পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

令8之 দেউলিয়া নহেন ? গবন্মেণ্ট যে কিছু করিতেছেন না, তাহা গবশ্লেষ্টের দোষ বটে, কিন্তু শুধু গবয়েন্টের দোষ দেখাইলেই দেশের উন্নতি হইবে না। ভারতবর্ষের অনেক প্রদেশে নানা রকম ফল জন্মে। কিন্তু অনেক ফল এরূপ, যে, সেগুলি পাকিবার পর বেশী দিন রাখা যায় না, এবং পাকেও কেবল দু-এক মাসের মধ্যে । যদি ফলগুলি স্বাভাবিক টাটকা অবস্থায় দীর্ঘতর কাল রাখিবার উপায় হয়, তাহা হইলে যে-যেখানে সেগুলি জন্মে তথাকার লোকেরা অনেক দিন তাহ খাইতে পায় এবং যেখানে জন্মে না সেখানেও বিক্রীর জন্য প্রেরিত ও রক্ষিত হইতে পারে। সবাই জানে, গরমে ফল শীঘ্ৰ পাকে ও শীঘ্ৰ পচে। যদি খুব ঠাণ্ডা জায়গায় ফল রাখা যায় তাহা হইলে পাকা ফলও শীঘ্ৰ পচে না । বরফদ্বারা ঠাণ্ড রাখিবার ভাও, বাক্স বা অন্ত রকম পাত্র এবং কক্ষ থাকিলে ফল নষ্ট হয় না। উত্তর-ভারতের নানা স্থানে এই প্রকারে শৈত্যদ্বারা ফল টাটক রাখিবার ( অর্থাৎ কোল্ড ষ্টোরেজের ) বন্দোবস্ত হইতেছে। বঙ্গেও অনেক ভাল ফল জন্মে এবং আরও বেশী জন্মিতে পারে। বঙ্গে কিন্তু এরূপ কোন ব্যবস্থা হইতেছে না। বাংলা দেশ অন্ত সব প্রদেশের চেয়ে অস্বাস্থ্যকর ও ক্ষয়িষ্ণু । অতএব, এখানে অন্ত সব প্রদেশের চেয়ে অধিবাসীদের চিকিৎসার উৎকৃষ্টতর বন্দোবস্ত হওয়া উচিত— অন্ততঃ অন্য যে-কোন প্রদেশের সমান ত হওয়া নিশ্চয়ই উচিত ও আবশ্বক। কিন্তু বঙ্গে তদ্রুপ কোন বন্দোবস্ত নাই। বোম্বাই গবশ্নেণ্ট সম্প্রতি স্থির করিয়াছেন, যে, নিৰ্ব্বাচিত কয়েকটি গ্রামসমষ্টিতে প্রত্যেক তিন-চারটি গ্রামের জন্তু এক-এক জন পাস-করা ডাক্তার থাকিবেন এবং গবন্মেন্ট র্তাহাকে মাসিক ৫০২ পঞ্চাশ টাকা ভাতা দিবেন। ডাক্তার সপ্তাহের এক-একটি নিদিষ্ট দিনে এক-একটি গ্রামে যাইবেন। তা ছাড়া তিনি দর্শনী লইয়া রোগী দেখিতেও পরিবেন। তাহার আয় বেশী না হইলেও এইরূপ আয়েও পাস-করা অনেক ডাক্তার কাজ করিতে রাজী হইবেন। বাংলা দেশের জন্য এইরূপ ব্যবস্থা বিশেষ আবগুক। এখানেও পূর্ববর্ণিত আয়ে কাজ করিবার ডাক্তার পাওয়া যাইবে । মেডিক্যাল কলেজের পাস-করা প্রবাসী $w98N9 কোন ডাক্তারই বেকার বা প্রায়-বেকার নহেন, বলা যায় না। মেডিক্যাল স্কুলগুলি হইতে পাস-করা ডাক্তারদের মধ্যে বেকার বা প্রায়-বেকার লোক হয়ত আরও বেশী আছেন। অথচ বঙ্গের গ্রামে গ্রামে—এমন কি অনেক শহরেও—বিন চিকিৎসায় কত লোকের যে মৃত্যু হয়, তাহার গণনা হয় নাই। অবগু, খুব ভাল চিকিৎসকের চিকিৎসা সত্ত্বেও অনেক রোগী মরে বটে। কিন্তু ইহ নিশ্চিত, যে, চিকিৎসা হয় না বলিয়৷ এমন অনেক রোগী এখন মারা পড়ে, চিকিৎসা হইলে যাহারা বাচিত । ভদ্রভাবে জীবনধারণের পক্ষে যথেষ্ট নূ্যনতম একটা আয়ের আশা পাইলে অনেক ডাক্তার পল্লীগ্রামে যাইতে রাজী হইবেন র্যাহারা ভবিষ্যতে আয়ের আশায় এপন শহরেই বসিয়া আছেন। আমরা এই প্রসঙ্গে কেবল এলোপ্যার্থীর ডাক্তারদের কথাই বলিলাম, কেন-ন সরকারী সাহায্য কেবল এলোপ্যার্থী মতের চিকিৎসকদিগকেই এখন দিবার সম্ভাবনা আছে। সরকার কিছু ন-করিলেও সমবায়ু-সংঘ দ্বারা এক-একটি গ্রামসমষ্টির চিকিৎসার ব্যবস্থা হইতে পারে, ইউনিয়ন বোর্ডগুলির দ্বারাও হইতে পারে। ধনী জমিদার ও ব্যবসাদারেরাও ইহা করিতে পারেন—কেহ কেহ হয়ত করিয়াছেন। র্তাহারা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মত অনুসারে স্বশিক্ষিত কবিরাজ ও হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারও নিযুক্ত করিতে পারেন। “বন্যাকুলার” মানে কি দাস-ভাষা ? সেদিন ভারতবর্ষীয় ব্যবস্থাপক সভায় মান্দ্রাজের মিঃ সত্যমূৰ্ত্তি এবং আরও কোন কোন সদস্ত এই প্রশ্ন করিলেন, ও তাহা লইয়া অনেক তর্কবিতর্কও করিলেন, যে, যেহেতু “বন্যাকুলার” ( Wernacular) মানে দাসদের ভাষা, অতএব গবন্মেণ্ট ভারতবর্ষীয় নানা ভাষা বুঝাইতে ডাকঘরের গাইড ও অন্যান্ত বহিতে ও শিক্ষবিভাগের রিপোট আদিতে ঐ শব্দ কেন ব্যবহার করেন ও কেন উহার ব্যবহার রহিত করিবেন না। ঐ তর্কবিতর্ক দৈনিক কাগজে বাহির হইয়াছে। তাহার রিপোট এখানে 6णNGघ्नीं खानां दशसु । আশ্চর্ধ্যের বিষয়, সরকারী ইংরেজ বা ভারতীয় সদস্ত কেহই এ কথা বলিলেন না, যে, “বন্যাকুলার" শব্দটি দাস