পাতা:প্রবাসী (প্রথম ভাগ).djvu/৪৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 రి సి করুক। কত লোকে, গুই বিবাহ করে ; তুমি আপত্ত্বি করি ও না ।” কথাগুলি প্রমথনাথের মাতা বিজনে আপন স্বামীকে বলিলেন । প্রমথনাথের পিতা “ম্ভ ক’” করিলেন ; কিন্তু কেন কথার উত্তর দিলেন না। অনেকক্ষণ পরে বলিলেম,“আমার মা লক্ষ্মীর কি হইবে ?" সরমাকে প্রমথনাথের পিত। মা লক্ষ্ম বলিতেন । গৃহিণী ও সরমাকে পুল্লানিৰ্ব্বি শেষে স্নেহ করিতেন ; বলিলেন,"াহার কপালে যা আছে তাঙ্গাই হইবে" । কিন্তু কথা গুলি বলিতে বলিতে চক্ষু দিয়৷ জল পড়িল ; যাহাষ্ট তউক আবার রাষ্ট হইল যে এমির সঠিত প্রমথনাথের বিবাহ হইবে এবং সে বিধাচে তাঙ্গার পিত, মাতা, স্ত্রী, প্রভৃতি সকলেষ্ট সম্মত । প্রমথবাবু আবার কলিকাতায় গেলেন । তিনি যপন কলিকাতা পৌছিলেন, তখন বেল ১১০ট । বাসায় না যাষ্টয়া একেবারে মিটারভবনে গিয়া উপস্থিত হইলেন । মিটার সাহেব তথম স্বীয় কার্যো আপসে গিয়াছেন , উইলি গৃঙ্গে নাই, সে এম এ পরীক্ষার অবাবর্তিত পরেই দেশ পর্যাটনে বহির হইয়াছে ; ছোট ছেলেমেয়ের বিদ্যালয়ে গিয়াছে ; গুঙ্গিণ এবং এমিও মধ্যাহ্ল ভোজনের পর বিশ্রাম করিতেছেন । বাড়ীতে কাহারও সাড়া শব্দ নাই । মিটারগুহের দ্বার তাহার নিকট অবারিত ; তিনি গুহাভাস্থায় প্রবেশ করিলেন । খানসামা আসিয়া সেলাম করিয়া দাড়াইল ; তিনি তাহাকে গৃহের কুশলসংবাদ জিজ্ঞাসা করিলেন । খানসামার মুখে শুনিলেন, সাহেবের বুদ্ধা জননী অত্যন্ত পীড়িত । আমনি প্রথমে তাত কে দেখতে গেলেন । অতি মুণিত শয্যায় অনাদরে, স্নান করিবার ঘরের পশ্বস্থিত একট ক্ষুদ্র ঘরে তিনি শয়ানা। প্রমথ বাৰু উাছার পাখে বসিয়া গায়ে গত বুলাইতে লাগিলেন । বুদ্ধ মুথ তুলয়। চাহিল। প্রমথ বাবুর দয়া দেখিয়; চক্ষু দিয়া জল পড়িল, এবং বুদ্ধ-বয়স সুলভ বাক-বাহুল্যতা প্রকাশ পাইল । যাহ। শুনিলেন,তাহাতে বড়ই ক্লিষ্ট হইলেন । মিটার সাহেৰ মাতার সেবা করিতে অনিচ্ছুক নহেন, কিন্তু মিসেস এৰ এমি প্রতিবাদিন । গৃহিণীর অনভিমতে কোন কাৰ্য্য করা সাহেবের সাধাতীত ! এমির নামে নামটা প্রমথবাবু বিশ্বাস করিলেন না, কিন্তু ভাবিলেন যে বৃদ্ধার সেবার প্রবাঙ্গী ১ম ভাগ । একটা বন্দোবস্ত করিতেই হইবে। আর সময়ের মধ্যেই প্রমথবাবুর আগমনবার্তা শুনিয়া মিসেস এবং মিস্ মিটার আসিয়া উপস্থিত হইলেন, এবং তাহার অভ্যর্থনার উদ্যোগ করিতে লাগিলেন । প্রমথবাবু বুদ্ধার কথা পাড়িলেন এবং অল্প কথাবাৰ্ত্তার পরেই ভাব গতিক বুঝিয়া প্রস্তাব করিলেন যে স্থান পরিবর্তন করিলে উপকার হইতে পারে ; এবং তিনি তাঙ্গর নিজের নাসা বুদ্ধাকে লইয়া যাইতে প্রস্থত | তাঙ্গর একাগ্রত দেখিয়া কথাটার কেহ প্রতি বাদ করিল না—এবং প্রমথবাবু পাল্পী ডাক,ইয়া বুদ্ধাকে আপনায় ব{সায় লইয়া গেলেন | উজ্জ্বল সভাতার অন্তরাল স্তিত অন্ধকার এবার ঘনীভূত হইয়া প্রকাশিত হইল । ডাক্তার ডাকিলেন রাত্রিদিন নিকটে থাকিয়া শুশ্রুস। করিলেন –কিছুতেই কিছু হইল না । মিটার সাহেব ও অবকাশ পাইয়া নি: আসিয়া মাতার সেবায় নিযুক্ত হইতেন । বৃদ্ধ পুত্রমূখ চুম্বন করিয়া, প্রমথনাথকে আশীৰ্ব্বাদ করি: ই হলোক পরিত্যাগ করিলেন । অস্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সমাপ্ত ইষ্টবার পর, সাহেব, প্রমথবাবুকে তাঙ্গার গৃঙ্গে যাইতে অনুরোধ করিলেন। প্রমগবাবু অতি গম্ভীরস্বরে বলিলেন, তিনি আর তাহার গৃহে যাইবেন না। মিটার সাহেব কথাটার অর্থ বুঝিলেন — এবং বিনা বাক্যব্যয়ে স্বগৃহে প্রতিনিবৃত্ত হইলেন । প্রমথবাপু তিন চারিট হাট কিনিয়াছিলেন, সেগুলি অগ্নিদেবকে উপহার দিয়া চিন্তামগ্ন কক্টলেন। অনুতাপের এই আর এক পরিচ্ছেদ । ( ७ ) প্রমথবাৰু এমকে বিবাহ করবেন না, স্পষ্ট জানাইলেন । তখন একদিন এমির পক্ষ হইতে একখানি উকিলের চিঠি পাইলেন ; তাহাতে লেখা আছে সে বিবাহ-চুক্তি ভঙ্গের জন্য তাহাকে ৩০ হাজার টাক। ড্যামেজ দিতে হুইবে । চিঠিখানা একখানি থামে পুরিয়া, মিটার সাহেবকে পাঠাই ৷ দিয়া, প্রমথবাবু শ্ৰীপুর চলিয়া গেলেন । গৃহে যাইতেছেন এ সংবাদ গৃহের লোকের জানা ছিল না। রাত্রে ষ্টেশনে পেছিয়া একাকী পদব্রজে গৃহে গেলেন। ইচ্ছাপূৰ্ব্বক ধীরে ধীরে গেলেন, কাজেই গুহে পোছিতে অনেক রাত্রি হইল । পথে দুই একজন লোকের সহিত দেখা হইয়াছিল, তাহারা বলিল “একি বাবু, আপনি একাকী ?” প্রমথবাবু কথা কহিলেন না । তাহারা সঙ্গে যাইতে চাহিল পান্ধীর