S り কিন্তু এখনও উঠার সঙ্গন্ধে সম্যক জ্ঞান হইল না। পৃথিবীর সদর উষ্ঠ বাস করে, মা, কিম্বা পূৰ্ব্বকালে উঠার বৰ্ত্তমান আকার ছিল না। এক্ষণে ভূগোলের কোন কোন প্রদেশে উড়ার বাস, উঠার জ্ঞাতি কুটুম্বেরাই বা কোথায় বাস করিতেছে, ইত্যাদি বিষয় আলোচনার নিমিস্ত ভূগোলবিবরণ জানা আবণ্ঠক । সেইরূপ কোন অতীত কালে উঠার প্রথম আবির্ভাব হইয়াছিল, ভূ ত্বকের কোন পুরাতন স্তরে উঠার অস্তিত্বের নিদর্শন আছে, সেই অতীত কালে পৃথিবীর প্রার তিক অবস্থা কি প্রকার ছিল, ইত্যাদি বিষয় অবগত ইষ্টতে ভূ বিদার জ্ঞান আবশুক । এত তত্ত্বস গড়েও কিন্তু ‘কাজের” কথা আসে নাই । সেই জীবের দ্বারা আমাদের কিছু “কাজ” হইতেছে কি ? যদি উদ্ভিদ হয়, তাহাঙ্গাইলে হয়ত তাঙ্গতে আমাদের খাদা, ৯মধ, বন্ধ প্রভৃতির উপায় হইতেছে। তাছার মূল, কাও, প্রকাগু, পত্র, পুষ্প, ফল, বীজ, আমাদের কোন না কোন কাজে আসিতেছে । যদি প্রাণী হয়, তাঙ্গ ত চলে ও তাঙ্গ। আমাদের পক্ষে রথী নহে। হয় ত তথার চৰ্ম্ম, মাংস, অস্তি, শুঙ্গ, মেদ আমরা কাজে লাগাইতেছি, হয়ত তাই ার স্বভাব সবিশেষ জানা নাই বলিয়! তাঙ্গাকে কাজে লাগাইতে পারা যায় নাই। বস্তুতঃ জীব কেন, পৃথিবীর কোন বস্তুটি কাজে লাগাইতে পারা যায় না ? অবশ্য অজ্ঞ অসভোর যে বস্তু মেমন কাজে লাগায়, বিশেষজ্ঞ সভোরা তাঙ্গকে তেমন কাজে কিংবা তদপেক্ষা প্রয়োজনীয় কাজে লাগাইয়। থাকে। কিন্তু এই সংক্ষিপ্ত বিবরণ হইতেই বুঝা যাইবে যে, আমাদের প্রাণরক্ষার উপায়স্বরূপ র মিবিদা ও পশুপালনবিদ্যা জীববিদ্যার প্রশাখা মাত্র । ছাগধি পশু, কপোতাদি পক্ষী, রোহিতাদি মৎস্য, রেশম কীটাদি পতঙ্গ প্রভৃতি কত প্রকার প্রাণীর বিষয় আমাদিগকে চিন্তা করিতে হয় । আমাদের যাবতীয় আবশ্যক দ্রব্যই মুঠি কাজ উদ্ভিজ্জ ও প্রাণিজ । সুতরাং স্বর্ণ রৌপ্য প্রস্তরাদির বিনয় অবগত হওয়া যেমন আব শুক, উদ্ভিদ ও প্রাণীদিগের বিষয় শিক্ষা করাও তেমনই আবগুক । কিন্তু মানষের মন ইহাতেও তৃপ্ত নহে । জগতের প্রত্যেক ব্যাপারের উপায় ও উপেয় অনেমণ করে। একটি দুটি দশটি লক্ষটি কোটি কোটি প্রকার জীবে পৃথিবী ৰাপ্তি । প্রবাসী ১ম ভাগ । এত প্রকর জীব কি ক্রমে হইয়াছে ? অবশু আকাশ হইতে ভূপদাপ করিয়া কোন অতীত কালে পড়িবার সম্ভাবনা ছিল না। তবে কি এই পৃথিবীর মাটি হইতেই সক? প্রকার জীবের সৃষ্টি ? কে জানে। ভিন্ন ভিন্ন মানল সমাজের পুরাণে এক এক কথা বলে । কিন্তু জীববিদ্য। ভূবিদ, প্রভৃতি বিজ্ঞানসমূহ সে সকল কথা পৌরাণিকী বলিয়া তাঙ্গণতে কৰ্ণপাত করিতেও সময় দেয় না । কত লোকে কত কথা বলে ; তা বলিয়া কি সকল কথাই বিচার করিয়া থাকি ? যাহা হউক, অতীত ক (লের জীবরাজ। পাটন করিতে গেলেই একদিকে যেমন ভূবিদ্য, অষ্টদিকে তেমনই জোতিবিদ্যার সাহায্য লর্ততে হয় । জীববিদ্যা বলিলে কি বুঝি, তাহার অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত উত্তর পা ওয়া গেল । মূল বিজ্ঞানের ঘনিষ্ট সম্বন্ধ আছে । অধিক কি, যে মানুষ দেখা গেল, উচ্চ র সহিত প্রায় সকল রূপ প্রাণী আমরা নিজে এবং যে মানুস ভাবের ভাবনায় আমরা জন্মাণপি মৃত্যু পৰ্য্যন্ত আকুল, সেই জীবের আপি ব্যাধি, উন্নতি অবনতি, মানসিক ক্রিয়াসমষ্টির আলোচনা রূপ আৰ্ব্বেদ, মনোবিজ্ঞান, দশন প্রভৃতি সেই জববিদ্যার শাখ প্রশাখা প্রেপ্রশাখ মাত্র । নিজেদে ৰু বিষয় অবশু আমরা খুব জানিতে চাই । তাই স্বাস্থ্যরক্ষা রোগচিকিৎসা বিদ্যা হইতে আমাদের যাবতীয় ক্ষুদ্র বৃহৎ ব্যাপার লইয় এক একটা বিজ্ঞানের অব তারণা করিয়াছি । জীববিদ্যা অতিশয় বৃহৎ, অতিশয় দুরূহ । অতিশয় বৃহৎ বলিয়া উহ। উদ্ভিদ ও প্রাণিবিদ্যারূপ দুই শাখায় বিভক্ত হইয়াছে । অতিশয় দুরূহ বলিয়া জন্মানিদেশের অধ্যবসায়ী, সহিষ্ণ ও জ্ঞানপিপাসু অধ্যাপক-মণ্ডলীর মধ্যেই এই বিদ্যার উন্নতি হইয়াছে । ৰপ্ততঃ জীববিদ্যার অধিষ্ঠান জন্মানি দেশে । ইংলণ্ড এই বিদ্যা আলোচন। করে না, এমন নহে । কিন্তু যদিমৌলিক গ্রন্থ দেখিয় विनाच्न अधिष्ठानझुभि श्चित कतिप्टङ इग्न, ऊाङ इङ्ग्रेत्र ইংলণ্ডকে, ফ্রান্সকে, রুসিয়াকে, সকলকেই জৰ্ম্মানির শিষ্য ৰলিতে হইৰে । জীববিদ্যার কোন না কোন শাখায় দারবিন, ইক্ষণী, মিভাট, লাংকেষ্টার, বালেস প্রভৃতির নাম আছে । কিন্তু যখনই প্রাণিবিদ্যা ও উদ্ভিদবিদ্যা বিষয়ক মৌলিক বৃহৎ গ্রন্থ অন্বেষণ করি, তখনই ইংলণ্ডের পরাভব এবং
পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩০
অবয়ব