বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৩৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&b്@ [ १भ छां# । “পেট্টি ওটিজ ম”এর বিযয় সেটা পরিষ্কাররূপে না জানা থাকাতেই যজ্ঞ বাঙ্গানুবাদ । মনুষের হিতাহিত তুষ্ট রূপ ; পরিত্রিক এবং ঐহিক । পরিত্রিক হিতসাধন ধৰ্ম্মোপদেষ্টার কার্যা। যে প্রচারক স্বদেশের কল্যাণকল্পে ধৰ্ম্মপ্রচার করেন, তিমি সৰ্ব্বোচ্চশ্রেণীর স্বদেশসেবক সনেীহ নাই । কিন্তু ধৰ্ম্ম প্রচার ঈশ্বরভক্তি প্রণোদিত এবং ধৰ্ম্মসাধনার অঙ্গ । উস্থ স্বদেশপ্রেম গছে । স্বদেশপ্রেমের বিষয় স্বদেশীয়গণের ঐহিক হিত । এই রূপ জিতের মধ্যে ও আবার দেশকালপাত্র সম্পকে সাধারণ জনহিতৈষণ বা দানশীলতার সহিত স্বদেশহিতৈগণার পার্থক্য আছে । কোন শ্রেণীবিশেষের ( যথ। কুষ্ঠরোগ ) বা স্থানবিশেষের ঃি তার্থে অনুষ্ঠান স্বদেশপ্রেমিকের স্বদেশসেবা নচে । কিঙ্গ সমগদেশময় কোন একটা সাময়িক অমঙ্গলের সাময়িক প্রতিবিধান ও (গ), উপস্থিত দুর্ভিক্ষ নিবারণের জন্য দান ) স্বদেশপ্রেমের পরিচায়ক নছে । কিন্তু যিনি দেশময় কৃমি জীবিগণের জন্য গণভাণ্ডার ( agricultural banks , ototvåž êtwts, wcwa, ঠাহাকে আমরা স্বদেশপ্রেমিক বলিব । স্বদেশের স্থায়ী কল্যাণ সাধনষ্ট স্বদেশপ্রেমিকের রত । আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষার বিস্তার, স্বাধীনতার অন্যায্য প্রতিবন্ধকের উন্মোচন এবং দ্যায্য স্বাধীনতার উৎকর্মসাধনের দ্বার দেশের স্থায়ী কল্যাণসাধিত হয় । স্বদেশচিতনিষ্ঠগণ এই সকল উদ্দেশু সাধনেই জীবন উৎসর্গ করেন । অভীপিত উদে্বগুসাধনাথ অবলম্বিত উপায় বিষয়ে ও মগুtষ্ট জনহিতকর মনোবৃত্তির সহিত স্বদেশপ্রেমের বিশেষ প্রভেদ বিদ্যমান । ব্যক্তিবিশেষের বা ব্যক্তি সমষ্টি বিশেষের শক্তির পরিচালন দ্বার। এই রূপ বিরাট উদেশু সম্যক সাধিত হইতে পারে না । স্বদেশসেবক স্বীয় ব্রতাঙ্গুষ্ঠানের জন্য রাজশক্তির আশ্রয় লইয়া থাকেন। গঠনের দেtধবশতঃ যে দেশের শাসনযন্ত্র জনহিতের অন্তরায় হয়, সে দেশের যিনি সেবক, তাহার প্রথমে কর্তব্য শাসনযন্ত্রের সংস্কার সাধন । ভূমণ্ডলে যে সকল প্রকৃত স্বদেশপ্রেমিক আবিভূত হইয়াছেন, তাহাদের মধ্যে অনেককেই স্বদেশের শাসনযন্ত্রের আমূল পরিবর্তনে অথবা মাংশিক সংস্কার সাধনে জীবন উৎসর্গ করিতে দেখা যায় । স্বদেশের হিতসাধনের জন্য রাজশক্তির আশ্রয় লওঁয়৷ সঙ্গত্ত কিনা এবং কতটা সঙ্গত, এই প্রশ্ন লইয়৷ বহুদিন যাবৎ ইউরোপে ঘোর বfদানুবাদ চলিতেছে । ইহার উত্তর দিতে যাইয়। রাজনীতিতত্ত্ববিদ পণ্ডিতগণ দুই বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হইয়া পড়িয়াছেন । এক সম্প্রদায় রাজতন্ত্রবাদী। রাজতন্ত্রবাদীর মতে প্রজাপুঞ্জের অস্থিতমাত্রেরই প্রতিবিধানে এবং হিতসাত্রেরই অনুষ্ঠানে রাজশক্তির বিমিয়োগ আবখ্যক । এইরূপ মতবাদী গনেকে রাজশক্তি প্রয়োগ করতঃ উচ্চ মীচ ধনী দরিদ্র প্রভৃতি সমস্ত শ্রেণীভেদ ভাঙ্গিয়া চুরিয়া একেবারে সাম্য স্থাপন করিতে চাড়েন । কেহ রাজ্যের ধনসম্পত্তি রাজশক্তির সম্পূর্ণ করতলগত করিয়া জনসাধারণকে যথা প্রয়োজন বুন্তিভোগ করিতে চাহেন। অপর সম্প্রদায় স্থা তথ্যবাদী। স্বাতন্ত্রাবাদী প্রজার স্থিতহিতে রাজার হস্তক্ষেপ অবশ্যক মনে করেন না । বিশেষ কোন অহিতের প্রতিকার ভিন্ন অদ্য কোন ব্যাপারে রাজশক্তির বিনিয়োগ একেবারে অসঙ্গত মনে করেন । এই সম্প্রদায়ের কেহ কেহ জনসমাজে রাজশক্তির প্রয়োজনীয়তা আদৌ স্বীকার করেন না । কিন্তু যে সকল মহাপুরুষ সভ্যরাজ্যসমূহের নিয় স্থা, তাহদের কায্যকলাপ পর্য্যালোচনা করিলে দেখা যায়, বলপ্রয়োগে সাম্যস্থাপন অথবা অবাধ স্বাতন্ত্র্য, ইহার কোন মতেরই উtহার পোষকতা করেন না । তাহাঁদের প্রজানীতির মূলসূত্র, উন্নতির সুযোগ বিষয়ে সাম্যস্থাপন ; আপামর সাধারণের জন্ত উন্নতির দ্বার উন্মুক্ত করণ। এই মহান উদ্দেশু সাধনের জন্য রাজশক্তিই তাহদের অবলম্বন স্বদেশপ্রেমিকের স্বদেশদেবী রাজশক্তিপরতন্ত্র । রাজশক্তিপর তন্ত্র বলিয়াই যে দেশের জনসাধারণের মধ্যে রাজনৈতিক ভাবের অভাব, সে দেশে স্বদেশপ্রেমের বিকাশ দেখিতে পাওয়া যায় না । হিন্দু মুসলমান প্রভৃতি প্রাচ্যজাতি রাজনৈতিক ভাব-প্রজাসাধারণের রাজনৈতিক অধিকার—সম্পর্কে চির অনভিজ্ঞ । পাশ্চাত্য জগতে মানুষের সংজ্ঞ। “রাষ্ট্রীয় জীব” । হিন্দুর অভিধানে মানুষের সংজ্ঞা কৰ্ম্মফলভোগী জীব । পাশ্চাত্যজনগণের সংস্কার,রাজনীতি দ্বারা মানুষের সুখদুঃখ অনেকাংশে নিয়মিত হইতে পারে। হিন্দুর সংস্কার মুখস্থঃখ কৰ্ম্মফলমূলক ।