পাতা:প্রবাসী (ষট্‌ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অল্পহরণকরার জলাত এরকম গলিমেলি, অ নি লত ! দেখি।” সহজ অঙ্কে আটকাইবে না বুঝিয়া, বেশ বাছা বাছা গোটাকতক অঙ্ক দিল। তাহাতে বেশ মনের মত ফল পাওয়া গেল। ভিতরে ভিতরে ভাইয়ের উপর খুশী হইয়া অৰ্চনা প্রকাশ্বে রাগতভাবে বলিল—“আমি জানি কিনা— দেখছি এদিকে বেশ গা ঢেলে দিয়েছ।” অভিভাবক ঠাকুরদাদা। নামজাদ উকিল ছিলেন। লোকে বলে বড় পাকা মাথা। ছিল বোধ হয় এক সময়, এখন সেটি সম্পূর্ণরূপে নাতনীর হাতে সমর্পণ করিয়া নিঝঞ্জাট :জীবন যাপন করিতেছেন। গঙ্গাস্নান, কালীঘাট, ও ভাইটামিন আর পরমায়ুতত্ত্বে আলোচনায় অবসরটা বিভক্ত। অর্চনা বলিল—“ঠাকুরদা, বীরুর অবস্থা দেখেছ – অঙ্কেতে ও ডাহা ফেল করবে ; এই সামার-ভেকেশ্যনের পরেই ওদের পরীক্ষা, মাস তিনেকও নেই। নিজের মোটেই সময় নেই যে দেখি ; কি যে হবে.....”—বড়ই চিন্তান্বিত ভাবটা । বীরুর ডাক পড়িল। আসিলে ঠাকুরদাদা বলিলেন— “অঙ্কটা ঠিক তৈরি নেই শুনছি। তুমি রোজ রাত্তিরে আমার কাছে এসে বসে ত এরিথমেটিকট নিয়ে ।” অৰ্চনা একটু চুপ করিল, তাহার পর বলিল—“হ্য, তুমি আবার ঐ কর। একে ভাল ঘুম হয় না রাত্তিরে ; তার ওপর আবার ওর সঙ্গে বীকে বকে.আমি বলছিলাম একটা না-হয় টিউটর রেখে দাও না।” টিউটর সম্বন্ধে ঠাকুরদাদার চিরকালই আপত্তি ; বলেন, ও ত বাজারের নোটের সামিল—শুধু হাত-পা আছে, চলে বেড়ায় এই যা তফাৎ। কাল পর্যন্ত অৰ্চনারও এই মত ছিল। গত রাত্রি হইতে বদলাইয়াছে। বলিল—“বরাবর : না হয়, অন্তত তিন মাসের জন্ত একটু সামলে দিক তার পর••••••• ঠাকুরদাদা চিন্তিতাবে বলিলেন—“টউটর -ত তুমি যখন বলছ নিজে মেক্‌-আপ করে নিতে পারবে নাৰীক তুমি ? সেই হত ভাল—আত্মচেষ্ট...” বীর উৎসাহভরে উত্তর দেওয়ার আগেই আলো বলিল— প্রবন্থমেল వలS . “না, পারবে না ।”—এমন জোরের সহিত বলিল যে বীরু চুপ করিয়া রহিল। “তা হলে দেখ--তোমাদের মাষ্টার কেউ রাজী হবেন বীরু ”—তিন মাসের জন্তে 1–জিজ্ঞাসা করে দেখবে অাজকে ?” to বীরু উত্তর দিবার আগেই অৰ্চনা আবার জোর দিয়া —“না না, হবে না রাজী ; স্কুলের মাষ্টারদের বাধা টুইখন থাকে।” বীরু আবার চুপ করিয়া গেল। ঠাকুরদাদা বলিলেন— “হয়েছে –তোমাদের কলেজের কোন ছেলে পাওয়া যাবে না ? জিজ্ঞাসা করে দেখো না, সামনে তিন মাসের ছুটি পড়ে রয়েছে so “তুমি কথাগুলো একটু ভেবে বল ত ঠাকুরদা"। আমি জিজ্ঞাসা করতে যাব,—আমার সেখানে কার সঙ্গে জানা শোনা ?” “তবে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে দেবে ? দাড়াও, আমি না-হয় দেখি দু’চার জনকে জিজ্ঞাসা করে।” ঠাকুরদাদার হাতে গেলেই ত বেহাত হইল ! কলেজে এতটা অপরিচয়ের ভাবটা দেখান ভাল হইল না। একটু চিন্তা করিয়া অৰ্চনা বলিল—“রোসে ঠাকুরদা", এক কাজ করা যাবে, একটা বিজ্ঞাপনের মত লিখে পিণ্ডনকে দিয়ে আমাদের কলেজের নোটিস-বোর্ডে টাঙিয়ে দেব’খন । ষার চায় তোমার সঙ্গে দেখা করুক, তুমি বেছে নিও।” “তুমিও থাকবে ত ” “না, আমার দ্বারা হবে না।” “থাকলে ভাল হত। লোক বাছা একটু শক্ত কিনা।” B লোক বাছ একটুও শক্ত হইল না, কারণ অত বড় কলেজের মধ্য হইতে একটিমাত্র ছেলে আসিয়া ঠাকুরদাদার সহিত দেখা করিল। তিনি ইজি-চেয়ারে হেলান দিয়া কাগজ পড়িতেছিলেন। ছেলেটি বারান্দায় উঠিয়া একটি নমস্কার করিয়া বলিল—এই কি উমেশবাবুর বাড়ী ? তার সঙ্গে— মানে, তিনি--” “আমিই উমেশবাবু, কি দরকার আপনার ”