২৯৬ গাছতলায় গিয়েছে” । পুত্র অনুসন্ধানে তার নিকটে গেল এবং জিজ্ঞাসা করে বলিল, কি রূপে আমার মায়ের কন্যা হবে। তিনি উত্তর করিলেন, আমি ওষুদ দিলে তাঙ্গা খেলেষ্ট কন্যা হবে । এষ্ট ওষুদ খেয়ে কন্যা হো’লে আমি এসে নাম রেখে যাব । আজ থেকে তোমার মাকে জয়মঙ্গলবার করতে বলগা। ওষুদ নিয়ে খাওয়ান তলে কন্যা গেলে । সেই পাকমারা অন্নপ্রাশনের সময় এসে কন্যার নাম ‘জয়াবতী’ রেখে গেল । তার মাকে মঙ্গলবার করতে নিষেধ করে, জয়াবর্তীকে করতে বলে গেল। জয়াবর্তী মঙ্গলবার করতে লাগল। একদিন সদাগরকে তাঙ্গর স্থা বলিল, যার ঘরে একটি ছেলে থাকৃবে তার ঘরে আমার একটি মেরে বিয়ে দিব । আর এক দেশের একটি সদাগরের একটি ছেলে ছিল, তার সঙ্গে জয়াবতীর বিয়ে হো’ল । সেই ছেলের নাম “জয়ধর” । ঠিক কুমমডিঙ্গার ৯ দিনে মঙ্গলবার পড়ল। জয়াবতী সকলে উঠে মঙ্গলবারের আয়োজন করতে লাগল। জয়ধর বললেন “জয়াবর্তী ও কি হবে ?” “আমি মায়ের পেটেথেকে মঙ্গলবার করি,আজ মঙ্গলবার, তাই আজও মঙ্গলবার করব।” জয়ধর বল্লেন, “ও কল্পে কি হয় ?” “জয়াবর্তী বল্লেন—
- হারালে পায় ম’লে পায়
যা মনে ক’রে করে তাই জয়যুক্ত হয় ।” জয়ধর কহিল, “ও মঙ্গলবার করতে হবে না । আজ আমাদের নিয়মে মাছভাত খেতে হয়।” জয়াবতী কিছুতেই একথা নামেনে মঙ্গলবার পালন করলেন । “জয়ধর বিয়ে করে নিয়ে যেতে যেতে জয়াবর্তীকে আপনার কাপড় পরালেন, আর গহন সকল বাটায় পুরে কাপড় জড়িয়ে বড়দহে ফেলে দিলেন, আর বল্লেন কেমন করে মঙ্গলচণ্ডীর কৃপায় গহনাগুলি পা ও দেখব । সকলে বলতে লাগল বউকে কিছু দেয় নাই, সব নিয়েছে। জয়ধরের মা বেটাকে বল্লেন, ‘বাবা কোন দহে মাছ ধরবে ? বেটা বল্পে বউকে জিজ্ঞাসা করগা । তিনি বল্লেন ক’নে বউ কি জানে ? ছেলৈ বল্পে, যা জানে সেই জানে। _"শভিক্ষা প্রবাসী ১ম ভাগ। বউকে জিজ্ঞাস করলে বউ বল্লে, বড়দহে । বড়দহে খেয়াদিতে একটা বড় “রাঘববোয়াল” উঠল। সকলে বল্লে, এ বড় মাছ কে কুট্বে। বেটা বল্পে বউকে সুধাওগা । বউ বল্পে আমি কুটুব । ১৭টা পেতে, ১৭টা বঁটি দাও, একটি নিজন নর দাও, তাতে যেন কেউ না আসে। মা বল্লেন, বাবা, বৌ-ভোজ কে রাধবে ? সেই সময় বউ সেই ঘর থেকে গহনা ও কাপড় পরে বাহিরে এল । সেই রাঘববেtয়ালের পেটেষ্ট গহন কাপড় সব ছিল । সকলে দেপলে বউএর গায়ে কিছু ছিল না ; কোথাথেকে । গঙ্গন পেলে ? শ্বশুর গিয়ে গুটি পায়ে পড়তে লাগলেন আর বল্লেন, মা তুমি কে ?—আমি কিছু জানিনা—আমি মায়ের পেটে হতে জয়মঙ্গলবার করি, আমি কি জানি, মা মঙ্গলচ ষ্ট্ৰী জানেন । আপনি শ্বশুর হয়ে কেন পায়ে পড়েন । জয়াবতী শাশুড়ীকে বল্লেন, আমাকে ১৭টি কাটি, ১৭টি হ’াড়ি, ১৭টি উনন, ১৭টি রিড়ে, ১৭টি নুড়ে দাও, আমিই বৌ-ভোজ রাধ ব। জয়াবতী ভোজ রণধলেন। পঞ্চগ্রামের সদাগর খেতে বসেছে। শ্বশুর বল্লেন কে পরিবেশণ করবে ? তখন বউ বল্লে আমি করবে। আমাকে ১৭ খানি থালা দাও। যে আঙ্গিনায় শ্বশুর যান, দেখেন সেই আঙ্গিনাতেই বউ পরিবেশণ কর্চেন। তিনি বার বার জয়াবতীর পায়ে পড়তে যান, আর বলেন, বউ মা, কে মা তুমি বল। জয়াবতী বল্লেম, তুমি শ্বশুর, আমি বউ, আমি কিছু জানিনে। মায়ের পেটে থেকে মঙ্গলবার করি, সব মা মঙ্গলচণ্ডী জানেন । এখন জয়াবতীর স্বামী বল্লেন, আমি বাণিজ্যে যাব । তিনি বাণিজ্যে গিয়ে প্রায় ৩ বচ্ছর এলেন না । সেখানে একটি বিয়ে ক’রে বউ নিয়ে বাড়ী আছিলেন। পথে র্তারা আসছিলেন, এমন সময় ঘাড়ীতে জয়াবতী মঙ্গলবারের আয়োজন করছিলেন । এমন সময় তার সতীনকে মা মঙ্গলচণ্ডী শঙ্খচীলের রূপ ধ’রে নৌকা থেকে জলে ঠেলে ফেলে দিলেন। কিছু দিন পরে জয়াবতীর পুত্রসস্তান হ’ল । জয়াবতী আপনার মঙ্গলবারের উৎযোগ কর্চেন, এমন সময় জয়ধর তার ছেলেকে ৭ খণ্ড ক’লে কেটে ৭ জায়গায় দুরে ফেলে দিলেম । তখন মা মঙ্গলচণ্ডী মনে করলেন, বেটা বড় জালাচ্চে। তখন তিনি শঙ্খচৗল হয়ে