্বে আমরা দিল্লী দেখিতে গিয়া সপরিবারে পঞ্জাব হিন্দু-হোটেলে