পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

町@f亨博e, চাহাদের বক্ষস্থলে ”ि । এইরুপ বারোয়ারি পূজা চন্দননগরে বৎসবে বিভিন্ন সময়ে পাচ-ছয় স্থানে হইত। এখন চন্দননগর হাটখোলায় ভূবনেশ্বরী ব্যতীত অন্য কোন পল্লীতে আর জীকালে বারোয়াবি পূজা হয় না। কোন কোন পল্লীতে বাবোয়াবিতে সবস্বতী বা কাঞ্জিক পূজা হয় বটে, কিন্তু তাহাতে যাত্রা, পাচালি প্রভৃতি হয় না, সেই পূজা এক দিনেই শেষ হয়। তাহাকে উৎসব বলা যাইতে পারে না । দেশে হরিজন-আন্দোলন প্রবর্তিত হইবার ফলে অনেক গ্রামে যেরূপ বাবোয়াবিতে চাদা করিয়া সাৰ্ব্বজনীন পূজা হইতেছে, চন্দননগবেও সেইরূপ হরিজন-পল্লীর বাবোয়ারিতে একখানি সাৰ্ব্বজনীন দুর্গাপূজা গত কয়েক বৎসর হইতে হইতেছে। হরিজনদিগকে প্রতিমার চবণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়াইবার জন্তই কয়েক জন সংস্কাবকামী উচ্চবর্ণ ভদ্রলোকের চেষ্টাতেই এই পূজা হইতেছে ; ইহাব মূল সমাজসংস্কারের প্রচেষ্টা। সেকালে যেরূপ নিববচ্ছিন্ন আনন্দ উপভোগের জন্য বারোযারি পূজা হইত, ইহা সেরূপ পূজা নহে। আমাদের দেশে জুর্গোৎসব ব্যতীত আরও দুইটি উৎসব প্রচলিত ছিল, বোধ হয় এখনও কোন কোন স্থানে আছে। তন্মধ্যে একটি নন্দোৎসব, দ্বিতীয়টি ফল্গুৎসব। নন্দোৎসব জন্মাষ্টমীর পরদিন হইত। নন্দালয়ে শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ কবিয়াছেন, এই সংবাদ প্রচারিত হওয়াতে পরদিন ব্ৰজপুরবাসী গোপগণ আনন্দে মত্ত হইয়া উৎসব করিয়াছিল ; তাহারই স্মৃতিচিহ্নস্বরূপ নন্দোৎসব প্রবর্তিত হয়। দ্বাপর যুগে, ব্ৰজবাসী গোপগণ কিরূপ উৎসবের মচষ্টান করিয়াছিল জানি না, কিন্তু আমরা বাল্যকালে দখিয়াছি, আমাদের পাড়ায় ঠাকুর-বাটীর প্রাঙ্গণে খানিকট fায়গা খুঁড়িয়া জল ঢালিয়া কাদা করা হইত, ঠাকুরবাড়ীর জিক সেই কাদার মধ্যস্থলে একটা ঝুনা নারিকেল ফেলিয়া তেন, আর সেই পাড়ার বালক ও যুবকগণ সেই নারিকেল ইবার জঙ্ক কাড়াকড়ি এবং সঙ্গে সঙ্গে কাদাতে গড়াগড়ি স্বা একেবারে ভূত সাজিত। আধঘণ্টা তিন কোয়াটার ইরূপ কাদা-মাখামাখির পর সকলে মিলিয়া সেই নারিকেল য়ৈ স্বান করিতে বাইত। স্বানান্তে সকলে পুনরায় সেই লেখা—“উপটৌকনে দোষং সেকালের উৎসৰ en سواج ঠাকুর-বাটতে সমবেত হইলে, পূজাবী-ঠাকুব সকলের হন্তে দেবতার প্রসাদ কিছু কিছু মিষ্টায় প্রদান কবিতেন। প্রাতঃকালের উৎসব এইরূপে শেষ হইত। তাহাব পব অপরাহ্লে - “বাধাই” বাহিব হইত। এই বাধাই শবোব উৎপত্তি কি তাহা অামি জানি না। বাধাই শোভাযাত্রা বা মিছিল। কলিকাতায় চৈত্র-সংক্রাস্তির দিন যেরূপ জেলেপাডাব সং বাহিব হয়, বাধাইও সেইকপ গীওবাদ্য-প্রহসন-সংবলিত একটি মিছিল। এই মিছিল আট দশ দলে বিভক্ত হইত। প্রথম দুই-তিনটা দলে শ্রীকৃষ্ণেব জন্ম উপলক্ষ্যে গীতবাদ্য হইত। তাহীর পব একট। দলে সামাজিক ব্যঙ্গকৌতুক, কোন দলে কোন পৌবাণিক নাটকের একটা গর্তাঙ্কেশ্ব অভিনয়, কোন দলে মাতাল, কোন দলে উডিযার কলহ প্রভৃতিব অভিনয় হত্বত। এই বাধা বাহির হইত চন্দননগবেব বৈদ্যপোতা নামক পল্পী হইতে । যে-পথ দিয়া বাধাই যাইত, সেই পথ লোকে লোকাবণা হইত। সেই পথের পার্থে যে-সকল গৃহস্থের বাস, তাহাল বাধাই দেখাইবাব জন্য পূৰ্ব্ব হইতে আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবদিগকে নিজ নিজ বাটতে আনক্টিয়া রাখিতেন। এগু বাধাইমধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ চিত্তাকর্ষক ছিলেন v ননীলাল মুখোপাধ্যায়। তিনি ফেলে থাকিতেন, সেই দলেব চতুদিকে ভীষণ জনতা হইত। কারণ, তিনি মুখে মুখে ছড়া বাধিয়া এবং নানা প্রকাব অঙ্গভঙ্গী সহকারে নৃত্য করিয়া বিলক্ষণ হাস্যরসের স্বষ্টি কবিতেন। তাহার ছড়ার নমুনা হইতেই পাঠকগণ বুঝিতে পাবিবেন, তিনি মুখে মুখে কিরূপ ছড়া বাধিতেন। শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, সেই জন্ত— "জাগজে ছাইল ব্ৰজপুৰী গোলক হ’তে নরলোকে এসেছেন হরি। বিইয়েছে বিস্কুটে কালে যশোদা মুলারী কেউ বলে দাডকাকের বাচ্ছ কেউ বা বলে পরী । मैंठ थैिघ्निरग्न जांtइन ब्रांनॆ, cषरब्र कोरलब्र छ७ि ॥ নল রাজা এনে দিলে তেঁতুল এক ঝুডি শ্ৰীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করাতে স্বৰ্গ হইতে দেবতার মানবমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া শিশুরূপী হরিকে দেখিতে আসিয়াছেন, সকলেই কিছু কিছু উপহার আনিয়াছেন, যথা— “কেউ এনেছে ছানাৰড৷ কেউ এনেছে গজ ८कछे 4टनटश् ८**ी छांटणन ८कts arबns **= * *******