পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कोद्धिक বিস্তীর্ণ জলাশয়ের পঙ্কোদ্ধার করতে কী অক্লাস্ত পরিশ্রম করেছেন, অনেকেই তা জানেন। বহুকাল পূৰ্ব্বে রায়পুরের জমিদার ভুবনচন্দ্র সিংহ ভুবনডাঙার এই জলাশয় প্রতিষ্ঠা করে গ্রামবাসীদের জল দান করেছিলেন। তথনকার দিনে এই জলদানের প্রসার যে কী রকম ছিল তা অনুমান করতে পারি যখন জানি এই বাধ ছিল পচাশি বিঘে জমি নিয়ে । সেই ভুবনচন্দ্র সিংহের উত্তরবংশীয় দেশবিখ্যাত লর্ড সত্যেন্দ্রপ্রসন্ম সিংহ যদি আজ বেঁচে থাকতেন তবে তার পূৰ্ব্বপুরুষের লুপ্তপ্রায় কীৰ্ত্তি গ্রামকে ফিরে দেবার জন্তে নিঃসন্দেহ তার কাছে যেতম। কিন্তু আমার বিশ্বাস, স্বয়ং গ্রামবাসীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে জনশক্তিসমবায়ের দ্বারা এই যে জলাশয়ের উদ্ধার ঘটেছে তার গৌরব আরও বেশী। এই রকম সমবেত চেষ্টাই আমরা সমস্ত দেশের হয়ে কামনা করি। বর্ষণমঙ্গল ՆաՓ করেছিল চার দিক থেকে। আত্মঘাতিনী মাটি আপন বুকের সরসতা হারিয়ে রিক্তমূৰ্ত্তি ধারণ করেছিল। আবার আজ সে দেখা দিল স্নিগ্ধ রূপ নিয়ে। বন্ধুরা অনেকে অক্লাস্ত যত্ত্বে নানা ভাবে সহায়তা করেছেন আমাদের এই কাজে । সিউড়ির কর্তৃপক্ষীয়েরাও তাতে যোগ দিয়েছিলেন। আমাদের শক্তির অনুপাতে জলাশয়ের আয়তন অনেক খৰ্ব্ব করতে হয়েছে। আয়তন এখন হয়েছে একুশ বিঘে । তবু চোখ জুড়িয়ে দিয়ে জলের আনন্দরূপ গ্রামের মধ্যে অবতীর্ণ হ’ল । এই জলপ্রসার সুৰ্য্যোদয় এবং সূৰ্য্যাস্তের আভায় রঞ্জিত হয়ে নূতন যুগের হৃদয়কে আনন্দিত করবে। তাই জেনে আজ কবিহদুয়ু থেকে একে অভ্যর্থনা করছি। এই জল চিরস্থায়ী হোক, গ্রামবাসীকে পালন করুক, ধরণকে অভিষিক্ত করে শস্যদান করুক। এর অজস্র দানে চার দিক এখানে ক্রমে শুষ্ক ধূলি এসে জলরাশিকে আক্রমণ স্বাস্থ্যে, সৌন্দর্ঘ্যে পূর্ণ হয়ে উঠুক। বৃক্ষরোপণ মধুমনমূলং মধুমদ অগ্রস্থ আসমৃ রাষ্ট্ৰী মাত নতঃ পিতা অধ্যম তে পিতামহ: | মধুম মধ্যং ৱীকুধাং বভূৱ । ঙ্গে বৃক্ষ, রঞ্জি তোমাদের মাতা, নভ তোমাদেঃ পিতা, প্রেম ও মধুম পর্ণং মধুমৎ পুপম্‌ আসাম আলোকের দেবত! তোমাদের পিতামহ । মধেঃ সংভক্ত অমৃতস্য ভক্ষঃ ॥ ইহাদের মূল মধুময়, অগ্রভাগ মধুময়, এই বীরুধদের মধ্যভাগও হইয়াছে মধুময়। ইহাদের পর্ণ মধুময়, পুপও ইহুদের মধুময়। এইখানেই অমৃতরসের পান ও অমৃতের উপভোগ । উত্তানপণে সুভগে দেৱজতে সহস্থতি । যথা ন; সুমন অসে যথা নঃ মুফল ভুৱঃ ॥ উদ্ধদিকে বিস্তৃত ও সমুথিত তোমার সকল পর্ণ তুমি সৌভাগ্যের হেতুভূত, সৰ্ব্বজয়ী তোমার শক্তি। হে দেখপ্রেরিত বাক্ষধ, আমাদের নিকট তুমি সুফল হও, তোমার সঙ্গিত আমাদের অস্তরের প্রীতির যোগ হউক । পুপবতী প্রসুমতী ফলিনীরফল উত । সংমাতর ইৱ দুহাম্ অন্ম অরিষ্টসাতয়ে ॥ পূপে প্ররোহে ইগরা ঐশ্বর্যবতী ; ফলবতীই হউক আর অ-ফলাই হউক, সম্মিলিত মাতৃগণের মতে ইহারা আপন স্নেহস্তন্যরসে এই মানবকে সকল দৈন্য ও হীনতা হইতে মুক্ত করুক। যত্রাশ্বথা ন্যগ্রোধা মহাৱক্ষা শিখণ্ডিনঃ । যত্র রঃ প্রেস্থা চরিতা অৰ্জ্জুন৷ উত যত্রাঘটা কৰ্কৰ্যঃ সংবদন্তি । যেখানে শোভন চূড়াবিশিষ্ট অশ্বখ বট প্রভৃতি মহাবৃক্ষবিরাজিত সেখানেই শোভা পাইতেছে তরিত ও শুভ্ৰ সব দোল, সেখানেই একতানে বাজিতেছে সব বংশী ও মন্দির । অসদৃ ভূম্যাঃ সমভপৎ তদু স্তম্ এতি মহৎ ৱাচ । শতেন ম| পরি পাপ্তি সহস্ৰেণাভি রক্ষ মা । যাহা ছিল না, পৃথিবীর অন্তর হইতে তাই ইষ্টল আবির্ভূত। তাহারই মহাবিস্তার চলিয়ছে ছুলোকের দিকে । শতভাবে তুমি আমাকে পরিপালন কর, সঙ্গ4ভাবে আমাকে অভিপ্লক্ষণ কর । টসিঙ্গীধের স্তনয়ত্যভিক্ৰন্দতেfাষধী: । ষ্টে ওষধিগণ, মেল স্তলিত হইতেছে, আকাশের অভিক্রন্দন ঢলিয়াছে, এখনই তো তোমাদের উদ্ধদিকে মাথা তুলিয়া সমুথিত হইয়া উঠিবার সময় । সুৱৰ্ণ সমগ্র ওষধীবে।ধন্তু ৱঢ়সে মম ॥ এই সমগ্র বিশ্ব ওষধি আমার বাণীকে আঞ্জ উদ্বোধিত করুক । দেবাস্তে টাতিম অবিদনৃ ব্ৰহ্মাণ উত ৱারুধঃ । চৗতি তে বিশ্বে দেবী অবিদন ভূম্যমিধি । হুে বীরুদৃগণ, দেবগণ জানেন তোমাদের অস্তরের চিন্ময় সঞ্চয়ুকে, ব্ৰহ্মবিদগণ জানেন তোমাদের সেই নিগূঢ় অঞ্চয়ের রহস্ত। এই ভূমির উপর (স্বর্গ হইতে অপরূপ ) তোমাদের সেই সঞ্চয়ের রহস্য একমাত্র বিশ্বদেবগণই পারিয়াছেন বুঝিতে। [ উপরে মুদ্রিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মন্ত্রগুলি শ্ৰীযুক্ত ক্ষিতিমোহন সেম শাস্ত্রী মহাশয় কর্তৃক সঙ্কলিত ও বমনুদিত। ]