পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo8 প্রবাসী । [ ৫ম সংখ্যা । সন্মুখে এক প্রকাও দীঘিকা, যদিও সমগ্র জলপূর্ণ নহে, তথাপি তাহার বিস্তারে ও তিন পাশের দুরস্থ পাহাড়মালার বেষ্টনে মনোরম দেখায় । দীঘির অপর পাশ্বে মহারাজার দুর্গবেষ্টিত প্রাসাদ, বামে নগর, দক্ষিণে তাল নারিকেলের বন । নগরের পশ্চাতে পাহাড়, যেন পাহড়ের কোলে নগরটি স্থাপিত । কিন্তু সেই জলের কষ্ট । পাথরবাধান কূপ অনেক আছে, কিন্তু কুপে জল অল্প, নাই বfললেই হয় । দলে দলে স্ত্রীলোকের মস্তকে বড় বড় কলস লইয়া কূপের নিকট জনতা করিয়া থাকে । প্রত্যেকের হাতে জল তুলিবার নিমিত্ত তালপাতার ঠোঙ্গা । ঠোঙ্গা বেশ হালক, অথচ দুই ঘট জল অনামাসে উঠে, কুয়ার গায়ে ঠেকিয়া তত ভাঙ্গিবার নহে। এই ঠোঙ্গার চলন এদেশে খুব আছে । রাজামহেন্দ্রীতে এই প্রকার ঠোঙ্গ টিনের তৈরি হইয়া থাকে । কলাইভাঙ্গা যাতার একটা পাট মাঝামাঝি কাটিয় তাহাকে ফাপা করিলে যেমন দেখায়, ঠোঙ্গার আকার তেমনই । অপরাঙ্গে আমরা মহারাজার প্রাসাদ দেখিতে বাহির হইলাম। হুগের ভিতরে ঢুকিতে হইলে কোন কৰ্ম্মচারীর অনুমতি লইতে হয় । আমাদের সঙ্গী দোভাষী যুবক অনুমতি আনিলেন। কিন্তু ভিতরে ঢুকিয়া যেই মেট্রালিকার মধ্যে প্রবেশ করিতে যাইব, দ্বারবানের আমাদিগকে জুতা ত্যাগ করিয়া যাইতে ইঙ্গিত করিল। আমরা থামিয়া গেলাম। দেবালয় নহে, ভিতরের বাড়ীও নছে, বাছির বাড়ীতে ঢুকিতে জুতা কেন খুলিব, তাহ। বুঝিতে পারিলাম না । শেষে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিলাম, দেশীয় লোক মাত্রেই জুতা খুলিয়া যায়, কেবল সাহেবেরাই জুতা ও বুট পায়ে রাখিয়া ভিতরে ঢুকিতে পারে । এ সকল কথা অবগু দোভাষীর সাহায্যে হইল । যখন বলিলাম, আমরা বাঙ্গালী, জুতা খুলি না, তখন ভৃত্যের খানিকক্ষণ স্থা করিয়া রহিল, এমন নুতন কথা যেন কখনও গুনে নাই । কারণ তেলেগু দেশে জুতা পরিচ্ছদের মধ্যে নহে। বেশভূষা করিয়া ভদ্রলোকেরা পাছকহীন পদে রাজপথে স্বচ্ছন্দে চলিয় বেড়ায় । যাহারা পাছক ধারণ করেন, তাহারা পা কাহীন হইতে কিছুমাত্র ভাবেন না। পথে পুলিশপ্রহরী, মাথায় লাল বোচ। পাগড়ী, গায়ে থাকী কোট, পাজাম, কিন্তু পা খালী । জমাদার বেশ পোষাক অ’াটিয়াছেন, কিন্তু খালী পাৱে নিজের গাম্ভীৰ্য্য যেন রাখিতে পারিতেছেন না । সে দেশে জুতা পরাই অসাধারণ, তাহাতে আমরা জুতাগুদ্ধ বাড়ীর ভিতরে ঢুকিতে চাই ! এরূপ যাইতে হইলে একজন উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারীর অনুমতি গ্রহণ আবশ্যক । বস্তুতঃ র্তাহাকে এ নিমিত্ত কমিটি বসাইতে হইবে কি না, আমরা তাছাই ভাবিতে ভাবিতে ভিতরে যাইবার অাশা ত্যাগ করিয়া মহারাজার উদ্যান দেখিতে গেলাম। সেখানে জুতার ভাবনা নাই, কেন না বাগানটি বিলাতী ধরণের, মাঝে জলের ফোয়ার, এক পাশে টেনিস ইত্যাদি খেলিবার স্থান । মহারাজা যুব, একজন সাহেৰ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষা প্রাপ্ত হইতেছেন । জাতিতে ক্ষত্ৰিয়, কিন্তু আচার ব্যবহারে তেলেগু । এইরূপ ওড়িশার কোন কোন করদ রাজ্যের রাজা ক্ষত্রিয়, কিন্তু আহার বিহারে আচার ব্যবহারে ওড়িয়া হইতে পৃথক্ করিতে পারা যায় না । কেবল আহারের ও বিবাহের সময় ক্ষত্রিয় বলিয়া জানিতে ধারা যায়। বিজয়নগরের মহারাজার অtয় প্রায় ২৬ লক্ষ টাকা, পদগৌরব বিলক্ষণ আছে ; তবে নামে মহারাজ, ক্ষমতায় বাঙ্গল দেশের জমীদার। বিজয়নগরের জরি দেওয়া উৎকৃষ্ট ধুতী ও সাড়ী তেলেগু তাতির নৈপুণ্য প্রকাশ করে। বাঙ্গলার মুরশিদাবাদ বহরমপুরের মত গঞ্জাম বরম্পুর গরদের ধুতী সাড়ীর নিমিত্ত প্রসিদ্ধ। এক এক গরদের ধুতী ২s\৩•N টাকায় প্রায় বিক্রয় হয় । বিজয়নগরের কাপাস বস্ত্রের উপর জরির পাড় । ধুতী লম্বায় ৮৯ হাত, বহরে প্রায় ৩ হাত, চাদর ৬ হাত, ধুতী চাদরে ১৪ হাত । সাড়ী ১•।১২১৪ হাত । ১৪\১৫ টাকায় এক রকম চলনসই এক জোড়া ধুতী বা সাড়ী পাওয়া যায়। ২৫, ৩০ টাকায় যাহ পাওয়া যায়, তাহা ও নাকি খুব উৎকৃষ্ট নয় । , এই সকল ধুতী সাড়ী তত সরু স্থতার নয়, বাহাঙ্কুরী স্থতার পাইটে, সমানভাবে জমানতে। অামাদিগের পক্ষে ৩ স্থাত दश्य्द्रद्र अथन्न शशांब cशक्ने बूठी ठङ डेनदषाठी मब्र । কিন্তু সাড়ীগুলি বাঙ্গলা দেশে বেশ চলিতে পারে। তৰে, अब्रि दाक्राहेबा भूश्रङ जानिवाब्र cषांनी जादछक ।