পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ఇరిరి _ नॅी -به میوه چرم» معجیحی «۰ segల్` এই ভাবে ডাকিতেছে ; এ-শ্রেণীর লোককে যদি অমৃত দেওয়া হয় ত সেটাকেও ক্ষীর করিয়া লইয়া ছাড়িবে। সেই জলের ধারের জায়গাটি। শেষের দিকের দুইটি পিরিয়ডে ছুটি ছিল, সব-শেষের পিরিয়ডে প্রফেসার বোস হঠাৎ অমুস্থ হইয়া পড়েন। আজ ছয় দিন পরে ; কিন্তু এই ছয় দিনে অনেক পরিবর্তন হইয়াছে। অর্চনা হইয়াছে রুচি। রুচি প্রবল হইলে বিমলেন্দু কখনও অরুচি বলিয়াও ডাকিয় ফেলিতেছে। বিমল দর্শনশাস্ত্র ছাড়িয়া ইতিহাস লইয়াছে, আজ এখানে আসার ইতিহাসটুকুও এই ব্যাপারটির সহিত জড়িত। অর্জনার নিকট হইতে পুরাতন নোটগুলি টুকিয়া লইবে, তাই দুইজনে এই নিরিবিলিটুকু আশ্রয় করিয়াছে। অর্চনা নোটের পাতা উন্টানর মাঝে থামিয়া উত্তর করিল-—“কি ?” বিমলেন্দু প্রত্যুত্তর কিছু দিল না। জড়াজড়ি করিয়া যে রাঙা কালার দুইটি ছিল তাহারা আর নাই ; সেই শূন্ততটুকুর দিকে চাহিয়া রহিল। অর্চনা নোটের পাতা আরও খানিকট এদিক-ওদিক উণ্টাইল। তাহার পর মৌনতার অস্বস্তিটা কাটাইবার জন্যই বোধ হয় প্রশ্ন করিল—“গ্রীষ্মের ছুটির আগে যে-সোশাল পার্টি হবে তাতে আপনি কোন পার্ট নিলেন না কেন বিমল বাৰু? অত ক’রে বললে সবাই••••••• বিমল ধীরে ধীরে চক্ষু তুলিয়া প্রশ্ন করিল—“তুমিও একথা জিজ্ঞাসা করে তবে জানবে রুচি ?” অৰ্চনা একটু চিন্তা করিল,—আবার নোটের পাতা উণ্টাইতে উটাইতেই তাহার পর একটা পাতা আঙুল দিয়া মুড়িয়া ধরিয়া বলিল—“বুঝলাম না।” “বিচ্ছেদটা কি একটা উৎসব রুচি ?” অৰ্চনা প্রথমটা বুঝিতে পারিল না, তাহার পর কথাটার অর্থ তাহার মনের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রবেশ করিয়া তাহার মনটিকে ভারাক্রাস্ত করিয়া দিল, সে মুখ ফিরাইয়া একদিকে চাহিয়া রহিল। সত্যই ত, এই গ্রীষ্মাবকাশের দীর্ঘ তিনট মাস আর যাহার কাছেই উৎসব স্বচিত করুক—অন্ততঃ এ-কলেজের দুইটি প্রাণীর কাছে যে করে না, তা হাতে কি কোন সন্দেহ আছে ?......ওদের সবার সামনে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলন—সেই মিলনকেই ওরা আমন্ত্ৰণ করিতেছে এই উৎসবের দ্বারা। ওরা যে নাম দিয়াছে ‘বিদায়-অভিনন্দন" ওটা ভুল—ওদের বিদায়ে দুঃখ নাই বলিয়াই এটা সম্ভব হইয়াছে। কিন্তু যে-দুজনের পক্ষে এ-বিদায় সত্যই বিদায়— এই অবকাশ যাহাদের মধ্যে শতাবধি দিনব্যাপী শতযুগের দাহন আনিবে তাঁহাদের কি উৎসবের অবসর অাছে ? .. অৰ্চনার আশ্চৰ্য্য বোধ হইল যে, এদিকটা ভাবে নাই কেন এবং যে এই ভাবনায়ই মুহমান, তাহার সামনে একটু অপ্রতিভ হইল । সেদিন দু-জনে বাহিরে-বাহিরে কথা আর বেশী কিছু হইল না, তবে দু-জনের মনের মধ্যে যে-সমস্ত কথা নিঃশব্দে উঠিয়া মিলাইয়া যাইতে লাগিল সে-সব একই প্রকৃতির। কলেজ বন্ধ হওয়ার সময় হইয়া গেল। জলের ও-ধারটায় সবুজ ঘাসের উপর দু-একটি করিয়া সাহেবদের ছেলেমেয়ে আসিয়া খেলা করিতে লাগিল, তাহাদের ‘আয়' আর --রা মোড়ার উপর বসিয়া গল্প করিতেছে। দু-জনে উঠিল। কথার অভাব হইয়া পড়িয়াছে আজ, অথচ উঠিবার সময় যে দীর্ঘশ্বাসটুকু পড়িল সেটাকে ঢাকিতে কিছু বলিতেই হয় যেন । অৰ্চনা সামনের একটি কলোরের কুড়ির দিকে চাহিয়া বলিল—“আচ্ছ, কলেজ যখন খুলবে তখনও এ-সব ফুটতে থাকবে ?” বিমল বলিল—“কি জানি রুচি ? তিন মাস একটা যুগ যে ” সে-রাত্রে অর্চনার নিদ্রা হইল না । কিন্তু সে ত আর কালিদাসের যুগের মেয়ে নয় যে, বিরহের স্বচনাতে শৃঙ্গার পরিবর্তন করিয়া বীণার তার বাধিতে বসিয়া যাইবে। সকালে উঠিয়া ছোট ভাই প্রবীরকে ডাকিয়া বলিল— “বীর, তোমার বইগুলো নিয়ে এস ত ; যে-রকম অমনোযোগী হয়ে উঠছ দিন দিন••••••” প্রবীর ছেলেটি ভাল, ইংরেজী পড়া বেশ ভালই দিল। ইতিহাস জানিতে বলা হইল ; বেশ সন্তোষজনক উত্তরই দিল। অৰ্চনা তাহাতে অসন্তুষ্ট হইয়া বলিল—“মুখস্থ