পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० প্রবাসী । { ১ম ভাগ । ৯০ ভাগের ৮৯৮২ ভাগ কল এর দ্বার। বাহির করিয়া ল ওয়া যাক্টতে পারে । ৫৪ । দুই রোলার বেহিয়া মিল দ্বারা কেবল ৫৮ ভাগ মাত্র রস বাহির হয় ; তিন রোলার বেহিয়া মিল দ্বার ৬২।৬৫ ভাগ রস বাহির হইয়া আইসে। ষ্টাম হরিজণ্টালরোলার দ্বারা ৭•৭২ ভাগ রস ধাৰ্কির হয় । আক গুলি চিরিয়া লইলে ৭৫ ভাগ রস বাহির হয় । আক চিরিবার কল ও (Shr('titler) আছে আবার অকের ছাল ছাড়াইয়া মাড়াই করিতে পারিলে ১৮০ মণ ইক্ষুদণ্ড হইতে ৮৪৷৮২ মণ পযগু রস বাহির করিয়৷ ল ওয়া যাইতে পারে । ফরস্ ডিকটি কেটর l'aur's Sugarcane i \cci orticator) ও হরিজণ্টাল মিল ব্যবহার দ্বার চক্ষুদ গু হইতে মে পরিমাণ রস বাহির হইয়া আইসে, এরূপ আর অগু কোন উপায় দ্বারা হয় না ; বড় বড় অপবাদে এই কল ব্যবহার ৮tলতে পারে । দরিদ কুমকদিগের পক্ষে এই কলের ব্যবস্থার অসম্ভব । ৪৬। বিলাতী উপায়ে এক্ষণে এককালীন ইক্ষুর রস হইতে চিনি প্রস্তুত হইয়া থাকে । তবে গুড় হইতেই চিনি প্রস্তুত করা নিয়ম সাধারণ | এই উপায়ের বিশেযত্ব ভ্যাকুয়াম প্যানের মধ্যে ১৬ • • ডিগ্রি মাত্র উত্তাপে রস জাল দেওয়া । গরম জলের সহিত গুড় মিশাইয়া হাড়ের কয়লার ফিণ্টার মধ্য দিয়া এই গুড়ের জল ( অথবা ক্লারিফাই করা ইক্ষুর রস ) পরিষ্কার করিয়ু৷ লইয়া, পরে ভ্যাকুয়াম প্যানে ( অর্থাৎ বদ্ধ বায়ু-বিযুক্ত কটাহের মধ্যে ) রস ১৬০ - ( ফারেন ) উত্তাপে সিদ্ধ করিয়া চিনি প্রস্তুত করা সাহেবদের চিনির কারখানার নিয়ম । গুড় হইতে মাত বাহির করিয়ু দিবার জন্ত এবং শেষ প্রস্তুত চিনি হইতে গোলডন সিরাপ (Golden Syrup) বাহির করিয়া দিবার জন্ত সেনটিফিউগাল মিলের ব্যবহার প্রচলিত আছে। যাহা হউক, বিলাতী কলের বর্ণনা এই প্রবন্ধের উদ্দেশু নহে ; কেনন। এ দেশের লোকের স্বারা বিলাতি নিয়মে যে চিনি প্রস্তুত কার্যা সাধিত হইবে এরূপ সম্ভাবন নিতাস্ত কম। সাহেবের কাশিপুর ফ্যাক্টারি, রোজ ফ্যাক্টারি, সাজিহানপুর ফ্যাক্টারি, কানপুর ফ্যাক্টরি, প্রভৃতি কারখানায় বিলাতী নিয়মে চিনি প্রস্তুত অনেককাল ধরিয়াই করিয়া আসিতেছেন । তাহারা যদি এ দেশের কৃষকদের নিকট সারবান গুড় অথবা মাত বাদ দেওয়া গুড় অধিক পরিমাণে কিনিতে পান, তাহ হইলে তাহীদের জব-দ্বীপ প্রভৃতি স্থান হইতে এই রূপ সার গুড়ের আমদানী করিতে হয় না, এবং এ দেশের কোটি কোটি টাকা বিলাতী চিনির আমদানীতে - বায়িত হয় না । গুড় বা চিনি ও মাত, প্রস্তুত করিয়া যদি কেহ লাভবান হয়েন, তাহাকে ভাবিতে হইবে না ; আর পাচজন এই নিয়মে কাৰ্য্য করিলেই তাহার লাভের অংশ কমিয়া যাইবে । বৎসরে নূ্যনকল্পে ৫০ লক্ষ মণ চিনি ও ৭৮ লক্ষ মণ মাত, মরিশস প্রভৃতি দেশ হইতে ভারতবষে আমদানী হুইয়া থাকে। কোথায় চিনি বা মাত্র বিক্রয় ই হবে, এ বিষয়ে ভাবিতে হইবে না । চিনির ও মাতের বাজার নিতান্ত প্রশস্ত। সহস্ৰাধিক ভারতবর্ষীয় যুবক এই কায্যে অনায়াসেই অবর্তীণ হইতে পারেন । প্রতিযোগিতার আশঙ্ক নিতান্ত কম । শিক্ষিত লোকদিগের দ্বারা ভাল উপায়ে ইক্ষুর চাষ ও গুড় প্রস্তুত হইলে অধিক পরিমাণে সারবান গুড় জন্মিবে । ইহাতে সাহেবদের চিনির কারখানার ও উন্নতি হইবে, এবং তাহাদের সাহাযো ও আমাদের দেশের একটা শ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ের উন্নতি সাধিত হইবে । সামান্য বেতনের চাকরীর জন্য যাহারা এক্ষণে লীলায়িত,র্তাহীদের কৰ্ত্তব্য চাষিদের সাহায্যে এই ব্যবসায়ের উন্নতি করিয়া নিজেদের স্বাধীন জীবিকার উপায় কর । স্বাধীন চিন্তা, যত্ন ও পরিশ্রম আৰশুক । কেরাণীগিরি করিতে ‘আয়াস আছে, মাথা ঘামান নাই, কি স্তু লাঞ্ছনা আছে, লাভ নাই । সমাপ্ত । ঐনিত্যগোপাল মুখোপাধ্যায় ।